Tumgik
#ফিতরা যেভাবে ঠিক করবেন
ilyforallahswt · 2 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ফিতরা যেভাবে ঠিক করবেন, যাঁদের দেবেন
How to fix Fitra, to whom to give
সদকাতুল ফিতর
ফিতর বা ফাতুর বলতে সকালের খাদ্যদ্রব্য বোঝানো হয় যা দ্বারা রোজাদারগণ রোজা ভঙ্গ করেন। যাকাতুল ফিতর বলা হয় ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গরীব দুঃস্থদের মাঝে রোজাদারদের বিতরণ করা দানকে। রোজা বা সিয়াম পালনের পর সন্ধ্যায় ইফতার বা সকালের খাদ্য গ্রহণ করা হয়। সেজন্য রমজান মাস শেষে এই দানকে যাকাতুল ফিতর বা সকাল‌ের আহারের যাকাত বলা হয়।
নির্ধারিত খাদ্যদ্রব্য, পণ্যসামগ্রী বা তার মূল্যে টাকায়ও ফিতরা আদায় করা যায় এবং অন্য কোনো বস্তু, যেমন পোশাক-আশাক, ঈদের বাজার ইত্যাদি কিনেও দেওয়া যায়। পিতা-মাতা ও ঊর্ধ্বতন এবং ছেলে-মেয়ে ও অধস্তন এবং স্ত্রীকে ওয়াজিব সদাকা, ফিতরা ও জাকাত প্রদান করা যায় না। একজনের ফিতরা অন্যজন প্রদান করলেও আদায় হয়ে যাবে। সদকাতুল ফিতর গ্রহীতার সুবিধার জন্য রমজানেও প্রদান করা যাবে।
সমাজের দুস্থ, অসহায়, দরিদ্ররাও যেন ঈদের আনন্দে শামিল হতে পারেন, সে জন্য সদকাতুল ফিতর বা ফিতরার বিধান। ফিতরা ঈদের নামাজের পূর্বে প্রদান করতে হয়। হজরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.)–এর জমানায় আমরা সদকাতুল ফিতর প্রদান করতাম এক সা (তিন কেজি তিন শ গ্রাম প্রায়) পরিমাণ খাদ্যদ্রব্য।’ তিনি বলেন, ‘তখন আমাদের খাদ্য ছিল যব, কিশমিশ, পনির ও খেজুর।’ (বুখারি, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ২০৪)। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সদকাতুল ফিতর প্রদান করতাম এক সা খাদ্যদ্রব্য, যেমন এক সা যব, এক সা খেজুর, এক সা পনির, এক সা কিশমিশ।’ (বুখারি, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ২০৫)।
ঈদের দিন সকাল বেলায় যিনি নিসাব পরিমাণ সম্পদের (সাড়ে সাত ভরি সোনা বা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা বা সমমূল্যের নগদ অর্থ ও ব্যবসাপণ্যের) মালিক থাকবেন, তাঁর নিজের ও পরিবারের ছোট–বড় সবার পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় করা তার প্রতি ওয়াজিব। ফিতরা দ্বারা রোজার ত্রুটি-বিচ্যুতি মাফ হয়ে যায়।
সদকাতুল ফিতর একটি ওয়াজিব ও ফজিলতপূর্ণ আমল। তাই যাঁরা নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক নন, তাঁদের ফিতরা প্রদান করা সুন্নত ও নফল ইবাদত। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন আমাদের মধ্যে ছিলেন, তখন আমরা ছোট–বড়, মুক্ত ক্রীতদাস সবার পক্ষ থেকে সদকাতুল ফিতর প্রদান করতাম এক সা খাদ্য, অর্থাৎ এক সা পনির বা এক সা যব বা এক সা খেজুর অথবা এক সা কিশমিশ। আমরা এভাবেই প্রদান করছিলাম। একবার হজরত মুআবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান (রা.) হজ বা ওমরা উপলক্ষে মদিনায় এলেন, তিনি জনগণের উদ্দেশ্যে মিম্বারে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিলেন। তখন তিনি আলোচনা করলেন সে বিষয়, যে বিষয়ে মানুষ প্রশ্ন করেছে। তিনি বললেন, আমি দেখছি শামের দুই মুদ (নিসফ সা বা পৌনে দুই কেজি) আটা সমান হয় (মূল্যমান হিসেবে) এক সা (তিন কেজি তিন শ গ্রাম) খেজুরের। অতঃপর মানুষ (সাহাবায়ে কিরাম ও তাবিয়িগণ) এই মত গ্রহণ করলেন।’ (মুসলিম, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ৩১৭-৩১৮)।
ফিতরা আটা বা গমও এক সা (তিন কেজি তিন শ গ্রাম) দেওয়া উত্তম। হজরত হাসান বসরী (র.) বর্ণনা করেন, হজরত আলী (রা.) বললেন: ‘আল্লাহ যখন তোমাদের প্রাচুর্য দিয়েছেন, তোমরাও উদার হও, গমও এক সা দাও।’ (নাসায়ী, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ২৬৮-২৭০)। চালের মধ্যে উক্ত তিনটি বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান এবং সৌদি আরবসহ সব আরব দেশ এবং প্রায় সব মুসলিম দেশ বর্তমানে চালের হিসাব গ্রহণ করেছে। মুজতাহিদ ফকিহরা বলেন, যেখানে যা প্রধান খাদ্য, তা দ্বারা ফিতরা প্রদান করা শ্রেয়।
ইমাম আবু হানিফা নুমান ইবনে সাবিত (র.)–এর মতে, অধিক মূল্যের দ্রব্য দ্বারা ফিতরা প্রদান করা উত্তম; অর্থাৎ যা দ্বারা প্রদান করলে গরিবদের বেশি উপকার হয়, সেটাই উত্তম।
