Tumgik
#বর
alibaba1xk · 1 year
Text
বগুড়ায় সোনার বার দেখিয়ে প্রতারণার সময় আটক ৪
বগুড়ায় সোনার বার দেখিয়ে প্রতারণার সময় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেল তিন টার দিকে শহরের কামারগাড়ি মোড় এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন- বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার গন্ডগ্রাম উত্তর পাড়ার মৃত হোসেন আলীর ছেলে জয়নাল মন্ডল, শহরের সেউজগাড়ি রেল কলোনী এলাকার মাহবুবুর রহমান কাইলার ছেলে ফজলুর রহমান, দুপচাঁচিয়া উপজেলার লাফাপাড়া এলাকার নিরঞ্জন চন্দ্র দাসের ছেলে খোকন চন্দ্র দাস ও…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
Photo
Tumblr media
#poetryofneyamat নেয়ামত ভূঁইয়া’র কবিতা স্বাধীনতা: অশ্রুর অস্ত্রে তোমাকে যায় না পাওয়া তোমাকে না পেয়ে নির্মূল হই শেষে; পরিচয়-রেখা দিনে দিনে যায় মুছে, নিজেকে খুঁজেছি ঘোরের ভূতের দেশে; খুঁজবো কোথায়! সে দিশাও গেছে ঘুচে। সাগর যেমন নোনা জলের সংসার; আমারও তেমনি নোনা জলের চোখ, অশ্রুকে আমি করেছি নিজের দোসর দেখতে চেয়েছি তোমার উজল মুখ। মায়ের আঁচলে মাথা গুঁজে রাখি স্নেহে, ভাত না-জোটার আক্ষেপ নিষ্ফল; সম্মোহনের চালান মগজে দেহে, আমাকে বেঁধেছে গোলামির শৃঙ্খল। কোন রাক্ষুসে দ্বিজাতিতত্ত্ব-নীতি আমাকে রেখেছে গো-মেষের মতো পুষে, দূরান্তের এক ভাইরূপি গিরগিটি আমার শিরার রক্ত খেয়েছে চুষে। আমিতো চেয়েছি আমার ঘামের দাম আম-মানুষের রায়ের যোগ্য মান, আর তক্ষুনি বারুদ বোমার হুংকার; গর্জে উঠলো বুলেট মেশিনগান। জ্বলে উঠেছিলো আগুনের ফুল-ফুলকি একাত্তরের সে রাতে মায়ের চোখে, মায়ের আঁচল বাতাসে উড়িয়ে বলে, এই পতাকাই জড়িয়ে নে তোর বুকে। যতো তুই বসে কাঁদবি মায়ের কোলে ততো তোর পায়ে বাঁধা হবে জিঞ্জির, তোর পরিচয় লেখা আছে তোর রক্তে সেই রক্তে আগুন জ্বালালে; মুক্তি। অশ্রুর অস্ত্রে মেলেনা যুদ্ধজয়; অশ্রু কেবল মর্ম বেদনা বাড়ায়, অশ্রু মানেই আত্মবলের ক্ষয়; নিজ পরিচয় সাহারার ঝড়ে হারায়। তোমাকে না পেয়ে কেঁদেছি যুগান্তর, অপেক্ষাকে উপেক্ষা করেছে সময়, অবশেষে আমি ছেড়েছি নিজের ঘর দেশ পাবো বলে হয়েছি দেশান্তর। মুক্তিমন্ত্রে মননে জ্বেলেছ��� নেশা, রক্তের আখরে এঁকেছি পথের দিশা, সেই পথ ধরে তুমি এলে স্বাধীনতা কাটলো আমার দু’যুগের দুর্দশা। এখন আমি পেয়েছি আমার নাম, আমার জমিনে চালাই আমারই লাঙল, আমার ঘামে আমিই ফলাই ফসল, পদ্মা মেঘনা যমুনা আমারই জল। কোনো ঘুঘু আর যদি খেয়ে যায় ধান আবার যদি বর্গীরা দেয় হানা, স্বনামে বেনামে যেরূপে যখন পাবো আমরাই ওদের মৃত্যুর পরোয়ানা। ‘অশ্রুর অস্ত্রে মেলেনা যুদ্ধজয়’ এই মন্ত্র মননে রয়েছে গাঁথা, দমের অস্ত্রে দস্যু-দানব রুখে রক্ত কণায় লিখবো এ ‘স্বাধীনতা’। - #jorpukuria_barura #dr_neyamat #বরুড়া #Neyamat #banglakobita #bengalikobita #apoetic #a_poetics #poetryofneyamat #বাংলাকবিতা #Dr_NeyamatUllahBhuiyan #bengalikobita #কবিতা #englishpoetry #ড_নেয়ামতউল্যাভূঁইয়া #poetsofinstagram #গীতিকা #lyricist #গীতিকবিতা #সাহিত্য #poetrybyneyamat #নেয়ামত #lyrics #নেয়ামতভূঁইয়ারকবিতা #poetryofneyamat #neyamat_poetry #বাংলাকবিতা #dr_nubhuiyan #গীতিকবিতা https://www.instagram.com/p/Cpm4SXAhWjK/?igshid=NGJjMDIxMWI=
0 notes
Text
সালমান অর্চনাকে বর্তমান থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন
সালমান অর্চনাকে বর্তমান থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন
বিগ বস 16 প্রতিস্থাপন: ‘বিগ বস 16’-এর এই সপ্তাহে প্রচুর ঘটনা ঘটেছে। প্রতিযোগীরা একে অপরের সাথে তর্ক করতে গিয়ে এতদূর চলে গিয়েছিল যে এটি এমনকি হাতাহাতির দিকে পরিচালিত করেছিল। অনেক দৃষ্টান্তে পরিবারের বাকিরা লোকজনকে ঝগড়া করা থেকে বিরত রেখেছে। একই সময়ে, বর্তমানের দর্শকরা ‘ফ্রাইডে কা বার’ পর্বের জন্য অধীর আগ্রহে প্রস্তুত। একই সময়ে, লঞ্চ করা এর নতুন প্রোমো অনুগামীদের গুঞ্জনকে অত্যধিক করে…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
khulnabazar · 2 years
Text
বিয়ের সম্পর্কে বর-কনের বয়সের ব্যবধান কত হওয়া উচিৎ?
নিউজনাউ ডেস্ক: সম্পর্ক অতি প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। বিশেষ করে প্রেম বা বিয়ের ক্ষেত্রে। সাধারণত প্রেম বা বিয়ের সম্পর্কের জন্য বয়সটাকে আমরা তেমন একটা গুরুত্ব দেই না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে চেহারা দেখেই প্রথম পছন্দ করা হয়। কথায় আছে না, ‘আগে দর্শনধারী পরে গুণবিচারি’। তবে এর বাইরেও কেউ কেউ কারো কথা বলার ধরন পছন্দ করেন। কেউবা পছন্দ করেন কোনো বিশেষ গুণ দেখে। তবে বিয়ের ক্ষেত্রে কিন্তু বয়সটা দেখা জরুরি, এমনটাই…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
s21myp · 2 months
Text
Tumblr media
ইসলামে বিয়ের নিয়ম ও বিধান-শর্ত
বিয়ে আল্লাহর বিশেষ নেয়ামত ও রাসুল (সা.) এর গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। চারিত্রিক অবক্ষয় রোধের অনুপম হাতিয়ার।
আদর্শ পরিবার গঠন, মানুষের জৈবিক চাহিদাপূরণ ও মানবিক প্রশান্তি লাভের প্রধান উপকরণ। বিয়ে ইসলামী শরিয়তের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিধান। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মধ্যে অন্যতম হলো— তিনি তোমাদের মধ্য থেকে সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জীবনসঙ্গিনী, যাতে তোমরা তাদের নিকট প্রশান্তি লাভ করতে পারো এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক প্রেম-প্রীতি, ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। ’ (সুরা রুম, আয়াত :২১)
ইসলামে বিয়ের যাবতীয় নিয়ম-কানুন এবং বিধান-শর্ত ও আনুসাঙ্গিক বিষয় নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলো।
ইসলামে বিয়ের রুকন বা মৌলিক ভিত্তি
এক. বর-কনে উভয়ে বিয়ে সংঘটিত হওয়ার ক্ষেত্রে সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা থেকে মুক্ত হওয়া। দুই. ইজাব বা প্রস্তাবনা: এটি হচ্ছে বরের কাছে মেয়ের অভিভাবক বা তার প্রতিনিধির পক্ষ থেকে বিয়ের প্রস্তাব উপস্থান করা। যেমন, ‘আমি অমুককে তোমার কাছে বিয়ে দিলাম’ অথবা এ ধরনের অন্য কোনভাবে প্রস্তাব পেশ করা। তিন: কবুল বা গ্রহণ করা: এটি বর বা তার প্রতিনিধির সম্মতিসূচক বাক্য। যেমন, ‘আমি কবুল বা গ্রহণ করলাম’ ইত্যাদি।
বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার শর্ত (১) বর-কনে উভয়কে গ্রহণযোগ্যভাবে নির্দিষ্ট করে নেয়া। (২) বর-কনে একে অন্যের প্রতি সন্তুষ্ট হওয়া। রাসুল (সা.) বলেন, ‘স্বামীহারা নারী (বিধবা বা তালাকপ্রাপ্তা)-কে তার সিদ্ধান্ত ছাড়া (অর্থাৎ পরিষ্কারভাবে তাকে বলে তার কাছ থেকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে) বিয়ে দেয়া যাবে না। কুমারী মেয়েকে তার সম্মতি (কথার মাধ্যমে অথবা চুপ থাকার মাধ্যমে) ছাড়া বিয়ে দেয়া যাবে না। লোকেরা জিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ)! কেমন করে তার সম্মতি জানব? তিনি বললেন, চুপ করে (লজ্জার দরুন) থাকাটাই তার সম্মতি। ’ (বুখারি, হাদিস নং : ৪৭৪১)
(৩) বিয়ের আকদ (চুক্তি) করানোর দায়িত্ব মেয়ের অভিভাবককে পালন করতে হবে। যেহেতু আল্লাহ তাআলা বিয়ে দেয়ার জন্য অভিভাবকদের প্রতি নির্দেশনা জারি করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমরা তোমাদের মধ্যে অবিবাহিত নারী-পুরুষদের বিবাহ দাও। ’ (সুরা নুর, ২৪:৩২)
রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে নারী তার অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া বিয়ে করবে তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল। ’ (তিরমিজি, হাদিস নং : ১০২১)
(৪) বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই। ’ (সহিহ জামে, হাদিস নং : ৭৫৫৮)
সাক্ষী এমন দুইজন পুরুষ (স্বাধীন) সাক্ষী বা একজন পুরুষ (স্বাধীন) ও দুইজন মহিলা সাক্ষী হতে হবে, যারা প্রস্তাবনা ও কবুল বলার উভয় বক্তব্য উপস্থিত থেকে শুনতে পায়। (আদ-দুররুল মুখতার-৩/৯; ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২৬৮)
বিয়ের প্রচারণা নিশ্চিত করাও জরুরি। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা বিয়ের বিষয়টি ঘোষণা কর। ’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং: ১০৭২)
কনের অভিভাবক হওয়ার জন্য শর্ত ১. সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন হওয়া। ২. প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া। ৩. দাসত্বের শৃঙ্খল হতে মুক্ত হওয়া। ৪.অভিভাবক কনের ধর্মানুসারী হওয়া। সুতরাং কোনো অমুসলিম ব্যক্তি মুসলিম নর-নারী��� অভিভাবক হতে পারবে না।
৫. ন্যায়পরায়ণ হওয়া। অর্থাৎ ফাসেক না হওয়া। কিছু কিছু আলেম এ শর্তটি আরোপ করেছেন। অন্যেরা বাহ্যিক ‘আদালত’কে (ধর্মভীরুতা) যথেষ্ট বলেছেন। আবার কারো কারো মতে, যাকে তিনি বিয়ে দিচ্ছেন তার কল্যাণ বিবেচনা করার মত যোগ্যতা থাকলেও চলবে।
৬.পুরুষ হওয়া। প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘এক নারী অন্য নারীকে বিয়ে দিতে পারবে না। অথবা নারী নিজে নিজেকে বিয়ে দিতে পারবে না। ব্যভিচারিনী নিজে নিজেকে বিয়ে দেয়। ’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস নং : ১৭৮২; সহিহ জামে : ৭২৯৮)
৭. বিয়ের ক্ষেত্রে বর-কনের ‘কুফু’ বা সমতা ও অন্যান্য কল্যাণের দিক বিবেচনা করতে পারার যোগ্যতাবান হওয়া। ফিকাহবিদরা অভিভাবকদের ধারা নির্ধারণ করেছেন। সুতরাং কাছের অভিভাবক থাকতে দূরের অভিভাবকের অভিভাবকত্ব গ্রহণযোগ্য নয়। কাছের অভিভাবক না থাকলে দূরের অভিভাবক গ্রহণযোগ্য হবে।
0 notes
banglakhobor · 9 months
Text
বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন কভি খুশি কভি গম-এর পু! এখন কেমন দেখতে হয়েছে তাঁকে
‘কভি খুশি কভি গম’ ছবিতে স্বল্প পরিসরে অভিনয় করেরই নজর কেড়েছিলেন মালবিকা রাজ। করণ জোহরের ওই ছবিতে করিনা কাপুরের ছোটবেলার চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এখন সে আর ছোটটি নেই। ৪ অগস্ট নিজের বাগদানের ছবি ইনস্টাগ্রামের পাতায় শেয়ার করেছেন মালবিকা। ব্যবসায়ী প্রণব বাগ্গার সঙ্গে বাগদান সেরেছেন অভিনেত্রী। বাগদানের ছবি শেয়ার করেছেন মালবিকা রাজ বাগদত্তা প্রণব বাগ্গার সঙ্গে বাগদানের একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করেছেন…
View On WordPress
0 notes
kidscreativeplanet · 1 year
Link
0 notes
projapotimusichd · 1 year
Video
youtube
বিয়ে বাড়িতে বর সহ সবাইকে নাচিয়ে পাগল করল তাসলিমা সরকার । নাচ কাকে বলে...
