Tumgik
#সদকাতুলফিতর
ilyforallahswt · 1 month
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ফিতরা কেন দিতে হয়?
Why do you have to pay Fitra?
ক. রোজাদারের রোজায় যেসব দুর্বলতা ও ভুল হয়, তা থেকে পবিত্র হওয়া। খ. দরিদ্রদের প্রতি সদ্ব্যবহার। গ. ঈদুল ফিতরের দিনে দরিদ্রদের ভিক্ষা করা থেকে বিরত রাখা। ঘ. তারাবি ও রোজার মতো নেয়ামতে ধন্য করায় আল্লাহর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা। ঙ. উদারতা ও সহমর্মিতার চর্চা করা।
ফিতরের নিসাব জাকাতের নিসাবের সমপরিমাণ। নিসাব মানে হলো কারো কাছে সাড়ে সাত ভরি সোনা বা সাড়ে ৫২ ভরি রুপা অথবা তার সমমূল্যের নগদ অর্থ কিংবা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অতিরিক্ত সম্পদ ঈদুল ফিতরের দিন সময় বিদ্যমান থাকলে তার ওপর ফিতর ওয়াজিব হবে। যাঁর ওপর ফিতর আদায় করা ওয়াজিব, তিনি নিজের পক্ষ থেকে যেমন আদায় করবেন, তেমনি নিজের অধীনদের পক্ষ থেকেও আদায় করবেন। তবে এতে জাকাতের মতো বর্ষ অতিক্রম হওয়া শর্ত নয়।
রাসুল (সা.)-এর যুগে মোট চারটি পণ্য দিয়ে ফিতরা আদায় করা হতো। খেজুর, কিশমিশ, যব ও পনির। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, ‘আমরা এক সা পরিমাণ খাদ্য অথবা এক সা পরিমাণ যব অথবা এক সা পরিমাণ খেজুর অথবা এক সা পরিমাণ পনির অথবা এক সা পরিমাণ কিশমিশ দিয়ে সদকাতুল ফিতর আদায় করতাম।’ (বুখারি, হাদিস: ১,৫০৬)
খাদ্যবস্তুর পরিবর্তে সেগুলোর কোনো একটিকে মাপকাঠি ধরে তার মূল্য আদায় করা হয়।
বর্তমান বাজারদর হিসাবে যেহেতু গমের দামই সবচেয়ে কম, তাই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রতিবছর আধা ‘সা’ গমকে মাপকাঠি ধরে ওই সময়ের বাজারদর হিসাবে তার মূল্য ফিতরার সর্বনিম্ন পরিমাণ ঘোষণা করা হয়।
উত্তম হলো, নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী বেশি মূল্যের খাদ্যবস্তুকে মাপকাঠি ধরে ফিতরা আদায় করা। কেননা সদকার মূল লক্ষ্যই হলো গরিবদের প্রয়োজন পূরণ ও তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ। এ ছাড়া আদায়কারীর সামর্থ্যকেও বিবেচনায় রাখা উচিত, যদিও শরিয়তে সর্বনিম্ন মূল্যে ফিতরা আদায় করার দরজা খোলা রাখা হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে যব, কিশমিশ, খেজুর ও পনিরের হিসাবে ফিতরার আলাদা মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কেউ চাইলে আটার হিসাবে ফিতরা না দিয়ে উল্লিখিত জিনিসগুলোর হিসাবেও ফিতরা দিতে পারবেন।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগেই সদকাতুল ফিতর আদায় করা উত্তম। তবে রমজান মাসেও তা আদায় করা যায়।
আরবি ‘সদকাতুল ফিতর’ অর্থ ‘ঈদুল ফিতরের সদকা’। ঈদুল ফিতরের দিন আদায় করা হয় বলে একে সদকাতুল ফিতর বলা হয়। একে জাকাতুল ফিতর বা ফিতরাও বলা হয়। সদকাতুল ফিতর বা ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। রাসুল (সা.) ছোট-বড় নারী-পুরুষ সব মুসলমানের জন্য তা আবশ্যক করেছেন।
পবিত্র রমজানের পুরো এক মাস রোজা এবং তৎসংশ্লিষ্ট ইবাদত ও বিধিনিষেধ পালনের পর শাওয়াল মাসের পয়লা তারিখে ঈদ উৎসব পালিত হয়। এ পালনের মধ্যে রয়েছে জামাতে ঈদের নামাজ আদায়, গরিব-দুঃখীদের মধ্যে ফিতরা বিতরণ এবং ভালো খাওয়াদাওয়ার আয়োজন। তবে ঈদুল ফিতর উৎসবের একটি তাৎপর্যময় অঙ্গ হলো ফিতরা বিতরণ। রোজার সময় সংযম সাধনায় কোনো ত্রুটিবিচ্যুতি ঘটে থাকলে তা সংশোধন এবং সমাজের সর্বস্তরের লোক যাতে উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পারে, সে জন্য গরিব-দুঃখীদের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট হারে সদকায়ে ফিতরা বিতরণ করতে হয়।
প্রত্যেক সমর্থ্য মুসলমানের জন্য ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। মাথাপিছু কত টাকা ফিতরা দিতে হবে, তা আগেই রাষ্ট্র কিংবা সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে দেয়। নিয়ম হলো, ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগেই এই ফিতরা পরিশোধ করতে হবে। তারপর ঈদগাহ কিংবা তার অভাবে বড় মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়।
ফিতরা কেন, কার ওপর ওয়াজিব
Why Fitra is obligatory on whom?
আরবি ‘সদকাতুল ফিতর’ অর্থ ‘ঈদুল ফিতরের সদকা’। ঈদুল ফিতরের দিন আদায় করা হয় বলে একে সদকাতুল ফিতর বলা হয়। একে জাকাতুল ফিতর বা ফিতরাও বলা হয়। সদকাতুল ফিতর বা ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। রাসুল (সা.) ছোট-বড় নারী-পুরুষ সব মুসলমানের জন্য তা আবশ্যক করেছেন।
পবিত্র রমজানের পুরো এক মাস রোজা এবং তৎসংশ্লিষ্ট ইবাদত ও বিধিনিষেধ পালনের পর শাওয়াল মাসের পয়লা তারিখে ঈদ উৎসব পালিত হয়। এ পালনের মধ্যে রয়েছে জামাতে ঈদের নামাজ আদায়, গরিব-দুঃখীদের মধ্যে ফিতরা বিতরণ এবং ভালো খাওয়াদাওয়ার আয়োজন। তবে ঈদুল ফিতর উৎসবের একটি তাৎপর্যময় অঙ্গ হলো ফিতরা বিতরণ। রোজার সময় সংযম সাধনায় কোনো ত্রুটিবিচ্যুতি ঘটে থাকলে তা সংশোধন এবং সমাজের সর্বস্তরের লোক যাতে উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পারে, সে জন্য গরিব-দুঃখীদের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট হারে সদকায়ে ফিতরা বিতরণ করতে হয়।
প্রত্যেক সমর্থ্য মুসলমানের জন্য ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। মাথাপিছু কত টাকা ফিতরা দিতে হবে, তা আগেই রাষ্ট্র কিংবা সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে দেয়। নিয়ম হলো, ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগেই এই ফিতরা পরিশোধ করতে হবে। তারপর ঈদগাহ কিংবা তার অভাবে বড় মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়।
ফিতরা  দিতে হয় কেন?
কেন ফিতরা দিতে হয়। ফিতরা দেওয়ার কারণ। 
youtube
যাকাতুল ফিতর বা ফিতরা,ফেতরা কি কেন
Zakatul Fitr or Fitra, what is Fitra?
youtube
fitra dewar niyom 
ফিতরা আদায়ের নিয়ম
https://www.youtube.com/watch?v=l4aNmNFDxJg
যাকাতুল ফিতর বা ফিতরা,ফেতরা কি কেন
Zakatul Fitr or Fitra, what is Fitra?
ফিতরা দিতে হয় কেন?
Why do you have to pay Fitra?
0 notes
myreligionislam · 1 month
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ফিতরা কেন দিতে হয়?
Why do you have to pay Fitra?