ফিতরা তাঁদের দেওয়া যায়, জাকাত যে আটটি খাতে প্রদান করা যায়। কোরআন করিমের বর্ণনা, ‘মূলত সদাকাত হলো ফকির, মিসকিন, সদাকাকর্মী, অনুরক্ত ব্যক্তি ও নওমুসলিম, ক্রীতদাস, ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি, আল্লাহর পথে (ইসলাম সুরক্ষার জন্য), বিপদগ্রস্ত বিদেশি মুসাফির ও পথ সন্তানদের জন্য। এটি আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। আর আল্লাহ সর্বজ্ঞানী ও পরম কৌশলী।’ (সুরা-৯ তাওবাহ, আয়াত: ৬০)।
নির্ধারিত খাদ্যদ্রব্য, পণ্যসামগ্রী বা তার মূল্যে টাকায়ও ফিতরা আদায় করা যায় এবং অন্য কোনো বস্তু, যেমন পোশাক-আশাক, ঈদের বাজার ইত্যাদি কিনেও দেওয়া যায়। পিতা-মাতা ও ঊর্ধ্বতন এবং ছেলে-মেয়ে ও অধস্তন এবং স্ত্রীকে ওয়াজিব সদাকা, ফিতরা ও জাকাত প্রদান করা যায় না। একজনের ফিতরা অন্যজন প্রদান করলেও আদায় হয়ে যাবে। সদকাতুল ফিতর গ্রহীতার সুবিধার জন্য রমজানেও প্রদান করা যাবে।
নিজের মতো করে হিসাব করে ফিতরা প্রদান করুন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমার হিসাব নেওয়ার আগে তুমি নিজের হিসাব নিজে করো, মিজানে তোমার আমল ওজন করার আগে সদকাতুল ফিতর কার উপর ওয়���জিবতোমার নিজের আমল নিজেই ওজন করো।’ (তিরমিজি)।
সদকাতুল ফিতর কার উপর ওয়াজিব
ফিতরা আদায়ের সঠিক সময় কখন?
youtube
ফিতরা কাদের উপর দেওয়া ফরজ এবং কি পরিমান সম্পদ থাকতে হবে যিনি ফিতরা দিবেন
https://www.youtube.com/watch?v=UKLsPyzAyu8
 
কার জন্য ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব
youtube
ফিতরা যেভাবে ঠিক করবেন, যাঁদের দেবেন
How to fix Fitra, to whom to give
0 notes
myreligionislam · 2 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ফিতরা যেভাবে ঠিক করবেন, যাঁদের দেবেন
How to fix Fitra, to whom to give
সদকাতুল ফিতর
ফিতর বা ফাতুর বলতে সকালের খাদ্যদ্রব্য বোঝানো হয় যা দ্বারা রোজাদারগণ রোজা ভঙ্গ করেন। যাকাতুল ফিতর বলা হয় ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গরীব দুঃস্থদের মাঝে রোজাদারদের বিতরণ করা দানকে। রোজা বা সিয়াম পালনের পর সন্ধ্যায় ইফতার বা সকালের খাদ্য গ্রহণ করা হয়। সেজন্য রমজান মাস শেষে এই দানকে যাকাতুল ফিতর বা সকাল‌ের আহারের যাকাত বলা হয়।
নির্ধারিত খাদ্যদ্রব্য, পণ্যসামগ্রী বা তার মূল্যে টাকায়ও ফিতরা আদায় করা যায় এবং অন্য কোনো বস্তু, যেমন পোশাক-আশাক, ঈদের বাজার ইত্যাদি কিনেও দেওয়া যায়। পিতা-মাতা ও ঊর্ধ্বতন এবং ছেলে-মেয়ে ও অধস্তন এবং স্ত্রীকে ওয়াজিব সদাকা, ফিতরা ও জাকাত প্রদান করা যায় না। একজনের ফিতরা অন্যজন প্রদান করলেও আদায় হয়ে যাবে। সদকাতুল ফিতর গ্রহীতার সুবিধার জন্য রমজানেও প্রদান করা যাবে।
সমাজের দুস্থ, অসহায়, দরিদ্ররাও যেন ঈদের আনন্দে শামিল হতে পারেন, সে জন্য সদকাতুল ফিতর বা ফিতরার বিধান। ফিতরা ঈদের নামাজের পূর্বে প্রদান করতে হয়। হজরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.)–এর জমানায় আমরা সদকাতুল ফিতর প্রদান করতাম এক সা (তিন কেজি তিন শ গ্রাম প্রায়) পরিমাণ খাদ্যদ্রব্য।’ তিনি বলেন, ‘তখন আমাদের খাদ্য ছিল যব, কিশমিশ, পনির ও খেজুর।’ (বুখারি, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ২০৪)। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সদকাতুল ফিতর প্রদান করতাম এক সা খাদ্যদ্রব্য, যেমন এক সা যব, এক সা খেজুর, এক সা পনির, এক সা কিশমিশ।’ (বুখারি, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ২০৫)।
ঈদের দিন সকাল বেলায় যিনি নিসাব পরিমাণ সম্পদের (সাড়ে সাত ভরি সোনা বা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা বা সমমূল্যের নগদ অর্থ ও ব্যবসাপণ্যের) মালিক থাকবেন, তাঁর নিজের ও পরিবারের ছোট–বড় সবার পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় করা তার প্রতি ওয়াজিব। ফিতরা দ্বারা রোজার ত্রুটি-বিচ্যুতি মাফ হয়ে যায়।
