পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম দিন হচ্ছে জুলহজ্ব মাসের প্রথম দশ দিন।
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দিন হল জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিন
যুল হ��জ্জার প্রথম ১০ দিন কি কি?
যুল-হিজ্জার প্রথম দশ দিন হল বছরের সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ দিন, যে দিনগুলোতে আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তায়ালা) বাব্দাদেরকে তাঁর অসীম রহমতের মাধ্যমে তাদের পুরস্কার বহুগুণ করার সুযোগ দিয়েছিলেন। এই দিনগুলো এতই পবিত্র যে আল্লাহ তায়ালা শপথ করে বলেছেন: 'ভোরের শপথ; দশ রাতের কসম' [নোবেল কোরআন,
ইসলামের সেরা ১০টি দিন কী কী?
যুল হিজ্জার প্রথম দশ দিনকে বছরের সেরা দশ দিন এবং রমজানের পর দ্বিতীয় সুযোগ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। আমরা যারা এই বছর হজ যাত্রা করিনি, তাদের জন্য এটি এখনও একটি বরকতময় এবং অপরিমেয় সওয়াবের একটি সময়।
জিলহজ্জের ১০ দিন কেন গুরুত্বপূর্ণ?
“যুল হিজ্জার দশ দিনকে শ্রেষ্ঠত্বের দিক থেকে আলাদা করার সবচেয়ে স্পষ্ট কারণ হল এই সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় ইবাদত-সালাওয়াত (নামাজ), সিয়াম (রোজা), সাদাকাহ (দান) এবং হজ (তীর্থযাত্রা)। ) অন্য কোন সময়কালে এই মহান কাজগুলি একত্রিত হয় না।" (ফাতহুল বারী)।
ইসলামে কোন দিনটি উত্তম?
ইসলামের সবচেয়ে ফযীলতপূর্ণ দিন হল যুল হিজ্জার প্রথম দশ দিন (ইসলামী ক্যালেন্ডারের 12 তম এবং শেষ মাস)। কোরান ও সুন্নাহ থেকে প্রমাণ পাওয়া যায় যে এই দশটি দিন রমজানের শেষ দশ দিন সহ বছরের অন্য সব দিনের চেয়ে উত্তম।
যুল হিজ্জার প্রথম ১০ দিন কি রোজা রাখতে হবে?
যুল হিজ্জার প্রথম 9 দিনে রোজা রাখা অত্যন্ত বাঞ্ছনীয়, এবং এটি এমন একটি কাজ যা নবী (সাঃ) অংশ নিয়েছিলেন এবং অন্যদেরও করতে উত্সাহিত করেছিলেন। জুল হিজ্জার সময় রোজা রাখার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিনটি আসে 9 তম দিনে, আরাফার দিন, যেখানে রোজার আলোকে 2 বছরের মূল্যবান গুনাহ মাফ করা হবে।
জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের ফযিলত এবং আমল || Zil Hajj || Arafat Day
https://www.youtube.com/watch?v=MAzprF5YH6M
The best days in the world are the first ten days of the month of Zilhaj
The best days in the world are the first ten days of Dhul Hajj.
হজের মাস ‘জিলহজে’র তাৎপর্য ও আমল
জিলহজের প্রথম দশ দিন অত্যন্ত তাৎপর্যবহ ও পুণ্যময়। হাদিসের বিভিন্ন বর্ণনা মতে, এ দশ দিন পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠতম দিন। এ দিনগুলোতে ইবাদত ও আমলের প্রতি সবিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। জিলহজ মাসের প্রথম দশদিনের মর্যাদা, মাহাত্ম্য ও শ্রেষ্ঠত্ব বোঝাতে গিয়ে আল্লাহ তাআলা এ দিনগুলোর কসম করেছেন।
জিলহজের প্রথম দশ দিন অত্যন্ত তাৎপর্যবহ ও পুণ্যময়। হাদিসের বিভিন্ন বর্ণনা মতে, এ দশ দিন পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠতম দিন। এ দিনগুলোতে ইবাদত ও আমলের প্রতি সবিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
কোরআনে জিলহজের আলোচনা
জিলহজ মাসের প্রথম দশদিনের মর্যাদা, মাহাত্ম্য ও শ্রেষ্ঠত্ব বোঝাতে গিয়ে আল্লাহ তাআলা এ দিনগুলোর কসম করেছেন। তিনি বলেন, ‘শপথ প্রভাতের। শপথ ১০ রাতের। ’ (সুরা ফাজর, আয়াত: ১-২)
তাফসিরবিদরা বলেন, এখানে যে ১০ রাতের কথা বলা হয়েছে, এর মাধ্যমে জিলহজের প্রথম দশ দিনকেই বোঝানো হয়েছে। (তাফসিরে ইবনে কাসির, চতুর্থ খণ্ড, পৃষ্ঠা: ৫৩৫)
মোট চারটি মাসকে আল্লাহ তাআলা পবিত্র ও সম্মানিত করেছেন। তন্মধ্যে জিলহজ অন্যতম। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর বিধান ও গণনায় মাস ১২টি, আসমানগুলো ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকে। তন্মধ্যে চারটি মাস সম্মানিত। ’ (সুরা তাওবা, আয়াত: ৩৬) এ আয়াতের ব্যাখ্যায় হাদিস শরিফে এসেছে, ওই চারটি সম্মানিত মাস হলো—জিলকদ, জিলহজ, মহররম ও রজব।
হাদিসে জিলহজের ফজিলত
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহর কাছে জিলহজের প্রথম দশকের নেক আমলের চেয়ে অন্য কোনো দিনের আমলই উত্তম নয়। ’ সাহাবারা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আল্লাহর রাস্তায় সংগ্রামও এই দশকের আমলের চেয়ে উত্তম নয়? রাসুল (সা.) বললেন, ‘আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ-সংগ্রামও এর চেয়ে উত্তম নয়; তবে ওই ব্যক্তি ছাড়া, যে তার সর্বস্ব নিয়ে জিহাদে অংশগ্রহণ করল এবং কিছুই নিয়ে ফিরে এলো না। ’ (আবু দাউদ, হাদিস নং: ২৪৩৮; বুখারি, হাদিস নং: ৯৬৯)
অন্য হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর কাছে জিলহজের প্রথম দশকের নেক আমলের চেয়ে বেশি প্রিয় অন্য কোনো দিনের আমল নেই। এ দিনগুলোর এক দিনের রোজা এক বছরের রোজার সমতুল্য এবং এক রাতের ইবাদত শবেকদরের ইবাদততুল্য। ’ (তিরমিজি, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ১৫৮)
জিলহজের প্রথম দশকের আমল
এ মাসের প্রথম দশ দিন রোজা রাখা অন্যতম নেক আমল হিসেবে গণ্য। তাই এ দিনগুলোতে নফল রোজা রাখা খুবই পুণ্যময়। হুনাইদা বিন খালেদ তার স্ত্রী থেকে এবং তিনি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জনৈক স্ত্রী থেকে বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) জিলহজ মাসের ৯ তারিখ, আশুরার দিন ও প্রত্যেক মাসের তিন দিন রোজা পালন করতেন। ’ (সুনানে নাসায়ি, হাদিস নং: ২৩৭২)
আরাফার দিনে রোজা
আরাফার দিন রোজা রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু রাসুলুল্লাহ (সা.) থেকে প্রমাণিত, তিনি আরাফার দিনের রোজার ব্যাপারে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আরাফার দিনের রোজা সম্পর্কে আল্লাহর কাছে আশা করি যে তা বিগত এক বছর ও আগামী এক বছরের পাপের কাফফারা হিসেবে গ্রহণ করা হবে। ’ (মুসলিম, হাদিস : ১১৬২)
তবে হজপালনে গিয়ে আরাফায় অবস্থানকারী হাজিদের জন্য রোজা রাখা মুস্তাহাব নয়। কেননা মহানবী (সা.) রোজাবিহীন অবস্থায় আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করেছিলেন।