ক. রোজাদারের রোজায় যেসব দুর্বলতা ও ভুল হয়, তা থেকে পবিত্র হওয়া। খ. দরিদ্রদের প্রতি সদ্ব্যবহার। গ. ঈদুল ফিতরের দিনে দরিদ্রদের ভিক্ষা করা থেকে বিরত রাখা। ঘ. তারাবি ও রোজার মতো নেয়ামতে ধন্য করায় আল্লাহর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা। ঙ. উদারতা ও সহমর্মিতার চর্চা করা।
ফিতরের নিসাব জাকাতের নিসাবের সমপরিমাণ। নিসাব মানে হলো কারো কাছে সাড়ে সাত ভরি সোনা বা সাড়ে ৫২ ভরি রুপা অথবা তার সমমূল্যের নগদ অর্থ কিংবা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অতিরিক্ত সম্পদ ঈদুল ফিতরের দিন সময় বিদ্যমান থাকলে তার ওপর ফিতর ওয়াজিব হবে। যাঁর ওপর ফিতর আদায় করা ওয়াজিব, তিনি নিজের পক্ষ থেকে যেমন আদায় করবেন, তেমনি নিজের অধীনদের পক্ষ থেকেও আদায় করবেন। তবে এতে জাকাতের মতো বর্ষ অতিক্রম হওয়া শর্ত নয়।
রাসুল (সা.)-এর যুগে মোট চারটি পণ্য দিয়ে ফিতরা আদায় করা হতো। খেজুর, কিশমিশ, যব ও পনির। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, ‘আমরা এক সা পরিমাণ খাদ্য অথবা এক সা পরিমাণ যব অথবা এক সা পরিমাণ খেজুর অথবা এক সা পরিমাণ পনির অথবা এক সা পরিমাণ কিশমিশ দিয়ে সদকাতুল ফিতর আদায় করতাম।’ (বুখারি, হাদিস: ১,৫০৬)
খাদ্যবস্তুর পরিবর্তে সেগুলোর কোনো একটিকে মাপকাঠি ধরে তার মূল্য আদায় করা হয়।
বর্তমান বাজারদর হিসাবে যেহেতু গমের দামই সবচেয়ে কম, তাই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রতিবছর আধা ‘সা’ গমকে মাপকাঠি ধরে ওই সময়ের বাজারদর হিসাবে তার মূল্য ফিতরার সর্বনিম্ন পরিমাণ ঘোষণা করা হয়।
উত্তম হলো, নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী বেশি মূল্যের খাদ্যবস্তুকে মাপকাঠি ধরে ফিতরা আদায় করা। কেননা সদকার মূল লক্ষ্যই হলো গরিবদের প্রয়োজন পূরণ ও তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ। এ ছাড়া আদায়কারীর সামর্থ্যকেও বিবেচনায় রাখা উচিত, যদিও শরিয়তে সর্বনিম্ন মূল্যে ফিতরা আদায় করার দরজা খোলা রাখা হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে যব, কিশমিশ, খেজুর ও পনিরের হিসাবে ফিতরার আলাদা মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কেউ চাইলে আটার হিসাবে ফিতরা না দিয়ে উল্লিখিত জিনিসগুলোর হিসাবেও ফিতরা দিতে পারবেন।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগেই সদকাতুল ফিতর আদায় করা উত্তম। তবে রমজান মাসেও তা আদায় করা যায়।
আরবি ‘সদকাতুল ফিতর’ অর্থ ‘ঈদুল ফিতরের সদকা’। ঈদুল ফিতরের দিন আদায় করা হয় বলে একে সদকাতুল ফিতর বলা হয়। একে জাকাতুল ফিতর বা ফিতরাও বলা হয়। সদকাতুল ফিতর বা ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। রাসুল (সা.) ছোট-বড় নারী-পুরুষ সব মুসলমানের জন্য তা আবশ্যক করেছেন।
পবিত্র রমজানের পুরো এক মাস রোজা এবং তৎসংশ্লিষ্ট ইবাদত ও বিধিনিষেধ পালনের পর শাওয়াল মাসের পয়লা তারিখে ঈদ উৎসব পালিত হয়। এ পালনের মধ্যে রয়েছে জামাতে ঈদের নামাজ আদায়, গরিব-দুঃখীদের মধ্যে ফিতরা বিতরণ এবং ভালো খাওয়াদাওয়ার আয়োজন। তবে ঈদুল ফিতর উৎসবের একটি তাৎপর্যময় অঙ্গ হলো ফিতরা বিতরণ। রোজার সময় সংযম সাধনায় কোনো ত্রুটিবিচ্যুতি ঘটে থাকলে তা সংশোধন এবং সমাজের সর্বস্তরের লোক যাতে উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পারে, সে জন্য গরিব-দুঃখীদের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট হারে সদকায়ে ফিতরা বিতরণ করতে হয়।
প্রত্যেক সমর্থ্য মুসলমানের জন্য ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। মাথাপিছু কত টাকা ফিতরা দিতে হবে, তা আগেই রাষ্ট্র কিংবা সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে দেয়। নিয়ম হলো, ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগেই এই ফিতরা পরিশোধ করতে হবে। তারপর ঈদগাহ কিংবা তার অভাবে বড় মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়।
ফিতরা কেন, কার ওপর ওয়াজিব
Why Fitra is obligatory on whom?
আরবি ‘সদকাতুল ফিতর’ অর্থ ‘ঈদুল ফিতরের সদকা’। ঈদুল ফিতরের দিন আদায় করা হয় বলে একে সদকাতুল ফিতর বলা হয়। একে জাকাতুল ফিতর বা ফিতরাও বলা হয়। সদকাতুল ফিতর বা ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। রাসুল (সা.) ছোট-বড় নারী-পুরুষ সব মুসলমানের জন্য তা আবশ্যক করেছেন।
পবিত্র রমজানের পুরো এক মাস রোজা এবং তৎসংশ্লিষ্ট ইবাদত ও বিধিনিষেধ পালনের পর শাওয়াল মাসের পয়লা তারিখে ঈদ উৎসব পালিত হয়। এ পালনের মধ্যে রয়েছে জামাতে ঈদের নামাজ আদায়, গরিব-দুঃখীদের মধ্যে ফিতরা বিতরণ এবং ভালো খাওয়াদাওয়ার আয়োজন। তবে ঈদুল ফিতর উৎসবের একটি তাৎপর্যময় অঙ্গ হলো ফিতরা বিতরণ। রোজার সময় সংযম সাধনায় কোনো ত্রুটিবিচ্যুতি ঘটে থাকলে তা সংশোধন এবং সমাজের সর্বস্তরের লোক যাতে উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পারে, সে জন্য গরিব-দুঃখীদের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট হারে সদকায়ে ফিতরা বিতরণ করতে হয়।
প্রত্যেক সমর্থ্য মুসলমানের জন্য ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। মাথাপিছু কত টাকা ফিতরা দিতে হবে, তা আগেই রাষ্ট্র কিংবা সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে দেয়। নিয়ম হলো, ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগেই এই ফিতরা পরিশোধ করতে হবে। তারপর ঈদগাহ কিংবা তার অভাবে বড় মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়।
ফিতরা  দিতে হয় কেন?
কেন ফিতরা দিতে হয়। ফিতরা দেওয়ার কারণ। 
youtube
যাকাতুল ফিতর বা ফিতরা,ফেতরা কি কেন
Zakatul Fitr or Fitra, what is Fitra?
youtube
fitra dewar niyom 
ফিতরা আদায়ের নিয়ম
https://www.youtube.com/watch?v=l4aNmNFDxJg
যাকাতুল ফিতর বা ফিতরা,ফেতরা কি কেন
Zakatul Fitr or Fitra, what is Fitra?
ফিতরা দিতে হয় কেন?
Why do you have to pay Fitra?
0 notes
allahisourrabb · 1 month
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ফিতরা কেন দিতে হয়?
Why do you have to pay Fitra?
