I haven't finished Dungeon Meshi but
27 notes
·
View notes
৯০ বছর বয়সী এক নেতার লংমার্চে নেতৃত্ব দেয়ার গল্প
স্বাধীনতা লাভের কয়েক বছরের মধ্যেই বাংলাদেশের পরিবেশ এবং নদী-নালার উপর বড় এক ধরনের অন্ধকার এসে হাজির হয়। বাংলাদেশ-ভারত চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে গঙ্গা নদীর উপর একটি বাঁধ নির্মাণ করে ভারত। বাংলাদেশের সোনামসজিদ স্থলবন্দর থেকে ২৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই বাঁধটি। এই বাঁধের জন্য শুকনো মৌসুমে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে পানির জন্য হাহাকার তৈরি হয়।
১৯৭৬ সালের ১৬ই মে ফারাক্কা বাঁধের বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তের দিকে একটি মিছিলের আয়োজন করেন বাংলাদেশের সুপরিচিত রাজনীতিবিদ মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী যখন ফারাক্কা লং মার্চের নেতৃত্ব দেন তখন তার বয়স ৯০ বছরের বেশি।
১৯৭৬ সালের শুরুর দিকে মাওলানা ভাসানী বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ১৯৭৬ সালের ১৮ই এপ্রিল হাসপাতাল থেকে ফেরার পর মাওলানা ভাসানী ঘোষণা দেন ভারত যদি বাংলাদেশকে পানির অধিকার ফিরিয়ে না দেয় তাহলে তিনি লংমার্চ করবেন। তখন অনেকে বেশ চমকে গিয়েছিল; কারণ ৯০ বছরের একজন মানুষ ঘরে থাকার কথা তখন কিনা সে লংমার্চ এর ডাক দিলেন। ১৯৭৬ সালের ২৮শে এপ্রিল মাওলানা ভাসানী এক বিবৃতিতে লংমার্চ সফল করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
কর্মসূচী বাস্তবায়নের জন্য ১৯৭৬ সালের ২রা মে মাওলানা ভাসানীকে প্রধান করে ৩১ সদস্যবিশিষ্ট 'ফারাক্কা মিছিল পরিচালনা জাতীয় কমিটি' গঠিত হয়। এই লংমার্চের আগে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কাছে একটি চিঠি লিখেন আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। সে চিঠিতে মিসেস গান্ধির কাছে লংমার্চের কারণ বর্ণনা করেন ভাসানী। সাংবাদিক এনায়েতউল্লাহ খান, আনোয়ার জাহিদ এবং সিরাজুল হোসেন খান এ চিঠি তৈরি করতে আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে সহায়তা করেন।
এরপর ১৬ই মে রাজশাহী শহর থেকে লংমার্চ করার ঘোষণা দেন তিনি।
মোনাজাত উদ্দিনের স্মৃতিচারণমূলক লেখা 'পথ থেকে পথে' বইতে সেই লংমার্চের কিছু বিষয় বর্ণনা করেছেন।
মোনাজাত উদ্দিন লিখেছেন, "মিছিলের আগে মাদ্রাসা ময়দানে জনসভা। ভাসানী এলেন নীল গাড়িতে চেপে। জনসমুদ্র গর্জে উঠল। খুব অল্প সময়ের জন্য তিনি বক্তৃতা করলেন। বহু সাংবাদিক, বহু ফটোগ্রাফার।"