হজ-ওমরাহ সম্পাদন করা
জিলহজের প্রথম দশকের সর্বশ্রেষ্ঠ আমল হলো—হজ ও ওমরাহ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘এক ওমরাহ থেকে আরেক ওমরাহ—এতদুভয়ের মাঝের গুনাহগুলোর কাফফারা। আর মাবরুর হজের প্রতিদান শুধুই জান্নাত। ’ (বুখারি, হাদিস নং: ১৭৭৩; মুসলিম, হাদিস নং: ৩৩৫৫)
তাকবির ও তাসবিহ পড়া
এই দিনগুলোতে তাকবির (আল্লাহু আকবার), তাহমিদ (আলহামদু লিল্লাহ), তাহলিল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) ও তাসবিহ (সুবহানাল্লাহ) পড়া সুন্নাত। হাদিসে এ দিনগুলোয় জিকির-আজকারের ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘এ ১০ দিন নেক আমল করার চেয়ে আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় ও মহান কোনো আমল নেই। তাই তোমরা এ সময় তাহলিল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ), তাকবির (আল্লাহু আকবার) ও তাহমিদ (আল হামদুলিল্লাহ) বেশি বেশি করে পাঠ করো। ’ (বায়হাকি, শুআবুল ঈমান, হাদিস নং: ৩৪৭৪)
জিলহজের চাঁদ উঠলে করণীয়
জিলহজ মাসের চাঁদ উঠার পর থেকে চুল, গোঁফ, নখ, বগল ও অন্যান্য স্থানের লোম বা পশম না কাটা মুস্তাহাব। এ সম্পর্কে উম্মে সালমা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবী করিম (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জিলহজের চাঁদ দেখে এবং কোরবানির ইচ্ছা করে, সে যতক্ষণ কোরবানি না করে, ততক্ষণ পর্যন্ত যেন চুল বা নখ না কাটে। ’ (মুসলিম, হাদিস নং: ৩৬৫৬)
চুল, গোঁফ, নখ ও অন্যান্য পশম না কাটার আমলটি ওয়াজিব নয়; মুস্তাহাব। ফিকাহবিদরা বলেছেন, এগুলো না কাটার হিকমত হলো- হজযাত্রীদের সঙ্গে সাদৃশ্য ধারণ করা।
আল্লামা ইবনু কায়্যিমিল জাওজিয়্যাহ (রহ.) বলেন, পশু কোরবানির সঙ্গে সঙ্গে নিজের কিছু অংশ আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কোরবানি (ত্যাগ) করায় যেন অভ্যস্ত হতে পারেন, এ জন্য এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তাকবিরে তাশরিক পাঠ করা
জিলহজ মাসের ৯ তারিখ ফজরের নামাজ থেকে ১৩ তারিখের আসরের নামাজ পর্যন্ত মোট ২৩ ওয়াক্ত নামাজের পর তাকবিরে তাশরিক পড়া ওয়াজিব।
ফরজ নামাজের পর প্রত্যেক বালেগ পুরুষ, মহিলা, মুকিম, মুসাফির, গ্রামবাসী, শহরবাসী এবং যে কেউ জামাতের সঙ্গে নামাজ পড়ুক বা একাকী পড়ুক—প্রত্যেকের ওপর একবার করে তাকবিরে তাশরিক পাঠ করা কর্তব্য। (ফাতাওয়ায়ে শামি, বাহরুর রায়েক)
তাকবিরে তাশরিক একবারের অধিক না বলা বাঞ্ছনীয়। কারণ একের অধিক বলার কথা ইসলামে নেই। (তাহতাবি, পৃ. ২৯৪) তাকবিরে তাশরিক হলো—‘আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ। ’
সবশেষে পশু কোরবানি করা
এ দিনগুলোর শেষ দিন সামর্থ্যবান ব্যক্তির জন্য কোরবানি করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার নবী (সা.)-কে কোরবানি করতে নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আপনি আপনার প্রতিপালকের উদ্দেশে সালাত আদায় করুন ও কোরবানি করুন। ’ (সুরা আল-কাউসার, আয়াত: ০২)
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম দিন হচ্ছে জুলহজ্ব মাসের প্রথম দশ দিন।
জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল ও ফজিলত
বছরের শ্রেষ্ঠ ১০ দিন!! জিলহজ্জ মাসের প্রথম দশ দিনের গুরুত্ব ও ফজিলত ও করণীয় আমল।
https://www.youtube.com/watch?v=us4G0ckUgz0
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম দিন হচ্ছে জুলহজ্ব মাসের প্রথম দশ দিন।
The best days in the world are the first ten days of the month of Zilhaj
0 notes
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম দিন হচ্ছে জুলহজ্ব মাসের প্রথম দশ দিন।
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দিন হল জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিন
যুল হিজ্জার প্রথম ১০ দিন কি কি?
যুল-হিজ্জার প্রথম দশ দিন হল বছরের সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ দিন, যে দিনগুলোতে আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তায়ালা) বাব্দাদেরকে তাঁর অসীম রহমতের মাধ্যমে তাদের পুরস্কার বহুগুণ করার সুযোগ দিয়েছিলেন। এই দিনগুলো এতই পবিত্র যে আল্লাহ তায়ালা শপথ করে বলেছেন: 'ভোরের শপথ; দশ রাতের কসম' [নোবেল কোরআন,
ইসলামের সেরা ১০টি দিন কী কী?
যুল হিজ্জার প্রথম দশ দিনকে বছরের সেরা দশ দিন এবং রমজানের পর দ্বিতীয় সুযোগ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। আমরা যারা এই বছর হজ যাত্রা করিনি, তাদের জন্য এটি এখনও একটি বরকতময় এবং অপরিমেয় সওয়াবের একটি সময়।
জিলহজ্জের ১০ দিন কেন গুরুত্বপূর্ণ?
“যুল হিজ্জার দশ দিনকে শ্রেষ্ঠত্বের দিক থেকে আলাদা করার সবচেয়ে স্পষ্ট কারণ হল এই সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় ইবাদত-সালাওয়াত (নামাজ), সিয়াম (রো��া), সাদাকাহ (দান) এবং হজ (তীর্থযাত্রা)। ) অন্য কোন সময়কালে এই মহান কাজগুলি একত্রিত হয় না।" (ফাতহুল বারী)।
ইসলামে কোন দিনটি উত্তম?
ইসলামের সবচেয়ে ফযীলতপূর্ণ দিন হল যুল হিজ্জার প্রথম দশ দিন (ইসলামী ক্যালেন্ডারের 12 তম এবং শেষ মাস)। কোরান ও সুন্নাহ থেকে প্রমাণ পাওয়া যায় যে এই দশটি দিন রমজানের শেষ দশ দিন সহ বছরের অন্য সব দিনের চেয়ে উত্তম।
যুল হিজ্জার প্রথম ১০ দিন কি রোজা রাখতে হবে?
যুল হিজ্জার প্রথম 9 দিনে রোজা রাখা অত্যন্ত বাঞ্ছনীয়, এবং এটি এমন একটি কাজ যা নবী (সাঃ) অংশ নিয়েছিলেন এবং অন্যদেরও করতে উত্সাহিত করেছিলেন। জুল হিজ্জার সময় রোজা রাখার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিনটি আসে 9 তম দিনে, আরাফার দিন, যেখানে রোজার আলোকে 2 বছরের মূল্যবান গুনাহ মাফ করা হবে।
জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের ফযিলত এবং আমল || Zil Hajj || Arafat Day
https://www.youtube.com/watch?v=MAzprF5YH6M
The best days in the world are the first ten days of the month of Zilhaj
The best days in the world are the first ten days of Dhul Hajj.