ক. রোজাদারের রোজায় যেসব দুর্বলতা ও ভুল হয়, তা থেকে পবিত্র হওয়া। খ. দরিদ্রদের প্রতি সদ্ব্যবহার। গ. ঈদুল ফিতরের দিনে দরিদ্রদের ভিক্ষা করা থেকে বিরত রাখা। ঘ. তারাবি ও রোজার মতো নেয়ামতে ধন্য করায় আল্লাহর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা। ঙ. উদারতা ও সহমর্মিতার চর্চা করা।
ফিতরের নিসাব জাকাতের নিসাবের সমপরিমাণ। নিসাব মানে হলো কারো কাছে সাড়ে সাত ভরি সোনা বা সাড়ে ৫২ ভরি রুপা অথবা তার সমমূল্যের নগদ অর্থ কিংবা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অতিরিক্ত সম্পদ ঈদুল ফিতরের দিন সময় বিদ্যমান থাকলে তার ওপর ফিতর ওয়াজিব হবে। যাঁর ওপর ফিতর আদায় করা ওয়াজিব, তিনি নিজের পক্ষ থেকে যেমন আদায় করবেন, তেমনি নিজের অধীনদের পক্ষ থেকেও আদায় করবেন। তবে এতে জাকাতের মতো বর্ষ অতিক্রম হওয়া শর্ত নয়।
রাসুল (সা.)-এর যুগে মোট চারটি পণ্য দিয়ে ফিতরা আদায় করা হতো। খেজুর, কিশমিশ, যব ও পনির। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, ‘আমরা এক সা পরিমাণ খাদ্য অথবা এক সা পরিমাণ যব অথবা এক সা পরিমাণ খেজুর অথবা এক সা পরিমাণ পনির অথবা এক সা পরিমাণ কিশমিশ দিয়ে সদকাতুল ফিতর আদায় করতাম।’ (বুখারি, হাদিস: ১,৫০৬)
খাদ্যবস্তুর পরিবর্তে সেগুলোর কোনো একটিকে মাপকাঠি ধরে তার মূল্য আদায় করা হয়।
বর্তমান বাজারদর হিসাবে যেহেতু গমের দামই সবচেয়ে কম, তাই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রতিবছর আধা ‘সা’ গমকে মাপকাঠি ধরে ওই সময়ের বাজারদর হিসাবে তার মূল্য ফিতরার সর্বনিম্ন পরিমাণ ঘোষণা করা হয়।
উত্তম হলো, নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী বেশি মূল্���ের খাদ্যবস্তুকে মাপকাঠি ধরে ফিতরা আদায় করা। কেননা সদকার মূল লক্ষ্যই হলো গরিবদের প্রয়োজন পূরণ ও তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ। এ ছাড়া আদায়কারীর সামর্থ্যকেও বিবেচনায় রাখা উচিত, যদিও শরিয়তে সর্বনিম্ন মূল্যে ফিতরা আদায় করার দরজা খোলা রাখা হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে যব, কিশমিশ, খেজুর ও পনিরের হিসাবে ফিতরার আলাদা মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কেউ চাইলে আটার হিসাবে ফিতরা না দিয়ে উল্লিখিত জিনিসগুলোর হিসাবেও ফিতরা দিতে পারবেন।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগেই সদকাতুল ফিতর আদায় করা উত্তম। তবে রমজান মাসেও তা আদায় করা যায়।
আরবি ‘সদকাতুল ফিতর’ অর্থ ‘ঈদুল ফিতরের সদকা’। ঈদুল ফিতরের দিন আদায় করা হয় বলে একে সদকাতুল ফিতর বলা হয়। একে জাকাতুল ফিতর বা ফিতরাও বলা হয়। ��দকাতুল ফিতর বা ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। রাসুল (সা.) ছোট-বড় নারী-পুরুষ সব মুসলমানের জন্য তা আবশ্যক করেছেন।
পবিত্র রমজানের পুরো এক মাস রোজা এবং তৎসংশ্লিষ্ট ইবাদত ও বিধিনিষেধ পালনের পর শাওয়াল মাসের পয়লা তারিখে ঈদ উৎসব পালিত হয়। এ পালনের মধ্যে রয়েছে জামাতে ঈদের নামাজ আদায়, গরিব-দুঃখীদের মধ্যে ফিতরা বিতরণ এবং ভালো খাওয়াদাওয়ার আয়োজন। তবে ঈদুল ফিতর উৎসবের একটি তাৎপর্যময় অঙ্গ হলো ফিতরা বিতরণ। রোজার সময় সংযম সাধনায় কোনো ত্রুটিবিচ্যুতি ঘটে থাকলে তা সংশোধন এবং সমাজের সর্বস্তরের লোক যাতে উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পারে, সে জন্য গরিব-দুঃখীদের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট হারে সদকায়ে ফিতরা বিতরণ করতে হয়।
প্রত্যেক সমর্থ্য মুসলমানের জন্য ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। মাথাপিছু কত টাকা ফিতরা দিতে হবে, তা আগেই রাষ্ট্র কিংবা সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে দেয়। নিয়ম হলো, ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগেই এই ফিতরা পরিশোধ করতে হবে। তারপর ঈদগাহ কিংবা তার অভাবে বড় মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়।
ফিতরা কেন, কার ওপর ওয়াজিব
Why Fitra is obligatory on whom?
আরবি ‘সদকাতুল ফিতর’ অর্থ ‘ঈদুল ফিতরের সদকা’। ঈদুল ফিতরের দিন আদায় করা হয় বলে একে সদকাতুল ফিতর বলা হয়। একে জাকাতুল ফিতর বা ফিতরাও বলা হয়। সদকাতুল ফিতর বা ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। রাসুল (সা.) ছোট-বড় নারী-পুরুষ সব মুসলমানের জন্য তা আবশ্যক করেছেন।
পবিত্র রমজানের পুরো এক মাস রোজা এবং তৎসংশ্লিষ্ট ইবাদত ও বিধিনিষেধ পালনের পর শাওয়াল মাসের পয়লা তারিখে ঈদ উৎসব পালিত হয়। এ পালনের মধ্যে রয়েছে জামাতে ঈদের নামাজ আদায়, গরিব-দুঃখীদের মধ্যে ফিতরা বিতরণ এবং ভালো খাওয়াদাওয়ার আয়োজন। তবে ঈদুল ফিতর উৎসবের একটি তাৎপর্যময় অঙ্গ হলো ফিতরা বিতরণ। রোজার সময় সংযম সাধনায় কোনো ত্রুটিবিচ্যুতি ঘটে থাকলে তা সংশোধন এবং সমাজের সর্বস্তরের লোক যাতে উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পারে, সে জন্য গরিব-দুঃখীদের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট হারে সদকায়ে ফিতরা বিতরণ করতে হয়।
প্রত্যেক সমর্থ্য মুসলমানের জন্য ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। মাথাপিছু কত টাকা ফিতরা দিতে হবে, তা আগেই রাষ্ট্র কিংবা সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে দেয়। নিয়ম হলো, ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগেই এই ফিতরা পরিশোধ করতে হবে। তারপর ঈদগাহ কিংবা তার অভাবে বড় মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়।
ফিতরা  দিতে হয় কেন?
কেন ফিতরা দিতে হয়। ফিতরা দেওয়ার কারণ। 
youtube
যাকাতুল ফিতর বা ফিতরা,ফেতরা কি কেন
Zakatul Fitr or Fitra, what is Fitra?
youtube
fitra dewar niyom 
ফিতরা আদায়ের নিয়ম
https://www.youtube.com/watch?v=l4aNmNFDxJg
যাকাতুল ফিতর বা ফিতরা,ফেতরা কি কেন
Zakatul Fitr or Fitra, what is Fitra?
ফিতরা দিতে হয় কেন?
Why do you have to pay Fitra?
0 notes
mylordisallah · 1 month
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ফিতরা কেন দিতে হয়?
Why do you have to pay Fitra?
ক. রোজাদারের রোজায় যেসব দুর্বলতা ও ভুল হয়, তা থেকে পবিত্র হওয়া। খ. দরিদ্রদের প্রতি সদ্ব্যবহার। গ. ঈদুল ফিতরের দিনে দরিদ্রদের ভিক্ষা করা থেকে বিরত রাখা। ঘ. তারাবি ও রোজার মতো নেয়ামতে ধন্য করায় আল্লাহর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা। ঙ. উদারতা ও সহমর্মিতার চর্চা করা।
ফিতরের নিসাব জাকাতের নিসাবের সমপরিমাণ। নিসাব মানে হলো কারো কাছে সাড়ে সাত ভরি সোনা বা সাড়ে ৫২ ভরি রুপা অথবা তার সমমূল্যের নগদ অর্থ কিংবা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অতিরিক্ত সম্পদ ঈদুল ফিতরের দিন সময় বিদ্যমান থাকলে তার ওপর ফিতর ওয়াজিব হবে। যাঁর ওপর ফিতর আদায় করা ওয়াজিব, তিনি নিজের পক্ষ থেকে যেমন আদায় করবেন, তেমনি নিজের অধীনদের পক্ষ থেকেও আদায় করবেন। তবে এতে জাকাতের মতো বর্ষ অতিক্রম হওয়া শর্ত নয়।
রাসুল (সা.)-এর যুগে মোট চারটি পণ্য দিয়ে ফিতরা আদায় করা হতো। খেজুর, কিশমিশ, যব ও পনির। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, ‘আমরা এক সা পরিমাণ খাদ্য অথবা এক সা পরিমাণ যব অথবা এক সা পরিমাণ ��েজুর অথবা এক সা পরিমাণ পনির অথবা এক সা পরিমাণ কিশমিশ দিয়ে সদকাতুল ফিতর আদায় করতাম।’ (বুখারি, হাদিস: ১,৫০৬)
খাদ্যবস্তুর পরিবর্তে সেগুলোর কোনো একটিকে মাপকাঠি ধরে তার মূল্য আদায় করা হয়।
বর্তমান বাজারদর হিসাবে যেহেতু গমের দামই সবচেয়ে কম, তাই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রতিবছর আধা ‘সা’ গমকে মাপকাঠি ধরে ওই সময়ের বাজারদর হিসাবে তার মূল্য ফিতরার সর্বনিম্ন পরিমাণ ঘোষণা করা হয়।
উত্তম হলো, নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী বেশি মূল্যের খাদ্যবস্তুকে মাপকাঠি ধরে ফিতরা আদায় করা। কেননা সদকার মূল লক্ষ্যই হলো গরিবদের প্রয়োজন পূরণ ও তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ। এ ছাড়া আদায়কারীর সামর্থ্যকেও বিবেচনায় রাখা উচিত, যদিও শরিয়তে সর্বনিম্ন মূল্যে ফিতরা আদায় করার দরজা খোলা রাখা হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে যব, কিশমিশ, খেজুর ও পনিরের হিসাবে ফিতরার আলাদা মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কেউ চাইলে আটার হিসাবে ফিতরা না দিয়ে উল্লিখিত জিনিসগুলোর হিসাবেও ফিতরা দিতে পারবেন।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগেই সদকাতুল ফিতর আদায় করা উত্তম। তবে রমজান মাসেও তা আদায় করা যায়।
আরবি ‘সদকাতুল ফিতর’ অর্থ ‘ঈদুল ফিতরের সদকা’। ঈদুল ফিতরের দিন আদায় করা হয় বলে একে সদকাতুল ফিতর বলা হয়। একে জাকাতুল ফিতর বা ফিতরাও বলা হয়। সদকাতুল ফিতর বা ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। রাসুল (সা.) ছোট-বড় নারী-পুরুষ সব মুসলমানের জন্য তা আবশ্যক করেছেন।
পবিত্র রমজানের পুরো এক মাস রোজা এবং তৎসংশ্লিষ্ট ইবাদত ও বিধিনিষেধ পালনের পর শাওয়াল মাসের পয়লা তারিখে ঈদ উৎসব পালিত হয়। এ পালনের মধ্যে রয়েছে জামাতে ঈদের নামাজ আদায়, গরিব-দুঃখীদের মধ্যে ফিতরা বিতরণ এবং ভালো খাওয়াদাওয়ার আয়োজন। তবে ঈদুল ফিতর উৎসবের একটি তাৎপর্যময় অঙ্গ হলো ফিতরা বিতরণ। রোজার সময় সংযম সাধনায় কোনো ত্রুটিবিচ্যুতি ঘটে থাকলে তা সংশোধন এবং সমাজের সর্বস্তরের লোক যাতে উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পারে, সে জন্য গরিব-দুঃখীদের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট হারে সদকায়ে ফিতরা বিতরণ করতে হয়।
প্রত্যেক সমর্থ্য মুসলমানের জন্য ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। মাথাপিছু কত টাকা ফিতরা দিতে হবে, তা আগেই রাষ্ট্র কিংবা সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে দেয়। নিয়ম হলো, ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগেই এই ফিতরা পরিশোধ করতে হবে। তারপর ঈদগাহ কিংবা তার অভাবে বড় মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়।
ফিতরা কেন, কার ওপর ওয়াজিব
Why Fitra is obligatory on whom?
