Tumgik
#কিছু একটা পান
24x7newsbengal · 2 months
Link
0 notes
Tumblr media
ঢাকার এক রেস্তোরাঁয় বহুদিন পর দেখা হলো দুই বন্ধু কবির সঙ্গে। ঢাকার কাব্য বাতাসে নানা ঢেউয়ের এবং যুগপৎ স্রোতের ডাইনামিক্সের ফলে কবিরা একত্রে বসতে সুযোগও পান না, ফলে এভাবে দুজনের সঙ্গে কখনো বসিওনি আমি। সুযোগ মেলেনি বলাই ভদ্রতা হবে, কাব্যহিংসা বলে যে মজাদার কথাটা আল মাহমুদ প্রমুখ অগ্রজ বলতেন তা অস্বীকার করি না, বরং স্বীকার করে শ্লাঘা নেওয়াই এক রকম অভিজাত হয়ে উঠেছে হয়তো। আমরা তিন কবি সেদিন তিন ধারার প্রতিনিধিত্ব মনে রেখে মনের চেয়েও গভীরতম একটা প্রদেশ থেকে কিছু হালকা হাওয়া সেবন করার ব্রত নিয়ে আলাপে গা ঢাললাম। সেদিনের আলাপে শূন্য দশক থেকে গড়ে ওঠা কাব্য উদ্যোগের প্রায় আড়াই দশকের নানা ধারার কথা উঠে এলো। এবং কবিতার কারুতে এরা দুইয়ে বেশ গভীর এবং সেই কারণে আমি তাদের প্রতি বরাবর শ্রদ্ধাশীল ছি���াম। কবিতার কারুতা, শিল্পের নানা শাখায় সমকালের কবিদের যাতায়াতসহ আলাপে আরও কিছু বিষয় উঠে এলো। বিশেষ করে কবিতার সেই ক্ল্যাসিক ‘তিন দশকের পরীক্ষা’ আমি দুই দশকের পরীক্ষার কথা বলেছি যদিও আলাপে। আমি আরও কিছু জায়গা ধরলামও। আড্ডার একটি সুবিধা এই যে আপনি যখন কথা বলেন তখন পাশে বসে থাকা বন্ধুর মনকে যেমন খেয়াল রাখেন, নিজের মনের প্রান্তরে সেই ক্ষণে জেগে ওঠা ঘাস, ডানা মেলা সারসের উড্ডয়নকে আপনি না দেখে পারেন না। এই খ- গদ্য তেমন কিছু আলো ও রঙের প্রক্ষেপ।
বর্তমান বাংলা কবিতার ধারায় বেশ স্পষ্ট ধারাগুলো নিয়ে আমাদের আলাপ বাড়ছিল। কেমন করে একজন কবি ক্রিটিক হয়ে ওঠেন, আমাদের একটা অতীতমুখীনতা যে রয়েছে সেই অতীতমুখীন মনের ধারাটির স্বরূপ কী? কারও ব্যক্তিজীবন ও মানস আসলেই কত প্রচ্ছন্নভাবে কিংবা বাহ্যিক দিক থেকে কবিতায় ধরা দেয়, আসে, অথবা বলা ভালো ব্যবহৃত হয়। ধরা যাক একজন বিশ্বাসী কবি কেমন করে নিজের ভেতরটিকে খুঁড়ে নিজেকে কবিতার ভাষায় রূপ দেন। সেই চেষ্টার প্রকৃতি কতখানি সৎ আর কতখানি বহিরঙ্গের একটা ভঙ্গি, ইত্যাদি বিবেচনা কবিতার জীবন ও তার স্থায়িত্বের নিরিখে বিচার করা যায়। জীবন ও স্থায়িত্বের কথা এলো এই কারণে যে, সেদিন আমি কবিতার তিন দশকের ট্রায়াল কিংবা কবিতা তিন দশক পর কেমন গৃহীত হয়েছে অথবা কাদের কাছে গৃহীত হয়েছে সেই পরীক্ষার কথা বলেছি। আমি আসলে দুই দশকের পরীক্ষার কথাও বলেছি। কবিতা কখনো কখনো একটি শেকড়ের মতো যা উদ্ভিদ হয়ে ওঠার আগে মাটির নিচ দিয়ে বহু বছর ধরেই নিজেকে বাড়তে দিতে থাকে। কাজেই একটি সময় গাছ হিসেবে তার কি রূপ হয় তা দেখার বিষয় তো থেকেই।
আমাদের সময়ের কবিতা নিজেকে স্বাতন্ত্র্য দিতে চায় এটি কবিতার কাছে কবির দাবি, কবির কাছেও কবিতার। স্বাতন্ত্র্যের নানা রূপের মাঝে দৈশিক, ভূমিলগ্নতা ইত্যাদি বিষয়কে শূন্য দশকের আগেও হয়েছে। নব্বই দশকে উত্তরাধুনিক কবিতা বলে একটি ধারা গড়ে উঠেছিল আমাদের অগ্রজদের মাঝে। চর্যাপদ নিয়ে কাজ করেছেন অগ্রজদের কেউ কেউ। আমাদের সমসাময়িকদের মাঝে এর কিছু অনুধাবন একেবারে শূন্য দশকের গোড়াতেই দেখেছি। পরের দিকে কবি বন্ধুদের কেউ কেউ সরাসরি ভূমিলগ্ন কবিতাকে নিজেদের ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেছে। আরেকটি অংশ উল্লেখযোগ্যভাবেই নাগরিক ধারায় কবিতা লিখেছেন। কিন্তু খুব বড় সত্য হলো যে এই ধারার কবিরা সেই পরিচিত নাগরিক ধারার ষাট দশকীয় বলয়ের বাইরে নিজেদের নিয়ে এসেছেন খুব সফলভাবেই। কেননা এই কবি গোষ্ঠী অনুধাবন করেছিলেন যে ভাষাতেই মুক্তি, কাজেই ভাষার মুক্তি ঘটালেন তারা। সে এক দীর্ঘ আলাপ।