0 notes
Text
নিয়তির নিয়তি : দ্বিতীয় পর্ব
নিজেকে সামলে তাড়াতাড়ি ওই ঘরে ছুটে যায় নিয়তি। কামোত্তেজিত বিভাস এই ঘরেই থাকে। উফফ এই সময় ই তিন্নির ঘুম ভাঙ্গার ছিল।ওই ঘরে গিয়ে তিন্নির মুখে মাই গুঁজে দেয় নিয়তি কিন্তু মেয়ের কান্না থামে না। থামবে কি করে তার স্তনে তো আর কোন দুধ অবশিষ্ঠ নেই। দেওর পো কে নিংড়ে দিয়েছে নিজের স্তন ভান্ডার। ফিডিং বোতলে দুধ খাইয়ে তিন্নির ক্ষুদা মেটাল নিয়তি। বৃষ্টি এখন ধরে এসেছে, বিভাস ও বেরিয়ে গেছে। সন্ধ্যার বেশি দেরি নেই। আজ নিয়তি একটা কথা বুঝতে পেরেছে রামুর মা ঠিক ই বলে, বিভাস কে দিয়াই মেটাতে হবে তার শরীর জ্বালা। সে জানে আজ রাতেই সে সতীত্ব হারাবে। আজ যদি বিভাস ওকে না পায়, প্রয়োজনএ ধর্ষণ করতেও পিছ পা হবে না। সেও আজ নিজেকে বিলিয়ে দিতেই চায়। অধীর আগ্রহে সে অপেক্ষা করতে লাগল।
তাড়াতাড়ি রাতের খাবার তৈরি করে নিয়তি ঘরে ফিরে এল। ঘড়ির কাঁটায় ৯ টা বাজল। এখনো বাড়ি ফেরেনি বিভাস। এদিকে বৃষ্টি আবার শুরু হলো। কে জানে কিভাবে ফিরবে ছেলেটা। রাতের খাবার খাইয়ে তিন্নিকে ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করতে লাগল নিয়তি, প্রতিদিন বুকের দুধ খাইয়ে মেয়েকে ঘুম পারলেও আজ আর বুকের দুধ দিল না। সে জানে বাছুর যেমন গাভীর বাটে দুধ খোজে সেভাবেই আজ বিভাস চুষবে ওর স্তনের বোঁটা। তিন্নি কিছুক্ষনের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়ল, ঘড়ির কাঁটায় ১০ টা, এখনো বাড়ি ফেরেনি বিভাস। এবার একটু চিন্তাই হলো নিয়তির। এত রাত তো করেনা ছেলেটা। বারান্দায় গিয়ে দাড়াল, বুকটা বেশ ভারী লাগছে, মেয়েকে না দেওয়ায় দুধে ভরে উঠেছে দুটি বুক। কিন্তু বিভাস ফিরে যদি ওর কাছে না আসে।
এমন সময় গেট এ আওয়াজ শোনা গেল, বাবুর এতক্ষনে ফেরার সময় হল, ” কোথায় ছিলি এতক্ষন? এই বর্ষা বাদলের দিনে এত রাত কেউ করে?” “এই নোট আনতে একটা ফ্রেন্ড এর বাড়ি গেছিলাম জেঠিমা”,বিভাস উত্তর দেয়। “রান্না ঘরে খাবার ধাকা আছে, খেয়ে নে, আবার মেঘ ডাকছে, বৃষ্টি আরম্ভ হবে, কারেন্ট চলে যেতে পারে,,,” নিয়তি নিজের ঘরে অপেক্ষা করতে লাগল, বিভাস খেয়ে এসে নিজের ঘরে গেল।
নিয়তির অস্থিরতা বাড়তে লাগল, যা ভেবেছিল তেমন কিছু তো হলো না।বাইরে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে, যে কোন মুহুর্তে কারেন্ট যাবে। এমন সময় বিভাস ঘরে ঢুকল,” জেঠিমা আমায় একটা কাঁথা দাও তো, রাতে শীত করবে।” ” এখন তো কথা নামানো হয় নি, তুই বরং আজ এই ঘরেই শুয়ে পর, নিয়তি বলল।ঠিক এই সময় বিরাট একটা বাজ পড়ল, কারেন্ট গেলো।
বিভাস কথা না বারিয়ে জেঠিমার বিছানায় উঠল। সে জানে আজ রাতেই সে কৌমার্য বিসর্জন দিতে চলেছে তার পরম পূজনীয় জেঠিমার কাছে। বাজ পড়ার শব্দে তিন্নি কেদে উঠল, নিয়তি মেয়ের দিকে ঘুরে বাম বোঁটা তুলে দিল মেয়ে র মুখে, কান্না থামিয়ে চো চো করে মাই টানতে লাগল তিন্নি।
এদিকে বিভাস নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারল না, পেছন দিয়ে হাত দিল জেঠিমার নরম দুধে। গায়ে একটা শিহরণ খেলে গেল নিয়তির। ধীরে ধীরে মাথা তুলে, জেঠিমার বুকে মুখ গুজে দিল বিভাস, গভীর অন্ধকারে টানতে থাকল জেঠিমার দুধে ভরা ডান মাই টা। নিয়তির দুটো স্তন এখন তার দুই সন্তান চুষছে।
নিয়তির মনে পরে গেল রিনির কথা, রিনি নিয়তির বড় মেয়ে, রিনি হওয়ার সময় ওর বুকে খুব দুধ হত, রিনির বাবা প্রতি রাতে ওর বুকের দুধ খেত এভাবেই। এভাবেই তার শরীর টা বাবা মেয়েকে ভাগ করে দিতে হতো। কিন্তু ওর বর ও এত সুন্দর করে মাই চুষতে পারত না। কিন্তু বিভাস এর চোষণ ওকে অন্য সুখের জগতে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। একটু পর তিন্নি ঘুমিয়ে পড়লে সে বিভাস এর দিকে ফিরে শুল, বিভাস ওর দুটো স্তনের মাঝখানে পাগলের মত মুখ ঘষতে লাগল। নিয়তির স্তন দুটি সত্যিই খুব সুন্দর, আজ বিভাস এর কান্ড দেখে ওর তিন্নির বাবার কথা মনে পড়ে গেল। রিনির বাবাও খুব দুধ পাগলা ছিল।
রিনির জন্মের পর নিয়ম করে স্বামীকে ব্রেস্ট ফিডিং করাত নিয়তি।প্রতিরাতে রিনি ঘুমানোর পর রিনির বাবা নিয়তির ওপর হামলে পরে বুকের দুধ খেত। দুটো মাই একদম নিঃশেষ করে ছার ত। ” জেঠিমা,,,,তোমার বোঁটা গুলো কি বড় বড়,” বিভাস এর গলায় তৃপ্তির সুর।” তোর ভালো লেগেছে বাবা,,, খা মন ভরে খা জেঠিমার বুকের দুধ।” গভীর রাতে দুই নরনারী আদিম সুখে মত্ত। ওদিকে দুধ খেতে খেতে বিভাস এর ৯ইঞ্চি বাড়া খাড়া হয়ে নিয়তির দুই পায়ের মাঝে গুতো মারতে লাগল। বিভাস জেঠিমার গায়ের ওপর পা তুলে জেঠিমা কে আঁকড়ে ধরতে লাগল।
নিয়তি বুঝতে পারল, বিভাস আজ ওর পুরো শরীরের ওপর দখল নিতে চাইছে। বিভাস এর বাড়া লোহার রডের মত শক্ত হয়ে গেছে। বিভাস হাত ঢুকিয়ে দিল জেঠিমার গুদে। আস্তে আস্তে আঙ্গুল দিয়ে গুদ এর পাপড়ি মলতে লাগল। নিয়তির গুদ এর জল খসতে লাগল। ” আয় বাবা তোর জেঠিমার গুদ ফালা ফালা করে দে,, তোর ঘন বীর্যে আমায় পোয়াতি কর,, কামোত্তেজনায় নিয়তি গোঙাতে লাগল। এবার বিভাস আস্তে করে ধোন টা জেঠিমার গুদ মুখে সেট করল। নিয়তির বরের ধোনের সাইজ ছোট ও সরু হওয়ায় নিয়তির গুদ এখনো যথেষ্ট টাইট। বিভাস জেঠিমার দুটো স্তন দুই হাতে খাবলা দিয়ে ধরে, এক ঠাপে ৯ ইঞ্চি বাড়া যোনি তে প্রবেশ করাল।
নিয়তি : উফফ বোকাচোদা ছেলে, দিলি তো আমার গুদ টা ফাটিয়ে। বিভাস: সারা জীবন তো জেঠুর লঙ্কা বাড়ার ঠাপ খেলা। আজ আমার এই আজগর সাপ দিয়ে তোমার খানদানি গুদ চুদব। নিয়তি: চোদ খানকীর ছেলে
জেঠিমার ডবকা মাই দুটো দুহাতে চেপে ধরে ঠাপ দিতে লাগল বিভাস। তার কত দিনের স্বপ্ন আজ পূরণ হচ্ছে শুধু সে জানে। সেই কবে থেকে জেঠিমার এই নধর শরীর টাকে সে চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছে সেটা সে নিজেই জানে। জেঠিমা যখন নিচু হয়ে ঘর মুচত তখন তার ওই নরম ফর্সা স্তন দেখে কত যে বিছানায় ঘষে মাল ফেলেছে সেই সাক্ষী শুধু তার কোলবালিশ।
আজ সে তার স্বপ্নের রাণীকে তার শরীরের নিচে ফেলে ভোগ করছে। সে আজ আর এই পৃথিবীতে নেই। পাঠক গণ জেনে থাকবেন, আমাদের জীবনে প্রেম ভালোবাসা, বিয়ে এসব সাধারণ ব্যাপার, প্রায় প্রত্যেক মানুষের জীবনেই আসে। কিন্তু এই নব যৌবনে নিজের স্বপ্নের রাণীর কাছে ভার্জিন হারানোর গৌরব সবার কপালে থাকে না। প্রায় মিনিট পনের সে এক নাগাড়ে চুঁদে চলল তার পরম মমতাময়ী জেঠিমা কে।
এদিকে নিয়তি ও আর পারছে না,,,, তার এই বয়সে এত দীর্ঘ যৌণ মিলনের আনন্দ সে লাভ করেনি। মনে মনে সে আজ রামুর মাকে শতকোটি প্রণাম জানায়।
দীর্ঘ চোদনকলান্ত বিভাস এবার নিয়তি দেবীকে জড়িয়ে ধরে, আস্তে আস্তে লিংগ সঞ্চালন বন্ধ করে। ওর ধোন কিন্তু এখনও লোহার মত শক্ত হয়ে গেথে আছে নিয়তির গুদে, এবার বিভাস ওর মুখটা নামিয়ে আনে জেঠিমার কমলার কোয়ার মত ঠোঁট দুটিতে। চুক চুক করে চুষতে থাকে নিয়তির অধর মধু। বিভাস এর বুকের পেষণে পিষ্ঠ হতে থাকে নিয়তির স্তন দুটি।