লংমার্চের ৬৪ কিলোমিটার যাত্রা ছিল বেশ কঠিন। সবচেয়ে বড় আশংকা ছিল মাওলানা ভাসানীকে নিয়ে। বয়স ৯০ বছরের বেশি; তার উপর সদ্য হাসপাতাল ছাড়া পেয়েছেন।
জাতীয় কৃষক সমিতির আবু নোমান খান সে লংমার্চ সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেছেন 'মজলুম জননেতা: মাওলানা ভাসানী স্মারক সংকলন' বইতে।
আবু নোমান খান লিখেছেন, লংমার্চের মিছিল রাজশাহী থেকে প্রেমতলী, প্রেমতলী থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে মনকষা এবং মনকষা থেকে শিবগঞ্জ পর্যন্ত ৬৪ মাইল অতিক্রম করবে।
'মাওলানা ভাসানীর জীবনস্রোত' শিরোনামে একটি লেখায় সেই লং মার্চ সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন জাতীয় কৃষক সমিতির সাবেক সপ্তর সম্পাদক আবু নোমান খান।
"মিছিলের শুরুতে ভাসানীসহ নেতৃবৃন্দ পুরোভাগে দাঁড়ান। মিছিলটি তিন মাইল দুরে রাজশাহী কোর্ট এলাকায় যেতে না যেতেই মুষলধারে বৃষ্টি নামে। তা সত্ত্বেও লক্ষ জনতার মিছিল এগিয়ে চলে। এগারো মাইল অতিক্রম করে প্রেমতলী পৌঁছে। তখন দুপুর দুটো," লিখেছেন আবু নোমান খান।
সেখানে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে বিকেল তিনটা নাগাদ লংমার্চ আবারো যাত্রা শুরু করে। এরপর প্রায় ২০ মাইল পথ অতিক্রম করে রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌঁছে মিছিলটি। রাতে সেখানেই তারা অবস্থান করেন। পরদিন সকাল আট ৮ টায় আবারো যাত্রা শুরু করে লংমার্চ। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আরো ছয় মাইল পথ অতিক্রম করে কানসাট পৌঁছায়।
দুপুরের মধ্যে মিছিলটি পৌঁছে কানসাটে।
আবু নোমান খানের বর্ণনায়, "পথের দুধারে সারি বেঁধে দাঁড়িয়েছে হাজার-হাজার মানুষ - উদ্দেশ্য ফারাক্কা লং মার্চ-এর মিছিলকারীদের অভ্যর্থনা জানানো। মিছিলকারীদের পানি ও বিভিন্ন খাবার খাইয়েছেন তারা। "
বিকেল চারটার দিকে সেখানে জনসভায় বক্তব্য রাখেন মাওলানা ভাসানী। সে জনসভায় তিনি বলেন, ফারাক্কা সমস্যার সমাধানের জন্য ভারত যদি বাংলাদেশের মানুষের দাবি উপেক্ষা করে তাহলে ভারতীয় পণ্য বর্জনের আন্দোলন শুরু হবে।
আর এভাবেই মাওলানা ভাসানীর ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চের সমাপ্তি ঘটে।
2 notes
·
View notes
যে আমার হবে না তাকে নিয়ে হাজারটা অহেতুক স্বপ্ন দেখতে এখন খুব বিরক্ত লাগে। রোজ রোজ স্বপ্নে আসতেই হবে তার?