কবিতার একটি জনসমাজ থেকে উঠে আসার বাস্তবতা থাকে। সমাজের বয়নের ভেতর থেকে কবিতা জাগলে তাকে সেই সমাজের হয়ে উঠতে হয় না, কবিকে (হয়তো চারণকবি) বিশিষ্টতার সাধনা না করে বরং তার সামূহিক অবচেতনের অভিজ্ঞানকে চিহ্নিত করতে পারলেই যথেষ্ট হয়। সেটা কোনো সাধনা নয় কিনা তা ভিন্ন আলোচ্য। তবে তার সহজতার রূপের আড়ালে ওই রহস্য যে অন্তঃশীল থাকে তা নির্দ্বিধায় বলা চলে। চারণকবির যে সুবিধা থাকে তার একটি দিক হলো তার স্বরকে বিশিষ্ট করে তোলার জন্য করণকৌশলের সাধনা থেকে তার মুক্তি নেওয়ার সুযোগ অবারিত থাকে। সেই সুযোগ তিনি গ্রহণ করতে পারেন, নাও পারেন। করেন না এমন বলা আমার পক্ষে সহজ অন্তত নয়। তবে যে যোগ থেকে তিনি প্রাণ আহরণ করেন তা শক্তি দেয় তাকে, ভার দেয়, ভরও দেয়। তার সাধনার জগৎটিতে ধ্যান জমিয়ে তোলার পরিসর অবাধ এবং তা জটিলও নয়। একটি স্রোতকে ধারণ করে তিনি নিজে স্রোতের অংশ হয়ে ওঠেন এবং তার সমাজ তাকে নিজেদের একজন হিসেবে চিনে নেয় এমনই নয় কেবল, বরং তাকেই পুরো সমাজের মুখ হিসেবে নিজেদের মনে আসন দেন। সমগ্র প্রকৃতি, জনবৈশিষ্ট্য, জল হাওয়া সেই কবির কণ্ঠে বেজে ওঠে। কবি ও সেই সমাজে কোথাও আর প্রভেদ থাকে না। তবে একটা ভেদ (রহস্য) থাকে, সেটা না থাকাই বরং অস্বাভাবিক। কবি মাত্রেই রহস্যকে ধারণ করেন। এ ক্ষেত্রে কবি কেমন করে ওই জনতার অবচেতনকে একজন ব্যক্তি মানুষ হয়েও পুরোপুরি ধারণ করলেন এবং অভিব্যক্তি দান করলেন, সেই রহস্য দীর্ঘ ধ্যানী অনুসন্ধানের বিষয় হতে পারে। তবে আলোর মতো রহস্যকেও ভাঙা যায় না। কেবল আলোয় অবগাহন করা যায়, সেটাই বরং ভালো।
কৌমসমাজের কবি তো কৌমের নিজের, কৌম তার, কাজেই নিজের গান করেন তিনি। নিজের ভেতর থেকে নিজের গান করার বেলায় একটিই হয়তো দিককে একাগ্রচিত্তে সাধিত করতে হয় সুরটি সহজ হলেও তার প্রাণের বহুতলময় বিবিধ স্বাদময় রসটিকে চিহ্নিত করে তাকে স্বরে ব্যক্ত করতে হয়। এ সাধনা শ্রমসাধ্য অবশ্যই। আমি বা আমার মতো কেউ কেউ সেই শ্রম দিতে অপারগ হয়ে হয়তো আফসোস করি। কেউ কেউ আবার অনুকরণও তো করি সেটা এক ট্র্যাজিক প্রচেষ্টা, যার ফল খুব মর্মান্তিক। জনসমাজের গভীরতা তার সামূহিক অবচেতন থেকে আসে। সেই অবচেতনের বিবর্তনও ঘটে। সেই বিবর্তনকে বুঝতে হয় তার ভেতর বাস করে, তার আত্মায় ঘর করে তবেই। নতুবা বেড়াতে আসা লোকের ক্যামেরায় তোলা ছবির মতো করুণ হয়ে ওঠে সেই চেষ্টা। কবিতার কারু এবং জনসমাজের আত্মা সেই প্রয়াসে এক উৎকটভাবে পৃথক থেকে নিজেদের প্রদর্শন করতে থাকে। কাব্যিক ভয়াল দশা সেটি।