হজের মাস ‘জিলহজে’র তাৎপর্য ও আমল
জিলহজের প্রথম দশ দিন অত্যন্ত তাৎপর্যবহ ও পুণ্যময়। হাদিসের বিভিন্ন বর্ণনা মতে, এ দশ দিন পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠতম দিন। এ দিনগুলোতে ইবাদত ও আমলের প্রতি সবিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। জিলহজ মাসের প্রথম দশদিনের মর্যাদা, মাহাত্ম্য ও শ্রেষ্ঠত্ব বোঝাতে গিয়ে আল্লাহ তাআলা এ দিনগুলোর কসম করেছেন।
জিলহজের প্রথম দশ দিন অত্যন্ত তাৎপর্যবহ ও পুণ্যময়। হাদিসের বিভিন্ন বর্ণনা মতে, এ দশ দিন পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠতম দিন। এ দিনগুলোতে ইবাদত ও আমলের প্রতি সবিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
কোরআনে জিলহজের আলোচনা
জিলহজ মাসের প্রথম দশদিনের মর্যাদা, মাহাত্ম্য ও শ্রেষ্ঠত্ব বোঝাতে গিয়ে আল্লাহ তাআলা এ দিনগুলোর কসম করেছেন। তিনি বলেন, ‘শপথ প্রভাতের। শপথ ১০ রাতের। ’ (সুরা ফাজর, আয়াত: ১-২)
তাফসিরবিদরা বলেন, এখানে যে ১০ রাতের কথা বলা হয়েছে, এর মাধ্যমে জিলহজের প্রথম দশ দিনকেই বোঝানো হয়েছে। (তাফসিরে ইবনে কাসির, চতুর্থ খণ্ড, পৃষ্ঠা: ৫৩৫)
মোট চারটি মাসকে আল্লাহ তাআলা পবিত্র ও সম্মানিত করেছেন। তন্মধ্যে জিলহজ অন্যতম। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর বিধান ও গণনায় মাস ১২টি, আসমানগুলো ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকে। তন্মধ্যে চারটি মাস সম্মানিত। ’ (সুরা তাওবা, আয়াত: ৩৬) এ আয়াতের ব্যাখ্যায় হাদিস শরিফে এসেছে, ওই চারটি সম্মানিত মাস হলো—জিলকদ, জিলহজ, মহররম ও রজব।
হাদিসে জিলহজের ফজিলত
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহর কাছে জিলহজের প্রথম দশকের নেক আমলের চেয়ে অন্য কোনো দিনের আমলই উত্তম নয়। ’ সাহাবারা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আল্লাহর রাস্তায় সংগ্রামও এই দশকের আমলের চেয়ে উত্তম নয়? রাসুল (সা.) বললেন, ‘আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ-সংগ্রামও এর চেয়ে উত্তম নয়; তবে ওই ব্যক্তি ছাড়া, যে তার সর্বস্ব নিয়ে জিহাদে অংশগ্রহণ করল এবং কিছুই নিয়ে ফিরে এলো না। ’ (আবু দাউদ, হাদিস নং: ২৪৩৮; বুখারি, হাদিস নং: ৯৬৯)
অন্য হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর কাছে জিলহজের প্রথম দশকের নেক আমলের চেয়ে বেশি প্রিয় অন্য কোনো দিনের আমল নেই। এ দিনগুলোর এক দিনের রোজা এক বছরের রোজার সমতুল্য এবং এক রাতের ইবাদত শবেকদরের ইবাদততুল্য। ’ (তিরমিজি, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ১৫৮)
জিলহজের প্রথম দশকের আমল
এ মাসের প্রথম দশ দিন রোজা রাখা অন্যতম নেক আমল হিসেবে গণ্য। তাই এ দিনগুলোতে নফল রোজা রাখা খুবই পুণ্যময়। হুনাইদা বিন খালেদ তার স্ত্রী থেকে এবং তিনি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জনৈক স্ত্রী থেকে বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) জিলহজ মাসের ৯ তারিখ, আশুরার দিন ও প্রত্যেক মাসের তিন দিন রোজা পালন করতেন। ’ (সুনানে নাসায়ি, হাদিস নং: ২৩৭২)
আরাফার দিনে রোজা
আরাফার দিন রোজা রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু রাসুলুল্লাহ (সা.) থেকে প্রমাণিত, তিনি আরাফার দিনের রোজার ব্যাপারে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আরাফার দিনের রোজা সম্পর্কে আল্লাহর কাছে আশা করি যে তা বিগত এক বছর ও আগামী এক বছরের পাপের কাফফারা হিসেবে গ্রহণ করা হবে। ’ (মুসলিম, হাদিস : ১১৬২)
তবে হজপালনে গিয়ে আরাফায় অবস্থানকারী হাজিদের জন্য রোজা রাখা মুস্তাহাব নয়। কেননা মহানবী (সা.) রোজাবিহীন অবস্থায় আরাফাতের ময়দ��নে অবস্থান করেছিলেন।
হজ-ওমরাহ সম্পাদন করা
জিলহজের প্রথম দশকের সর্বশ্রেষ্ঠ আমল হলো—হজ ও ওমরাহ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘এক ওমরাহ থেকে আরেক ওমরাহ—এতদুভয়ের মাঝের গুনাহগুলোর কাফফারা। আর মাবরুর হজের প্রতিদান শুধুই জান্নাত। ’ (বুখারি, হাদিস নং: ১৭৭৩; মুসলিম, হাদিস নং: ৩৩৫৫)
তাকবির ও তাসবিহ পড়া
এই দিনগুলোতে তাকবির (আল্লাহু আকবার), তাহমিদ (আলহামদু লিল্লাহ), তাহলিল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) ও তাসবিহ (সুবহানাল্লাহ) পড়া সুন্নাত। হাদিসে এ দিনগুলোয় জিকির-আজকারের ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘এ ১০ দিন নেক আমল করার চেয়ে আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় ও মহান কোনো আমল নেই। তাই তোমরা এ সময় তাহলিল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ), তাকবির (আল্লাহু আকবার) ও তাহমিদ (আল হামদুলিল্লাহ) বেশি বেশি করে পাঠ করো। ’ (বায়হাকি, শুআবুল ঈমান, হাদিস নং: ৩৪৭৪)
জিলহজের চাঁদ উঠলে করণীয়
জিলহজ মাসের চাঁদ উঠার পর থেকে চুল, গোঁফ, নখ, বগল ও অন্যান্য স্থানের লোম বা পশম না কাটা মুস্তাহাব। এ সম্পর্কে উম্মে সালমা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবী করিম (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জিলহজের চাঁদ দেখে এবং কোরবানির ইচ্ছা করে, সে যতক্ষণ কোরবানি না করে, ততক্ষণ পর্যন্ত যেন চুল বা নখ না কাটে। ’ (মুসলিম, হাদিস নং: ৩৬৫৬)
চুল, গোঁফ, নখ ও অন্যান্য পশম না কাটার আমলটি ওয়াজিব নয়; মুস্তাহাব। ফিকাহবিদরা বলেছেন, এগুলো না কাটার হিকমত হলো- হজযাত্রীদের সঙ্গে সাদৃশ্য ধারণ করা।
আল্লামা ইবনু কায়্যিমিল জাওজিয়্যাহ (রহ.) বলেন, পশু কোরবানির সঙ্গে সঙ্গে নিজের কিছু অংশ আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কোরবানি (ত্যাগ) করায় যেন অভ্যস্ত হতে পারেন, এ জন্য এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তাকবিরে তাশরিক পাঠ করা
জিলহজ মাসের ৯ তারিখ ফজরের নামাজ থেকে ১৩ তারিখের আসরের নামাজ পর্যন্ত মোট ২৩ ওয়াক্ত নামাজের পর তাকবিরে তাশরিক পড়া ওয়াজিব।
ফরজ নামাজের পর প্রত্যেক বালেগ পুরুষ, মহিলা, মুকিম, মুসাফির, গ্রামবাসী, শহরবাসী এবং যে কেউ জামাতের সঙ্গে নামাজ পড়ুক বা একাকী পড়ুক—প্রত্যেকের ওপর একবার করে তাকবিরে তাশরিক পাঠ করা কর্তব্য। (ফাতাওয়ায়ে শামি, বাহরুর রায়েক)
তাকবিরে তাশরিক একবারের অধিক না বলা বাঞ্ছনীয়। কারণ একের অধিক বলার কথা ইসলামে নেই। (তাহতাবি, পৃ. ২৯৪) তাকবিরে তাশরিক হলো—‘আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ। ’
সবশেষে পশু কোরবানি করা
এ দিনগুলোর শেষ দিন সামর্থ্যবান ব্যক্তির জন্য কোরবানি করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার নবী (সা.)-কে কোরবানি করতে নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আপনি আপনার প্রতিপালকের উদ্দেশে সালাত আদায় করুন ও কোরবানি করুন। ’ (সুরা আল-কাউসার, আয়াত: ০২)
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম দিন হচ্ছে জুলহজ্ব মাসের প্রথম দশ দিন।
জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল ও ফজিলত
বছরের শ্রেষ্ঠ ১০ দিন!! জিলহজ্জ মাসের প্রথম দশ দিনের গুরুত্ব ও ফজিলত ও করণীয় আমল।
https://www.youtube.com/watch?v=us4G0ckUgz0
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম দিন হচ্ছে জুলহজ্ব মাসের প্রথম দশ দিন।
The best days in the world are the first ten days of the month of Zilhaj
0 notes
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম দিন হচ্ছে জুলহজ্ব মাসের প্রথম দশ দিন।
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দিন হল জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিন
যুল হিজ্জার প্রথম ১০ দিন কি কি?