আরবি ‘সদকাতুল ফিতর’ অর্থ ‘ঈদুল ফিতরের সদকা’। ঈদুল ফিতরের দিন আদায় করা হয় বলে একে সদকাতুল ফিতর বলা হয়। একে জাকাতুল ফিতর বা ফিতরাও বলা হয়। সদকাতুল ফিতর বা ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। রাসুল (সা.) ছোট-বড় নারী-পুরুষ সব মুসলমানের জন্য তা আবশ্যক করেছেন।
পবিত্র রমজানে��� পুরো এক মাস রোজা এবং তৎসংশ্লিষ্ট ইবাদত ও বিধিনিষেধ পালনের পর শাওয়াল মাসের পয়লা তারিখে ঈদ উৎসব পালিত হয়। এ পালনের মধ্যে রয়েছে জামাতে ঈদের নামাজ আদায়, গরিব-দুঃখীদের মধ্যে ফিতরা বিতরণ এবং ভালো খাওয়াদাওয়ার আয়োজন। তবে ঈদুল ফিতর উৎসবের একটি তাৎপর্যময় অঙ্গ হলো ফিতরা বিতরণ। রোজার সময় সংযম সাধনায় কোনো ত্রুটিবিচ্যুতি ঘটে থাকলে তা সংশোধন এবং সমাজের সর্বস্তরের লোক যাতে উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পারে, সে জন্য গরিব-দুঃখীদের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট হারে সদকায়ে ফিতরা বিতরণ করতে হয়।
প্রত্যেক সমর্থ্য মুসলমানের জন্য ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। মাথাপিছু কত টাকা ফিতরা দিতে হবে, তা আগেই রাষ্ট্র কিংবা সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে দেয়। নিয়ম হলো, ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগেই এই ফিতরা পরিশোধ করতে হবে। তারপর ঈদগাহ কিংবা তার অভাবে বড় মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়।
ফিতরা  দিতে হয় কেন?
কেন ফিতরা দিতে হয়। ফিতরা দেওয়ার কারণ। 
youtube
যাকাতুল ফিতর বা ফিতরা,ফেতরা কি কেন
Zakatul Fitr or Fitra, what is Fitra?
youtube
fitra dewar niyom 
ফিতরা আদায়ের নিয়ম
https://www.youtube.com/watch?v=l4aNmNFDxJg
যাকাতুল ফিতর বা ফিতরা,ফেতরা কি কেন
Zakatul Fitr or Fitra, what is Fitra?
ফিতরা দিতে হয় কেন?
Why do you have to pay Fitra?
0 notes
mylordisallah · 1 month
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
রমজানের প্রভাব মুমিনের জীবনজুড়ে থাকে
The effect of Ramadan lasts throughout the life of a believer
রমজানের প্রভাব মুমিনের জীবনজুড়ে থাকে
‘শবে কদর’ রমজানের অনন্য উপহার। এ মাসে রয়েছে শবে কদর বা এমন একটি রাত, যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। যা লাইলাতুল কদর বা শবে কদর নামে পরিচিত। হাজার মাস মানে সোয়া তিরাশি বছর। অর্থাৎ একটি মানবজীবনের ব্যাপ্তিকালের সমান। সুতরাং রমজানের সুফল জীবনব্যাপী।
‘ইমান’ হলো ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের প্রথম স্তম্ভ। ইমান বা বিশ্বাস ইসলামের প্রাণশক্তি। ইমান মানবজীবনে মূল চালিকা শক্তি। রমজানের সঙ্গে ইমানের সুদৃঢ় যোগসূত্র বিদ্যমান।
ইমানের ভিত্তি হলো ওহি। ওহি তথা আসমানি কিতাবগুলো অবতীর্ণ হয়েছে রমজান মাসে। কোরআন মাজিদও রমজান মাসে শবে কদরে অবতীর্ণ হয়েছে।
ইমান যেমন মানুষকে কুফর ও শিরক থেকে মুক্ত করে, তেমনি রমজান মানুষকে পাপ-পঙ্কিলতা থেকে পবিত্র করে।
‘সলাত’ বা নামাজ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের দ্বিতীয় স্তম্ভ—ইমানের পরেই হলো নামাজ। রমজান মাস হলো নামাজের মাস। যেমন তারাবিহ বা প্রশান্তির বিশ্রামের নামাজ ও কিয়ামুল্লাইল বা রাত জাগরণের নামাজের পাশাপাশি রমজানে সাহ্‌রির বদৌলতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া সহজ হয়; এশার ��ামাজ ও ফজরের নামাজ জামাতে পড়ার সুযোগ বৃদ্ধি হয়, যাতে সম্পূর্ণ রাত্রি জাগরণের সওয়াব পাওয়া যায়।
এই মাসে নফল নামাজ পড়ার সুযোগও বেশি পাওয়া যায়।
‘জাকাত’ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের তৃতীয় স্তম্ভ। সাহাবায়ে কিরাম রমজানেই জাকাত প্রদান করতেন। চান্দ্রবর্ষের হিসাব ও তারিখ অনুযায়ী সঠিকভাবে জাকাত দেওয়া রমজান মাসে সহজ হয়। ���তে গরিবদেরও সুবিধা হয়।
‘হজ’ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের চতুর্থ স্তম্ভ। রমজানে ওমরাহ পালন করলে নবীজি (সা.)–এর সঙ্গে হজ করার সওয়াব পাওয়া যায়।
‘সওম’ বা রোজা হলো ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের পঞ্চম স্তম্ভ। সিয়াম বা রোজা হলো রমজানের সেরা অনুষঙ্গ। আগুন যেমন সোনাকে জ্বালিয়ে খাদমুক্ত করে দেয়, রোজা তেমন ইমানদারের ষড়্‌রিপুর কামনা–বাসনাকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে রোজাদারকে খাঁটি বান্দায় পরিণত করে। তাই মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিন রোজার জন্য রমজান মাসকেই নির্ধারণ করেছেন।
‘শবে কদর’ রমজানের অনন্য উপহার। এ মাসে রয়েছে শবে কদর বা এমন একটি রাত, যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। যা লাইলাতুল কদর বা শবে কদর নামে পরিচিত। হাজার মাস মানে সোয়া তিরাশি বছর। অর্থাৎ একটি মানবজীবনের ব্যাপ্তিকালের সমান। সুতরাং রমজানের সুফল জীবনব্যাপী।
রোজার ফিদইয়া’ রমজানের একটি শ্রেষ্ঠ মাহাত্ম্য। রোজা একটি শারীরিক ও মানসিক ইবাদত। কিন্তু অক্ষম ও দুর্বল ব্যক্তির জন্য এর কাজার পাশাপাশি অপারগতায় ফিদইয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে; যা আর্থিক ইবাদত। এতে রোজার পরিধির ব্যাপকতা বোঝা যায়।
রোজা শারীরিক ইবাদত হওয়া সত্ত্বেও দুর্বল ব্যক্তি যদি রোজা ভঙ্গ করেন; তার জন্য আল্লাহ তাআলা কাফফারা বিধান দিয়েছেন। যার মাধ্যমগুলো হলো দাসমুক্ত করা বা ৬০ জন গরিবকে দুই বেলা তৃপ্তিসহকারে খাওয়ানো অথবা একাধারে ৬০টি রোজা রাখা। যিনি ৩০ দিবসের মধ্যেই রোজা ভাঙেন, তিনি ৬০ দিবস কীভাবে তা পালন করবেন? মানে আবারও ভাঙলে আবারও ভাঙার জন্য দাস মুক্তি বা ৬০ জন মিসকিন খাওয়ানো। মানে হলো দানখয়রাত–সদাকাত তথা গরিবের সেবা ও সমাজের কল্যাণই রমজানের মুখ্য উদ্দেশ্য।
‘সদকাতুল ফিতর’ রোজার সেরা সৌন্দর্য। রোজা শেষে ঈদুল ফিতরের দিন সকালবেলা ঈদের নামাজে যাওয়ার আগে সদকাতুল ফিতর আদায় করতে হয়। দাতা ও গ্রহীতার সুবিধার্থে রমজানেও প্রদান করা যায়। এই ঈদের সঙ্গে ফিতরার সম্পৃক্ততার কারণে এর নাম ঈদুল ফিতর। সদকাতুল ফিতর বা ‘ফিতরা’ হলো ঈদের আনন্দকে সর্বজনীন করার উপায়। ধনী–গরিব সবাই যেন ঈদের আনন্দে শামিল হতে পারেন, তাই এ ব্যবস্থা। মানুষ সামাজিক জীব, মানুষ অন্যের আনন্দ ও বেদনায় প্রভাবিত হয়। তাই এ আনন্দের দিনে পাড়া–প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজন যদি আনন্দে শামিল হতে না পারে, তবে আনন্দ পূর্ণতা পাবে না। তাই নিজের আনন্দ সবার মধ্যে বিলিয়ে দিতে ও ছড়িয়ে দিতে এ ব্যবস্থা। ফিতরা বা সদকাতুল ফিতর হলো রমজানে রোজা পালনের শুকরিয়া স্বরূপ। এটি রোজার অপূর্ণতাকে পূর্ণতা দেয়।