সদকাতুল ফিতর একটি ওয়াজিব ও ফজিলতপূর্ণ আমল। তাই যাঁরা নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক নন, তাঁদের ফিতরা প্রদান করা সুন্নত ও নফল ইবাদত। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন আমাদের মধ্যে ছিলেন, তখন আমরা ছোট–বড়, মুক্ত ক্রীতদাস সবার পক্ষ থেকে সদকাতুল ফিতর প্রদান করতাম এক সা খাদ্য, অর্থাৎ এক সা পনির বা এক সা যব বা এক সা খেজুর অথবা এক সা কিশমিশ। আমরা এভাবেই প্রদান করছিলাম। একবার হজরত মুআবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান (রা.) হজ বা ওমরা উপলক্ষে মদিনায় এলেন, তিনি জনগণের উদ্দেশ্যে মিম্বারে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিলেন। তখন তিনি আলোচনা করলেন সে বিষয়, যে বিষয়ে মানুষ প্রশ্ন করেছে। তিনি বললেন, আমি দেখছি শামের দুই মুদ (নিসফ সা বা পৌনে দুই কেজি) আটা সমান হয় (মূল্যমান হিসেবে) এক সা (তিন কেজি তিন শ গ্রাম) খেজুরের। অতঃপর মানুষ (সাহাবায়ে কিরাম ও তাবিয়িগণ) এই মত গ্রহণ করলেন।’ (মুসলিম, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ৩১৭-৩১৮)।
ফিতরা আটা বা গমও এক সা (তিন কেজি তিন শ গ্রাম) দেওয়া উত্তম। হজরত হাসান বসরী (র.) বর্ণনা করেন, হজরত আলী (রা.) বললেন: ‘আল্লাহ যখন তোমাদের প্রাচুর্য দিয়েছেন, তোমরাও উদার হও, গমও এক সা দাও।’ (নাসায়ী, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ২৬৮-২৭০)। চালের মধ্যে উক্ত তিনটি বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান এবং সৌদি আরবসহ সব আরব দেশ এবং প্রায় সব মুসলিম দেশ বর্তমানে চালের হিসাব গ্রহণ করেছে। মুজতাহিদ ফকিহরা বলেন, যেখানে যা প্রধান খাদ্য, তা দ্বারা ফিতরা প্রদান করা শ্রেয়।
ইমাম আবু হানিফা নুমান ইবনে সাবিত (র.)–এর মতে, অধিক মূল্যের দ্রব্য দ্বারা ফিতরা প্রদান করা উত্তম; অর্থাৎ যা দ্বারা প্রদান করলে গরিবদের বেশি উপকার হয়, সেটাই উত্তম।
ফিতরা তাঁদের দেওয়া যায়, জাকাত যে আটটি খাতে প্রদান করা যায়। কোরআন করিমের বর্ণনা, ‘মূলত সদাকাত হলো ফকির, মিসকিন, সদাকাকর্মী, অনুরক্ত ব্যক্তি ও নওমুসলিম, ক্রীতদাস, ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি, আল্লাহর পথে (ইসলাম সুরক্ষার জন্য), বিপদগ্রস্ত বিদেশি মুসাফির ও পথ সন্তানদের জন্য। এটি আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। আর আল্লাহ সর্বজ্ঞানী ও পরম কৌশলী।’ (সুরা-৯ তাওবাহ, আয়াত: ৬০)।
নির্ধারিত খাদ্যদ্রব্য, পণ্যসামগ্রী বা তার মূল্যে টাকায়ও ফিতরা আদায় করা যায় এবং অন্য কোনো বস্তু, যেমন পোশাক-আশাক, ঈদের বাজার ইত্যাদি কিনেও দেওয়া যায়। পিতা-মাতা ও ঊর্ধ্বতন এবং ছেলে-মেয়ে ও অধস্তন এবং স্ত্রীকে ওয়াজিব সদাকা, ফিতরা ও জাকাত প্রদান করা যায় না। একজনের ফিতরা অন্যজন প্রদান করলেও আদায় হয়ে যাবে। সদকাতুল ফিতর গ্রহীতার সুবিধার জন্য রমজানেও প্রদান করা যাবে।
নিজের মতো করে হিসাব করে ফিতরা প্রদান করুন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমার হিসাব নেওয়ার আগে তুমি নিজের হিসাব নিজে করো, মিজানে তোমার আমল ওজন করার আগে সদকাতুল ফিতর কার উপর ওয়াজিবতোমার নিজের আমল নিজেই ওজন করো।’ (তিরমিজি)।
সদকাতুল ফিতর কার উপর ওয়াজিব
ফিতরা আদায়ের সঠিক সময় কখন?
youtube
ফিতরা কাদের উপর দেওয়া ফরজ এবং কি পরিমান সম্পদ থাকতে হবে যিনি ফিতরা দিবেন
https://www.youtube.com/watch?v=UKLsPyzAyu8
 
কার জন্য ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব
youtube
ফিতরা যেভাবে ঠিক করবেন, যাঁদের দেবেন
How to fix Fitra, to whom to give
0 notes
allahisourrabb · 2 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ফিতরা যেভাবে ঠিক করবেন, যাঁদের দেবেন
How to fix Fitra, to whom to give
সদকাতুল ফিতর
ফিতর বা ফাতুর বলতে সকালের খাদ্যদ্রব্য বোঝানো হয় যা দ্বারা রোজাদারগণ রোজা ভঙ্গ করেন। যাকাতুল ফিতর বলা হয় ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গরীব দুঃস্থদের মাঝে রোজাদারদের বিতরণ করা দানকে। রোজা বা সিয়াম পালনের পর সন্ধ্যায় ইফতার বা সকালের খাদ্য গ্রহণ করা হয়। সেজন্য রমজান মাস শেষে এই দানকে যাকাতুল ফিতর বা সকাল‌ের আহারের যাকাত বলা হয়।
নির্ধারিত খাদ্যদ্রব্য, পণ্যসামগ্রী বা তার মূল্যে টাকায়ও ফিতরা আদায় করা যায় এবং অন্য কোনো বস্তু, যেমন পোশাক-আশাক, ঈদের বাজার ইত্যাদি কিনেও দেওয়া যায়। পিতা-মাতা ও ঊর্ধ্বতন এবং ছেলে-মেয়ে ও অধস্তন এবং স্ত্রীকে ওয়াজিব সদাকা, ফিতরা ও জাকাত প্রদান করা যায় না। একজনের ফিতরা অন্যজন প্রদান করলেও আদায় হয়ে যাবে। সদকাতুল ফিতর গ্রহীতার সুবিধার জন্য রমজানেও প্রদান করা যাবে।