যুল-হিজ্জার প্রথম দশ দিন হল বছরের সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ দিন, যে দিনগুলোতে আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তায়ালা) বাব্দাদেরকে তাঁর অসীম রহমতের মাধ্যমে তাদের পুরস্কার বহুগুণ করার সুযোগ দিয়েছিলেন। এই দিনগুলো এতই পবিত্র যে আল্লাহ তায়ালা শপথ করে বলেছেন: 'ভোরের শপথ; দশ রাতের কসম' [নোবেল কোরআন,
ইসলামের সেরা ১০টি দিন কী কী?
যুল হিজ্জার প্রথম দশ দিনকে বছরের সেরা দশ দিন এবং রমজানের পর দ্বিতীয় সুযোগ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। আমরা যারা এই বছর হজ যাত্রা করিনি, তাদের জন্য এটি এখনও একটি বরকতময় এবং অপরিমেয় সওয়াবের একটি সময়।
জিলহজ্জের ১০ দিন কেন গুরুত্বপূর্ণ?
“যুল হিজ্জার দশ দিনকে শ্রেষ্ঠত্বের দিক থেকে আলাদা করার সবচেয়ে স্পষ্ট কারণ হল এই সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় ইবাদত-সালাওয়াত (নামাজ), সিয়াম (রোজা), সাদাকাহ (দান) এবং হজ (তীর্থযাত্রা)। ) অন্য কোন সময়কালে এই মহান কাজগুলি একত্রিত হয় না।" (ফাতহুল বারী)।
ইসলামে কোন দিনটি উত্তম?
ইসলামের সবচেয়ে ফযীলতপূর্ণ দিন হল যুল হিজ্জার প্রথম দশ দিন (ইসলামী ক্যালেন্ডারের 12 তম এবং শেষ মাস)। কোরান ও সুন্নাহ থেকে প্রমাণ পাওয়া যায় যে এই দশটি দিন রমজানের শেষ দশ দিন সহ বছরের অন্য সব দিনের চেয়ে উত্তম।
যুল হিজ্জার প্রথম ১০ দি�� কি রোজা রাখতে হবে?
যুল হিজ্জার প্রথম 9 দিনে রোজা রাখা অত্যন্ত বাঞ্ছনীয়, এবং এটি এমন একটি কাজ যা নবী (সাঃ) অংশ নিয়েছিলেন এবং অন্যদেরও করতে উত্সাহিত করেছিলেন। জুল হিজ্জার সময় রোজা রাখার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিনটি আসে 9 তম দিনে, আরাফার দিন, যেখানে রোজার আলোকে 2 বছরের মূল্যবান গুনাহ মাফ করা হবে।
জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের ফযিলত এবং আমল || Zil Hajj || Arafat Day
https://www.youtube.com/watch?v=MAzprF5YH6M
The best days in the world are the first ten days of the month of Zilhaj
The best days in the world are the first ten days of Dhul Hajj.
হজের মাস ‘জিলহজে’র তাৎপর্য ও আমল
জিলহজের প্রথম দশ দিন অত্যন্ত তাৎপর্যবহ ও পুণ্যময়। হাদিসের বিভিন্ন বর্ণনা মতে, এ দশ দিন পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠতম দিন। এ দিনগুলোতে ইবাদত ও আমলের প্রতি সবিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। জিলহজ মাসের প্রথম দশদিনের মর্যাদা, মাহাত্ম্য ও শ্রেষ্ঠত্ব বোঝাতে গিয়ে আল্লাহ তাআলা এ দিনগুলোর কসম করেছেন।
জিলহজের প্রথম দশ দিন অত্যন্ত ��াৎপর্যবহ ও পুণ্যময়। হাদিসের বিভিন্ন বর্ণনা মতে, এ দশ দিন পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠতম দিন। এ দিনগুলোতে ইবাদত ও আমলের প্রতি সবিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
কোরআনে জিলহজের আলোচনা
জিলহজ মাসের প্রথম দশদিনের মর্যাদা, মাহাত্ম্য ও শ্রেষ্ঠত্ব বোঝাতে গিয়ে আল্লাহ তাআলা এ দিনগুলোর কসম করেছেন। তিনি বলেন, ‘শপথ প্রভাতের। শপথ ১০ রাতের। ’ (সুরা ফাজর, আয়াত: ১-২)
তাফসিরবিদরা বলেন, এখানে যে ১০ রাতের কথা বলা হয়েছে, এর মাধ্যমে জিলহজের প্রথম দশ দিনকেই বোঝানো হয়েছে। (তাফসিরে ইবনে কাসির, চতুর্থ খণ্ড, পৃষ্ঠা: ৫৩৫)
মোট চারটি মাসকে আল্লাহ তাআলা পবিত্র ও সম্মানিত করেছেন। তন্মধ্যে জিলহজ অন্যতম। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর বিধান ও গণনায় মাস ১২টি, আসমানগুলো ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকে। তন্মধ্যে চারটি মাস সম্মানিত। ’ (সুরা তাওবা, আয়াত: ৩৬) এ আয়াতের ব্যাখ্যায় হাদিস শরিফে এসেছে, ওই চারটি সম্মানিত মাস হলো—জিলকদ, জিলহজ, মহররম ও রজব।
হাদিসে জিলহজের ফজিলত
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহর কাছে জিলহজের প্রথম দশকের নেক আমলের চেয়ে অন্য কোনো দিনের আমলই উত্তম নয়। ’ সাহাবারা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আল্লাহর রাস্তায় সংগ্রামও এই দশকের আমলের চেয়ে উত্তম নয়? রাসুল (সা.) বললেন, ‘আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ-সংগ্রামও এর চেয়ে উত্তম নয়; তবে ওই ব্যক্তি ছাড়া, যে তার সর্বস্ব নিয়ে জিহাদে অংশগ্রহণ করল এবং কিছুই নিয়ে ফিরে এলো না। ’ (আবু দাউদ, হাদিস নং: ২৪৩৮; বুখারি, হাদিস নং: ৯৬৯)
অন্য হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর কাছে জিলহজের প্রথম দশকের নেক আমলের চেয়ে বেশি প্রিয় অন্য কোনো দিনের আমল নেই। এ দিনগুলোর এক দিনের রোজা এক বছরের রোজার সমতুল্য এবং এক রাতের ইবাদত শবেকদরের ইবাদততুল্য। ’ (তিরমিজি, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ১৫৮)
জিলহজের প্রথম দশকের আমল
এ মাসের প্রথম দশ দিন রোজা রাখা অন্যতম নেক আমল হিসেবে গণ্য। তাই এ দিনগুলোতে নফল রোজা রাখা খুবই পুণ্যময়। হুনাইদা বিন খালেদ তার স্ত্রী থেকে এবং তিনি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জনৈক স্ত্রী থেকে বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) জিলহজ মাসের ৯ তারিখ, আশুরার দিন ও প্রত্যেক মাসের তিন দিন রোজা পালন করতেন। ’ (সুনানে নাসায়ি, হাদিস নং: ২৩৭২)