নিয়তি এখন অর্গাজম এর দোরগোড়ায়, জীবনে প্রথম বার সে পেতে চলেছে অর্গাজম এর স্বাদ। কিন্তু বিভাস এর মন এখন জেঠিমার ঠোঁট ছেড়ে বুকে নেমে এসেছে। বাছুর যেভাবে গাভীর বাট পানায় সেভাবেই খাচ্ছে নিয়তির বুকের দুধ। আস্তে আস্তে বিভাস এর সুতীব্র শোষণ এ শেষ হতে চলেছে ওর বুকের দুধের ধারা। এখন যদি তিন্নি জেগে যায়, ও দুধ পাবে না, কান্নাও থামবে না। এই লীলাখেলা সমাপ্ত করা যাবে না। তাই বাধ্য হয়ে বিভাস কে একটু তারা দেয় সে,,, “বাবারে ,,, থামলি কেন তোর জেঠিমার গুদ এর কুটকুটানি যে এখনো সাড়ে নি,,,,সমুদ্র মন্থন শুরু কর আবার।” ইঙ্গিত বুঝতে দেরি হয় না বিভাস এর, এবার জেঠিমার দুটো বোঁটা একসাথে করে মুখে নিয়ে শুরু করে চরম গাদন। এভাবে পাক্কা আরো কুড়ি মিনিট চোদার পর কাপুনি দিয়ে জেঠিমার বাচ্ছাদানি তে বীর্য্যপাত করে বিভাস, আর একই সময়ে রাগ মোচন হয় নিয়তির।
পরবর্তী অংশ আগামী পর্বে এখানে ব্লগে পাবেন
4 notes · View notes
alibaba1xk · 1 year
Text
বগুড়ায় ৪০ হাজার টন চাল ও ৩ টন বোরো ধান সংগ্রহ
বগুড়ায় এ বছর ১৪ হাজার ১২৮ মেট্রিকটন ধান এবং ৫৭ হাজার ৬৩৯ মেট্রিক টন ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। রোববার খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি ভিডিও কনফারেন্সে এর মাধ্যমে, সারাদেশে অভ্যন্তরীণ বোরো ধান সংগ্রহ উদ্বোধন পর বগুড়া জেলাতেও ১ টায় ধান-চাল সংগ্রহের উদ্বোধন করা হয়। জেলার সদর, শাজাহানপুর, শেরপুর, দুপচাঁচিয়া ও আদমদীঘি উপজেলায় “ডিজিটাল চাল সংগ্রহ ব্যবস্থাপনা…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
Photo
Tumblr media
#neyamat_poetry অস্তাচলের প্রান্তে এসে পূর্বাঞ্চলের স্মৃতি চারণ, কালপ্রবাহে ফলায় না ফল; ভাবনা সবই হয় অকারণ। পলে পলে সব প্রাণই হয় জীর্ণতাতে পদানত, কালের হাতে নিজকে করে অকাতরে সমর্পিত। ______ নেয়ামত #jorpukuria_barura #dr_neyamat #বরুড়া #Neyamat #banglakobita #bengalikobita #apoetic #a_poetics #poetryofneyamat #বাংলাকবিতা #Dr_NeyamatUllahBhuiyan #bengalikobita #কবিতা #englishpoetry #ড_নেয়ামতউল্যাভূঁইয়া #poetsofinstagram #গীতিকা #lyricist #গীতিকবিতা #সাহিত্য #poetrybyneyamat #নেয়ামত #lyrics #নেয়ামতভূঁইয়ারকবিতা #poetryofneyamat #neyamat_poetry #বাংলাকবিতা #dr_nubhuiyan #গীতিকবিতা https://www.instagram.com/p/CpXrV0mBN-H/?igshid=NGJjMDIxMWI=
0 notes
ilyforallahswt · 16 days
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
জান্নাতে আল্লাহর প্রতিবেশী হতে চেয়েছেন যে নারী
The woman who wants to be a neighbor of Allah in Paradise
যে নারী জান্নাতে আল্লাহর প্রতিবেশী হতে চেয়েছেন  প্রাচীন মিসরের ফেরাউনের স্ত্রী ছিলেন আসিয়া বিনতে মুজাহিম। তিনি ছিলেন এক আল্লাহ বিশ্বাসী মহীয়সী নারী। ছিলেন মানুষের প্রতি দয়ালু ও সহানুভূতিশীল। তার স্বামী ফেরাউন নিজেকে খোদা বলে দাবি করত। সে ছিল অত্যাচারী ও বদমেজাজি বাদশাহ। আসিয়া ফেরাউনের স্ত্রী ছিলেন ঠিকই কিন্তু ফেরাউনের দুশ্চরিত্রের কোনো স্বভাব তাঁকে গ্রাস করতে পারেনি। তিনি এক আল্লাহর ওপর ইমান আনেন। নিজের স্ত্রী অন্যের উপাসনা করে— এমন খবর জানতে পেরে ফেরাউন স্ত্রীকে বোঝাতে থাকেন। কিন্তু আসিয়া সত্য ধর্মের ওপর পর্বতের মতো অবিচল, অটল। ফেরাউন বিশেষ লোকদের সঙ্গে পরামর্শ করে আসিয়াকে হত্যার আদেশ দেয়। ফেরাউনের সৈন্য-সামন্ত তাঁর হাত-পা বেঁধে উত্তপ্ত সূর্যের নিচে ফেলে রাখে। ক্ষতবিক্ষত করা হয় শরীর। তবুও তিনি ঈমান ছাড়েননি। জীবনের বিনিময়ে ঈমান রক্ষা করেন। দুনিয়ার রাজপ্রাসাদের বিনিময়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন জান্নাতে আল্লাহর পাশে একটি ঘর। কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘হে আমার প্রতিপালক, আমার জন্য আপনার কাছে জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করুন। আমাকে ফেরাউন ও তার দুষ্কর্ম থেকে উদ্ধার করুন। আমাকে মুক্তি দিন অত্যাচারী সম্প্রদায় থেকে।’ (সুরা তাহরিম, আয়াত: ১১) 
আর যারা ঈমান আনে তাদের জন্য আল্লাহ ফির‘আউনের স্ত্রীর উদাহরণ পেশ করেন, যখন সে বলেছিল, ‘হে আমার প্রতিপালক, জান্নাতে আপনার কাছে আমার জন্য একটি বাড়ি নির্মাণ করুন এবং আমাকে ফির‘আউন ও তার কর্ম হতে নাজাত দিন, আর আমাকে নাজাত দিন যালিম সম্প্রদায় হতে। ✓ সূরা তাহরিম, আয়াত:- ১১
আসিয়া বিনতে মুজাহিম। প্রাচীন মিসরের ফেরাউনের (দ্বিতীয় রামেসিস) স্ত্রী ছিলেন। তিনি ছিলেন এক আল্লাহ বিশ্বাসী মহীয়সী নারী। ছিলেন মানুষের প্রতি দয়ালু ও সহানুভূতিশীল।
তাঁর স্বামী ফেরাউন নিজেকে স্রষ্টা বলে দাবি করত। সে ছিল অত্যাচারী ও বদমেজাজি বাদশাহ। অহংকার, দম্ভ ও অহমিকায় পরিপূর্ণ ছিল মসনদ।
সে সময় মানুষকে আল্লাহ বিশ্বাসী ও ফেরাউনের উদ্ধত অত্যাচার থেকে মুক্ত করার ব্রত নিয়ে পৃথিবীতে নবী মুসা (আ.) আগমন করেন।
আল্লাহ মুসা (আ.)-কে ফেরাউনের কবল থেকে রক্ষা করেছিলেন। আল্লাহর আদেশে শিশু মুসার মা তাকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় কাঠের সিন্দুকে ভরে নীল নদীতে ভাসিয়ে দেন। এই সিন্দুক ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়ার হস্তগত হয়। শিশু মুসার অপূর্ব সুন্দর চেহারা আসিয়ার মনে দাগ কাটে।
মাতৃত্বের আকাঙ্ক্ষা প্রবলভাবে জেগে ওঠে। সে তাকে লালন-পালনের দায়িত্ব নেন। পুত্রসন্তান দেখে ফেরাউন চটে যায়। কিন্তু স্ত্রীর ব্যক্তিত্বের কাছে সে হেরে যায়। আসিয়ার কাছে রাজকীয় সুখানন্দে মুসা লালিত-পালিত হতে থাকেন।
আসিয়া লাভ করেন মুসা (আ.)-এর পালকমাতা হওয়ার গৌরব। কোরআনে এসেছে, ‘ফেরাউনের স্ত্রী বলল, এ শিশু আমার ও তোমার চোখ শীতলকারী। তাকে হত্যা করো না। এ আমাদের উপকারে আসতে পারে অথবা আমরা তাকে সন্তান হিসেবে গ্রহণ করতে পারি। অথচ তারা উপলব্ধি করতে পারেনি।’
(সুরা : কাসাস, আয়াত : ৯)
আসিয়া ছিলেন ধনী পরিবারের মেয়ে। ভদ্র, শালীন, দয়ালু ও জ্ঞানী। ফেরাউনের স্ত্রী ছিলেন ঠিকই কিন্তু ফেরাউনের দুশ্চরিত্রের কোনো স্বভাব তাকে গ্রাস করতে পারেনি। অত্যাচারীর ঘরে থেকেও তিনি ছিলেন মানবতাবাদী ও মানুষের হিতৈষী। ছিলেন একজন নবীর পালকমাতা। এসব বিশেষ গুণই তাকে এক আল্লাহ বিশ্বাসী হতে সাহায্য করেছে। তিনি মুসা (আ.)-এর ধর্মগ্রহণ করেন। এক আল্লাহর ওপর ঈমান আনেন। এদিকে ফেরাউন ছিলেন মুসা (আ.)-এর পরম শত্রু। নিজের স্ত্রী অন্যের উপাসনা করে—এমন খবর জানতে পেরে ফেরাউন স্ত্রীকে বোঝাতে থাকেন। নিজের বিশাল সাম্রাজ্য ও প্রজাদের কথা বলেন। কিন্তু আসিয়া সত্য ধর্মের ওপর পাহাড়ের মতো অবিচল, অটল।