সমাজের দুস্থ, অসহায়, দরিদ্ররাও যেন ঈদের আনন্দে শামিল হতে পারেন, সে জন্য সদকাতুল ফিতর বা ফিতরার বিধান। ফিতরা ঈদের নামাজের পূর্বে প্রদান করতে হয়। হজরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.)–এর জমানায় আমরা সদকাতুল ফিতর প্রদান করতাম এক সা (তিন কেজি তিন শ গ্রাম প্রায়) পরিমাণ খাদ্যদ্রব্য।’ তিনি বলেন, ‘তখন আমাদের খাদ্য ছিল যব, কিশমিশ, পনির ও খেজুর।’ (বুখারি, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ২০৪)। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সদকাতুল ফিতর প্রদান করতাম এক সা খাদ্যদ্রব্য, যেমন এক সা যব, এক সা খেজুর, এক সা পনির, এক সা কিশমিশ।’ (বুখারি, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ২০৫)।
ঈদের দিন সকাল বেলায় যিনি নিসাব পরিমাণ সম্পদের (সাড়ে সাত ভরি সোনা বা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা বা সমমূল্যের নগদ অর্থ ও ব্যবসাপণ্যের) মালিক থাকবেন, তাঁর নিজের ও পরিবারের ছোট–বড় সবার পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় করা তার প্রতি ওয়াজিব। ফিতরা দ্বারা রোজার ত্রুটি-বিচ্যুতি মাফ হয়ে যায়।
সদকাতুল ফিতর একটি ওয়াজিব ও ফজিলতপূর্ণ আমল। তাই যাঁরা নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক নন, তাঁদের ফিতরা প্রদান করা সুন্নত ও নফল ইবাদত। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন আমাদের মধ্যে ছিলেন, তখন আমরা ছোট–বড়, মুক্ত ক্রীতদাস সবার পক্ষ থেকে সদকাতুল ফিতর প্রদান করতাম এক সা খাদ্য, অর্থাৎ এক সা পনির বা এক সা যব বা এক সা খেজুর অথবা এক সা কিশমিশ। আমরা এভাবেই প্রদান করছিলাম। একবার হজরত মুআবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান (রা.) হজ বা ওমরা উপলক্ষে মদিনায় এলেন, তিনি জনগণের উদ্দেশ্যে মিম্বারে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিলেন। তখন তিনি আলোচনা করলেন সে বিষয়, যে বিষয়ে মানুষ প্রশ্ন করেছে। তিনি বললেন, আমি দেখছি শামের দুই মুদ (নিসফ সা বা পৌনে দুই কেজি) আটা সমান হয় (মূল্যমান হিসেবে) এক সা (তিন কেজি তিন শ গ্রাম) খেজুরের। অতঃপর মানুষ (সাহাবায়ে কিরাম ও তাবিয়িগণ) এই মত গ্রহণ করলেন।’ (মুসলিম, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ৩১৭-৩১৮)।
ফিতরা আটা বা গমও এক সা (তিন কেজি তিন শ গ্রাম) দেওয়া উত্তম। হজরত হাসান বসরী (র.) বর্ণনা করেন, হজরত আলী (রা.) বললেন: ‘আল্লাহ যখন তোমাদের প্রাচুর্য দিয়েছেন, তোমরাও উদার হও, গমও এক সা দাও।’ (নাসায়ী, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ২৬৮-২৭০)। চালের মধ্যে উক্ত তিনটি বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান এবং সৌদি আরবসহ সব আরব দেশ এবং প্রায় সব মুসলিম দেশ বর্তমানে চালের হিসাব গ্রহণ করেছে। মুজতাহিদ ফকিহরা বলেন, যেখানে যা প্রধান খাদ্য, তা দ্বারা ফিতরা প্রদান করা শ্রেয়।
ইমাম আবু হানিফা নুমান ইবনে সাবিত (র.)–এর মতে, অধিক মূল্যের দ্রব্য দ্বারা ফিতরা প্রদান করা উত্তম; অর্থাৎ যা দ্বারা প্রদান করলে গরিবদের বেশি উপকার হয়, সেটাই উত্তম।
ফিতরা তাঁদের দেওয়া যায়, জাকাত যে আটটি খাতে প্রদান করা যায়। কোরআন করিমের বর্ণনা, ‘মূলত সদাকাত হলো ফকির, মিসকিন, সদাকাকর্মী, অনুরক্ত ব্যক্তি ও নওমুসলিম, ক্রীতদাস, ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি, আল্লাহর পথে (ইসলাম সুরক্ষার জন্য), বিপদগ্রস্ত বিদেশি মুসাফির ও পথ সন্তানদের জন্য। এটি আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। আর আল্লাহ সর্বজ্ঞানী ও পরম কৌশলী।’ (সুরা-৯ তাওবাহ, আয়াত: ৬০)।
নির্ধারিত খাদ্যদ্রব্য, পণ্যসামগ্রী বা তার মূল্যে টাকায়ও ফিতরা আদায় করা যায় এবং অন্য কোনো বস্তু, যেমন পোশাক-আশাক, ঈদের বাজার ইত্যাদি কিনেও দেওয়া যায়। পিতা-মাতা ও ঊর্ধ্বতন এবং ছেলে-মেয়ে ও অধস্তন এবং স্ত্রীকে ওয়াজিব সদাকা, ফিতরা ও জাকাত প্রদান করা যায় না। একজনের ফিতরা অন্যজন প্রদান করলেও আদায় হয়ে যাবে। সদকাতুল ফিতর গ্রহীতার সুবিধার জন্য রমজানেও প্রদান করা যাবে।
নিজের মতো করে হিসাব করে ফিতরা প্রদান করুন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমার হিসাব নেওয়ার আগে তুমি নিজের হিসাব নিজে করো, মিজানে তোমার আমল ওজন করার আগে সদকাতুল ফিতর কার উপর ওয়াজিবতোমার নিজের আমল নিজেই ওজন করো।’ (তিরমিজি)।
সদকাতুল ফিতর কার উপর ওয়াজিব
ফিতরা আদায়ের সঠিক সময় কখন?