যারা বাংলাদেশে কবিতা লেখেন তাদের কবিতায় এই মাটির কিংবা এই ��পমহাদেশের সবচেয়ে বিশিষ্ট যে প্রেরণা অন্তঃশীল তা হলো জলবায়ুর প্রাণের ধীরতা ও ধ্যানী অগ্রসরতা। একটি আপাত একরৈখিক জীবনের উপরিতলের অন্তরে বহুস্তরময় এবং বহু স্রোতের সম্মিলনে যে ঐকতান তাকে সহজভাবে ধরতে পারা এবং নিজের ভাষায় তাকে অভিব্যক্তি প্রদান করা একটি বড় অর্জন বলে মনে হয়। এখানকার কবিতায় সেই চরিত্র রয়েছে। কাজেই আপাত নাগরিক কবিতায়ও সেই সুরকে আবিষ্কার করার মতো চোখ আমাদের থাকা দরকার।
এই যে মঠ নিবাসী হতে চায় আমার প্রাণ, জলার ধারে স্থির নিশ্চল সময় পরিধিকে আমি অন্তত ধারণ করতে প্রবলভাবে ইচ্ছুক। সেটি কি একরৈখিক? সেটি একটি নিবেদনক্রিয়াও কি? যদি তাই হয়ে থাকে তবে তার সরলতাকে সহস্র বছর যাবৎ উদযাপন করাই যায়। তাতে রস গাঢ়তর হয়।
নাগরিকের যে সেই যোগ নেই, যাকে কেউ হয়তো উন্মুলতা বলতে চাইবেন তাও কিন্তু একটি সুযোগ তৈরি করে। তাকে ভিন্ন ভরকেন্দ্র, ভিন্ন অভিমুখ গড়তে হয়। সেই অভিমুখ প্রস্তুত থাকে না, তাকে খুঁজতে হয়, পেতে হয় এবং ক্ষেত্রবিশেষে গড়ে নিতে হয়। সেটা বরং সৃষ্টিশীলতার দিক থেকে মহৎতর। ঘটনা হলো বহু জগৎ তাতে উন্মোচিত হয়, কারণ ব্যক্তি কবি (আমি, আমরা, আমাদের ইত্যাদি বুঝেই বলছি) তার জগতের প্রত্নমানসে (আর্কিটাইপ) অবগাহন করতে সুযোগ পান আজীবন। যার ঘর নেই, পুরো জগতে তার বহু নিবাস। প্রত্নমানসকে ফলিয়ে তুলে অভিব্যক্তির আদল তৈরি করতে পারতে হয়। রত্ন ভেতরে রয়েছেই, তাকে বের করে রূপ দিতে পারতে হবে।
রূপ দেওয়া যদি চমক দেওয়াতে অবসিত হয় তবে অবশ্য যুগপৎ সাড়াও জাগে, ফাঁদও তৈরি হয়। ‘সৌধ’ তৈরির সমস্যা এই যে, সৌধ একটি এককেন্দ্রিক এনার্জি তৈরি করে নির্মাতাকে বেঁধে ফেলে এবং অন্যরা সৌধের পূজায় লিপ্ত হয়। কবি শিল্পী ব্যক্তির জন্য সেটা কত বড় দায় তার উত্তর দশকের পর দশক ধরে দিয়ে যেতে হয়।
0 notes
gitaacharaninbengali · 2 months
Text
18. ‘সৎ’ এবং ‘অসৎ’
শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন যে সৎ যা বাস্তব ও স্থায়ী, তার কখনো শেষ হয় না। অসৎ যা মায়া ও ক্ষণস্থায়ী, তার কোনো অস্তিত্ব নেই। জ্ঞানী তিনিই যিনি উভয়ের মধ্যে পার্থক্য করতে পারেন (2.16)।
সৎ এবং অসত্যের জটিলতা বোঝার জন্য দড়ি এবং সাপের গল্পটি প্রায়শই অনেক সংস্কৃতিতে উদ্ধৃত করা হয়। এক ব্যক্তি সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে তার বাড়ির প্রবেশদ্বারে একটি সাপের কুণ্ডলী দেখতে পান। কিন্তু এটা আসলে বাচ্চাদের রেখে যাওয়া একটা দড়ি, যেটা অন্ধকারে একটা সাপের মত দেখাচ্ছিল। এখানে দড়ি সত্যের প্রতীক এবং সাপ অসত্যের প্রতীক। যতক্ষণ না সে সৎ, দড়ি সম্পর্কে সচেতন হয়, ততক্ষণ সে অসৎকে অর্থাৎ কল্পিত সাপের মোকাবেলা করার জন্য অনেক রণনীতি অবলম্বন করতে পারে। সে লাঠি দিয়ে তাকে আক্রমণ করতে পারে বা পালিয়ে যেতে পারে বা তার সত্যতা পরীক্ষা করার জন্য একটি মশাল জ্বালাতে পারে। আমাদের অনুমান অসৎ হলে সর্বোত্তম রণনীতি এবং দক্ষতা নষ্ট হয়।
অসত্যের অস্তিত্ব সৎ থেকে আসে, যেমন দড়ি ছাড়া সাপ থাকে না। যেহেতু অসত্যের অস্তিত্ব সত্যের কারণে, তাই এটি একটি দুঃস্বপ্নের মতো আমাদের প্রভাবিত করতে পারে যা ঘুমের মধ্যে আমাদের শরীরকে ঘামে ভিজিয়ে দিতে পারে।