ফেরাউন দেখল, কাজ হয় না। স্ত্রী ফিরে আসছে না তার দলে। সে বিশেষ লোকদের সঙ্গে পরামর্শ করে আসিয়াকে হত্যার আদেশ দেয়।  ফেরাউনের সৈন্য-সামন্ত তাঁর হাত-পা বেঁধে উত্তপ্ত সূর্যের নিচে ফেলে রাখে। অন্যদের চেয়ে কঠিন শাস্তি দেয় তাঁকে। দেহ রক্তাক্ত হয়। ক্ষতবিক্ষত হয় শরীর। তিনি ধৈর্যহারা হননি। ঈমান ছাড়েননি। জীবনের বিনিময়ে ঈমানকে রক্ষা করেন। দুনিয়ার রাজপ্রাসাদের বিনিময়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে��� জান্নাতে আল্লাহর পাশে একটি ঘর। আল্লাহর প্রতিবেশী হওয়ার আকুলতা ব্যক্ত করেন। তাঁর প্রার্থনার কথা কোরআনে বাঙময় হয়েছে এভাবে—‘হে আমার প্রতিপালক! আমার জন্য আপনার কাছে জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করুন। আমাকে ফেরাউন ও তার দুষ্কর্ম থেকে উদ্ধার করুন। আমাকে মুক্তি দিন অত্যাচারী সম্প্রদায় থেকে।’
(সুরা : তাহরিম, আয়াত : ১১)
আল্লাহ আসিয়াকে সম্মানিত করেছেন। তাঁর প্রতি খুশি হয়েছেন। কোরআনে তাঁর ঘটনা বর্ণনা করেছেন। পরবর্তী জাতির জন্য তাঁর জীবনে শিক্ষা রেখেছেন। জান্নাতে যাওয়ার পাথেয় রেখেছেন। মানবতার নবী মুহাম্মদ (সা.)-কে তাঁর সম্পর্কে উত্তম ধারণা দিয়েছেন। রাসুল (সা.) বলেন, ‘পুরুষদের মধ্যে অনেকে পুণ্য অর্জন করেছেন। তবে নারীদের মধ্যে পুণ্য অর্জন করেছেন শুধু মারিয়াম বিনতে ইমরান ও ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া...।’
(সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩৪১১)
জান্নাতবাসী নারীদের মধ্যে আসিয়া শ্রেষ্ঠ নারীর একজন। আবদুল্লাহ বিন আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) জমিনে চারটি রেখে টেনে বলেন, তোমরা কি জানো এটা কী? সাহাবারা বলেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসুল জানেন। রাসুল (সা.) বলেন, জান্নাতবাসীর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ নারী হলেন খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ, ফাতেমা বিনতে মুহাম্মদ, মারিয়াম বিনতে ইমরান ও ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া বিনতে মুজাহিম।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২৯০৩)
দুনিয়ার বাড়ি ক্ষণস্থায়ী। পরিপূর্ণতা তো কেবল জান্নাতে। আখেরাতের হিসাবই আলাদা। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘জান্নাতে ধনুক পরিমাণ স্থান (দুনিয়ার) যেসব বস্তুর ওপর সূর্য উদিত কিংবা অস্তমিত হচ্ছে, সেসব বস্তুর চেয়েও উত্তম।’ -সহিহ বোখারি : ২৭৯৩
দুনিয়ার সব প্রাসাদের মূল্য জান্নাতের একটি ইটের দামের সমান নয়। জান্নাতে কোনো রোগ-শোক নেই, না পাওয়ায় হতাশা কিংবা বেদনা নেই। মনের মাধুরী মিশিয়ে খেতে পারবেন। জান্নাতের বাড়ি আপনাকে কখনো ছাড়তে হবে না। জান্নাতে মৃত্যু নেই।
জান্নাতে বাড়ি বানানোর সহজ কিছু আমল নিয়ে আলোচনা করা হলো-
সুরা ইখলাস দশবার পড়া : হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি সুরা ইখলাস দশবার পড়বে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি বাড়ি নির্মাণ করে দেবেন।’ -জামে আস সাগির : ১/১১৪২
মসজিদ নির্মাণ : দয়াময় আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে মসজিদ বানানো অনেক বড় ফজিলতের কাজ। হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে মসজিদ নির্মাণ করে, যদিও তা চড়–ই পাখির বাসার মতো হয়, কিংবা আরও ছোট হয়, তবুও মহান আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি বাড়ি বানিয়ে দেবেন।’ -ইবনে মাজাহ : ৭৩৮
১২ রাকাত সুন্নতে মোয়াক্কাদা নামাজ : দৈনিক ১২ রাকাত সুন্নতে মোয়াক্কাদা নামাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওই বারো রাকাত নামাজ হলো- ফজরের ফরজের আগে ২ রাকাত, জোহরের ফরজের আগে ৪ আর পরে ২ রাকাত, মাগরিবের ফরজের পরে ২ রাকাত আর এশার ফরজের পর ২ রাকাত সুন্নত নামাজ।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এমন কোনো মুসলিম নেই, যে প্রতিদিন ফরজ নামাজ ছাড়া বারো রাকাত অতিরিক্ত সুন্নত (সুন্নতে মোয়াক্কাদা) নামাজ পড়ে আর আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে বাড়ি নির্মাণ করে দেন না।’ -সহিহ আত তারগিব : ১/১৪০
নামাজের কাতার পূর্ণ করা : জামাতে নামাজ আদায়ের সময় খালি কাতার ভরাট করা। জামাতের সময় মসজিদে আমরা প্রায়ই খালি সারি দেখি কিংবা সারির মাঝে ফাঁকা রয়েছে। আমরা আমাদের আরামদায়ক জায়গা ছেড়ে খালি জায়গা ভরাট করতে এগিয়ে যাই না, অপেক্ষা করি অন্য কেউ এসে স্থানটি পূর্ণ করবে।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি নামাজের জামাতের খালি জায়গা ভরাট করবে, আল্লাহ তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেবেন এবং জান্নাতে তার জন্য একটি ঘর নির্মাণ করে দেবেন।’ -সহিহ আত তারগিব : ১/৩৩৬
তর্ক পরিহার : নিজে সঠিক থাকার পরেও তর্ক পরিহার করলে, তার জন্য আল্লাহতায়ালা বেহেশতে একটি ঘর বানানোর হুকুম দেন।
মজার ছলেও মিথ্যা নয় : অনেকে মজার ছলে মিথ্যা বলে। এটা মারাত্মক গোনাহ। ইসলামের শিক্ষা হলো- মজার ছলেও মিথ্যা না বলা। এ কাজ না করলে তার জন্য আল্লাহতায়ালা ��ান্নাতে একটি বাড়ি বানিয়ে দেবেন।
উত্তম চরিত্র : উত্তম আখলাক বজায় রাখা অনেক ফজিলতের আমল। হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আমি সেই ব্যক্তির জন্য জান্নাতের প্রান্তে একটি বাড়ির প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, যে সঠিক যুক্তি থাকা সত্ত্বেও বিবাদে লিপ্ত হয় না। জান্নাতের মধ্যদেশে একটি বাড়ি তার জন্য, যে কখনো ঠাট্টা করেও মিথ্যা বলে না। আর জান্নাতের ঊর্ধ্বাংশে একটি বাড়ি তার জন্য, যে নিজের চরিত্রকে সুন্দর করে।’ -সুনানে আবু দাউদ : ৪৮০০
বাজারে দোয়া পাঠ করে প্রবেশ করা : হাদিসে বাজারকে দুনিয়ার সর্ব নিকৃষ্ট স্থান হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তাই বাজারে প্রবেশের সময় দোয়া পড়া। বাজারে প্রবেশের দোয়ায় রয়েছে অনেক ফজিলত। যা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তিই বাজারে প্রবেশ করে (বাজারে প্রবেশের দোয়াটি) পড়বে,আল্লাহ ওই ব্যক্তির আমলনামায় ১০ লাখ নেকি লিখে দেন এবং দশ লাখ গোনাহ মাফ করে দেন। আর ওই ব্যক্তির জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ তৈরি করেন।’ -সুনানে তিরমিজি : ৩৪২৮
যে কারণে আল্লাহর প্রতিবেশী হবেন ফেরাউনের স্ত্রী 
youtube
জান্নাতে আল্লাহর প্রতিবেশী হতে চেয়েছিলেন যে নারী
youtube
আল্লাহর প্রতিবেশী কারা?