এই তো দু'দিন আগেই দেখলাম নোমান আমাকে বলতেছে যে, সে আমাকে ভালোবাসে না। আমি বললাম, আমি জানি সেটা। আপনি কৃমির ডাক্তারকে ভালোবাসেন। সে বলে, না। তাহলে কুবরাকে ভালোবাসেন? এটাতেও উত্তরে না বলে। আমি জিজ্ঞেস করি তাহলে, কাকে ভালোবাসেন? সে বলে, নতুন আরেকজনকে।
আবার দেখি সে কোথায় যেন ভ্রমনে যাচ্ছিলো। আমিও তার সাথে যাবো। নদীপথে আরকি। ঠিকমতই যাচ্ছিলাম। হঠাৎ আমাদের দুইজনের পথ আলাদা হয়ে গেলো। আমি বললাম, আমাকে ছেড়ে যাইয়েন না। আমি আসতেছি, একটু অপেক্ষা করেন। সে অপেক্ষা করে নাই। সে আমাকে আর নিবে না জানিয়ে, আমাকে ফেলে, সেই নদীপথ দিয়ে চলে গেলো। আর আমি চেয়ে চেয়ে দেখলাম।
আজকে আরেক অদ্ভুত ভয়ানক স্বপ্ন দেখলাম বিকেলের ঘুমের স্বপ্নে। নোমান আর আমি বেশ কয়েকদিন ধরে সন্ধ্যায় দেখা করি। তার সাথে দেখা করার পর খুব রিস্ক নিয়েই আমি হলে প্রবেশ করি। সে কারনেই হয়তো এই টাইপ স্বপ্নটা আজকে দেখলাম।
স্বপ্নটা এমন - আমারা দুইজন দেখা করতে একটা বিল্ডিং এর নিচে, খোলা রুমের মধ্যে যাই। সে একটা চাকা ওয়ালা চেয়ারে বসে ছিল। আমাকে কাছে টেনে সে তার কোলে বসায়। সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিলো। হঠাৎ চেকিং বা রেইড টাইপ কিছু ওয়ারনিং আসলো। আমি তো সেই ভয়ে দৌড়। সেও তার মত করে শান্ত-শিষ্ট ভাবে চলে গেলো। আর আমি তো হলে সেই দৌড় দিয়ে পাঁচ তলায় উঠে যাই আর ওয়াশরুমে ঢুকে ড্রেস চেঞ্জ করার চেষ্টা করতে থাকি। যাতে ঐ ড্রেস দেখে কেউ চিনে ফেলতে না পারে যে নিচে আমি একটা ছেলের সাথে ছিলাম। মেয়েরা ওয়াশরুমের দরজা নক করতেছিলো। আর আমি ভয়ে কাতরাচ্ছিলাম। এই বুঝি সব জেনে গেলো যে নিচের মেয়েটা আমিই ছিলাম।
এটা খুবই ভয়ানক স্বপ্ন ছিল। শেষ যখন হইছে আর ঘুমটা ভাঙছে তখন হাঁফ ছেড়ে বাঁচছি।
3 notes
·
View notes
সিলেটে কখন কোথায় ঈদের জামাত
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: সিলেটে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহাসিক শাহী ঈদগাহ ময়দানে সকাল ৮টায়। জামাতে ইমামতি করবেন বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মুফতি আবু হুরায়রা নোমান।
নামাজের পূর্বে বয়ান পেশ করবেন একই মসজিদের খতিব মাওলানা মোস্তাক আহমদ খান।
সিলেট সরকারি আলীয়া মাদ্রাসা মাঠে সকাল ৮টায় আঞ্জুমানে খেদমতে কোরআনের ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হবে ঈদ জামাত। জামাতে ইমামতি করবেন…
View On WordPress
0 notes
স্বাধীনতার মাসেও বাংলাদেশের মানুষ আজ পরাধীন বলে মন্ত
0 notes
আপনার তগদির(ভাগ্য)কেন আপনার সাথে নেই।এক অসাধারন ইসলামিক লেকচার নোমান আলী...
0 notes
পাপ কাজ থেকে বাঁচার উপায় || একাকী সময়ে পাপকাজ থেকে বেঁচে চলা || নোমান আল...