অসৎ শনাক্তকরণের জন্য শ্রীকৃষ্ণের পরীক্ষা পদ্ধতি হল এই নীতি যে- ‘যা অতীতে ছিল না এবং ভবিষ্যতেও থাকবে না’ । যদি আমরা ইন্দ্রিয় আনন্দের উদাহরণ নিই, তা আগে ছিল না এবং কিছু সময়ের পরে হবে না। ব্যথা এবং অন্যান্য সমস্ত ক্ষেত্রেও একই কথা। এ বিষয়ে ইঙ্গিত হল যে, অসৎ সময়ে বিদ্যমান যেখানে সৎ চিরন্তন।
সৎ হল বিবেক যা চিরন্তন এবং অহং অসৎ যা বিবেকের সমর্থনে নিজেকে টিকিয়ে রাখে। যেদিন আমরা দড়ির আকারের আত্মাকে আবিষ্কার করি, তখন সাপের আকারের অহংকার স্বয়ংক্রিয়ভাবে অদৃশ্য হয়ে যায়।
0 notes
anynews24com · 3 months
Text
চাকরির পাশাপাশি আয় বাড়ানোর পাঁচ উপায়
মাস গেলে একটা নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ পান যাঁরা, তাঁদের অনেকেই জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহ করতে হিমশিম খাচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে কিন্তু মিতব্যয়ী হওয়ার পাশাপাশি আয় বাড়ানোর প্রচেষ্টাও করা যেতে পারে। সব উপায় অবশ্য সবার জন্য বাস্তবসম্মত হবে না। তবে সততা বজায় রেখে রোজগার বাড়ানোর কিছু উপায় ভেবে দেখা যেতে পারে। ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ অফিসে বাইরে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করে বাড়তি আয়ের সুযোগ নিতে…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
sohagsthings · 5 months
Text
শীতকালে ওজন কমাতে চাইলে এই ৬টি পানীয় পান করুন
শীত শুধু কনকনে ঠান্ডা আর লেপের উষ্ণতাই নিয়ে আসে না। সঙ্গে আনে চিনি কিংবা মিষ্টির ভান্ডার! ধোঁয়া ওঠা ভাপা পিঠা থেকে খেজুর রসের পায়েস—যা-ই খান না কেন শীতে, খাবারে চিনির মাত্রা অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বাড়তিই থাকে। এ কারণেই অনেকে মনে করেন, শীতকালে ওজন কমানো খুব কঠিন।ওজন কমানোর যাত্রায় আপনার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে এবং কয়েক কেজি ওজন কমাতে এবার থাকছে কয়েকটি বিশেষ উপকারী পানীয়র তালিকা।
লেবু-পুদিনার চা
লেবুর টক স্বাদ, পুদিনার ঘ্রাণ ও চায়ের উষ্ণতা দেয় ওজন কমানোর এক দারুণ টোটকা। লেবুতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে। চায়ে এই ভিটামিন সি মিশে হজমে সহায়তা করে ও শরীর থেকে বিভিন্ন দূষিত পদার্থ বের করে দেয়। পুদিনা পেট ও গলা ঠান্ডা করে, ক্ষুধা নিবারণে সহায়ক। লেবু চা বানাতে লেবুর রস নিন কিংবা মোটা মোটা করে কাটা কয়েক টুকরা লেবু পুদিনাপাতাসহ সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে পানিটুকু ৫ মিনিট ফুটান। ব্যস, আপনার শীতকালীন বিশেষ চা তৈরি। এই চা শুধু খেতেই ভালো না, আপনার ওজন কমাতে রাখবে বিশেষ ভূমিকা।
বিটরুটের জুস
বিটরুট খুব পুষ্টিকর এবং এতে ক্যালরি কম। এই জুস খেলে পেট সহজেই ভরে যায়, ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে। বিটরুটে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। এটি লিভার বা যকৃতের স্বাভাবিক ক্রিয়ায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখে এবং শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দেয়। এক কাপ রিটরুটের জুস তৈরি করতে একটি বিটরুট গ্রেট করে নিন। তারপর পানি মিশিয়ে ব্লেন্ড করুন। স্বাদ বাড়াতে লেবু ও সামান্য বিট লবণ যোগ করতে পারেন।