‘ইতিকাফ’ রমজানের বিশেষ তুহফা। আল্লাহর সান্নিধ্য মানবজীবনে আরাধ্য। এর অন্যতম মাধ্যম হলো ইতিকাফ।
‘শবে কদর’ রমজানের অনন্য উপহার। এ মাসে রয়েছে শবে কদর বা এমন একটি রাত, যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। যা লাইলাতুল কদর বা শবে কদর নামে পরিচিত। হাজার মাস মানে সোয়া তিরাশি বছর। অর্থাৎ একটি মানবজীবনের ব্যাপ্তিকালের সমান। সুতরাং রমজানের সুফল জীবনব্যাপী।
মুসলমানের জীবনে রমজানের প্রভাব 
youtube
রমজান: রোজা যখন রাখেন, তখন আপনার শরীরে কী ঘটে?
youtube
কিশোর ও যুবকদের নৈতিক জীবন গঠনে রমজানের ভূমিকা
youtube
রমজানের প্রভাব মুমিনের জীবনজুড়ে থাকে
The effect of Ramadan lasts throughout the life of a believer
0 notes
ilyforallahswt · 2 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ফিতরা যেভাবে ঠিক করবেন, যাঁদের দেবেন
How to fix Fitra, to whom to give
সদকাতুল ফিতর
ফিতর বা ফাতুর বলতে সকালের খাদ্যদ্রব্য বোঝানো হয় যা দ্বারা রোজাদারগণ রোজা ভঙ্গ করেন। যাকাতুল ফিতর বলা হয় ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গরীব দুঃস্থদের মাঝে রোজাদা���দের বিতরণ করা দানকে। রোজা বা সিয়াম পালনের পর সন্ধ্যায় ইফতার বা সকালের খাদ্য গ্রহণ করা হয়। সেজন্য রমজান মাস শেষে এই দানকে যাকাতুল ফিতর বা সকাল‌ের আহারের যাকাত বলা হয়।
নির্ধারিত খাদ্যদ্রব্য, পণ্যসামগ্রী বা তার মূল্যে টাকায়ও ফিতরা আদায় করা যায় এবং অন্য কোনো বস্তু, যেমন পোশাক-আশাক, ঈদের বাজার ইত্যাদি কিনেও দেওয়া যায়। পিতা-মাতা ও ঊর্ধ্বতন এবং ছেলে-মেয়ে ও অধস্তন এবং স্ত্রীকে ওয়াজিব সদাকা, ফিতরা ও জাকাত প্রদান করা যায় না। একজনের ফিতরা অন্যজন প্রদান করলেও আদায় হয়ে যাবে। সদকাতুল ফিতর গ্রহীতার সুবিধার জন্য রমজানেও প্রদান করা যাবে।
সমাজের দুস্থ, অসহায়, দরিদ্ররাও যেন ঈদের আনন্দে শামিল হতে পারেন, সে জন্য সদকাতুল ফিতর বা ফিতরার বিধান। ফিতরা ঈদের নামাজের পূর্বে প্রদান করতে হয়। হজরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.)–এর জমানায় আমরা সদকাতুল ফিতর প্রদান করতাম এক সা (তিন কেজি তিন শ গ্রাম প্রায়) পরিমাণ খাদ্যদ্রব্য।’ তিনি বলেন, ‘তখন আমাদের খাদ্য ছিল যব, কিশমিশ, পনির ও খেজুর।’ (বুখারি, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ২০৪)। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সদকাতুল ফিতর প্রদান করতাম এক সা খাদ্যদ্রব্য, যেমন এক সা যব, এক সা খেজুর, এক সা পনির, এক সা কিশমিশ।’ (বুখারি, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ২০৫)।
ঈদের দিন সকাল বেলায় যিনি নিসাব পরিমাণ সম্পদের (সাড়ে সাত ভরি সোনা বা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা বা সমমূল্যের নগদ অর্থ ও ব্যবসাপণ্যের) মালিক থাকবেন, তাঁর নিজের ও পরিবারের ছোট–বড় সবার পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় করা তার প্রতি ওয়াজিব। ফিতরা দ্বারা রোজার ত্রুটি-বিচ্যুতি মাফ হয়ে যায়।
সদকাতুল ফিতর একটি ওয়াজিব ও ফজিলতপূর্ণ আমল। তাই যাঁরা নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক নন, তাঁদের ফিতরা প্রদান করা সুন্নত ও নফল ইবাদত। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন আমাদের মধ্যে ছিলেন, তখন আমরা ছোট–বড়, মুক্ত ক্রীতদাস সবার পক্ষ থেকে সদকাতুল ফিতর প্রদান করতাম এক সা খাদ্য, অর্থাৎ এক সা পনির বা এক সা যব বা এক সা খেজুর অথবা এক সা কিশমিশ। আমরা এভাবেই প্রদান করছিলাম। একবার হজরত মুআবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান (রা.) হজ বা ওমরা উপলক্ষে মদিনায় এলেন, তিনি জনগণের উদ্দেশ্যে মিম্বারে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিলেন। তখন তিনি আলোচনা করলেন সে বিষয়, যে বিষয়ে মানুষ প্রশ্ন করেছে। তিনি বললেন, আমি দেখছি শামের দুই মুদ (নিসফ সা বা পৌনে দুই কেজি) আটা সমান হয় (মূল্যমান হিসেবে) এক সা (তিন কেজি তিন শ গ্রাম) খেজুরের। অতঃপর মানুষ (সাহাবায়ে কিরাম ও তাবিয়িগণ) এই মত গ্রহণ করলেন।’ (মুসলিম, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ৩১৭-৩১৮)।
ফিতরা আটা বা গমও এক সা (তিন কেজি তিন শ গ্রাম) দেওয়া উত্তম। হজরত হাসান বসরী (র.) বর্ণনা করেন, হজরত আলী (রা.) বললেন: ‘আল্লাহ যখন তোমাদের প্রাচুর্য দিয়েছেন, তোমরাও উদার হও, গমও এক সা দাও।’ (নাসায়ী, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ২৬৮-২৭০)। চালের মধ্যে উক্ত তিনটি বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান এবং সৌদি আরবসহ সব আরব দেশ এবং প্রায় সব মুসলিম দেশ বর্তমানে চালের হিসাব গ্রহণ করেছে। মুজতাহিদ ফকিহরা বলেন, যেখানে যা প্রধান খাদ্য, তা দ্বারা ফিতরা প্রদান করা শ্রেয়।
ইমাম আবু হানিফা নুমান ইবনে সাবিত (র.)–এর মতে, অধিক মূল্যের দ্রব্য দ্বারা ফিতরা প্রদান করা উত্তম; অর্থাৎ যা দ্বারা প্রদান করলে গরিবদের বেশি উপকার হয়, সেটাই উত্তম।
ফিতরা তাঁদের দেওয়া যায়, জাকাত যে আটটি খাতে প্রদান করা যায়। কোরআন করিমের বর্ণনা, ‘মূলত সদাকাত হলো ফকির, মিসকিন, সদাকাকর্মী, অনুরক্ত ব্যক্তি ও নওমুসলিম, ক্রীতদাস, ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি, আল্লাহর পথে (ইসলাম সুরক্ষার জন্য), বিপদগ্রস্ত বিদেশি মুসাফির ও পথ সন্তানদের জন্য। এটি আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। আর আল্লাহ সর্বজ্ঞানী ও পরম কৌশলী।’ (সুরা-৯ তাওবাহ, আয়াত: ৬০)।
নির্ধারিত খাদ্যদ্রব্য, পণ্যসামগ্রী বা তার মূল্যে টাকায়ও ফিতরা আদায় করা যায় এবং অন্য কোনো বস্তু, যেমন পোশাক-আশাক, ঈদের বাজার ইত্যাদি কিনেও দেওয়া যায়। পিতা-মাতা ও ঊর্ধ্বতন এবং ছেলে-মেয়ে ও অধস্তন এবং স্ত্রীকে ওয়াজিব সদাকা, ফিতরা ও জাকাত প্রদান করা যায় না। একজনের ফিতরা অন্যজন প্রদান করলেও আদায় হয়ে যাবে। সদকাতুল ফিতর গ্রহীতার সুবিধার জন্য রমজানেও প্রদান করা যাবে।
নিজের মতো করে হিসাব করে ফিতরা প্রদান করুন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমার হিসাব নেওয়ার আগে তুমি নিজের হিসাব নিজে করো, মিজানে তোমার আমল ওজন করার আগে সদকাতুল ফিতর কার উপর ওয়াজিবতোমার নিজের আমল নিজেই ওজন করো।’ (তিরমিজি)।
সদকাতুল ফিতর কার উপর ওয়াজিব
ফিতরা আদায়ের সঠিক সময় কখন?