0 notes
লাখো পাঠকের হৃদয় জয় করেছে বইগুলো। আলোকিত করেছে তাদের বিশ্বাস ও অন্তর।
একজন মুসলিমকে প্রোডাক্টিভ করে গড়ে তুলতে অবর্থ হাতিয়ার প্রোডাক্টিভ মুসলিম’। রাসূল সা.-এর স্মার্টনেসের ছাঁচে ঢেলে নিজের শৈশব ও যৌবনকে সাজাতে ‘বি স্মার্ট উইথ মুহাম্মাদ ﷺ’ গ্রন্থটি বিশ্বময় খ্যাত। ঈমানকে সন্দেহ-অবিশ্বাসের আঁচড় থেকে দূরে রাখতে ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ’ গল্প ও যুক্তিতে আপনার ঈমানের পাহারাদার হিসেবে কাজ করবে।
‘দ্যা রিভার্টস’ আপনাকে শোনাবে পৃথবীর বিখ্যাত কিছু নবমুসলিমের ইসলামে ফিরে আসার হৃদয়গ্রাহী গল্পগুলো। সিক্রেটস অব জ*য়োনি*জম আপনাকে জানাবে বিশ্বপ্য্যাপী ই*হু*দি সম্রাজ্য ও তাদের গোয়েন্দা তৎপরতার গো*পন ইতিহাস। ‘রিভাইব ইয়োর হার্ট’ আপনাকে এক নতুন সমাজ ও স্বার্থক জীবনের সন্ধান দেবে।
৬টি বইয়ের মোট মূল্য = ১৪৫০ টাকা (ফিক্সড)।
একসাথে বা পৃথকভাবে বইগুলো সংগ্রহ করতে পারবেন। অর্ডার করতে আপনার মোবাইল নম্বর আমাদের ইনবক্স করুন। আমাদের টিম আপনার সাথে যোগাযোগ করবে।
এক নজরে বইগুলো :
১. প্রোডাক্টিভ মুসলিম
লেখক : মোহাম্মাদ ফারিস
অনুবাদ : মিরাজ রহমান ও হামিদ সিরাজী
পৃষ্ঠা : ২৫৬
মূল্য : ২৮০ টাকা (ফিক্সড)
২. বি স্মার্ট উইথ মুহাম্মাদ ﷺ
লেখক : ড. হিশাম আল আওয়াদি
অনুবাদ : মাসুদ শরীফ
পৃষ্ঠা : ১৪৪
মূল্য : ১৯৫ টাকা (ফিক্সড)
৩. প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ
লেখক : আরিফ আজাদ
পৃষ্ঠা : ১৬৮
মূল্য : ২২৫ টাকা (ফিক্সড)
৪. দ্যা রিভার্টস : ফিরে আসার গল্প
লেখক : সামছুর রহমান ওমর, কানিজ শারমিন সিঁথি
পৃষ্ঠা : ২৫৬
মূল্য : ২৬০ টাকা (ফিক্সড)
৫. সিক্রেটস অব জা*য়োনি*জম
ট্যাগলাইন : বিশ্বব্যাপী জা*য়ো*নিস্ট ষড়*যন্ত্রের ভেতর-বাহির
লেখক : হেনরি ফোর্ড
অনুবাদ : ফুয়াদ আল আজাদ
পৃষ্ঠ : ২৯৬
মূল্য : ৩০০ টাকা (ফিক্সড)
৬. রিভাইব ইয়োর হার্ট
লেখক : উস্তাদ নোমান আলী খান
অনুবাদ : মারদিয়া মমতাজ
পৃষ্ঠা : ১৪৪
মূল্য : ১৯০ টাকা (ফিক্সড)
0 notes
রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী আরসা প্রধানের একান্ত সহকারী গ্রেপ্তার
মিয়ানমারের সশস্ত্র সংগঠন ‘আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি’ (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহর একান্ত সহকারী ও অর্থ সমন্বয়ক মোহাম্মদ এরশাদ নোমান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ১৫। নোমান ২০২২ সালের ১৪ নভেম্বর সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই-এর কক্সবাজার শাখার স্কোয়াড্রন লিডার রিজওয়ান রুশদি হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের অন্যতম একজন সন্ত্রাসী বলে জানিয়েছে র্যাব।
সোমবার ভোরে কুতুপালং এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।…
View On WordPress
0 notes