��ারুচিনির চা
দারুচিনির চা সুগন্ধি; বেশ কিছু স্বাস্থ্যগত উপকারিতাও আছে। দারুচিনির চা ওজন কমায়। দারুচিনি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এর স্বাদ চিনির প্রতি আসক্তিও কমায়। রাতে বা খুব সকালে এক কাপ গরম দারুচিনির চা খেলে শরীরের বিপাকক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়, যা শরীরের চর্বি কমায়। এই চা প্রস্তুত করতে হলে ১–২টি লম্বা দারুচিনির টুকরা গরম পানিতে সেদ্ধ করে নিন। তারপর ৫–৭ মিনিট পানিতে ডুবিয়ে রাখুন। ভারী খাবার খাওয়ার আগে এই চা খেলে হজমেও সুবিধা।
নারকেল ও দারুচিনির চা
চা কিংবা দুধমুক্ত কোনো পানীয় পছন্দ না করলে নারকেল আর দারুচিনির চা আপনার জন্য ভালো বিকল্প। এতে পাবেন দারুচিনির উপকারিতা আর নারকেলের দুধের পুষ্টিগুণ। এই পানীয় তৈরি করতে কিছু লম্বা দারুচিনির টুকরা নিন। তারপর নারকেলের দুধে দারুচিনির টুকরাগুলো ভিজিয়ে রাখুন। নারকেলের দুধটুকু কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। যতক্ষণ না দুধের রং বদলে যেতে থাকে, ততক্ষণ ফুটাতে থাকুন। এবার আপনার তৈরি চা একটা গ্লাসে ঢালুন। চায়ের ওপর খানিকটা দারুচিনির গুঁড়া ছিটিয়ে দিন। ব্যস, আপনার নারকেল ও দারুচিনির চা তৈরি। এই চা শুধু আপনার ওজনই কমাবে না, শীতের দিনে উষ্ণতার আমেজও দেবে।
অ্যাপল সাইডার ভিনেগার ও হলুদের মিশ্রণ
অ্যাপল সাইডার ভিনেগার ও হলুদের মিশ্রণ খেতে খুব একটা ভালো হয়তো লাগবে না। কিন্তু এই পানীয় খেলে শরীরের যতটা উপকার হবে, তার জন্য অতটুকু কটু স্বাদ সহ্য করাই যায়। অ্যাপল সাইডার ভিনেগার ও হলুদের পানীয় শরীরের বিপাকক্রিয়া ত্বরান্বিত করে এবং সহায়তা করে হজমে। হলুদে আছে কারকিউমিন, যা প্রদাহ দূর করে এবং অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি দ্রুত শরীরের চর্বি ক্ষয় করে ওজন কমিয়ে দেয়। এই পানীয় তৈরি করতে অ্যাপল সাইডার ভিনেগারের ‘মাদার’ অংশটুকু অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। (অ্যাপল সাইডার ভিনেগার উৎপন্নের সময় এই তরলের পৃষ্ঠতলে অ্যাসিটিক অ্যাসিড ব্যাকটেরিয়া দিয়ে একটি পুরু স্তর তৈরি হয়। এই স্তরকে বলে মাদার অংশ। কারণ, ভিনেগার সৃষ্টিতে এটি অনুঘটক হিসেবে কাজ করে।)
লেবু ও চিয়া সিড মিশ্রিত পানি
বাড়তি ওজন ঝরিয়ে ফেলার আরও একটি কার্যকর উপায় হলো লেবু ও চিয়া সিড মিশ্রিত পানি পান করা। চিয়া সিডে প্রচুর ফাইবার বা আঁশ থাকে। অল্প খেলেই পেট ভরে যায়। বেশি খেতে তখন আর ইচ্ছা করে না। এতে আরও আছে প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড, যা চর্বি দূর করে। এক গ্লাস চিয়া সিড ও লেবু মিশ্রিত পানীয় তৈরি করতে এক টেবিল চামচ চিয়া সিড সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে চিয়া সিড মিশ্রিত পানিতে খানিকটা লেবুর রস মেশান। এই পানিটুকু খালি পেটে পান করুন। এই পানীয় শুধু ওজন কমায় না, শরীরের পানিশূন্যতা দূর করে এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগায়।