youtube
ফিতরা কাদের উপর দেওয়া ফরজ এবং কি পরিমান সম্পদ থাকতে হবে যিনি ফিতরা দিবেন
https://www.youtube.com/watch?v=UKLsPyzAyu8
 
কার জন্য ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব
youtube
ফিতরা যেভাবে ঠিক করবেন, যাঁদের দেবেন
How to fix Fitra, to whom to give
0 notes
myreligionislam · 2 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ফিতরা যেভাবে ঠিক করবেন, যাঁদের দেবেন
How to fix Fitra, to whom to give
সদকাতুল ফিতর
ফিতর বা ফাতুর বলতে সকালের খাদ্যদ্রব্য বোঝানো হয় যা দ্বারা রোজাদারগণ রোজা ভঙ্গ করেন। যাকাতুল ফিতর বলা হয় ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গরীব দুঃস্থদের মাঝে রোজাদারদের বিতরণ করা দানকে। রোজা বা সিয়াম পালনের পর সন্ধ্যায় ইফতার বা সকালের খাদ্য গ্রহণ করা হয়। সেজন্য রমজান মাস শেষে ��ই দানকে যাকাতুল ফিতর বা সকাল‌ের আহারের যাকাত বলা হয়।
নির্ধারিত খাদ্যদ্রব্য, পণ্যসামগ্রী বা তার মূল্যে টাকায়ও ফিতরা আদায় করা যায় এবং অন্য কোনো বস্তু, যেমন পোশাক-আশাক, ঈদের বাজার ইত্যাদি কিনেও দেওয়া যায়। পিতা-মাতা ও ঊর্ধ্বতন এবং ছেলে-মেয়ে ও অধস্তন এবং স্ত্রীকে ওয়াজিব সদাকা, ফিতরা ও জাকাত প্রদান করা যায় না। একজনের ফিতরা অন্যজন প্রদান করলেও আদায় হয়ে যাবে। সদকাতুল ফিতর গ্রহীতার সুবিধার জন্য রমজানেও প্রদান করা যাবে।
সমাজের দুস্থ, অসহায়, দরিদ্ররাও যেন ঈদের আনন্দে শামিল হতে পারেন, সে জন্য সদকাতুল ফিতর বা ফিতরার বিধান। ফিতরা ঈদের নামাজের পূর্বে প্রদান করতে হয়। হজরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.)–এর জমানায় আমরা সদকাতুল ফিতর প্রদান করতাম এক সা (তিন কেজি তিন শ গ্রাম প্রায়) পরিমাণ খাদ্যদ্রব্য।’ তিনি বলেন, ‘তখন আমাদের খাদ্য ছিল যব, কিশমিশ, পনির ও খেজুর।’ (বুখারি, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ২০৪)। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সদকাতুল ফিতর প্রদান করতাম এক সা খাদ্যদ্রব্য, যেমন এক সা যব, এক সা খেজুর, এক সা পনির, এক সা কিশমিশ।’ (বুখারি, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ২০৫)।
ঈদের দিন সকাল বেলায় যিনি নিসাব পরিমাণ সম্পদের (সাড়ে সাত ভরি সোনা বা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা বা সমমূল্যের নগদ অর্থ ও ব্যবসাপণ্যের) মালিক থাকবেন, তাঁর নিজের ও পরিবারের ছোট–বড় সবার পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় করা তার প্রতি ওয়াজিব। ফিতরা দ্বারা রোজার ত্রুটি-বিচ্যুতি মাফ হয়ে যায়।
সদকাতুল ফিতর একটি ওয়াজিব ও ফজিলতপূর্ণ আমল। তাই যাঁরা নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক নন, তাঁদের ফিতরা প্রদান করা সুন্নত ও নফল ইবাদত। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন আমাদের মধ্যে ছিলেন, তখন আমরা ছোট–বড়, মুক্ত ক্রীতদাস সবার পক্ষ থেকে সদকাতুল ফিতর প্রদান করতাম এক সা খাদ্য, অর্থাৎ এক সা পনির বা এক সা যব বা এক সা খেজুর অথবা এক সা কিশমিশ। আমরা এভাবেই প্রদান করছিলাম। একবার হজরত মুআবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান (রা.) হজ বা ওমরা উপলক্ষে মদিনায় এলেন, তিনি জনগণের উদ্দ��শ্যে মিম্বারে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিলেন। তখন তিনি আলোচনা করলেন সে বিষয়, যে বিষয়ে মানুষ প্রশ্ন করেছে। তিনি বললেন, আমি দেখছি শামের দুই মুদ (নিসফ সা বা পৌনে দুই কেজি) আটা সমান হয় (মূল্যমান হিসেবে) এক সা (তিন কেজি তিন শ গ্রাম) খেজুরের। অতঃপর মানুষ (সাহাবায়ে কিরাম ও তাবিয়িগণ) এই মত গ্রহণ করলেন।’ (মুসলিম, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ৩১৭-৩১৮)।
ফিতরা আটা বা গমও এক সা (তিন কেজি তিন শ গ্রাম) দেওয়া উত্তম। হজরত হাসান বসরী (র.) বর্ণনা করেন, হজরত আলী (রা.) বললেন: ‘আল্লাহ যখন তোমাদের প্রাচুর্য দিয়েছেন, তোমরাও উদার হও, গমও এক সা দাও।’ (নাসায়ী, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ২৬৮-২৭০)। চালের মধ্যে উক্ত তিনটি বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান এবং সৌদি আরবসহ সব আরব দেশ এবং প্রায় সব মুসলিম দেশ বর্তমানে চালের হিসাব গ্রহণ করেছে। মুজতাহিদ ফকিহরা বলেন, যেখানে যা প্রধান খাদ্য, তা দ্বারা ফিতরা প্রদান করা শ্রেয়।
ইমাম আবু হানিফা নুমান ইবনে সাবিত (র.)–এর মতে, অধিক মূল্যের দ্রব্য দ্বারা ফিতরা প্রদান করা উত্তম; অর্থাৎ যা দ্বারা প্রদান করলে গরিবদের বেশি উপকার হয়, সেটাই উত্তম।
ফিতরা তাঁদের দেওয়া যায়, জাকাত যে আটটি খাতে প্রদান করা যায়। কোরআন করিমের বর্ণনা, ‘মূলত সদাকাত হলো ফকির, মিসকিন, সদাকাকর্মী, অনুরক্ত ব্যক্তি ও নওমুসলিম, ক্রীতদাস, ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি, আল্লাহর পথে (ইসলাম সুরক্ষার জন্য), বিপদগ্রস্ত বিদেশি মুসাফির ও পথ সন্তানদের জন্য। এটি আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। আর আল্লাহ সর্বজ্ঞানী ও পরম কৌশলী।’ (সুরা-৯ তাওবাহ, আয়াত: ৬০)।
নির্ধারিত খাদ্যদ্রব্য, পণ্যসামগ্রী বা তার মূল্যে টাকায়ও ফিতরা আদায় করা যায় এবং অন্য কোনো বস্তু, যেমন পোশাক-আশাক, ঈদের বাজার ইত্যাদি কিনেও দেওয়া যায়। পিতা-মাতা ও ঊর্ধ্বতন এবং ছেলে-মেয়ে ও অধস্তন এবং স্ত্রীকে ওয়াজিব সদাকা, ফিতরা ও জাকাত প্রদান করা যায় না। একজনের ফিতরা অন্যজন প্রদান করলেও আদায় হয়ে যাবে। সদকাতুল ফিতর গ্রহীতার সুবিধার জন্য রমজানেও প্রদান করা যাবে।
নিজের মতো করে হিসাব করে ফিতরা প্রদান করুন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমার হিসাব নেওয়ার আগে তুমি নিজের হিসাব নিজে করো, মিজানে তোমার আমল ওজন করার আগে সদকাতুল ফিতর কার উপর ওয়াজিবতোমার নিজের আমল নিজেই ওজন করো।’ (তিরমিজি)।
সদকাতুল ফিতর কার উপর ওয়াজিব
ফিতরা আদায়ের সঠিক সময় কখন?