youtube
আল্লাহ তায়ালার প্রতিবেশী কারা
youtube
জান্নাতে আল্লাহর প্রতিবেশী হতে চেয়েছেন যে নারী
The woman who wants to be a neighbor of Allah in Paradise
জান্নাতে আল্লাহরপ্রতিবেশী হতে চেয়েছেন যিনি
0 notes
myreligionislam · 16 days
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
জান্নাতে আল্লাহর প্রতিবেশী হতে চেয়েছেন যে নারী
The woman who wants to be a neighbor of Allah in Paradise
যে নারী জান্নাতে আল্লাহর প্রতিবেশী হতে চেয়েছেন  প্রাচীন মিসরের ফেরাউনের স্ত্রী ছিলেন আসিয়া বিনতে মুজাহিম। তিনি ছিলেন এক আল্লাহ বিশ্বাসী মহীয়সী নারী। ছিলেন মানুষের প্রতি দয়ালু ও সহানুভূতিশীল। তার স্বামী ফেরাউন নিজেকে খোদা বলে দাবি করত। সে ছিল অত্যাচারী ও বদমেজাজি বাদশাহ। আসিয়া ফেরাউনের স্ত্রী ছিলেন ঠিকই কিন্তু ফেরাউনের দুশ্চরিত্রের কোনো স্বভাব তাঁকে গ্রাস করতে পারেনি। তিনি এক আল্লাহর ওপর ইমান আনেন। নিজের স্ত্রী অন্যের উপাসনা করে— এমন খবর জানতে পেরে ফেরাউন স্ত্রীকে বোঝাতে থাকেন। কিন্তু আসিয়া সত্য ধর্মের ওপর পর্বতের মতো অবিচল, অটল। ফেরাউন বিশেষ লোকদের সঙ্গে পরামর্শ করে আসিয়াকে হত্যার আদেশ দেয়। ফেরাউনের সৈন্য-সামন্ত তাঁর হাত-পা বেঁধে উত্তপ্ত সূর্যের নিচে ফেলে রাখে। ক্ষতবিক্ষত করা হয় শরীর। তবুও তিনি ঈমান ছাড়েননি। জীবনের বিনিময়ে ঈমান রক্ষা করেন। দুনিয়ার রাজপ্রাসাদের বিনিময়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন জান্নাতে আল্লাহর পাশে একটি ঘর। কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘হে আমার প্রতিপালক, আমার জন্য আপনার কাছে জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করুন। আমাকে ফেরাউন ও তার দুষ্কর্ম থেকে উদ্ধার করুন। আমাকে মুক্তি দিন অত্যাচারী সম্প্রদায় থেকে।’ (সুরা তাহরিম, আয়াত: ১১) 
আর যারা ঈমান আনে তাদের জন্য আল্লাহ ফির‘আউনের স্ত্রীর উদাহরণ পেশ করেন, যখন সে বলেছিল, ‘হে আমার প্রতিপালক, জান্নাতে আপনার কাছে আমার জন্য একটি বাড়ি নির্মাণ করুন এবং আমাকে ফির‘আউন ও তার কর্ম হতে নাজাত দিন, আর আমাকে নাজাত দিন যালিম সম্প্রদায় হতে। ✓ সূরা তাহরিম, আয়াত:- ১১
আসিয়া বিনতে মুজাহিম। প্রাচীন মিসরের ফেরাউনের (দ্বিতীয় রামেসিস) স্ত্রী ছিলেন। তিনি ছিলেন এক আল্লাহ বিশ্বাসী মহীয়সী নারী। ছিলেন মানুষের প্রতি দয়ালু ও সহানুভূতিশীল।
তাঁর স্বামী ফেরাউন নিজেকে স্রষ্টা বলে দাবি করত। সে ছিল অত্যাচারী ও বদমেজাজি বাদশাহ। অহংকার, দম্ভ ও অহমিকায় পরিপূর্ণ ছিল মসনদ।
সে সময় মানুষকে আল্লাহ বিশ্বাসী ও ফেরাউনের উদ্ধত অত্যাচার থেকে মুক্ত করার ব্রত নিয়ে পৃথিবীতে নবী মুসা (আ.) আগমন করেন।
আল্লাহ মুসা (আ.)-কে ফেরাউনের কবল থেকে রক্ষা করেছিলেন। আল্লাহর আদেশে শিশু মুসার মা তাকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় কাঠের সিন্দুকে ভরে নীল নদীতে ভাসিয়ে দেন। এই সিন্দুক ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়ার হস্তগত হয়। শিশু মুসার অপূর্ব সুন্দর চেহারা আসিয়ার মনে দাগ কাটে।
মাতৃত্বের আকাঙ্ক্ষা প্রবলভাবে জেগে ওঠে। সে তাকে লালন-পালনের দায়িত্ব নেন। পুত্রসন্তান দেখে ফেরাউন চটে যায়। কিন্তু স্ত্রীর ব্যক্তিত্বের কাছে সে হেরে যায়। আসিয়ার কাছে রাজকীয় সুখানন্দে মুসা লালিত-পালিত হতে থাকেন।
আসিয়া লাভ করেন মুসা (আ.)-এর পালকমাতা হওয়ার গৌরব। কোরআনে এসেছে, ‘ফেরাউনের স্ত্রী বলল, এ শিশু আমার ও তোমার চোখ শীতলকারী। তাকে হত্যা করো না। এ আমাদের উপকারে আসতে পারে অথবা আমরা তাকে সন্তান হিসেবে গ্রহণ করতে পারি। অথচ তারা উপলব্ধি করতে পারেনি।’
(সুরা : কাসাস, আয়াত : ৯)
আসিয়া ছিলেন ধনী পরিবারের মেয়ে। ভদ্র, শালীন, দয়ালু ও জ্ঞানী। ফেরাউনের স্ত্রী ছিলেন ঠিকই কিন্তু ফেরাউনের দুশ্চরিত্রের কোনো স্বভাব তাকে গ্রাস করতে পারেনি। অত্যাচারীর ঘরে থেকেও তিনি ছিলেন মানবতাবাদী ও মানুষের হিতৈষী। ছিলেন একজন নবীর পালকমাতা। এসব বিশেষ গুণই তাকে এক আল্লাহ বিশ্বাসী হতে সাহায্য করেছে। তিনি মুসা (আ.)-এর ধর্মগ্রহণ করেন। এক আল্লাহর ওপর ঈমান আনেন। এদিকে ফেরাউন ছিলেন মুসা (আ.)-এর পরম শত্রু। নিজের স্ত্রী অন্যের উপাসনা করে—এমন খবর জানতে পেরে ফেরাউন স্ত্রীকে বোঝাতে থাকেন। নিজের বিশাল সাম্রাজ্য ও প্রজাদের কথা বলেন। কিন্তু আসিয়া সত্য ধর্মের ওপর পাহাড়ের মতো অবিচল, অটল।
ফেরাউন দেখল, কাজ হয় না। স্ত্রী ফিরে আসছে না তার দলে। সে বিশেষ লোকদের সঙ্গে পরামর্শ করে আসিয়াকে হত্যার আদেশ দেয়।  ফেরাউনের সৈন্য-সামন্ত তাঁর হাত-পা বেঁধে উত্তপ্ত সূর্যের নিচে ফেলে রাখে। অন্যদের চেয়ে কঠিন শাস্তি দেয় তাঁকে। দেহ রক্তাক্ত হয়। ক্ষতবিক্ষত হয় শরীর। তিনি ধৈর্যহারা হননি। ঈমান ছাড়েননি। জীবনের বিনিময়ে ঈমানকে রক্ষা করেন। দুনিয়ার রাজপ্রাসাদের বিনিময়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন জান্নাতে আল্লাহর পাশে একটি ঘর। আল্লাহর প্রতিবেশী হওয়ার আকুলতা ব্যক্ত করেন। তাঁর প্রার্থনার কথা কোরআনে বাঙময় হয়েছে এভাবে—‘হে আমার প্রতিপালক! আমার জন্য আপনার কাছে জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করুন। আমাকে ফেরাউন ও তার দুষ্কর্ম থেকে উদ্ধার করুন। আমাকে মুক্তি দিন অত্যাচারী সম্প্রদায় থেকে।’
(সুরা : তাহরিম, আয়াত : ১১)
আল্লাহ আসিয়াকে সম্মানিত করেছেন। তাঁর প্রতি খুশি হয়েছেন। কোরআনে তাঁর ঘটনা বর্ণনা করেছেন। পরবর্তী জাতির জন্য তাঁর জীবনে শিক্ষা রেখেছেন। জান্নাতে যাওয়ার পাথেয় রেখেছেন। মানবতার নবী মুহাম্মদ (সা.)-কে তাঁর সম্পর্কে উত্তম ধারণা দিয়েছেন। রাসুল (সা.) বলেন, ‘পুরুষদের মধ্যে অনেকে পুণ্য অর্জন করেছেন। তবে নারীদের মধ্যে পুণ্য অর্জন করেছেন শুধু মারিয়াম বিনতে ইমরান ও ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া...।’
(সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩৪১১)
জান্নাতবাসী নারীদের মধ্যে আসিয়া শ্রেষ্ঠ নারীর একজন। আবদুল্লাহ বিন আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) জমিনে চারটি রেখে টেনে বলেন, তোমরা কি জানো এটা কী? সাহাবারা বলেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসুল জানেন। রাসুল (সা.) বলেন, জান্নাতবাসীর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ নারী হলেন খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ, ফাতেমা বিনতে মুহাম্মদ, মারিয়াম বিনতে ইমরান ও ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া বিনতে মুজাহিম।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২৯০৩)
দুনিয়ার বাড়ি ক্ষণস্থায়ী। পরিপূর্ণতা তো কেবল জান্নাতে। আখেরাতের হিসাবই আলাদা। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘জান্নাতে ধনুক পরিমাণ স্থান (দুনিয়ার) যেসব বস্তুর ওপর সূর্য উদিত কিংবা অস্তমিত হচ্ছে, সেসব বস্তুর চেয়েও উত্তম।’ -সহিহ বোখারি : ২৭৯৩
দুনিয়ার সব প্রাসাদের মূল্য জান্নাতের একটি ইটের দামের সমান নয়। জান্নাতে কোনো রোগ-শোক নেই, না পাওয়ায় হতাশা কিংবা বেদনা নেই। মনের মাধুরী মিশিয়ে খেতে পারবেন। জান্নাতের বাড়ি আপনাকে কখনো ছাড়তে হবে না। জান্নাতে মৃত্যু নেই।
জান্নাতে বাড়ি বানানোর সহজ কিছু আমল নিয়ে আলোচনা করা হলো-
সুরা ইখলাস দশবার পড়া : হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি সুরা ইখলাস দশবার পড়বে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি বাড়ি নির্মাণ করে দেবেন।’ -জামে আস সাগির : ১/১১৪২
মসজিদ নির্মাণ : দয়াময় আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে মসজিদ বানানো অনেক বড় ফজিলতের কাজ। হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে মসজিদ নির্মাণ করে, যদিও তা চড়–ই পাখির বাসার মতো হয়, কিংবা আরও ছোট হয়, তবুও মহান আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি বাড়ি বানিয়ে দেবেন।’ -ইবনে মাজাহ : ৭৩৮
১২ রাকাত সুন্নতে মোয়াক্কাদা নামাজ : দৈনিক ১২ রাকাত সুন্নতে মোয়াক্কাদা নামাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওই বারো রাকাত নামাজ হলো- ফজরের ফরজের আগে ২ রাকাত, জোহরের ফরজের আগে ৪ আর পরে ২ রাকাত, মাগরিবের ফরজের পরে ২ রাকাত আর এশার ফরজের পর ২ রাকাত সুন্নত নামাজ।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এমন কোনো মুসলিম নেই, যে প্রতিদিন ফরজ নামাজ ছাড়া বারো রাকাত অতিরিক্ত সুন্নত (সুন্নতে মোয়াক্কাদা) নামাজ পড়ে আর আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে বাড়ি নির্মাণ করে দেন না।’ -সহিহ আত তারগিব : ১/১৪০
নামাজের কাতার পূর্ণ করা : জামাতে নামাজ আদায়ের সময় খালি কাতার ভরাট করা। জামাতের সময় মসজিদে আমরা প্রায়ই খালি সারি দেখি কিংবা সারির মাঝে ফাঁকা রয়েছে। আমরা আমাদের আরামদায়ক জায়গা ছেড়ে খালি জায়গা ভরাট করতে এগিয়ে যাই না, অপেক্ষা করি অন্য কেউ এসে স্থানটি পূর্ণ করবে।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি নামাজের জামাতের খালি জায়গা ভরাট করবে, আল্লাহ তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেবেন এবং জান্নাতে তার জন্য একটি ঘর নির্মাণ করে দেবেন।’ -সহিহ আত তারগিব : ১/৩৩৬
তর্ক পরিহার : নিজে সঠিক থাকার পরেও তর্ক পরিহার করলে, তার জন্য আল্লাহতায়ালা বেহেশতে একটি ঘর বানানোর হুকুম দেন।
মজার ছলেও মিথ্যা নয় : অনেকে মজার ছলে মিথ্যা বলে। এটা মারাত্মক গোনাহ। ইসলামের শিক্ষা হলো- মজার ছলেও মিথ্যা না বলা। এ কাজ না করলে তার জন্য আল্লাহতায়ালা জান্নাতে একটি বাড়ি বানিয়ে দেবেন।
উত্তম চরিত্র : উত্তম আখলাক বজায় রাখা অনেক ফজিলতের আমল। হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আমি সেই ব্যক্তির জন্য জান্নাতের প্রান্তে একটি বাড়ির প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, যে সঠিক যুক্তি থাকা সত্ত্বেও বিবাদে লিপ্ত হয় না। জান্নাতের মধ্যদেশে একটি বাড়ি তার জন্য, যে কখনো ঠাট্টা করেও মিথ্যা বলে না। আর জান্নাতের ঊর্ধ্বাংশে একটি বাড়ি তার জন্য, যে নিজের চরিত্রকে সুন্দর করে।’ -সুনানে আবু দাউদ : ৪৮০০
বাজারে দোয়া পাঠ করে প্রবেশ করা : হাদিসে বাজারকে দুনিয়ার সর্ব নিকৃষ্ট স্থান হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তাই বাজারে প্রবেশের সময় দোয়া পড়া। বাজারে প্রবেশের দোয়ায় রয়েছে অনেক ফজিলত। যা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তিই বাজারে প্রবেশ করে (বাজারে প্রবেশের দোয়াটি) পড়বে,আল্লাহ ওই ব্যক্তির আমলনামায় ১০ লাখ নেকি লিখে দেন এবং দশ লাখ গোনাহ মাফ করে দেন। আর ওই ব্যক্তির জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ তৈরি করেন।’ -সুনানে তিরমিজি : ৩৪২৮
যে কারণে আল্লাহর প্রতিবেশী হবেন ফেরাউনের স্ত্রী 
youtube
জান্নাতে আল্লাহর প্রতিবেশী হতে চেয়েছিলেন যে নারী
youtube
আল্লাহর প্রতিবেশী কারা?