আরাফার দিনে রোজা
আরাফার দিন রোজা রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু রাসুলুল্লাহ (সা.) থেকে প্রমাণিত, তিনি আরাফার দিনের রোজার ব্যাপারে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আরাফার দিনের রোজা সম্পর্কে আল্লাহর কাছে আশা করি যে তা বিগত এক বছর ও আগামী এক বছরের পাপের কাফফারা হিসেবে গ্রহণ করা হবে। ’ (মুসলিম, হাদিস : ১১৬২)
তবে হজপালনে গিয়ে আরাফায় অবস্থানকারী হাজিদের জন্য রোজা রাখা মুস্তাহাব নয়। কেননা মহানবী (সা.) রোজাবিহীন অবস্থায় আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করেছিলেন।
হজ-ওমরাহ সম্পাদন করা
জিলহজের প্রথম দশকের সর্বশ্রেষ্ঠ আমল হলো—হজ ও ওমরাহ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘এক ওমরাহ থেকে আরেক ওমরাহ—এতদুভয়ের মাঝের গুনাহগুলোর কাফফারা। আর মাবরুর হজের প্রতিদান শুধুই জান্নাত। ’ (বুখারি, হাদিস নং: ১৭৭৩; মুসলিম, হাদিস নং: ৩৩৫৫)
তাকবির ও তাসবিহ পড়া
এই দিনগুলোতে তাকবির (আল্লাহু আকবার), তাহমিদ (আলহামদু লিল্লাহ), তাহলিল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) ও তাসবিহ (সুবহানাল্লাহ) পড়া সুন্নাত। হাদিসে এ দিনগুলোয় জিকির-আজকারের ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘এ ১০ দিন নেক আমল করার চেয়ে আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় ও মহান কোনো আমল নেই। তাই তোমরা এ সময় তাহলিল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ), তাকবির (আল্লাহু আকবার) ও তাহমিদ (আল হামদুলিল্লাহ) বেশি বেশি করে পাঠ করো। ’ (বায়হাকি, শুআবুল ঈমান, হাদিস নং: ৩৪৭৪)
জিলহজের চাঁদ উঠলে করণীয়
জিলহজ মাসের চাঁদ উঠার পর থেকে চুল, গোঁফ, নখ, বগল ও অন্যান্য স্থানের লোম বা পশম না কাটা মুস্তাহাব। এ সম্পর্কে উম্মে সালমা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবী করিম (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জিলহজের চাঁদ দেখে এবং কোরবা��ির ইচ্ছা করে, সে যতক্ষণ কোরবানি না করে, ততক্ষণ পর্যন্ত যেন চুল বা নখ না কাটে। ’ (মুসলিম, হাদিস নং: ৩৬৫৬)
চুল, গোঁফ, নখ ও অন্যান্য পশম না কাটার আমলটি ওয়াজিব নয়; মুস্তাহাব। ফিকাহবিদরা বলেছেন, এগুলো না কাটার হিকমত হলো- হজযাত্রীদের সঙ্গে সাদৃশ্য ধারণ করা।
আল্লামা ইবনু কায়্যিমিল জাওজিয়্যাহ (রহ.) বলেন, পশু কোরবানির সঙ্গে সঙ্গে নিজের কিছু অংশ আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কোরবানি (ত্যাগ) করায় যেন অভ্যস্ত হতে পারেন, এ জন্য এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তাকবিরে তাশরিক পাঠ করা
জিলহজ মাসের ৯ তারিখ ফজরের নামাজ থেকে ১৩ তারিখের আসরের নামাজ পর্যন্ত মোট ২৩ ওয়াক্ত নামাজের পর তাকবিরে তাশরিক পড়া ওয়াজিব।
ফরজ নামাজের পর প্রত্যেক বালেগ পুরুষ, মহিলা, মুকিম, মুসাফির, গ্রামবাসী, শহরবাসী এবং যে কেউ জামাতের সঙ্গে নামাজ পড়ুক বা একাকী পড়ুক—প্রত্যেকের ওপর একবার করে তাকবিরে তাশরিক পাঠ করা কর্তব্য। (ফাতাওয়ায়ে শামি, বাহরুর রায়েক)
তাকবিরে তাশরিক একবারের অধিক না বলা বাঞ্ছনীয়। কারণ একের অধিক বলার কথা ইসলামে নেই। (তাহতাবি, পৃ. ২৯৪) তাকবিরে তাশরিক হলো—‘আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ। ’
সবশেষে পশু কোরবানি করা
এ দিনগুলোর শেষ দিন সামর্থ্যবান ব্যক্তির জন্য কোরবানি করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার নবী (সা.)-কে কোরবানি করতে নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আপনি আপনার প্রতিপালকের উদ্দেশে সালাত আদায় করুন ও কোরবানি করুন। ’ (সুরা আল-কাউসার, আয়াত: ০২)
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম দিন হচ্ছে জুলহজ্ব মাসের প্রথম দশ দিন।
জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল ও ফজিলত
বছরের শ্রেষ্ঠ ১০ দিন!! জিলহজ্জ মাসের প্রথম দশ দিনের গুরুত্ব ও ফজিলত ও করণীয় আমল।
https://www.youtube.com/watch?v=us4G0ckUgz0
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম দিন হচ্ছে জুলহজ্ব মাসের প্রথম দশ দিন।
The best days in the world are the first ten days of the month of Zilhaj
0 notes
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম দিন হচ্ছে জুলহজ্ব মাসের প্রথম দশ দিন।
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দিন হল জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিন
যুল হিজ্জার প্রথম ১০ দিন কি কি?
যুল-হিজ্জার প্রথম দশ দিন হল বছরের সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ দিন, যে দিনগুলোতে আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তায়ালা) বাব্দাদেরকে তাঁর অসীম রহমতের মাধ্যমে তাদের পুরস্কার বহুগুণ করার সুযোগ দিয়েছিলেন। এই দিনগুলো এতই পবিত্র যে আল্লাহ তায়ালা শপথ করে বলেছেন: 'ভোরের শপথ; দশ রাতের কসম' [নোবেল কোরআন,
ইসলামের সেরা ১০টি দিন কী কী?