youtube
ফিতরা কাদের উপর দেওয়া ফরজ এবং কি পরিমান সম্পদ থাকতে হবে যিনি ফিতরা দিবেন
https://www.youtube.com/watch?v=UKLsPyzAyu8
 
কার জন্য ��িতরা দেওয়া ওয়াজিব
youtube
ফিতরা যেভাবে ঠিক করবেন, যাঁদের দেবেন
How to fix Fitra, to whom to give
0 notes
mylordisallah · 2 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ফিতরা যেভাবে ঠিক করবেন, যাঁদের দেবেন
How to fix Fitra, to whom to give
সদকাতুল ফিতর
ফিতর বা ফাতুর বলতে সকালের খাদ্যদ্রব্য বোঝানো হয় যা দ্বারা রোজাদারগণ রোজা ভঙ্গ করেন। যাকাতুল ফিতর বলা হয় ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গরীব দুঃস্থদের মাঝে রোজাদারদের বিতরণ করা দানকে। রোজা বা সিয়াম পালনের পর সন্ধ্যায় ইফতার বা সকালের খাদ্য গ্রহণ করা হয়। সেজন্য রমজান মাস শেষে এই দানকে যাকাতুল ফিতর বা সকাল‌ের আহারের যাকাত বলা হয়।
নির্ধারিত খাদ্যদ্রব্য, পণ্যসামগ্রী বা তার মূল্যে টাকায়ও ফিতরা আদায় করা যায় এবং অন্য কোনো বস্তু, যেমন পোশাক-আশাক, ঈদের বাজার ইত্যাদি কিনেও দেওয়া যায়। পিতা-মাতা ও ঊর্ধ্বতন এবং ছেলে-মেয়ে ও অধস্তন এবং স্ত্রীকে ওয়াজিব সদাকা, ফিতরা ও জাকাত প্রদান করা যায় না। একজনের ফিতরা অন্যজন প্রদান করলেও আদায় হয়ে যাবে। সদকাতুল ফিতর গ্রহীতার সুবিধার জন্য রমজানেও প্রদান করা যাবে।
সমাজের দুস্থ, অসহায়, দরিদ্ররাও যেন ঈদের আনন্দে শামিল হতে পারেন, সে জন্য সদকাতুল ফিতর বা ফিতরার বিধান। ফিতরা ঈদের নামাজের পূর্বে প্রদান করতে হয়। হজরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.)–এর জমানায় আমরা সদকাতুল ফিতর প্রদান করতাম এক সা (তিন কেজি তিন শ গ্রাম প্রায়) পরিমাণ খাদ্যদ্রব্য।’ তিনি বলেন, ‘তখন আমাদের খাদ্য ছিল যব, কিশমিশ, পনির ও খেজুর।’ (বুখারি, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ২০৪)। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সদকাতুল ফিতর প্রদান করতাম এক সা খাদ্যদ্রব্য, যেমন এক সা যব, এক সা খেজুর, এক সা পনির, এক সা কিশমিশ।’ (বুখারি, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ২০৫)।
ঈদের দিন সকাল বেলায় যিনি নিসাব পরিমাণ সম্পদের (সাড়ে সাত ভরি সোনা বা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা বা সমমূল্যের নগদ অর্থ ও ব্যবসাপণ্যের) মালিক থাকবেন, তাঁর নিজের ও পরিবারের ছোট–বড় সবার পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় করা তার প্রতি ওয়াজিব। ফিতরা দ্বারা রোজার ত্রুটি-বিচ্যুতি মাফ হয়ে যায়।
সদকাতুল ফিতর একটি ওয়াজিব ও ফজিলতপূর্ণ আমল। তাই যাঁরা নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক নন, তাঁদের ফিতরা প্রদান করা সুন্নত ও নফল ইবাদত। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন আমাদের মধ্যে ছিলেন, তখন আমরা ছোট–বড়, মুক্ত ক্রীতদাস সবার পক্ষ থেকে সদকাতুল ফিতর প্রদান করতাম এক সা খাদ্য, অর্থাৎ এক সা পনির বা এক সা যব বা এক সা খেজুর অথবা এক সা কিশমিশ। আমরা এভাবেই প্রদান করছিলাম। একবার হজরত মুআবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান (রা.) হজ বা ওমরা উপলক্ষে মদিনায় এলেন, তিনি জনগণের উদ্দেশ্যে মিম্বারে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিলেন। তখন তিনি আলোচনা করলেন সে বিষয়, যে বিষয়ে মানুষ প্রশ্ন করেছে। তিনি বললেন, আমি দেখছি শামের দুই মুদ (নিসফ সা বা পৌনে দুই কেজি) আটা সমান হয় (মূল্যমান হিসেবে) এক সা (তিন কেজি তিন শ গ্রাম) খেজুরের। অতঃপর মানুষ (সাহাবায়ে কিরাম ও তাবিয়ি��ণ) এই মত গ্রহণ করলেন।’ (মুসলিম, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ৩১৭-৩১৮)।