চার দিন জ্বরে ভুগে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে চার দিন জ্বরে ভুগে মোহাম্মদ সাঈফ উদ্দিন সাইমন (১৭) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২ আগস্ট) সকাল ৭টায় চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আইসিউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।
সাইমন উপজেলার ৬ নং ইছাখালী ইউনিয়নের সাহেবদীনগর আজিম মিঝি বাড়ির মোহাম্মদ সেলিম ও বিবি সুরমার একমাত্র ছেলে। ওই এলাকার বাসিন্দা ও ছাত্রনেতা আব্দুল্লাহ আল নোমান…
View On WordPress
0 notes
Was bored
26 notes
·
View notes
বুয়েটে ভর্তির সুযোগ পেলেন সৈয়দপুর বিজ্ঞান কলেজের ১৪ শিক্ষার্থী
নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে এ বছর ১৪ জন শিক্ষার্থী বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। এর মধ্যে চারজন মেয়ে ও ১০ জন ছেলে।
ভর্তির সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীদের নাম ও তাদের ভর্তি পরীক্ষায় রোল নম্বর হল- মাহির নুরায়ন স্বচ্ছ ২৩১, লামিসা ২৬৫, নোমান ৯১১, রিসা ৪৩১, সৈকত ৫৪১, রাব্বি ৫৫২, আইনুল বারি ৮২০, আতিকুল সিহাব ৮২৭, বৃষ্টি রায় ৮৭১, ইসরাত ১২৮২, ত্বাকি আহমেদ সাদ…
View On WordPress
0 notes
আজকেও তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখলাম। কে বলুন তো?
আর কে? নোমান। তাকে নিয়ে আমার প্রথম স্বপ্ন ছিল এরকম - সে আর তার আম্মা আমাদের বাসায় আসছেন। তার মা গাড় গোলাপি রঙের একটা শাড়ি পরে ছিল আর সে লাল-মেরুন রঙের একটা পাঞ্জাবি, যেটা সে সবসময় পরে। তারা দুইজন এসে আমাদের বাসার কলিং বেল চাপলো। আমি তাদের দরজার পিপহোল দিয়ে দেখলাম। দুজনই বাইরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতেছে কখন দরজা খুলবো। নোমানের মুখটা বরাবরের মতই হাসি হাসি ছিল। খুব খুশি লাগতেছিল তাকে।
তারপর স্বপ্নের মধ্যেই বুঝলাম তারা আমাকে দেখতে আসছে। আমি তো মহাখুশি। কিন্তু তাদের সামনে যেতে পারতেছিলাম না। তাই আরেকটা মেয়েকে সাজিয়ে দিচ্ছিলাম, তাকে তাদের সামনে নিতে। কি একটা নাটকীয় স্বপ্নই না দেখলাম তাকে নিয়ে।
এবার আসি আজকের স্বপ্ন নিয়ে। সে আমাদের বাসায় আসছে। আমাকে সময় দিতে আসছে। আমার পরিবারের সামনেই আমার সাথে কথা বলতেছিলো, গল্প করতেছিল, চকলেটও দিল। পরদিন আবারও একই কাজ করতে আসছে।
এরপর দেখলাম সে চলে যাবার পর আমার আম্মু আমাকে বলতেছে, ইদের পর মানে এই জুলাই মাসের পর আমার আর নোমানের বিয়ে দিবে। সেজন্য তাদের চাঁদপুরের বাসায় আমারা সবাই যাবো।
কি সুন্দর একটা স্বপ্ন ছিল! কিন্তু এটা শুধু স্বপ্ন ই। বাস্তবে এসব ঘটার কোন সুযোগ ই নাই। তাই ভেবে খুব খারাপ লাগে যে তাকে আমি আমার জীবনে পাবো না। তাও তাকে নিয়ে এসব স্বপ্ন আমি দেখেই চলেছি। আজ টানা দুই দিন ধরে সে আমার স্বপ্নে আসতেছে। তাকে দেখতে ভালোই লাগে। কিন্তু যাকে আমি পাবো না সে কেন বারবার আমার স্বপ্নে আসবে?