যুল হিজ্জার প্রথম দশ দিনকে বছরের সেরা দশ দিন এবং রমজানের পর দ্বিতীয় সুযোগ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। আমরা যারা এই বছর হজ যাত্রা করিনি, তাদের জন্য এটি এখনও একটি বরকতময় এবং অপরিমেয় সওয়াবের একটি সময়।
জিলহজ্জের ১০ দিন কেন গুরুত্বপূর্ণ?
“যুল হিজ্জার দশ দিনকে শ্রেষ্ঠত্বের দিক থেকে আলাদা করার সবচেয়ে স্পষ্ট কারণ হল এই সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় ইবাদত-সালাওয়াত (নামাজ), সিয়াম (রোজা), সাদাকাহ (দান) এবং হজ (তীর্থযাত্রা)। ) অন্য কোন সময়কালে এই মহান কাজগুলি একত্রিত হয় না।" (ফাতহুল বারী)।
ইসলামে কোন দিনটি উত্তম?
ইসলামের সবচেয়ে ফযীলতপূর্ণ দিন হল যুল হিজ্জার প্রথম দশ দিন (ইসলামী ক্যালেন্ডারের 12 তম এবং শেষ মাস)। কোরান ও সুন্নাহ থেকে প্রমাণ পাওয়া যায় যে এই দশটি দিন রমজানের শেষ দশ দিন সহ বছরের অন্য সব দিনের চেয়ে উত্তম।
যুল হিজ্জার প্রথম ১০ দিন কি রোজা রাখতে হবে?
যুল হিজ্জার প্রথম 9 দিনে রোজা রাখা অত্যন্ত বাঞ্ছনীয়, এবং এটি এমন একটি কাজ যা নবী (সাঃ) অংশ নিয়েছিলেন এবং অন্যদেরও করতে উত্সাহিত করেছিলেন। জুল হিজ্জার সময় রোজা রাখার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিনটি আসে 9 তম দিনে, আরাফার দিন, যেখানে রোজার আলোকে 2 বছরের মূল্যবান গুনাহ মাফ করা হবে।
জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের ফযিলত এবং আমল || Zil Hajj || Arafat Day
https://www.youtube.com/watch?v=MAzprF5YH6M
The best days in the world are the first ten days of the month of Zilhaj
The best days in the world are the first ten days of Dhul Hajj.
হজের মাস ‘জিলহজে’র তাৎপর্য ও আমল
জিলহজের প্রথম দশ দিন অত্যন্ত তাৎপর্যবহ ও পুণ্যময়। হাদিসের বিভিন্ন বর্ণনা মতে, এ দশ দিন পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠতম দিন। এ দিনগুলোতে ইবাদত ও আমলের প্রতি সবিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। জিলহজ মাসের প্রথম দশদিনের মর্যাদা, মাহাত্ম্য ও শ্রেষ্ঠত্ব বোঝাতে গিয়ে আল্লাহ তাআলা এ দিনগুলোর কসম করেছেন।
জিলহজের প্রথম দশ দিন অত্যন্ত তাৎপর্যবহ ও পুণ্যময়। হাদিসের বিভিন্ন বর্ণনা মতে, এ দশ দিন পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠতম দিন। এ দিনগুলোতে ইবাদত ও আমলের প্রতি সবিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
কোরআনে জিলহজের আলোচনা
জিলহজ মাসের প্রথম দশদিনের মর্যাদা, মাহাত্ম্য ও শ্রেষ্ঠত্ব বোঝাতে গিয়ে আল্লাহ তাআলা এ দিনগুলোর কসম করেছেন। তিনি বলেন, ‘শপথ প্রভাতের। শপথ ১০ রাতের। ’ (সুরা ফাজর, আয়াত: ১-২)
তাফসিরবিদরা বলেন, এখানে যে ১০ রাতের কথা বলা হয়েছে, এর মাধ্যমে জিলহজের প্রথম দশ দিনকেই বোঝানো হয়েছে। (তাফসিরে ইবনে কাসির, চতুর্থ খণ্ড, পৃষ্ঠা: ৫৩৫)
মোট চারটি মাসকে আল্লাহ তাআলা পবিত্র ও সম্মানিত করেছেন। তন্মধ্যে জিলহজ অন্যতম। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর বিধান ও গণনায় মাস ১২টি, আসমানগুলো ও পৃথিবী সৃষ্টির ��িন থেকে। তন্মধ্যে চারটি মাস সম্মানিত। ’ (সুরা তাওবা, আয়াত: ৩৬) এ আয়াতের ব্যাখ্যায় হাদিস শরিফে এসেছে, ওই চারটি সম্মানিত মাস হলো—জিলকদ, জিলহজ, মহররম ও রজব।
হাদিসে জিলহজের ফজিলত
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহর কাছে জিলহজের প্রথম দশকের নেক আমলের চেয়ে অন্য কোনো দিনের আমলই উত্তম নয়। ’ সাহাবারা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আল্লাহর রাস্তায় সংগ্রামও এই দশকের আমলের চেয়ে উত্তম নয়? রাসুল (সা.) বললেন, ‘আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ-সংগ্রামও এর চেয়ে উত্তম নয়; তবে ওই ব্যক্তি ছাড়া, যে তার সর্বস্ব নিয়ে জিহাদে অংশগ্রহণ করল এবং কিছুই নিয়ে ফিরে এলো না। ’ (আবু দাউদ, হাদিস নং: ২৪৩৮; বুখারি, হাদিস নং: ৯৬৯)
অন্য হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর কাছে জিলহজের প্রথম দশকের নেক আমলের চেয়ে বেশি প্রিয় অন্য কোনো দিনের আমল নেই। এ দিনগুলোর এক দিনের রোজা এক বছরের রোজার সমতুল্য এবং এক রাতের ইবাদত শবেকদরের ইবাদততুল্য। ’ (তিরমিজি, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ১৫৮)
জিলহজের প্রথম দশকের আমল
এ মাসের প্রথম দশ দিন রোজা রাখা অন্যতম নেক আমল হিসেবে গণ্য। তাই এ দিনগুলোতে নফল রোজা রাখা খুবই পুণ্যময়। হুনাইদা বিন খালেদ তার স্ত্রী থেকে এবং তিনি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জনৈক স্ত্রী থেকে বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) জিলহজ মাসের ৯ তারিখ, আশুরার দিন ও প্রত্যেক মাসের তিন দিন রোজা পালন করতেন। ’ (সুনানে নাসায়ি, হাদিস নং: ২৩৭২)
আরাফার দিনে রোজা
আরাফার দিন রোজা রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু রাসুলুল্লাহ (সা.) থেকে প্রমাণিত, তিনি আরাফার দিনের রোজার ব্যাপারে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আরাফার দিনের রোজা সম্পর্কে আল্লাহর কাছে আশা করি যে তা বিগত এক বছর ও আগামী এক বছরের পাপের কাফফারা হিসেবে গ্রহণ করা হবে। ’ (মুসলিম, হাদিস : ১১৬২)
তবে হজপালনে গিয়ে আরাফায় অবস্থানকারী হাজিদের জন্য রোজা রাখা মুস্তাহাব নয়। কেননা মহানবী (সা.) রোজাবিহীন অবস্থায় আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করেছিলেন।
হজ-ওমরাহ সম্পাদন করা
জিলহজের প্রথম দশকের সর্বশ্রেষ্ঠ আমল হলো—হজ ও ওমরাহ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘এক ওমরাহ থেকে আরেক ওমরাহ—এতদুভয়ের মাঝের গুনাহগুলোর কাফফারা। আর মাবরুর হজের প্রতিদান শুধুই জান্নাত। ’ (বুখারি, হাদিস নং: ১৭৭৩; মুসলিম, হাদিস নং: ৩৩৫৫)
তাকবির ও তাসবিহ পড়া
এই দিনগুলোতে তাকবির (আল্লাহু আকবার), তাহমিদ (আলহামদু লিল্লাহ), তাহলিল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) ও তাসবিহ (সুবহানাল্লাহ) পড়া সুন্নাত। হাদিসে এ দিনগুলোয় জিকির-আজকারের ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘এ ১০ দিন নেক আমল করার চেয়ে আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় ও মহান কোনো আমল নেই। তাই তোমরা এ সময় তাহলিল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ), তাকবির (আল্লাহু আকবার) ও তাহমিদ (আল হামদুলিল্লাহ) বেশি বেশি করে পাঠ করো। ’ (বায়হাকি, শুআবুল ঈমান, হাদিস নং: ৩৪৭৪)
জিলহজের চাঁদ উঠলে করণীয়
জিলহজ মাসের চাঁদ উঠার পর থেকে চুল, গোঁফ, নখ, বগল ও অন্যান্য স্থানের লোম বা পশম না কাটা মুস্তাহাব। এ সম্পর্কে উম্মে সালমা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবী করিম (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জিলহজের চাঁদ দেখে এবং কোরবানির ইচ্ছা করে, সে যতক্ষণ কোরবানি না করে, ততক্ষণ পর্যন্ত যেন চুল বা নখ না কাটে। ’ (মুসলিম, হাদিস নং: ৩৬৫৬)