youtube
ফিতরা কাদের উপর দেওয়া ফরজ এবং কি পরিমান সম্পদ থাকতে হবে যিনি ফিতরা দিবেন
https://www.youtube.com/watch?v=UKLsPyzAyu8
 
কার জন্য ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব
youtube
ফিতরা যেভাবে ঠিক করবেন, যাঁদের দেবেন
How to fix Fitra, to whom to give
0 notes
allahisourrabb · 2 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ফিতরা যেভাবে ঠিক করবেন, যাঁদের দেবেন
How to fix Fitra, to whom to give
সদকাতুল ফিতর
ফিতর বা ফাতুর বলতে সকালের খাদ্যদ্রব্য বোঝানো হয় যা দ্বারা রোজাদারগণ রোজা ভঙ্গ করেন। যাকাতুল ফিতর বলা হয় ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গরীব দুঃস্থদের মাঝে রোজাদারদের বিতরণ করা দানকে। রোজা বা সিয়াম পালনের পর সন্ধ্যায় ইফতার বা সকালের খাদ্য গ্রহণ করা হয়। সেজন্য রমজান মাস শেষে এই দানকে যাকাতুল ফিতর বা সকাল‌ের আহারের যাকাত বলা হয়।
নির্ধারিত খাদ্যদ্রব্য, পণ্যসামগ্রী বা তার মূল্যে টাকায়ও ফিতরা আদায় করা যায় এবং অন্য কোনো বস্তু, যেমন পোশাক-আশাক, ঈদের বাজার ইত্যাদি কিনেও দেওয়া যায়। পিতা-মাতা ও ঊর্ধ্বতন এবং ছেলে-মেয়ে ও অধস্তন এবং স্ত্রীকে ওয়াজিব সদাকা, ফিতরা ও জাকাত প্রদান করা যায় না। একজনের ফিতরা অন্যজন প্রদান করলেও আদায় হয়ে যাবে। সদকাতুল ফিতর গ্রহীতার সুবিধার জন্য রমজানেও প্রদান করা যাবে।
সমাজের দুস্থ, অসহায়, দরিদ্ররাও যেন ঈদের আনন্দে শামিল হতে পারেন, সে জন্য সদকাতুল ফিতর বা ফিতরার বিধান। ফিতরা ঈদের নামাজের পূর্বে প্রদান করতে হয়। হজরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.)–এর জমানায় আমরা সদকাতুল ফিতর প্রদান করতাম এক সা (তিন কেজি তিন শ গ্রাম প্রায়) পরিমাণ খাদ্যদ্রব্য।’ তিনি বলেন, ‘তখন আমাদের খাদ্য ছিল যব, কিশমিশ, পনির ও খেজুর।’ (বুখারি, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ২০৪)। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সদকাতুল ফিতর প্রদান করতাম এক সা খাদ্যদ্রব্য, যেমন এক সা যব, এক সা খেজুর, এক সা পনির, এক সা কিশমিশ।’ (বুখারি, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ২০৫)।
ঈদের দিন সকাল বেলায় যিনি নিসাব পরিমাণ সম্পদের (সাড়ে সাত ভরি সোনা বা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা বা সমমূল্যের নগদ অর্থ ও ব্যবসাপণ্যের) মালিক থাকবেন, তাঁর নিজের ও পরিবারের ছোট–বড় সবার পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় করা তার প্রতি ওয়াজিব। ফিতরা দ্বারা রোজার ত্রুটি-বিচ্যুতি মাফ হয়ে যায়।
সদকাতুল ফিতর একটি ওয়াজিব ও ফজিলতপূর্ণ আমল। তাই যাঁরা নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক নন, তাঁদের ফিতরা প্রদান করা সুন্নত ও নফল ইবাদত। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন আমাদের মধ্যে ছিলেন, তখন আমরা ছোট–বড়, মুক্ত ক্রীতদাস সবার পক্ষ থেকে সদকাতুল ফিতর প্রদান করতাম এক সা খাদ্য, অর্থাৎ এক সা পনির বা এক সা যব বা এক সা খেজুর অথবা এক সা কিশমিশ। আমরা এভাবেই প্রদান করছিলাম। একবার হজরত মুআবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান (রা.) হজ বা ওমরা উপলক্ষে মদিনায় এলেন, তিনি জনগণের উদ্দেশ্যে মিম্বারে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিলেন। তখন তিনি আলোচনা করলেন সে বিষয়, যে বিষয়ে মানুষ প্রশ্ন করেছে। তিনি বললেন, আমি দেখছি শামের দুই মুদ (নিসফ সা বা পৌনে দুই কেজি) আটা সমান হয় (মূল্যমান হিসেবে) এক সা (তিন কেজি তিন শ গ্রাম) খেজুরের। অতঃপর মানুষ (সাহাবায়ে কিরাম ও তাবিয়িগণ) এই মত গ্রহণ করলেন।’ (মুসলিম, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ৩১৭-৩১৮)।
ফিতরা আটা বা গমও এক সা (তিন কেজি তিন শ গ্রাম) দেওয়া উত্তম। হজরত হাসান বসরী (র.) বর্ণনা করেন, হজরত আলী (রা.) বললেন: ‘আল্লাহ যখন তোমাদের প্রাচুর্য দিয়েছেন, তোমরাও উদার হও, গমও এক সা দাও।’ (নাসায়ী, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ২৬৮-২৭০)। চালের মধ্যে উক্ত তিনটি বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান এবং সৌদি আরবসহ সব আরব দেশ এবং প্রায় সব মুসলিম দেশ বর্তমানে চালের হিসাব গ্রহণ করেছে। মুজতাহিদ ফকিহরা বলেন, যেখানে যা প্রধান খাদ্য, তা দ্বারা ফিতরা প্রদান করা শ্রেয়।
ইমাম আবু হানিফা নুমান ইবনে সাবিত (র.)–এর মতে, অধিক মূল্যের দ্রব্য দ্বারা ফিতরা প্রদান করা উত্তম; অর্থাৎ যা দ্বারা প্রদান করলে গরিবদের বেশি উপকার হয়, সেটাই উত্তম।
ফিতরা তাঁদের দেওয়া যায়, জাকাত যে আটটি খাতে প্রদান করা যায়। কোরআন করিমের বর্ণনা, ‘মূলত সদাকাত হলো ফকির, মিসকিন, সদাকাকর্মী, অনুরক্ত ব্যক্তি ও নওমুসলিম, ক্রীতদাস, ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি, আল্লাহর পথে (ইসলাম সুরক্ষার জন্য), বিপদগ্রস্ত বিদেশি মুসাফির ও পথ সন্তানদের জন্য। এটি আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। আর আল্লাহ সর্বজ্ঞানী ও পরম কৌশলী।’ (সুরা-৯ তাওবাহ, আয়াত: ৬০)।
নির্ধারিত খাদ্যদ্রব্য, পণ্যসামগ্রী বা তার মূল্যে টাকায়ও ফিতরা আদায় করা যায় এবং অন্য কোনো বস্তু, যেমন পোশাক-আশাক, ঈদের বাজার ইত্যাদি কিনেও দেওয়া যায়। পিতা-মাতা ও ঊর্ধ্বতন এবং ছেলে-মেয়ে ও অধস্তন এবং স্ত্রীকে ওয়াজিব সদাকা, ফিতরা ও জাকাত প্রদান করা যায় না। একজনের ফিতরা অন্যজন প্রদান করলেও আদায় হয়ে যাবে। সদকাতুল ফিতর গ্রহীতার সুবিধার জন্য রমজানেও প্রদান করা যাবে।
নিজের মতো করে হিসাব করে ফিতরা প্রদান করুন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমার হিসাব নেওয়ার আগে তুমি নিজের হিসাব নিজে করো, মিজানে তোমার আমল ওজন করার আগে সদকাতুল ফিতর কার উপর ওয়াজিবতোমার নিজের আমল নিজেই ওজন করো।’ (তিরমিজি)।
সদকাতুল ফিতর কার উপর ওয়াজিব
ফিতরা আদায়ের সঠিক সময় কখন?