youtube
আল্লাহ তায়ালার প্রতিবেশী কারা
youtube
জান্নাতে আল্লাহর প্রতিবেশী হতে চেয়েছেন যে নারী
The woman who wants to be a neighbor of Allah in Paradise
জান্নাতে আল্লাহরপ্রতিবেশী হতে চেয়েছেন যিনি
0 notes
allahisourrabb · 17 days
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
জান্নাতে আল্লাহর প্রতিবেশী হতে চেয়েছেন যে নারী
The woman who wants to be a neighbor of Allah in Paradise
যে নারী জান্নাতে আল্লাহর প্রতিবেশী হতে চেয়েছেন  প্রাচীন মিসরের ফেরাউনের স্ত্রী ছিলেন আসিয়া বিনতে মুজাহিম। তিনি ছিলেন এক আল্লাহ বিশ্বাসী মহীয়সী নারী। ছিলেন মানুষের প্রতি দয়ালু ও সহানুভূতিশীল। তার স্বামী ফেরাউন নিজেকে খোদা বলে দাবি করত। সে ছিল অত্যাচারী ও বদমেজাজি বাদশাহ। আসিয়া ফেরাউনের স্ত্রী ছিলেন ঠিকই কিন্তু ফেরাউনের দুশ্চরিত্রের কোনো স্বভাব তাঁকে গ্রাস করতে পারেনি। তিনি এক আল্লাহর ওপর ইমান আনেন। নিজের স্ত্রী অন্যের উপাসনা করে— এমন খবর জানতে পেরে ফেরাউন স্ত্রীকে বোঝাতে থাকেন। কিন্তু আসিয়া সত্য ধর্মের ওপর পর্বতের মতো অবিচল, অটল। ফেরাউন বিশেষ লোকদের সঙ্গে পরামর্শ করে আসিয়াকে হত্যার আদেশ দেয়। ফেরাউনের সৈন্য-সামন্ত তাঁর হাত-পা বেঁধে উত্তপ্ত সূর্যের নিচে ফেলে রাখে। ক্ষতবিক্ষত করা হয় শরীর। তবুও তিনি ঈমান ছাড়েননি। জীবনের বিনিময়ে ঈমান রক্ষা করেন। দুনিয়ার রাজপ্রাসাদের বিনিময়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন জান্নাতে আল্লাহর পাশে একটি ঘর। কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘হে আমার প্রতিপালক, আমার জন্য আপনার কাছে জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করুন। আমাকে ফেরাউন ও তার দুষ্কর্ম থেকে উদ্ধার করুন। আমাকে মুক্তি দিন অত্যাচারী সম্প্রদায় থেকে।’ (সুরা তাহরিম, আয়াত: ১১) 
আর যারা ঈমান আনে তাদের জন্য আল্লাহ ফির‘আউনের স্ত্রীর উদাহরণ পেশ করেন, যখন সে বলেছিল, ‘হে আমার প্রতিপালক, জান্নাতে আপনার কাছে আমার জন্য একটি বাড়ি নির্মাণ করুন এবং আমাকে ফির‘আউন ও তার কর্ম হতে নাজাত দিন, আর আমাকে নাজাত দিন যালিম সম্প্রদায় হতে। ✓ সূরা তাহরিম, আয়াত:- ১১
আসিয়া বিনতে মুজাহিম। প্রাচীন মিসরের ফেরাউনের (দ্বিতীয় রামেসিস) স্ত্রী ছিলেন। তিনি ছিলেন এক আল্লাহ বিশ্বাসী মহীয়সী নারী। ছিলেন মানুষের প্রতি দয়ালু ও সহানুভূতিশীল।
তাঁর স্বামী ফেরাউন নিজেকে স্রষ্ট�� বলে দাবি করত। সে ছিল অত্যাচারী ও বদমেজাজি বাদশাহ। অহংকার, দম্ভ ও অহমিকায় পরিপূর্ণ ছিল মসনদ।
সে সময় মানুষকে আল্লাহ বিশ্বাসী ও ফেরাউনের উদ্ধত অত্যাচার থেকে মুক্ত করার ব্রত নিয়ে পৃথিবীতে নবী মুসা (আ.) আগমন করেন।
আল্লাহ মুসা (আ.)-কে ফেরাউনের কবল থেকে রক্ষা করেছিলেন। আল্লাহর আদেশে শিশু মুসার মা তাকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় কাঠের সিন্দুকে ভরে নীল নদীতে ভাসিয়ে দেন। এই সিন্দুক ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়ার হস্তগত হয়। শিশু মুসার অপূর্ব সুন্দর চেহারা আসিয়ার মনে দাগ কাটে।
মাতৃত্বের আকাঙ্ক্ষা প্রবলভাবে জেগে ওঠে। সে তাকে লালন-পালনের দায়িত্ব নেন। পুত্রসন্তান দেখে ফেরাউন চটে যায়। কিন্তু স্ত্রীর ব্যক্তিত্বের কাছে সে হেরে যায়। আসিয়ার কাছে রাজকীয় সুখানন্দে মুসা লালিত-পালিত হতে থাকেন।
আসিয়া লাভ করেন মুসা (আ.)-এর পালকমাতা হওয়ার গৌরব। কোরআনে এসেছে, ‘ফেরাউনের স্ত্রী বলল, এ শিশু আমার ও তোমার চোখ শীতলকারী। তাকে হত্যা করো না। এ আমাদের উপকারে আসতে পারে অথবা আমরা তাকে সন্তান হিসেবে গ্রহণ করতে পারি। অথচ তারা উপলব্ধি করতে পারেনি।’
(সুরা : কাসাস, আয়াত : ৯)
আসিয়া ছিলেন ধনী পরিবারের মেয়ে। ভদ্র, শালীন, দয়ালু ও জ্ঞানী। ফেরাউনের স্ত্রী ছিলেন ঠিকই কিন্তু ফেরাউনের দুশ্চরিত্রের কোনো স্বভাব তাকে গ্রাস করতে পারেনি। অত্যাচারীর ঘরে থেকেও তিনি ছিলেন মানবতাবাদী ও মানুষের হিতৈষী। ছিলেন একজন নবীর পালকমাতা। এসব বিশেষ গুণই তাকে এক আল্লাহ বিশ্বাসী হতে সাহায্য করেছে। তিনি মুসা (আ.)-এর ধর্মগ্রহণ করেন। এক আল্লাহর ওপর ঈমান আনেন। এদিকে ফেরাউন ছিলেন মুসা (আ.)-এর পরম শত্রু। নিজের স্ত্রী অন্যের উপাসনা করে—এমন খবর জানতে পেরে ফেরাউন স্ত্রীকে বোঝাতে থাকেন। নিজের বিশাল সাম্রাজ্য ও প্রজাদের কথা বলেন। কিন্তু আসিয়া সত্য ধর্মের ওপর পাহাড়ের মতো অবিচল, অটল।
ফেরাউন দেখল, কাজ হয় না। স্ত্রী ফিরে আসছে না তার দলে। সে বিশেষ লোকদের সঙ্গে পরামর্শ করে আসিয়াকে হত্যার আদেশ দেয়।  ফেরাউনের সৈন্য-সামন্ত তাঁর হাত-পা বেঁধে উত্তপ্ত সূর্যের নিচে ফেলে রাখে। অন্যদের চেয়ে কঠিন শাস্তি দেয় তাঁকে। দেহ রক্তাক্ত হয়। ক্ষতবিক্ষত হয় শরীর। তিনি ধৈর্যহারা হননি। ঈমান ছাড়েননি। জীবনের বিনিময়ে ঈমানকে রক্ষা করেন। দুনিয়ার রাজপ্রাসাদের বিনিময়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন জান্নাতে আল্লাহর পাশে একটি ঘর। আল্লাহর প্রতিবেশী হওয়ার আকুলতা ব্যক্ত করেন। তাঁর প্রার্থনার কথা কোরআনে বাঙময় হয়েছে এভাবে—‘হে আমার প্রতিপালক! আমার জন্য আপনার কাছে জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করুন। আমাকে ফেরাউন ও তার দুষ্কর্ম থেকে উদ্ধার করুন। আমাকে মুক্তি দিন অত্যাচারী সম্প্রদায় থেকে।’
(সুরা : তাহরিম, আয়াত : ১১)
আল্লাহ আসিয়াকে সম্মানিত করেছেন। তাঁর প্রতি খুশি হয়েছেন। কোরআনে তাঁর ঘটনা বর্ণনা করেছেন। পরবর্তী জাতির জন্য তাঁর জীবনে শিক্ষা রেখেছেন। জান্নাতে যাওয়ার পাথেয় রেখেছেন। মানবতার নবী মুহাম্মদ (সা.)-কে তাঁর সম্পর্কে উত্তম ধারণা দিয়েছেন। রাসুল (সা.) বলেন, ‘পুরুষদের মধ্যে অনেকে পুণ্য অর্জন করেছেন। তবে নারীদের মধ্যে পুণ্য অর্জন করেছেন শুধু মারিয়াম বিনতে ইমরান ও ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া...।’
(সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩৪১১)
জান্নাতবাসী নারীদের মধ্যে আসিয়া শ্রেষ্ঠ নারীর একজন। আবদুল্লাহ বিন আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) জমিনে চারটি রেখে টেনে বলেন, তোমরা কি জানো এটা কী? সাহাবারা বলেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসুল জানেন। রাসুল (সা.) বলেন, জান্নাতবাসীর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ নারী হলেন খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ, ফাতেমা বিনতে মুহাম্মদ, মারিয়াম বিনতে ইমরান ও ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া বিনতে মুজাহিম।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২৯০৩)
দুনিয়ার বাড়ি ক্ষণস্থায়ী। পরিপূর্ণতা তো কেবল জান্নাতে। আখেরাতের হিসাবই আলাদা। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘জান্নাতে ধনুক পরিমাণ স্থান (দুনিয়ার) যেসব বস্তুর ওপর সূর্য উদিত কিংবা অস্তমিত হচ্ছে, সেসব বস্তুর চেয়েও উত্তম।’ -সহিহ বোখারি : ২৭৯৩
দুনিয়ার সব প্রাসাদের মূল্য জান্নাতের একটি ইটের দামের সমান নয়। জান্নাতে কোনো রোগ-শোক নেই, না পাওয়ায় হতাশা কিংবা বেদনা নেই। মনের মাধুরী মিশিয়ে খেতে পারবেন। জান্নাতের বাড়ি আপনাকে কখনো ছাড়তে হবে না। জান্নাতে মৃত্যু নেই।
জান্নাতে বাড়ি বানানোর সহজ কিছু আমল নিয়ে আলোচনা করা হলো-
সুরা ইখলাস দশবার পড়া : হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি সুরা ইখলাস দশবার পড়বে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি বাড়ি নির্মাণ করে দেবেন।’ -জামে আস সাগির : ১/১১৪২
মসজিদ নির্মাণ : দয়াময় আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে মসজিদ বানানো অনেক বড় ফজিলতের কাজ। হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে মসজিদ নির্মাণ করে, যদিও তা চড়–ই পাখির বাসার মতো হয়, কিংবা আরও ছোট হয়, তবুও মহান আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি বাড়ি বানিয়ে দেবেন।’ -ইবনে মাজাহ : ৭৩৮