ফিতরা আটা বা গমও এক সা (তিন কেজি তিন শ গ্রাম) দেওয়া উত্তম। হজরত হাসান বসরী (র.) বর্ণনা করেন, হজরত আলী (রা.) বললেন: ‘আল্লাহ যখন তোমাদের প্রাচুর্য দিয়েছেন, তোমরাও উদার হও, গমও এক সা দাও।’ (নাসায়ী, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ২৬৮-২৭০)। চালের মধ্যে উক্ত তিনটি বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান এবং সৌদি আরবসহ সব আরব দেশ এবং প্রায় সব মুসলিম দেশ বর্তমানে চালের হিসাব গ্রহণ করেছে। মুজতাহিদ ফকিহরা বলেন, যেখানে যা প্রধান খাদ্য, তা দ্বারা ফিতরা প্রদান করা শ্রেয়।
ইমাম আবু হানিফা নুমান ইবনে সাবিত (র.)–এর মতে, অধিক মূল্যের দ্রব্য দ্বারা ফিতরা প্রদান করা উত্তম; অর্থাৎ যা দ্বারা প্রদান করলে গরিবদের বেশি উপকার হয়, সেটাই উত্তম।
ফিতরা তাঁদের দেওয়া যায়, জাকাত যে আটটি খাতে প্রদান করা যায়। কোরআন করিমের বর্ণনা, ‘মূলত সদাকাত হলো ফকির, মিসকিন, সদাকাকর্মী, অনুরক্ত ব্যক্তি ও নওমুসলিম, ক্রীতদাস, ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি, আল্লাহর পথে (ইসলাম সুরক্ষার জন্য), বিপদগ্রস্ত বিদেশি মুসাফির ও পথ সন্তানদের জন্য। এটি আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। আর আল্লাহ সর্বজ্ঞানী ও পরম কৌশলী।’ (সুরা-৯ তাওবাহ, আয়াত: ৬০)।
নির্ধারিত খাদ্যদ্রব্য, পণ্যসামগ্রী বা তার মূল্যে টাকায়ও ফিতরা আদায় করা যায় এবং অন্য কোনো বস্তু, যেমন পোশাক-আশাক, ঈদের বাজার ইত্যাদি কিনেও দেওয়া যায়। পিতা-মাতা ও ঊর্ধ্বতন এবং ছেলে-মেয়ে ও অধস্তন এবং স্ত্রীকে ওয়াজিব সদাকা, ফিতরা ও জাকাত প্রদান করা যায় না। একজনের ফিতরা অন্যজন প্রদান করলেও আদায় হয়ে যাবে। সদকাতুল ফিতর গ্রহীতার সুবিধার জন্য রমজানেও প্রদান করা যাবে।
নিজের মতো করে হিসাব করে ফিতরা প্রদান করুন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমার হিসাব নেওয়ার আগে তুমি নিজের হিসাব নিজে করো, মিজানে তোমার আমল ওজন করার আগে সদকাতুল ফিতর কার উপর ওয়াজিবতোমার নিজের আমল নিজেই ওজন করো।’ (তিরমিজি)।
সদকাতুল ফিতর কার উপর ওয়াজিব
ফিতরা আদায়ের সঠিক সময় কখন?
youtube
ফিতরা কাদের উপর দেওয়া ফরজ এবং কি পরিমান সম্পদ থাকতে হবে যিনি ফিতরা দিবেন
https://www.youtube.com/watch?v=UKLsPyzAyu8
 
কার জন্য ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব
youtube
ফিতরা যেভাবে ঠিক করবেন, যাঁদের দেবেন
How to fix Fitra, to whom to give
0 notes
the-monsur-blog · 1 year
Text
দোয়া মোাবরক পাইতে ও যাকাত কবুল করাইতে অবশ্যই আপনার পবিত্র যাকাত মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ ইয়াতিমখানা ও লিল্লাহ বোডিং এ পৌঁছাই দিন।
যাকাত একটা ফরয এবাদত। যেভাবে,যেন তেন ভাবে আদায় করা যাবে না। নামাজ যেরুপ গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে,মনগড়া বানিয়ে নামাজ পড়লে তো হবে না,ওযু করতে হবে,ক্বিলা ঠিক রাখতে হবে,শর্ত শারায়েতগুলি ,নামাজের আরকান আহকামগুলি ঠিক রাখতে হবে। তারপর নামাজ কবুল হবে।
ঠিক তদ্রুপ যাকাতেরও শর্তগুলি ঠিক রাখতে হবে। আদায় করতে হবে। যেখানে সেখানে ,যার তার,যখন তখন আদায় করলে হবে না। বা যাকাত দিতে পারবে না।শর্ত শারায়েত মোতোবেক যাকাত দিতে হবে। এটাকে ফরয ইবাদত মনে করতে হবে।
কাজেই কেউ অভাব গ্রস্থ থাকলে তাহলে আলাদাভাবে দান করুক।তারপরও কথা আছে ৫টা যে প্রশ্ন করা হবে।হাশরের ময়দানে আদম সন্তানের ক্বদম মুবারক এক চুলও নড়তে পারবে না।৫টিপ্রশ্নের জবাব দেয়া ব্যতীত।যেখানে আছে সেখানে দাড়ীয়ে থাকতে হবে। সে নড়তে পারবে না।১,তার হায়াতটা ২০/৫০/১০০ বছর হায়াতটা কিভাবে ব্যায় করল?২) তার যুবক বয়স কোন পথে ব্যায় করল(২০-৫০বছর) ,শক্তিটা কিভাবে ব্যায় করল ৩) মাল কিভাবে আয় করল ৪) মাল কোন পথে ব্যয় করল,সে শরীয়ত সম্মত ,না কি হারাম পথে খরচ করেছে?