চুল, গোঁফ, নখ ও অন্যান্য পশম না কাটার আমলটি ওয়াজিব নয়; মুস্তাহাব। ফিকাহবিদরা বলেছেন, এগুলো না কাটার হিকমত হলো- হজযাত্রীদের সঙ্গে সাদৃশ্য ধারণ করা।
আল্লামা ইবনু কায়্যিমিল জাওজিয়্যাহ (রহ.) বলেন, পশু কোরবানির সঙ্গে সঙ্গে নিজের কিছু অংশ আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কোরবানি (ত্যাগ) করায় যেন অভ্যস্ত হতে পারেন, এ জন���য এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তাকবিরে তাশরিক পাঠ করা
জিলহজ মাসের ৯ তারিখ ফজরের নামাজ থেকে ১৩ তারিখের আসরের নামাজ পর্যন্ত মোট ২৩ ওয়াক্ত নামাজের পর তাকবিরে তাশরিক পড়া ওয়াজিব।
ফরজ নামাজের পর প্রত্যেক বালেগ পুরুষ, মহিলা, মুকিম, মুসাফির, গ্রামবাসী, শহরবাসী এবং যে কেউ জামাতের সঙ্গে নামাজ পড়ুক বা একাকী পড়ুক—প্রত্যেকের ওপর একবার করে তাকবিরে তাশরিক পাঠ করা কর্তব্য। (ফাতাওয়ায়ে শামি, বাহরুর রায়েক)
তাকবিরে তাশরিক একবারের অধিক না বলা বাঞ্ছনীয়। কারণ একের অধিক বলার কথা ইসলামে নেই। (তাহতাবি, পৃ. ২৯৪) তাকবিরে তাশরিক হলো—‘আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ। ’
সবশেষে পশু কোরবানি করা
এ দিনগুলোর শেষ দিন সামর্থ্যবান ব্যক্তির জন্য কোরবানি করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার নবী (সা.)-কে কোরবানি করতে নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আপনি আপনার প্রতিপালকের উদ্দেশে সালাত আদায় করুন ও কোরবানি করুন। ’ (সুরা আল-কাউসার, আয়াত: ০২)
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম দিন হচ্ছে জুলহজ্ব মাসের প্রথম দশ দিন।
জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল ও ফজিলত
বছরের শ্রেষ্ঠ ১০ দিন!! জিলহজ্জ মাসের প্রথম দশ দিনের গুরুত্ব ও ফজিলত ও করণীয় আমল।
https://www.youtube.com/watch?v=us4G0ckUgz0
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম দিন হচ্ছে জুলহজ্ব মাসের প্রথম দশ দিন।
The best days in the world are the first ten days of the month of Zilhaj
0 notes
The First Slam Dunk HD Japonés Animación
-Descripción: El "velocista" y armador de Shohoku, Ryouta Miyagi, siempre juega con inteligencia y la velocidad del rayo, corriendo en círculos alrededor de sus oponentes mientras finge compostura. Nacido y criado en Okinawa, Ryouta tenía un hermano tres años mayor. Siguiendo los pasos de su hermano mayor, que fue un famoso jugador local desde muy joven, Ryouta también se volvió adicto al baloncesto. En su segundo año de escuela secundaria, Ryouta juega con el equipo de baloncesto de la escuela secundaria Shohoku junto con Sakuragi, Rukawa, Akagi y Mitsui mientras suben al escenario en el Campeonato Nacional Inter-High School. Y ahora están a punto de desafiar a los campeones reinantes, la escuela secundaria Sannoh Kogyo. Disfruta de nuestro contenido y entra a nuestra web como redes sociales para ver mucho mas.. El siguiente contenido a ver no es de nuestra autoría los derechos están reservados al autor de la obra y al estudio de la adaptación
Opción 01
Opción 02
Opción 03
Catalogo 2024
Películlas
Esperamos que les guste el contenido recuerda compartir lo y dejar tu DONACION eso nos apoyara
Read the full article
0 notes
Table 7- Pronunciation of Vowel Digraphs
Table 7- Pronunciation of Vowel Digraphs
Table 6- Pronunciation of Vowel Digraphs
Table-5 Pronunciation of Vowels a and i in open and closed syllables
Table-4 Pronunciation of vowels y and u in open and closed syllables
Table 3- Pronunciation of Vowels in different syllable types
Table 2-Pronunciation of Vowels a, e, u, o + re in syllable type
Table 1-Pronunciation of Vowels o and e in open and closed syllables
Pronunciation of letters- u, o, a, e, x, l,y and letter groups- ow, ng, er, or, rr in English
Pronunciation of the letter “a” before consonants
Read the full article
0 notes
Check out this post… "The First".
0 notes
Did storyboards for the film, entitled The First. Written and directed by Susan Ruth. Produced by Dark Arts Entertainment and Six Foot Umbrella. Looking forward to seeing the movie when it comes out. Congrats to Susan, her cast and crew, and everyone at Six Foot and Dark Arts. Looking forward to doing more storyboards and more projects to come.
0 notes
Basic knowledge about Amazon
0 notes
The best days in the world are the first ten days of the month of Zilhaj
The first 10 days of dhul hijjah
The first ten days of Dhul-Hijjah are the most virtuous days of the year, in which Allah (swt) has blessed his Ummah with opportunities to multiply their rewards through His infinite mercy. These days are so sacred that Allah swears an oath by them:'By the dawn; by the ten nights' [The Noble Qur'an, 89:1-2].
What are the first 10 days of Dhul Hijjah?
The first ten days of Dhul-Hijjah are the most virtuous days of the year, in which Allah (swt) has blessed his Ummah with opportunities to multiply their rewards through His infinite mercy. These days are so sacred that Allah swears an oath by them:'By the dawn; by the ten nights' [The Noble Qur'an,
What are the 10 best days in Islam?
The first ten days of Dhul Hijjah are often referred to as the best ten days of the year, and a second chance after Ramadan. For those of us not performing the Hajj pilgrimage this year, this is still a great time of blessing and immense reward.
Why is the 10 days of Zil Hajj important?
“The most apparent reason for the ten days of Dhul Hijjah being distinguished in excellence is due to the assembly of the greatest acts of worship in this period - salawat (prayers), siyam (fasting), sadaqah (charity) and the Hajj (pilgrimage). In no other periods do these great deeds combine.” (Fath al Bari).
Which day is better in Islam?
The most virtuous days in Islam are the first ten days of Dhul Hijjah (the 12th and last month of the Islamic calendar). Evidences from Qur'an and Sunnah indicate that these ten days are better than all the other days of the year, including the last ten days of Ramadan.