যাই হোক, যাকে জীবনে নাই বা পেলাম, সে অন্তত আমার স্বপ্নে আসুক, দেখা দিক, কথা বলুক, দিনের আলোয় আমাকে দেখুক আর ভালোবাসুক। এটাই এখন আমার জন্য অনেক। ভালো থাকুক সে নিজের মতন করে। জীবনটা গুছিয়ে নিক। আমাকে ভুলে গেলেও আমি আর কি ই বা করতে পারি! আমাকে তো সে কখনো ভালোই বাসে নাই।
তাকে একটা রবীন্দ্র সঙ্গীতের গান ডেডিকেট করতে ইচ্ছে করছে এ মুহূর্তে।
"যদি আর কারে ভালবাসো
যদি আর ফিরে নাহি আসো
তবে তুমি যাহা চাও তাই যেন পাও
আমি যত দুঃখ পাই গো
আমারও পরান যাহা চায়
তুমি তাই, তুমি তাই গো
আমার পরান যাহা চায়।"
2 notes
·
View notes
লামিয়া
লামিয়া, দুই ভাইয়ের একমাএ আদরের বোন। বড় ভাই বিয়ের পর বউয়ের চাকরির সূত্রে বউয়ের সাথে আলাদা থাকে। মোজো ভাই আরমিতে ট্রেনিং নিচ্ছে। আর এদিকে সোহাগি কেবল ইন্টারে পরছে।
বড় ভাই ব্যবসায় প্রচন্ড লস খেয়েছে। আর এই ব্যবসা আগানো ভাইয়ের পক্ষে সম্ভব নয়। কোন টাকাই হাতে পুজি নেই!
পরিবারের অবস্থা রাস্তায় নেমে আসার মতো। বাড়িতে বাবা-মার সাথে একমাএ সোহাগি। ভেতরের অবস্থা একমাএ ওই বুঝতে পারছে। বড় ভাইয়ের কিছু করার নেই, মেজো ভাইকে কিছু বলা সম্ভব না।
- নোমান, কি করি বলো তো? কিছু তো বুঝতে পারছি না!
- এক কাজ করছো না কেন, তোমার তো কিছু সেভিংস আছে বলেছিলে। ছোটখাটো কোন ব্যবসা শুরু করছো না কেন?
- ওহ্, তাই তো! আমি তো ব্যাপারটা ভুলেই গিয়েছিলাম। কিন্তু কি করবো নোমান, টাকাটা খরচার জন্য বাড়িতে দিয়ে দিই। অতটুকুতে কি বা করবো!
নোমান, সোহাগিকে অনেক ভাবেই বোজালো। শেষ অব্দি সোহাগি ব্যাপারটা বুঝতেও পারলো।
নোমান হলো সোহাগির ছোটবেলার খেলার সাথী। গত সাত বছর দরে তারা সম্পর্কে আছে।
সোহাগিদের অল্প কিছু খালি জায়গা পড়েছিল কাজ শুরু হল সেখান থেকে। ছোট্ট একটা বিজনেস "মুরগির ফার্ম"। যে পরিমান পুজি ছিল তাতে এর থেকে বেশি কিছু করা সম্ভব ছিল না। তাই এখান থেকেই শুরু হলো।
মুরগির ফার্ম, ব্যাপারটা নিয়ে সোহাগের তেমন কিছুই জানা নেই। তবে নোমানের কথায় সম্পূর্ণভাবে কাজ শুরু করলো সোহাগি। নোমানের সর্বোচ্চ সাহা্য্য ছিল সব সময় সোহাগীর পাশে তাই কোন রকম সমস্যা ছাড়াই সামনে এগোতে থাকলো সোহাগি।
বর্তমানে পুরো ব্যাপারটাই অনেক সুন্দর চলছে। সেই ছোট্ট ফার্ম থেকে শুরু করে এখন বিশাল বড় কয়েকটা ফার্মের মালিক সোহাগি নিজে একাই। এখন বাবার সাথে বড় ভাইও যুক্ত হয়েছে ব্যবসায়। গ্রামে নাম ডাক হয়েছে প্রচুর, মাসে লাখ টাকার উপরে আয়, আর কি প্রয়োজন!