https://www.mindspace24.com/if-you-want-to-lose-weight-in-winter-drink-these-6-drinks/
0 notes
rksrana · 8 months
Text
Tumblr media
কারো জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে ইত্যাদি উপলক্ষে ‘বিশেষ দিবস বা বার্ষিকী’ উদযাপন করা একটি ইয়াহুদী-খ্রীস্টানদের বিজাতীয় সংকৃতি, আর মুসলমানদের জন্য অমুসলিমদের সংস্কৃতির অনুকরণ করা সম্পূর্ণ হারাম।
খ্রীস্টানরা ঈসা আঃ এর জন্ম উপলক্ষে“ক্রিসমাস” বা বড়দিন পালন করে। খ্রীস্টানদের দেখাদেখি রাসুলুল্লাহ সাঃ এর মৃত্যুর প্রায় ৪৫০ বছর পরে ইরাকের শিয়ারা মুসলমানদের মাঝে প্রথম রাসুলুল্লাহ সাঃ এর কথিত জন্মদিন, ১২ই রবিউল আওয়াল উপলক্ষে “ঈদে মিলাদুন্নবী” নামে বিদাতী একটা অনুষ্ঠান চালু করে। ভারত, পাকিস্থান, বাংলাদেশের অল্প শিক্ষিত হুজুরেরা ইরাকের বিভ্রান্ত শিয়াদের দেখাদেখি ঈদে মিলাদুন্নবী নামের এই “বিদাতী ঈদ” পালন করা আমাদের দেশেও আমদানি করেছে।
মুসলমানদের ঈদ হচ্ছে ঈদুল ফিতুল এবং ঈদুল আযাহ। এর বাইরে “ঈদে মিলাদুন্নবী” নামে কোন ঈদের কথা ক্বুরান হাদীসের কোথাও নেই, রাসুল সাঃ এই নামে কোন ঈদ আমাদেরকে পালন করতে বলেন নি, তাঁর সাহাবারাও করেন নি। এমনকি ঈদে মিলাদুন্নবী নামে কোন শব্দ ক্বুরান হাদিসে নাই। আমি সেই সমস্ত লোকদেরকে বলছি, যারা শিয়াদের দেখাদেখি ঈদে মিলাদুন্নবী নামে নতুন“ঈদ” উদযাপন করার পক্ষপাতী, তারা ঈদে মিলাদুন্নবী কথাটা ক্বুরানের কোন একটি আয়াত থেকে অথবা রাসুল সাঃ এর একটি সহীহ হাদীস থেকে বের করে দেখান। আপনারা কেয়ামত পর্যন্ত ঈদে মিলাদুন্নবী নামে কোন কিছু ক্বুরান হাদীস থেকে প্রমান করতে পারবনে না।
দলিল বিহীন, ম্যান মেইড (মানুষের বানানো) মনগড়া কোন ইবাদত আল্লাহ তাআ’লা কস্মিনকালেও কবুল করেন না। সুতরাং, ঈদে মিলাদুন্নবী নামের বিদাতী ঈদ পালন করা থেকে বিরত থাকুন। বিদাতী আমল আল্লাহ্‌ কবুল করেন না এনিয়ে কিছু হাদীসঃ
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
“নিশ্চয়ই সর্বোত্তম বাণী হচ্ছে আল্লাহর কিতাব এবং সর্বোত্তম আদর্শ হচ্ছে মুহাম্মদের আদর্শ। আর সবচেয়ে নিকৃষ্ট বিষয় হচ্ছে (দ্বীনের মাঝে) নতুন আবিষ্কার করা বিষয়গুলো। আর প্রত্যেক নব উদ্ভাবিত প্রত্যেক বিষয় হচ্ছে বিদআ’ত এবং প্রত্যেক বিদআত হচ্ছে পথভ্রষ্টতা এবং প্রত্যেক পথভ্রষ্টতার পরিণাম হচ্ছে জাহান্নাম।”
[সহীহ মুসলিমঃ ১৫৩৫, সুনানে আন-নাসায়ীঃ ১৫৬০, হাদীসের বাক্যগুলো নাসায়ী থেকে নেওয়া]
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেনঃ
“যে ব্যক্তি আমাদের এই দ্বীনে নতুন কিছু উদ্ভাবন করবে যা, এর কোন অংশ নয়, তবে সেটা মারদুদু বা প্রত্যাখ্যাত হবে।”
[সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম]
উল্লেখ্য, রাসুল সাঃ এর জন্ম ১২ই রবিউল আওয়ালে হয়েছিলো এই কথা ক্বুরান হাদীসের কোথাও উল্লেখ করা নেই এবং ঐতিহাসিকভাবে নিশ্চত জানা যায়না রাসুল সাঃ আসলে কত তারিখে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। রাসুল সাঃ এর জন্ম কোন তারিখে হয়েছিলো, এনিয়ে কয়েকটি তারিখ ও মতামত পাওয়া যায়। এর মাঝে, রাসুল সাঃ এর জন্ম ৯ই রবিউল আওয়াল হয়েছিলো, এই মতটাই ওলামাদের কাছে সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী বলে গণ্য, বিস্তারিত জানার জন্য আপনারা “আর-রাহিখুল মাখতুম” বইটা দেখতে পারেন।