েএটা সোজা কথা না।
একটা লোককে দান করল।সেটা খাওয়ার কারণে সে কবীরা গুণাহ করল। তাহলে ঐ লোকটারও কবীরা গুণাহ হবে। সাধারণ দান যদি এরুপ হয় ।
তাহলে যাকাতের হুকুম কিরুপ হবে। আমাদের দেশের লোক যাকাতের বিষয়টা বুঝে না।কিভাবে আয় করল,কোন পথে খরচ করলো,কাকে টাকাটা দিল,সেটাই তাকে জবাবদিহী করতে হবে,।যদি তার আয়ের পথটা অবৈধ হয়-এখন সে পাকড়াঁও হব��।আবার সেযে খরচ করল ,তা যদি অবৈধ হয়, সেখানেও তাকে পাকড়াওকরা হবে।
মুসলমান একটা কদমও মনগড়া দিতে পারবে না।মুসলমান শরীয়তের অধীন।একটা চোখের পলকও সি মনগড়া দিতে পারবে না।আবার একটা চিন্তাও সে মনগড়া করতে পারবে না।পুরোটা সে শরীয়তের অধীনে থেকে কাজ করতে হবে।
ঠিক আল্লাহ পাক যদি পাকড়াও করেন ,ছুটতে পারবে না।ফরয ইবাদত ফরয হিসেবে করতে হবে। কোন কাজ মনগড়া করা যাবে না।
নামাজের শর্ত পুরা না করলে ,যাকাতের শর্ত পুরা না করলে আদায় হবে না।এটা ফরয ইবাদত।
যাকাত দিলে দোয়া পাবে।
পবিত্র সূরা তওবা শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ ১০৩ ।
خُذْ مِنْ أَمْوَالِهِمْ صَدَقَةً تُطَهِّرُهُمْ وَتُزَكِّيهِم بِهَا وَصَلِّ عَلَيْهِمْ ۖ إِنَّ صَلَاتَكَ سَكَنٌ لَّهُمْ ۗ وَاللهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ
অর্থ: “হে আমার হাবীব হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলােইহি ওয়া সাল্লাম আপনি সাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু অর্থাৎ উম্মতদের থেকে তাদের মালের যাকাত হোক,ফিতরা হোক,ওশর হোক, মান্নত হোক,কাফফারা হোক আপনি গ্রহণ করুন। আপনি গ্রহণ করলে তাদের মালের দিক দিয়ে পবিত্রতা লাভ করবে আবার অন্তরের দিক থেক তাযকিয়া লাভ করবে(সুবহানাল্লাহ) এবং সেটা আপনার কাছে পৌঁছালে আপনি তাদের জন্য দোয়া করবেন। নিশ্চয়ই আপনার এই দোয়াটা তাদের ইহকাল পরকাল সর্বকালের জন্য নাজাতের শান্তির কামিয়াবীর কারণ হবে (সুবহানাল্লাহ)
হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দোয়া করেছেন। যাকে তাকে দিলে তো দোয়া পাবে না।খীলাফত থাকলে খলিফা উলিল আমর উনাকে দিলে দোয়া পাবে। যাকে তাকে দিলে কিন্তু দোয়া মোবারক পাবে না।এখানেও মাসয়ালা রয়ে গেছে।
অতএব দোয়া মোাবরক পাইতে ও যাকাত কবুল করাইতে অবশ্যই আপনার পবিত্র যাকাত মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ ইয়াতিমখানা ও লিল্লাহ বোডিং এ পৌঁছাই দিন।01718740742 নগদ/বিকাশ পারসোনাল
0 notes
nill-sagor · 4 years
Text
_*আমি বা আমরা এখন কোন দলে বা মতে আছি !*_
হানাফি মাযহাবীরা বলেঃ------------আমরা সঠিক
শাফেঈ মাযহাবীরা বলেঃ-----------আমরা সঠিক
হাম্বলী মাযহাবীরা বলেঃ-------------আমরা সঠিক
মালেকী মাযহাবীরা বলেঃ------------আমরা সঠিক
আহলে হাদিসরা বলেঃ----------------আমরা সঠিক
সালাফিরা বলেঃ-----------------------আমরা সঠিক
বেরেলভিরা বলেঃ----------------------আমরা সঠিক
চিশতীরা তরকাপন্হীরা বলেঃ---------আমরা সঠিক
কাদেরিয়ারা তরকাপন্হীরা বলেঃ---------আমরা সঠিক
নাক্সবান্দিরা তরকাপন্হীরা বলেঃ---------আমরা সঠিক
মুজাদ্দেদিরা তরকাপন্হীরা বলেঃ---------আমরা সঠিক
দেওবান্দিরা বলেঃ-------------------------আমরা সঠিক
চরমুনাই তরকাপন্হীরা বলেঃ---------আমরা সঠিক
আটরশি ওয়ালাতরকাপন্হীরা বলেঃ-----আমরা সঠিক
ফুরপূরা তরকাপন্হীরা বলেঃ--------আমরা সঠিক
তাবলিগের বিভিন্ন দল বলেঃ---------আমরা সঠিক
এনায়েতপুরি তরকাপন্হীরা বলেঃ--------আমরা সঠিক
চন্দ্রপাড়া তরকাপন্হীরা বলেঃ--------আমরা সঠিক
দেওয়ানবাগি তরকাপন্হীরা বলেঃ--------আমরা সঠিক
কুতুববাগি তরকাপন্হীরা বলেঃ--------আমরা সঠিক
জামাতে ইসলামিরা বলেঃ---------আমরা সঠিক
শিয়াপন্হীরা বলেঃ------------------আমরা সঠিক
কাদেয়ানীরা'তো নবী বানিয়ে বলেঃ---আমরা সঠিক
ওহাবীরা বলেঃ-------------------------আমরা সঠিক
এজিদের অনুসারীরা বলেঃ------------আমরা সঠিক
মাইজ ভান্ডারীতরকাপন্হীরা বলেঃ------আমরা সঠিক
বিক্রমপুর ফকিরবাড়ীপন্হীরা বলেঃ------আমরা সঠিক
হিজবুত তাহিরিরা বলেঃ--------------আমরা সঠিক
মাঝার পূজারীরা বলেঃ--------------আমরা সঠিক
হাক্কানী পীড় হতে ভূয়া পীড়েরা বলেঃ----আমরা সঠিক
ইসলামী সূফিবাদে বিশ্বাসীরা বলেঃ----আমরা সঠিক
ইসলামী খেলাফতে বিশ্বাসীরা বলেঃ----আমরা সঠিক
ইসলামী শাসনতন্ত্রে বিশ্বাসীরা বলেঃ----আমরা সঠিক
খতম-মিলাদ শরীফে বিশ্বাসীরা বলেঃ----আমরা সঠিক
অন্ধ শরীয়তপন্হী বিশ্বাসীরা বলেঃ----আমরা সঠিক
অন্ধ মারেফতপন্হী বিশ্বাসীরা বলেঃ----আমরা সঠিক
শরীয়ত-মারেফত পন্হীরা বলেঃ------আমরা সঠিক
এ'রকম ৭২/৭৩ দল নয়ঃ হাজারো ইসলামী দল সারা বিশ্বে বিভিন্ন দলের নামে বলেঃ-------আমরা সঠিক
সবাই যার যার জায়গায় সঠিক। তাহলে কে-বেঠিক ?