Do you have to fast the first 10 days of Dhul Hijjah?
Fasting on the first 9 days of Dhul Hijjah is highly recommended, and is an act that the Prophet (saw) partook in and encouraged others to do as well. The most important day for fasting during Dhul Hijjah comes on the 9th day, the day of Arafah, where 2 years' worth of sins will be forgiven in light of fasting.
The First Ten Days of Dhul Hijjah are the best days of this world 😍 !
Importance Of The First 10 Days Of Dhul-Hijjah
The first ten days of Dhul Hijjah - the best days of this world!
Best deeds to perform during the first 10 days of dhul hijjah
0 notes
The best days in the world are the first ten days of the month of Zilhaj
The first 10 days of dhul hijjah
The first ten days of Dhul-Hijjah are the most virtuous days of the year, in which Allah (swt) has blessed his Ummah with opportunities to multiply their rewards through His infinite mercy. These days are so sacred that Allah swears an oath by them:'By the dawn; by the ten nights' [The Noble Qur'an, 89:1-2].
What are the first 10 days of Dhul Hijjah?
The first ten days of Dhul-Hijjah are the most virtuous days of the year, in which Allah (swt) has blessed his Ummah with opportunities to multiply their rewards through His infinite mercy. These days are so sacred that Allah swears an oath by them:'By the dawn; by the ten nights' [The Noble Qur'an,
What are the 10 best days in Islam?
The first ten days of Dhul Hijjah are often referred to as the best ten days of the year, and a second chance after Ramadan. For those of us not performing the Hajj pilgrimage this year, this is still a great time of blessing and immense reward.
Why is the 10 days of Zil Hajj important?
“The most apparent reason for the ten days of Dhul Hijjah being distinguished in excellence is due to the assembly of the greatest acts of worship in this period - salawat (prayers), siyam (fasting), sadaqah (charity) and the Hajj (pilgrimage). In no other periods do these great deeds combine.” (Fath al Bari).
Which day is better in Islam?
The most virtuous days in Islam are the first ten days of Dhul Hijjah (the 12th and last month of the Islamic calendar). Evidences from Qur'an and Sunnah indicate that these ten days are better than all the other days of the year, including the last ten days of Ramadan.
Do you have to fast the first 10 days of Dhul Hijjah?
Fasting on the first 9 days of Dhul Hijjah is highly recommended, and is an act that the Prophet (saw) partook in and encouraged others to do as well. The most important day for fasting during Dhul Hijjah comes on the 9th day, the day of Arafah, where 2 years' worth of sins will be forgiven in light of fasting.
The First Ten Days of Dhul Hijjah are the best days of this world 😍 !
Importance Of The First 10 Days Of Dhul-Hijjah
The first ten days of Dhul Hijjah - the best days of this world!
Best deeds to perform during the first 10 days of dhul hijjah
0 notes
The best days in the world are the first ten days of the month of Zilhaj
The first 10 days of dhul hijjah
The first ten days of Dhul-Hijjah are the most virtuous days of the year, in which Allah (swt) has blessed his Ummah with opportunities to multiply their rewards through His infinite mercy. These days are so sacred that Allah swears an oath by them:'By the dawn; by the ten nights' [The Noble Qur'an, 89:1-2].
What are the first 10 days of Dhul Hijjah?
The first ten days of Dhul-Hijjah are the most virtuous days of the year, in which Allah (swt) has blessed his Ummah with opportunities to multiply their rewards through His infinite mercy. These days are so sacred that Allah swears an oath by them:'By the dawn; by the ten nights' [The Noble Qur'an,
What are the 10 best days in Islam?
The first ten days of Dhul Hijjah are often referred to as the best ten days of the year, and a second chance after Ramadan. For those of us not performing the Hajj pilgrimage this year, this is still a great time of blessing and immense reward.
Why is the 10 days of Zil Hajj important?
“The most apparent reason for the ten days of Dhul Hijjah being distinguished in excellence is due to the assembly of the greatest acts of worship in this period - salawat (prayers), siyam (fasting), sadaqah (charity) and the Hajj (pilgrimage). In no other periods do these great deeds combine.” (Fath al Bari).
Which day is better in Islam?
The most virtuous days in Islam are the first ten days of Dhul Hijjah (the 12th and last month of the Islamic calendar). Evidences from Qur'an and Sunnah indicate that these ten days are better than all the other days of the year, including the last ten days of Ramadan.
Do you have to fast the first 10 days of Dhul Hijjah?
Fasting on the first 9 days of Dhul Hijjah is highly recommended, and is an act that the Prophet (saw) partook in and encouraged others to do as well. The most important day for fasting during Dhul Hijjah comes on the 9th day, the day of Arafah, where 2 years' worth of sins will be forgiven in light of fasting.
The First Ten Days of Dhul Hijjah are the best days of this world 😍 !
Importance Of The First 10 Days Of Dhul-Hijjah
The first ten days of Dhul Hijjah - the best days of this world!
Best deeds to perform during the first 10 days of dhul hijjah
0 notes
The best days in the world are the first ten days of the month of Zilhaj
The first 10 days of dhul hijjah
The first ten days of Dhul-Hijjah are the most virtuous days of the year, in which Allah (swt) has blessed his Ummah with opportunities to multiply their rewards through His infinite mercy. These days are so sacred that Allah swears an oath by them:'By the dawn; by the ten nights' [The Noble Qur'an, 89:1-2].
What are the first 10 days of Dhul Hijjah?
The first ten days of Dhul-Hijjah are the most virtuous days of the year, in which Allah (swt) has blessed his Ummah with opportunities to multiply their rewards through His infinite mercy. These days are so sacred that Allah swears an oath by them:'By the dawn; by the ten nights' [The Noble Qur'an,
What are the 10 best days in Islam?
The first ten days of Dhul Hijjah are often referred to as the best ten days of the year, and a second chance after Ramadan. For those of us not performing the Hajj pilgrimage this year, this is still a great time of blessing and immense reward.
Why is the 10 days of Zil Hajj important?
“The most apparent reason for the ten days of Dhul Hijjah being distinguished in excellence is due to the assembly of the greatest acts of worship in this period - salawat (prayers), siyam (fasting), sadaqah (charity) and the Hajj (pilgrimage). In no other periods do these great deeds combine.” (Fath al Bari).
Which day is better in Islam?
The most virtuous days in Islam are the first ten days of Dhul Hijjah (the 12th and last month of the Islamic calendar). Evidences from Qur'an and Sunnah indicate that these ten days are better than all the other days of the year, including the last ten days of Ramadan.
Do you have to fast the first 10 days of Dhul Hijjah?
Fasting on the first 9 days of Dhul Hijjah is highly recommended, and is an act that the Prophet (saw) partook in and encouraged others to do as well. The most important day for fasting during Dhul Hijjah comes on the 9th day, the day of Arafah, where 2 years' worth of sins will be forgiven in light of fasting.
The First Ten Days of Dhul Hijjah are the best days of this world 😍 !
Importance Of The First 10 Days Of Dhul-Hijjah
The first ten days of Dhul Hijjah - the best days of this world!
Best deeds to perform during the first 10 days of dhul hijjah
0 notes
G.I. Joe Classified Tiger Force Dusty Target Exclusive Images Updated
0 notes
Podcast: How to become a spin instructor and open a spin studio 👨🏫 📻 💡
https://newsinfitness.com/podcast-how-to-become-a-spin-instructor-and-open-a-spin-studio/
0 notes
Mac Studio Ultra vs MacBook Pro M1Pro - Maxed Out ProTools Session 🍎
https://applevideos.co.uk/mac-studio/mac-studio-ultra-vs-macbook-pro-m1pro-maxed-out-protools-session
0 notes