সর্বশেষ, দলিল বিহীন কোন ইবাদত অর্থাৎ বিদাত করলে তার শাস্তিঃ
বিদআত করা সম্পূর্ণ হারাম। বিদআতের পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ। বিদআত করলে ইবাদাত কবুল হয় না। বিদআতের শেষ পরিণাম জাহান্নাম। বিদআত করলে কিয়ামতের দিন যখন সূর্য মাথা অতি নিকটে থাকবে তখন সকলে তৃষ্ণায় পানি পান করতে চাইবে, আর তখন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তার উম্মতকে হাউজে কাউসার থেকে পানি পান করাবেন। কিন্তু আফসোস বিদআতিরা সেই দিন পানি পান করতে পারবে না।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেনঃ
“আমি তোমাদের পূর্বেই হাওযে কাওসারের নিকট পৌঁছে যাব । যে ব্যক্তি সেখানে নামবে এবং তার পানি পান করবে সে আর কখনও পিপাসিত হবে না । কতিপয় লোক আমার নিকট আসতে চাইবে , আমি তাদেরকে চিনি আর তারাও আমাকে চেনে । অতঃপর আমার ও তাদের মধ্যে পর্দা পড়ে যাবে । রাসূল (সাঃ) বলবেন : তারা তো আমার উম্মাতের অন্তর্ভুক্ত । তাকে বলা হবে আপনি জানেন না আপনার পরে তারা কি আমল করেছে । তখন যে ব্যক্তি আমার পরে (দ্বীনকে) পরিবর্তন করেছে তাকে আমি বলবো : দূর হয়ে যা , দূর হয়ে যা।”
[সহীহ মুসলিমঃ ৪২৪৩]
এর চেয়ে বড় অপমান আর কি হতে পারে? তাই মিলাদ খাওয়া আর মিলাদ পড়া ভাইয়েরা সাবধান। হাউজে কাউসারের মিষ্টি পানি থেকে বঞ্চিত হতে না চাইলে বিদাতী মিলাদের অনুষ্ঠান সহ যাবতীয় বিদাতী আকিদাহ ও আমল বর্জন করুন।
1 note · View note
caspersoo · 10 months
Text
আমি যার অর্ধাঙ্গীনি হবো তাকে লিখছি
প্রিয়...
আমার পুরুষ
তিন হাত শরীরে ২০হাত লম্বা দুঃখের বোঝা বইতে গিয়ে চেহারায় আমার বয়সের ছাপ পড়ে গেছে। দামি সানস্ক্রিন ক্রিমের অভাবে মুখে সান স্পট স্পষ্ট দেখা যায়। চোখ যুগলে আকর্ষনীয় ঘনকালো ব্রু নেই। আপনি কখনো আমার দিকে চেয়ে বলতে পারবেন না পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর নারী আপনার অর্ধাঙ্গীনি।
আমার হাত ধরে আপনি কখনো অনুভব করবেন না তুলতুলে কিছু আপনার মুষ্ঠিতে, সঠিক যত্নের অভাবে আমার হাতের তালু শক্ত হয়ে গেছে, নখ হয়েছে হলদেভাব।
আমি গান গাইতে পারিনা কিন্তু ক্লান্ত দুপুরে কিংবা মধ্যে রাতে আপনার মাথার পাশে বিছানার কোণায় বসে আপনার চুলে হাত ভোলাতে ভোলাতে গুনগুনিয়ে দুই-এক লাইন গেয়ে ফেলবো।
আমি বড্ড অভিমানী,আমার মুড সুইং হয় ঘনঘন তবে আপনি যদি একটা ফুল কিংবা চিঠি এনে হাতে ধরিয়ে দেন তৎক্ষনাৎই মুখ লুকাবো আপনার বুকে। আচ্ছা, আমার বেশি বেশি অভিমানে আপনি কি আমাকে তাচ্ছিল্য করে কথা বলবেন নাকি সব মানিয়ে নিবেন?
সব পুরুষের মতো আপনিও হয়তো আশা করেন আপনার ঘরের রানী হবে স্লীম ফিগারের, উজ্জ্বল বর্ণের, কনকালো ���ুলের রমনী কিন্তু সংসার আর অফিস সামলিয়ে নিজেকে আর সময় দিতে না পারাতে আমার অসুন্দর চেহারা আর উষ্কখুষ্ক চুল দেখে আপনি কি ঘৃণায় কোনো রূপবতী খোঁজ করবেন নাকি এই আমিটার পাশেই সারাজীবন থেকে যাবেন?