youtube
ফিতরা কাদের উপর দেওয়া ফরজ এবং কি পরিমান সম্পদ থাকতে হবে যিনি ফিতরা দিবেন
https://www.youtube.com/watch?v=UKLsPyzAyu8
 
কার জন্য ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব
youtube
ফিতরা যেভাবে ঠিক করবেন, যাঁদের দেবেন
How to fix Fitra, to whom to give
0 notes
mylordisallah · 2 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ফিতরা যেভাবে ঠিক করবেন, যাঁদের দেবেন
How to fix Fitra, to whom to give
সদকাতুল ফিতর
ফিতর বা ফাতুর বলতে সকালের খাদ্যদ্রব্য বোঝানো হয় যা দ্বারা রোজাদারগণ রোজা ভঙ্গ করেন। যাকাতুল ফিতর বলা হয় ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গরীব দুঃস্থদের মাঝে রোজাদারদের বিতরণ করা দানকে। রোজা বা সিয়াম পালনের পর সন্ধ্যায় ইফতার বা সকালের খাদ্য গ্রহণ করা হয়। সেজন্য রমজান মাস শেষে এই দানকে যাকাতুল ফিতর বা সকাল‌ের আহারের যাকাত বলা হয়।
নির্ধারিত খাদ্যদ্রব্য, পণ্যসামগ্রী বা তার মূল্যে টাকায়ও ফিতরা আদায় করা যায় এবং অন্য কোনো বস্তু, যেমন পোশাক-আশাক, ঈদের বাজার ইত্যাদি কিনেও দেওয়া যায়। পিতা-মাতা ও ঊর্ধ্বতন এবং ছেলে-মেয়ে ও অধস্তন এবং স্ত্রীকে ওয়াজিব সদাকা, ফিতরা ও জাকাত প্রদান করা যায় না। একজনের ফিতরা অন্যজন প্রদান করলেও আদায় হয়ে যাবে। সদকাতুল ফিতর গ্রহীতার সুবিধার জন্য রমজানেও প্রদান করা যাবে।
সমাজের দুস্থ, অসহায়, দরিদ্ররাও যেন ঈদের আনন্দে শামিল হতে পারেন, সে জন্য সদকাতুল ফিতর বা ফিতরার বিধান। ফিতরা ঈদের নামাজের পূর্বে প্রদান করতে হয়। হজরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.)–এর জমানায় আমরা সদকাতুল ফিতর প্রদান করতাম এক সা (তিন কেজি তিন শ গ্রাম প্রায়) পরিমাণ খাদ্যদ্রব্য।’ তিনি বলেন, ‘তখন আমাদের খাদ্য ছিল যব, কিশমিশ, পনির ও খেজুর।’ (বুখারি, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ২০৪)। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সদকাতুল ফিতর প্রদান করতাম এক সা খাদ্যদ্রব্য, যেমন এক সা যব, এক সা খেজুর, এক সা পনির, এক সা কিশমিশ।’ (বুখারি, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ২০৫)।
ঈদের দিন সকাল বেলায় যিনি নিসাব পরিমাণ সম্পদের (সাড়ে সাত ভরি সোনা বা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা বা সমমূল্যের নগদ অর্থ ও ব্যবসাপণ্যের) মালিক থাকবেন, তাঁর নিজের ও পরিবারের ছোট–বড় সবার পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় করা তার প্রতি ওয়াজিব। ফিতরা দ্বারা রোজার ত্রুটি-বিচ্যুতি মাফ হয়ে যায়।
সদকাতুল ফিতর একটি ওয়াজিব ও ফজিলতপূর্ণ আমল। তাই যাঁরা নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক নন, তাঁদের ফিতরা প্রদান করা সুন্নত ও নফল ইবাদত। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন আমাদের মধ্যে ছিলেন, তখন আমরা ছোট–বড়, মুক্ত ক্রীতদাস সবার পক্ষ থেকে সদকাতুল ফিতর প্রদান করতাম এক সা খাদ্য, অর্থাৎ এক সা পনির বা এক সা যব বা এক সা খেজুর অথবা এক সা কিশমিশ। আমরা এভাবেই প্রদান করছিলাম। একবার হজরত মুআবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান (রা.) হজ বা ওমরা উপলক্ষে মদিনায় এলেন, তিনি জনগণের উদ্দেশ্যে মিম্বারে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিলেন। তখন তিনি আলোচনা করলেন সে বিষয়, যে বিষয়ে মানুষ প্রশ্ন করেছে। তিনি বললেন, আমি দেখছি শামের দুই মুদ (নিসফ সা বা পৌনে দুই কেজি) আটা সমান হয় (মূল্যমান হিসেবে) এক সা (তিন কেজি তিন শ গ্রাম) খেজুরের। অতঃপর মানুষ (সাহাবায়ে কিরাম ও তাবিয়িগণ) এই মত গ্রহণ করলেন।’ (মুসলিম, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ৩১৭-৩১৮)।
ফিতরা আটা বা গমও এক সা (তিন কেজি তিন শ গ্রাম) দেওয়া উত্তম। হজরত হাসান বসরী (র.) বর্ণনা করেন, হজরত আলী (রা.) বললেন: ‘আল্লাহ যখন তোমাদের প্রাচুর্য দিয়েছেন, তোমরাও উদার হও, গমও এক সা দাও।’ (নাসায়ী, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ২৬৮-২৭০)। চালের মধ্যে উক্ত তিনটি বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান এবং সৌদি আরবসহ সব আরব দেশ এবং প্রায় সব মুসলিম দেশ বর্তমানে চালের হিসাব গ্রহণ করেছে। মুজতাহিদ ফকিহরা বলেন, যেখানে যা প্রধান খাদ্য, তা দ্বারা ফিতরা প্রদান করা শ্রেয়।
ইমাম আবু হানিফা নুমান ইবনে সাবিত (র.)–এর মতে, অধিক মূল্যের দ্রব্য দ্বারা ফিতরা প্রদান করা উত্তম; অর্থাৎ যা দ্বারা প্রদান করলে গরিবদের বেশি উপকার হয়, সেটাই উত্তম।
ফিতরা তাঁদের দেওয়া যায়, জাকাত যে আটটি খাতে প্রদান করা যায়। কোরআন করিমের বর্ণনা, ‘মূলত সদাকাত হলো ফকির, মিসকিন, সদাকাকর্মী, অনুরক্ত ব্যক্তি ও নওমুসলিম, ক্রীতদাস, ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি, আল্লাহর পথে (ইসলাম সুরক্ষার জন্য), বিপদগ্রস্ত বিদেশি মুসাফির ও পথ সন্তানদের জন্য। এটি আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। আর আল্লাহ সর্বজ্ঞানী ও পরম কৌশলী।’ (সুরা-৯ তাওবাহ, আয়াত: ৬০)।
নির্ধারিত খাদ্যদ্রব্য, পণ্যসামগ্রী বা তার মূল্যে টাকায়ও ফিতরা আদায় করা যায় এবং অন্য কোনো বস্তু, যেমন পোশাক-আশাক, ঈদের বাজার ইত্যাদি কিনেও দেওয়া যায়। পিতা-মাতা ও ঊর্ধ্বতন এবং ছেলে-মেয়ে ও অধস্তন এবং স্ত্রীকে ওয়াজিব সদাকা, ফিতরা ও জাকাত প্রদান করা যায় না। একজনের ফিতরা অন্যজন প্রদান করলেও আদায় হয়ে যাবে। সদকাতুল ফিতর গ্রহীতার সুবিধার জন্য রমজানেও প্রদান করা যাবে।
নিজের মতো করে হিসাব করে ফিতরা প্রদান করুন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমার হিসাব নেওয়ার আগে তুমি নিজের হিসাব নিজে করো, মিজানে তোমার আমল ওজন করার আগে সদকাতুল ফিতর কার উপর ওয়াজিবতোমার নিজের আমল নিজেই ওজন করো।’ (তিরমিজি)।
সদকাতুল ফিতর কার উপর ওয়াজিব
ফিতরা আদায়ের সঠিক সময় কখন?
youtube
ফিতরা কাদের উপর দেওয়া ফরজ এবং কি পরিমান সম্পদ থাকতে হবে যিনি ফিতরা দিবেন
https://www.youtube.com/watch?v=UKLsPyzAyu8
 
কার জন্য ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব
youtube
ফিতরা যেভাবে ঠিক করবেন, যাঁদের দেবেন
How to fix Fitra, to whom to give
0 notes