১২ রাকাত সুন্নতে মোয়াক্কাদা নামাজ : দৈনিক ১২ রাকাত সুন্নতে মোয়াক্কাদা নামাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওই বারো রাকাত নামাজ হলো- ফজরের ফরজের আগে ২ রাকাত, জোহরের ফরজের আগে ৪ আর পরে ২ রাকাত, মাগরিবের ফরজের পরে ২ রাকাত আর এশার ফরজের পর ২ রাকাত সুন্নত নামাজ।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এমন কোনো মুসলিম নেই, যে প্রতিদিন ফরজ নামাজ ছাড়া বারো রাকাত অতিরিক্ত সুন্নত (সুন্নতে মোয়াক্কাদা) নামাজ পড়ে আর আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে বাড়ি নির্মাণ করে দেন না।’ -সহিহ আত তারগিব : ১/১৪০
নামাজের কাতার পূর্ণ করা : জামাতে নামাজ আদায়ের সময় খালি কাতার ভরাট করা। জামাতের সময় মসজিদে আমরা প্রায়ই খালি সারি দেখি কিংবা সারির মাঝে ফাঁকা রয়েছে। আমরা আমাদের আরামদায়ক জায়গা ছেড়ে খালি জায়গা ভরাট করতে এগিয়ে যাই না, অপেক্ষা করি অন্য কেউ এসে স্থানটি পূর্ণ করবে।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি নামাজের জামাতের খালি জায়গা ভরাট করবে, আল্লাহ তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেবেন এবং জান্নাতে তার জন্য একটি ঘর নির্মাণ করে দেবেন।’ -সহিহ আত তারগিব : ১/৩৩৬
তর্ক পরিহার : নিজে সঠিক থাকার পরেও তর্ক পরিহার করলে, তার জন্য আল্লাহতায়ালা বেহেশতে একটি ঘর বানানোর হুকুম দেন।
মজার ছলেও মিথ্যা নয় : অনেকে মজার ছলে মিথ্যা বলে। এটা মারাত্মক গোনাহ। ইসলামের শিক্ষা হলো- মজার ছলেও মিথ্যা না বলা। এ কাজ না করলে তার জন্য আল্লাহতায়ালা জান্নাতে একটি বাড়ি বানিয়ে দেবেন।
উত্তম চরিত্র : উত্তম আখলাক বজায় রাখা অনেক ফজিলতের আমল। হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আমি সেই ব্যক্তির জন্য জান্নাতের প্রান্তে একটি বাড়ির প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, যে সঠিক যুক্তি থাকা সত্ত্বেও বিবাদে লিপ্ত হয় না। জান্নাতের মধ্যদেশে একটি বাড়ি তার জন্য, যে কখনো ঠাট্টা করেও মিথ্যা বলে না। আর জান্নাতের ঊর্ধ্বাংশে একটি বাড়ি তার জন্য, যে নিজের চরিত্রকে সুন্দর করে।’ -সুনানে আবু দাউদ : ৪৮০০
বাজারে দোয়া পাঠ করে প্রবেশ করা : হাদিসে বাজারকে দুনিয়ার সর্ব নিকৃষ্ট স্থান হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তাই বাজারে প্রবেশের সময় দোয়া পড়া। বাজারে প্রবেশের দোয়ায় রয়েছে অনেক ফজিলত। যা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তিই বাজারে প্রবেশ করে (বাজারে প্রবেশের দোয়াটি) পড়বে,আল্লাহ ওই ব্যক্তির আমলনামায় ১০ লাখ নেকি লিখে দেন এবং দশ লাখ গোনাহ মাফ করে দেন। আর ওই ব্যক্তির জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ তৈরি করেন।’ -সুনানে তিরমিজি : ৩৪২৮
যে কারণে আল্লাহর প্রতিবেশী হবেন ফেরাউনের স্ত্রী 
youtube
জান্নাতে আল্লাহর প্রতিবেশী হতে চেয়েছিলেন যে নারী
youtube
আল্লাহর প্রতিবেশী কারা?
youtube
আল্লাহ তায়ালার প্রতিবেশী কারা
youtube
জান্নাতে আল্লাহর প্রতিবেশী হতে চেয়েছেন যে নারী
The woman who wants to be a neighbor of Allah in Paradise
জান্নাতে আল্লাহরপ্রতিবেশী হতে চেয়েছেন যিনি
0 notes
mylordisallah · 17 days
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
জান্নাতে আল্লাহর প্রতিবেশী হতে চেয়েছেন যে নারী
The woman who wants to be a neighbor of Allah in Paradise
যে নারী জান্নাতে আল্লাহর প্রতিবেশী হতে চেয়েছেন  প্রাচীন মিসরের ফেরাউনের স্ত্রী ছিলেন আসিয়া বিনতে মুজাহিম। তিনি ছিলেন এক আল্লাহ বিশ্বাসী মহীয়সী নারী। ছিলেন মানুষের প্রতি দয়ালু ও সহানুভূতিশীল। তার স্বামী ফেরাউন নিজেকে খোদা বলে দাবি করত। সে ছিল অত্যাচারী ও বদমেজাজি বাদশাহ। আসিয়া ফেরাউনের স্ত্রী ছিলেন ঠিকই কিন্তু ফেরাউনের দুশ্চরিত্রের কোনো স্বভাব তাঁকে গ্রাস করতে পারেনি। তিনি এক আল্লাহর ওপর ইমান আনেন। নিজের স্ত্রী অন্যের উপাসনা করে— এমন খবর জানতে পেরে ফেরাউন স্ত্রীকে বোঝাতে থাকেন। কিন্তু আসিয়া সত্য ধর্মের ওপর পর্বতের মতো অবিচল, অটল। ফেরাউন বিশেষ লোকদের সঙ্গে পরামর্শ করে আসিয়াকে হত্যার আদেশ দেয়। ফেরাউনের সৈন্য-সামন্ত তাঁর হাত-পা বেঁধে উত্তপ্ত সূর্যের নিচে ফেলে রাখে। ক্ষতবিক্ষত করা হয় শরীর। তবুও তিনি ঈমান ছাড়েননি। জীবনের বিনিময়ে ঈমান রক্ষা করেন। দুনিয়ার রাজপ্রাসাদের বিনিময়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন জান্নাতে আল্লাহর পাশে একটি ঘর। কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘হে আমার প্রতিপালক, আমার জন্য আপনার কাছে জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করুন। আমাকে ফেরাউন ও তার দুষ্কর্ম থেকে উদ্ধার করুন। আমাকে মুক্তি দিন অত্যাচারী সম্প্রদায় থেকে।’ (সুরা তাহরিম, আয়াত: ১১) 
আর যারা ঈমান আনে তাদের জন্য আল্লাহ ফির‘আউনের স্ত্রীর উদাহরণ পেশ করেন, যখন সে বলেছিল, ‘হে আমার প্রতিপালক, জান্নাতে আপনার কাছে আমার জন্য একটি বাড়ি নির্মাণ করুন এবং আমাকে ফির‘আউন ও তার কর্ম হতে নাজাত দিন, আর আমাকে নাজাত দিন যালিম সম্প্রদায় হতে। ✓ সূরা তাহরিম, আয়াত:- ১১
আসিয়া বিনতে মুজাহিম। প্রাচীন মিসরের ফেরাউনের (দ্বিতীয় রামেসিস) স্ত্রী ছিলেন। তিনি ছিলেন এক আল্লাহ বিশ্বাসী মহীয়সী নারী। ছিলেন মানুষের প্রতি দয়ালু ও সহানুভূতিশীল।
তাঁর স্বামী ফেরাউন নিজেকে স্রষ্টা বলে দাবি করত। সে ছিল অত্যাচারী ও বদমেজাজি বাদশাহ। অহংকার, দম্ভ ও অহমিকায় পরিপূর্ণ ছিল মসনদ।
সে সময় মানুষকে আল্লাহ বিশ্বাসী ও ফেরাউনের উদ্ধত অত্যাচার থেকে মুক্ত করার ব্রত নিয়ে পৃথিবীতে নবী মুসা (আ.) আগমন করেন।
আল্লাহ মুসা (আ.)-কে ফেরাউনের কবল থেকে রক্ষা করেছিলেন। আল্লাহর আদেশে শিশু মুসার মা তাকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় কাঠের সিন্দুকে ভরে নীল নদীতে ভাসিয়ে দেন। এই সিন্দুক ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়ার হস্তগত হয়। শিশু মুসার অপূর্ব সুন্দর চেহারা আসিয়ার মনে দাগ কাটে।
মাতৃত্বের আকাঙ্ক্ষা প্রবলভাবে জেগে ওঠে। সে তাকে লালন-পালনের দায়িত্ব নেন। পুত্রসন্তান দেখে ফেরাউন চটে যায়। কিন্তু স্ত্রীর ব্যক্তিত্বের কাছে সে হেরে যায়। আসিয়ার কাছে রাজকীয় সুখানন্দে মুসা লালিত-পালিত হতে থাকেন।
আসিয়া লাভ করেন মুসা (আ.)-এর পালকমাতা হওয়ার গৌরব। কোরআনে এসেছে, ‘ফেরাউনের স্ত্রী বলল, এ শিশু আমার ও তোমার চোখ শীতলকারী। তাকে হত্যা করো না। এ আমাদের উপকারে আসতে পারে অথবা আমরা তাকে সন্তান হিসেবে গ্রহণ করতে পারি। অথচ তারা উপলব্ধি করতে পারেনি।’
(সুরা : কাসাস, আয়াত : ৯)
আসিয়া ছিলেন ধনী পরিবারের মেয়ে। ভদ্র, শালীন, দয়ালু ও জ্ঞানী। ফেরাউনের স্ত্রী ছিলেন ঠিকই কিন্তু ফেরাউনের দুশ্চরিত্রের কোনো স্বভাব তাকে গ্রাস করতে পারেনি। অত্যাচারীর ঘরে থেকেও তিনি ছিলেন মানবতাবাদী ও মানুষের হিতৈষী। ছিলেন একজন নবীর পালকমাতা। এসব বিশেষ গুণই তাকে এক আল্লাহ বিশ্বাসী হতে সাহায্য করেছে। তিনি মুসা (আ.)-এর ধর্মগ্রহণ করেন। এক আল্লাহর ওপর ঈমান আনেন। এদিকে ফেরাউন ছিলেন মুসা (আ.)-এর পরম শত্রু। নিজের স্ত্রী অন্যের উপাসনা করে—এমন খবর জানতে পেরে ফেরাউন স্ত্রীকে বোঝাতে থাকেন। নিজের বিশাল সাম্রাজ্য ও প্রজাদের কথা বলেন। কিন্তু আসিয়া সত্য ধর্মের ওপর পাহাড়ের মতো অবিচল, অটল।