নোমান আর সোহাগির সম্পর্ক ভালই চলছিল। তবে দিন কয়েক হয়েছে নোমান কেমন যেন মন মরা হয়ে থাকে। সোহাগি কোন কিছু বুঝে উঠতে পারছে না। নোমানের বাড়ির লোকজনের সাথে কথা ও বলেছে সোহাগি। তবে তারাও কিছু বলতে নারাজ!
নোমানের হঠাৎ এমন পরিবর্তনে সোহাগি দিন দিন অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
এতকিছু দেখে নোমান শেষ অব্দি ঠিক করল যে সে সোহাগির সাথে কথা বলবে।
সোহাগি হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে,
- নোমান!
- সোহাগি, একটু ধর্য ধর। আমাকে একটু গোছাতে সময় দাও!
নোমানের এমন কথা সোহাগি কে ভয় দিচ্ছিল। সে নোমানের হাত শক্ত করে চেপে ধরলো। তবে নোমানের পুরো শরীর যেন হীম হয়ে আছে।
- সোহাগি, আমাদের মধ্যে সম্পর্কের এখানেই ইতি। সামনে আর আমাদের কোন কিছুই বাকি নেই!
সোহাগি নিঃশব্দতায় কেঁদে ওঠে নিজের চোখ দিয়ে নোমানকে জিজ্ঞেস করল, কেন নোমান? কি হয়েছে আমি কি কিছু করেছি? এমন তো হবার কথা না!
- সোহাগি, একটু থাম আমাকে বলে নিতে দাও, না হলে আমি আর বলতে পারব না!
আই'ম এইচআইভি পজিটিভ সোহাগি!
- কি হয়েছে? কি ভাবছো জানালার পাশে দাড়িয়ে? মাজেমধ্যেই তোমাকে দাড়িয়ে থাকতে দেখি। কি ভাব বলো তো!
- কই না তো, তেমন কিছু না দুপুরে খেয়েছিলে আজকে?
- নাহ্, সময় পাই নি। কাজের জন্য বাইরে যেতে হয়েছিলো। আমার বেবিটা কিছু খেয়েছে?
সোহাগি প্রেগন্যান্ট! সেদিনের কথা বিশ্বাস করতে না পারলেও নোমানের জোরাজুরিতেই সোহাগি অনেক কিছু সামলে আজ এখানে। সে সময়ের পর সোহাগি এসে ঢাকাতে ভার্সিটিতে ভর্তি হয়। তারপর একজনের সাথে পরিচয়, প্রেম আর বিয়ে! আজ সুখী জীবন পার করছে সোহাগি।
আর সে নোমান সে তো আছে। সোহাগির হৃদয় অন্তরালে।
- লামিয়া!
- হ্যাঁ, বল। কি হয়েছে?
- নোমান আর নেই!
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছে সোহাগি। কিছু সময় পর খবর এলো সোহাগের ছেলে হয়েছে। সোহাগি সেই আত্মার টুকরোকে কো��ে নিয়ে কপালে চুমু খেয়ে বলে উঠল, "নোমান"!
- ৩ জুন, ২০২৩
- মোনালিসা মিতু।
0 notes
বিএনপি - জামাতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে সুনামগঞ্জে আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ সভা
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সারাদেশ ব্যাপী বিএনপি-জামাতের নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা করেছে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা।
২৬ শে মে রোজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় শহরের রমিজ বিপনিস্থ আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুরুল হুদা মুকুটের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক নোমান বখত পলিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ…
View On WordPress
0 notes