সবাইতো একইসাথে ১০০% ঠিক হতে পারে না। কারন কারো সাথে কারোরই আমল এবং আকিদাগত দিক দিয়ে ১০০% মিল নেই। কোন-কোন ক্ষেত্রে'তো আকাশ আর পাতাল তফাৎ!
রাসুল ﷺ এ-র সাহিহ হাদীস থেকে আমরা পাইঃ-
" বনী ইসরাঈল ৭২ বিভক্ত হয়েছিল। আমার উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে। এক দল ব্যতীত সবাই জাহান্নামী হবে।সাহাবায়ে কেরাম জিগ্যেস করলেন, সেটি কোন দল।সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল তখন রাসুল ﷺ কোন দলের নাম নেন নি। নাম নিলে হয়ত আজকে এই নামে হাজার হাজার ইসলামী দল বের হতো।তিনি বললেনঃ
"আজকের দিনে আমি ও আমার সাহাবীগন যার উপরে আছিঃ তার উপরে যারা টিকে থাকবে"
(তিরমিযী- হা/২৬৪১, অধ্যায় 38:ঈমান, অনুচ্ছেদ১৮: উম্মাতেন অনৈক্য : ইবনু মাজাহ- হা/৩৯৯৩; আবূ দাউদ- ৪৫৯৬)।
১৪০০ বছর আগে রাসুলুল্লাহ ﷺ আমাদের মত সাধারণ মুসলিমদের ঠিক আর বেঠিক জানার যে মানদণ্ড রেখে গেছেনঃ সেটাই সঠিক।
"আজকের দিন আমি ও আমার সাহাবীগন যার উপরে আছি, তার উপরে যারা টিকে থাকবে"
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, «إِنَّ الإِيمَانَ لَيَأْرِزُ إِلَى الْمَدِينَةِ كَمَا تَأْرِزُ الْحَيَّةُ إِلَىجُحْرِهَا. “ঈ��ান মদীনার দিকে ফিরে আসবে, যেভাবে সাপ তার গর্তের দিকে ফিরে আসে’’।
- (সহীহ বুখারী – ১৮৭৬ ও মুসলিম – ৩৭২)
যারা সব তারিকা বা বিভিন্ন দলের উর্ধে গিয়ে শুধুমাত্র রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দেখানো পথে কোরআন এবং সাহিহ হাদিসের দলিল দিয়ে রাসুলুল্লাহ ﷺ এবং তার সাহাবীদের মানহাজে মানুষদেরকে দীনের দিকে আহবান করবেঃ তারাই সঠিক থাকবেঃ ইনশাআল্লাহ (যাদেরকে মহান আল্লাহ পাক্ তাঁর হেদায়েত দান করবেন। আমিন।)।
যদিও 'বা সেই দল সংখ্যায় মাএ একজনের'ও হয়!
➲ বলা হল দুরুদ পাঠ করার জন্য, আর আমরা শুরু করলাম মিলাদ পাঠ!
➲ বলা হল টাকা দিয়ে যাকাত আদায় করতে, আর আমরা শুরু করলাম লুঙ্গি-শাড়ি বন্টন!
➲ বলা হল খাদ্য দিয়ে ফিতরা আদায় করতে, আর আমরা শুরু করলাম টাকা দেয়া!
➲ বলা হল আউয়াল ওয়াক্তে সালাত শুরু করতে, আর আমরা শুরু করলাম দেরীতে পড়া!
➲ বলা হল মাগরিবের ফরজের পূর্বে ২ রাকাত নফলের, আর আমরা শুরু করলাম ওয়াক্তের সাথে সাথ মাগরিবের ফরজ পড়া। যাতে করে কেউ নফল পড়তে না পারে!
➲ বলা হল ঝাড়-ফুঁক করতে, আর আমরা শুরু করলাম তাবিজ ঝুলানো!
➲ বলা হল সালাতের ভিতরে দোআ করতে, আর আমরা শুরু করলাম সালাত শেষ করে দোআ করা!
➲ বলা হল সালাত শেষে তাসবীহ পাঠ করার জন্য, আর আমরা শুরু করলাম সম্মিলিত মোনাজাত!
➲ বলা হল দ্রুত ইফতার করার জন্য, আর আমরা শুরু করলাম দেরীতে করা!
➲ বলা হল শবে কদর তালাশ করার জন্য, আর আমরা তালাশ শুরু করলাম শবে বরাতের!
➲ বলা হল কুরআন পাঠ করতে, আর আমরা শুরু করলাম কুরআন খতম!
➲ বলা হল কুরআন ধীরে পাঠ করার জন্য, আর আমরা শুরু করলাম প্রতিযোগীতার মত দৌড়!
➲ বলা হল পরিবারের সবার জন্য নিজে দোআ করতে, আর আমরা শুরু করলাম হুজুর ভাড়া করা!
➲ বলা হল মাইয়েতের জন্য সাদকায়ে জারীয়া করার জন্য, আর আমরা শুরু করলাম কুলখানী!
➲ বলা হল কুরআন-সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরতে, আর আমরা আঁকড়ে ধরলাম মাজহাব!
➲ বলা হল দ্বীনকে খন্ড খন্ড না করতে, আর আমরা বের করলাম চার মাজহাব!
➲ বলা হল ওয়ালীমায় মানুষকে খাওয়াতে, আর আমরা শুরু করলাম বিয়েতে খাওয়ানো!
0 notes