ফেরাউন দেখল, কাজ হয় না। স্ত্রী ফিরে আসছে না তার দলে। সে বিশেষ লোকদের সঙ্গে পরামর্শ করে আসিয়াকে হত্যার আদেশ দেয়।  ফেরাউনের সৈন্য-সামন্ত তাঁর হাত-পা বেঁধে উত্তপ্ত সূর্যের নিচে ফেলে রাখে। অন্যদের চেয়ে কঠিন শাস্তি দেয় তাঁকে। দেহ রক্তাক্ত হয়। ক্ষতবিক্ষত হয় শরীর। তিনি ধৈর্যহারা হননি। ঈমান ছাড়েননি। জীবনের বিনিময়ে ঈমানকে রক্ষা করেন। দুনিয়ার রাজপ্রাসাদের বিনিময়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন জান্নাতে আল্লাহর পাশে একটি ঘর। আল্লাহর প্রতিবেশী হওয়ার আকুলতা ব্যক্ত করেন। তাঁর প্রার্থনার কথা কোরআনে বাঙময় হয়েছে এভাবে—‘হে আমার প্রতিপালক! আমার জন্য আপনার কাছে জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করুন। আমাকে ফেরাউন ও তার দুষ্কর্ম থেকে উদ্ধার করুন। আমাকে মুক্তি দিন অত্যাচারী সম্প্রদায় থেকে।’
(সুরা : তাহরিম, আয়াত : ১১)
আল্লাহ আসিয়াকে সম্মানিত করেছেন। তাঁর প্রতি খুশি হয়েছেন। কোরআনে তাঁর ঘটনা বর্ণনা করেছেন। পরবর্তী জাতির জন্য তাঁর জীবনে শিক্ষা রেখেছেন। জান্নাতে যাওয়ার পাথেয় রেখেছেন। মানবতার নবী মুহাম্মদ (সা.)-কে তাঁর সম্পর্কে উত্তম ধারণা দিয়েছেন। রাসুল (সা.) বলেন, ‘পুরুষদের মধ্যে অনেকে পুণ্য অর্জন করেছেন। তবে নারীদের মধ্যে পুণ্য অর্জন করেছেন শুধু মারিয়াম বিনতে ইমরান ও ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া...।’
(সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩৪১১)
জান্নাতবাসী নারীদের মধ্যে আসিয়া শ্রেষ্ঠ নারীর একজন। আবদুল্লাহ বিন আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) জমিনে চারটি রেখে টেনে বলেন, তোমরা কি জানো এটা কী? সাহাবারা বলেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসুল জানেন। রাসুল (সা.) বলেন, জান্নাতবাসীর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ নারী হলেন খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ, ফাতেমা বিনতে মুহাম্মদ, মারিয়াম বিনতে ইমরান ও ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া বিনতে মুজাহিম।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২৯০৩)
দুনিয়ার বাড়ি ক্ষণস্থায়ী। পরিপূর্ণতা তো কেবল জান্নাতে। আখেরাতের হিসাবই আলাদা। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘জান্নাতে ধনুক পরিমাণ স্থান (দুনিয়ার) যেসব বস্তুর ওপর সূর্য উদিত কিংবা অস্তমিত হচ্ছে, সেসব বস্তুর চেয়েও উত্তম।’ -সহিহ বোখারি : ২৭৯৩
দুনিয়ার সব প্রাসাদের মূল্য জান্নাতের একটি ইটের দামের সমান নয়। জান্নাতে কোনো রোগ-শোক নেই, না পাওয়ায় হতাশা কিংবা বেদনা নেই। মনের মাধুরী মিশিয়ে খেতে পারবেন। জান্নাতের বাড়ি আপনাকে কখনো ছাড়তে হবে না। জান্নাতে মৃত্যু নেই।
জান্নাতে বাড়ি বানানোর সহজ কিছু আমল নিয়ে আলোচনা করা হলো-
সুরা ইখলাস দশবার পড়া : হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি সুরা ইখলাস দশবার পড়বে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি বাড়ি নির্মাণ করে দেবেন।’ -জামে আস সাগির : ১/১১৪২
মসজিদ নির্মাণ : দয়াময় আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে মসজিদ বানানো অনেক বড় ফজিলতের কাজ। হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে মসজিদ নির্মাণ করে, যদিও তা চড়–ই পাখির বাসার মতো হয়, কিংবা আরও ছোট হয়, তবুও মহান আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি বাড়ি বানিয়ে দেবেন।’ -ইবনে মাজাহ : ৭৩৮
১২ রাকাত সুন্নতে মোয়াক্কাদা নামাজ : দৈনিক ১২ রাকাত সুন্নতে মোয়াক্কাদা নামাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওই বারো রাকাত নামাজ হলো- ফজরের ফরজের আগে ২ রাকাত, জোহরের ফরজের আগে ৪ আর পরে ২ রাকাত, মাগরিবের ফরজের পরে ২ রাকাত আর এশার ফরজের পর ২ রাকাত সুন্নত নামাজ।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এমন কোনো মুসলিম নেই, যে প্রতিদিন ফরজ নামাজ ছাড়া বারো রাকাত অতিরিক্ত সুন্নত (সুন্নতে মোয়াক্কাদা) নামাজ পড়ে আর আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে বাড়ি নির্মাণ করে দেন না।’ -সহিহ আত তারগিব : ১/১৪০
নামাজের কাতার পূর্ণ করা : জামাতে নামাজ আদায়ের সময় খালি কাতার ভরাট করা। জামাতের সময় মসজিদে আমরা প্রায়ই খালি সারি দেখি কিংবা সারির মাঝে ফাঁকা রয়েছে। আমরা আমাদের আরামদায়ক জায়গা ছেড়ে খালি জায়গা ভরাট করতে এগিয়ে যাই না, অপেক্ষা করি অন্য কেউ এসে স্থানটি পূর্ণ করবে।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি নামাজের জামাতের খালি জায়গা ভরাট করবে, আল্লাহ তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেবেন এবং জান্নাতে তার জন্য একটি ঘর নির্মাণ করে দেবেন।’ -সহিহ আত তারগিব : ১/৩৩৬
তর্ক পরিহার : নিজে সঠিক থাকার পরেও তর্ক পরিহার করলে, তার জন্য আল্লাহতায়ালা বেহেশতে একটি ঘর বানানোর হুকুম দেন।
মজার ছলেও মিথ্যা নয় : অনেকে মজার ছলে মিথ্যা বলে। এটা মারাত্মক গোনাহ। ইসলামের শিক্ষা হলো- মজার ছলেও মিথ্যা না বলা। এ কাজ না করলে তার জন্য আল্লাহতায়ালা জান্নাতে একটি বাড়ি বানিয়ে দেবেন।
উত্তম চরিত্র : উত্তম আখলাক বজায় রাখা অনেক ফজিলতের আমল। হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আমি সেই ব্যক্তির জন্য জান্নাতের প্রান্তে একটি বাড়ির প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, যে সঠিক যুক্তি থাকা সত্ত্বেও বিবাদে লিপ্ত হয় না। জান্নাতের মধ্যদেশে একটি বাড়ি তার জন্য, যে কখনো ঠাট্টা করেও মিথ্যা বলে না। আর জান্নাতের ঊর্ধ্বাংশে একটি বাড়ি তার জন্য, যে নিজের চরিত্রকে সুন্দর করে।’ -সুনানে আবু দাউদ : ৪৮০০
বাজারে দোয়া পাঠ করে প্রবেশ করা : হাদিসে বাজারকে দুনিয়ার সর্ব নিকৃষ্ট স্থান হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তাই বাজারে প্রবেশের সময় দোয়া পড়া। বাজারে প্রবেশের দোয়ায় রয়েছে অনেক ফজিলত। যা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তিই বাজারে প্রবেশ করে (বাজারে প্রবেশের দোয়াটি) পড়বে,আল্লাহ ওই ব্যক্তির আমলনামায় ১০ লাখ নেকি লিখে দেন এবং দশ লাখ গোনাহ মাফ করে দেন। আর ওই ব্যক্তির জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ তৈরি করেন।’ -সুনানে তিরমিজি : ৩৪২৮
যে কারণে আল্লাহর প্রতিবেশী হবেন ফেরাউনের স্ত্রী 
youtube
জান্নাতে আল্লাহর প্রতিবেশী হতে চেয়েছিলেন যে নারী
youtube
আল্লাহর প্রতিবেশী কারা?
youtube
আল্লাহ তায়ালার প্রতিবেশী কারা
youtube
জান্নাতে আল্লাহর প্রতিবেশী হতে চেয়েছেন যে নারী
The woman who wants to be a neighbor of Allah in Paradise
জান্নাতে আল্লাহরপ্রতিবেশী হতে চেয়েছেন যিনি
0 notes
mytownhall · 2 months
Text
বেণীমাধব, বেণীমাধব, তোমার বাড়ি যাবো
বেণীমাধব, তুমি কি আর আমার কথা ভাবো?
বেণীমাধব, মোহনবাঁশি তমাল তরুমূলে
বাজিয়েছিলে, আমি তখন মালতী ইস্কুলে
ডেস্কে বসে অঙ্ক করি, ছোট্ট ক্লাসঘর বাইরে দিদিমণির পাশে দিদিমণির বর
আমি তখন নবম শ্রেণী, আমি তখন শাড়ি,
আলাপ হলো, বেণীমাধব, সুলেখাদের বাড়ি।
বেণীমাধব, বেণীমাধব, লেখাপড়ায় ভালো
শহর থেকে বেড়াতে এলে, আমার রঙ কালো
তোমায় দেখে এক দৌড়ে পালিয়ে গেছি ঘরে
বেণীমাধব, আমার বাবা দোকানে কাজ করে
কুঞ্জে অলি গুঞ্জে তবু, ফুটেছে মঞ্জরী
সন্ধেবেলা পড়তে বসে অঙ্কে ভুল করি
আমি তখন নবম শ্রেণী, আমি তখন ষোল
ব্রীজের ধারে, বেণীমাধব, লুকিয়ে দেখা হলো
বেণীমাধব, বেণীমাধব, এতদিনের পরে
সত্যি বলো, সে সব কথা এখনো মনে পড়ে?
সে সব কথা বলেছো তুমি তোমার প্রেমিকাকে?
আমি কেবল একটি দিন তোমার পাশে তাকে
দেখেছিলাম আলোর নীচে; অপূর্ব সে আলো!
স্বীকার করি, দুজনকেই মানিয়েছিল ভালো
জুড়িয়ে দিলো চোখ আমার, পুড়িয়ে দিলো চেখ
বাড়িতে এসে বলেছিলাম, ওদের ভালো হোক।
রাতে এখন ঘুমাতে যাই একতলার ঘরে
মেঝের উপর বিছানা পাতা, জ্যো‍‍‌ৎস্না এসে পড়ে
আমার পরে যে বোন ছিলো চোরাপথের বাঁকে
মিলিয়ে গেছে, জানি না আজ কার সঙ্গে থাকে
আজ জুটেছে, কাল কী হবে? – কালের ঘরে শনি
আমি এখন এই পাড়ায় সেলাই দিদিমণি
তবু আগুন, বেণীমাধব, আগুন জ্বলে কই?
কেমন হবে, আমিও যদি নষ্ট মেয়ে হই?
0 notes