প্রিয় পুরুষ, আপনি যদি আমার যা কিছু নাই আর যা কিছু আছে, আমার রোগা চোখ,কালো ঠোঁট, আমার এলোমেলো চুল, রান্নাঘর থেকে বের হওয়ার পর ঘামে চপচপে আমাকে দেখে ভালোবাসা খুঁজে পান তাহলে কথা দিচ্ছি আপনার অসুখে আমি নির্ঘুম রাত্রি জেগে সেবা করার সঙ্গী হবো, আপনার পকেট খালির দিনে সংসারের খরচটা আমি ম্যানেজ করে নিবো, বৃদ্ধ বয়সে চশমাটা এগিয়ে দিবো।
চিরন্তর ভালোবাসবো,আমার প্রিয় পুরুষ।🖤
@ Bindu
Tumblr media
0 notes
journalsmonitor · 10 months
Text
কাজী নজরুল-নার্গিস আক্তার ট্র্যাজেডি
সেনাবাহিনীর চাকরি শেষে একুশ বছরের কাজী নজরুল ইসলাম কলকাতায় এসে বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতির একটা ঘরে থাকবার জায়গা পান। আলী আকবর খান নামের একজন পুস্তক প্রকাশক পাশের ঘরে থাকতেন। নজরুলের সঙ্গে তার সদ্ভাব হয়। লিচুচোর নামে শিশুতোষ একটি কবিতা নজরুল তাকে লিখে দেন। নজরুলের অল্প কিছু কবিতা ও গল্প তখন কলকাতার পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে, ফজলুল হকের নবযুগ পত্রিকায় কিছুদিন চাকরি করেছিলেন- সে চাকরি গেছে। একদিন…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
word-child · 11 months
Text
শেষ চিঠি
প্রিয় জাকারিয়া,
আপনি আমাকে ছেড়ে যাবার আগে আমিই চলে যাচ্ছি। এক না এক সময় এটা হতোই আমাদের সাথে। তাই আমি ই শুরুটা করলাম।
আপনি এতদিন অভিশাপের ভয়ে আমাকে কিছু বলতে পারেন নাই, আমি সেটা বুঝতে পারছি। চিন্তা করবেন না। আমার মত বলদ মহিলা আপনাকে জীবনেও অভিশাপ দিবে না। যাকে ভালোবাসছি তাকে কি করে অভিশাপ দিব বলেন তো! আর এটা আপনি ভাবলেন ই বা কি করে! উল্টা দোয়া করবো যাতে আপনি সুখী হন। ভালো একটা কিছু করেন। একটা বুদ্ধিমতি, দ্বীনদার, আপনাকে বুঝবে এমন একটা জীবনসঙ্গী পান। সুন্দর পরিবার হোক। আপনি অবশ্যই ভালো মন-মানসিকতা আর সুন্দর চিন্তাধারার একটা মেয়ে পাবেন, দেইখেন।
এখন আসি, এই কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়ার পেছনের কারণে।
আমি অনেকদিন ধরে চিন্তা করছি, আমরা আসলে যে জিনিসের মধ্যে আছি, সেটাকে ভালোবাসা বলে না। আপনার আমার প্রতি কোন টান, মায়া, সত্যিকারের ভালোবাসা, ফিলিংস কিছুই নাই।
আপনার যাবতীয় ভালোবাসা-ভালোলাগা, মন খারাপ করা, মিস করা, মনে পড়া সব ঐ আদরের কৃমির ডাক্তারের জন্য। জানেন বোধহয়, ভালোলাগাটা হচ্ছে প্রেম আর ভুলতে না পারাটা হচ্ছে ভালোবাসা। আপনি এখনো কৃমির ডাক্তারকেই ভালোবাসেন। আমিও খুব চাই যে আপনি তারই হন যাকে আপনি মন থেকে ভালোবাসেন।
আপনাকে আমি সত্যিই খুব ভালোবাসি। আপনি ই আমার প্রথম প্রেম ছিলেন। আর প্রথম প্রেম নাকি খুব কম টিকে। তাই আমারও টিকলো না। আপনি জানেন আমি অনেক অন্তর্মুখী। এটাও জেনে রাখেন আমার আর জীবনেও প্রেম হবে না। প্রেম তার সাথেই করা উচিত যে কিনা ধরে রাখবে, অপেক্ষা করবে আর শেষমেষ বিয়ে করবে। কিন্তু আপনি যে এই জিনিসটা চান না সেটা আমি ধরতে পারছি।
প্রথম যেদিন কিস করছিলেন, তখনও আমি জানতাম না যে আপনার এর আগে একটা ফার্স্ট লাভ ছিল। যেদিন জানালেন যে, ওর কথা খুব মনে পড়ছিলো, তাই কিসটা করছিলেন, সেদিন আমি খুব কষ্ট পাইছি। একদিন বলছিলেন, আমার লিখা চিঠিটা ফেরত দিয়ে দিবেন। আরেকদিন আমার সাথে অনেক সময় কাটালেন, তখনও জানালেন যে ওর কথা মনে পড়তেছে। ফোনকলে একদিন তিন ঘণ্টা ধরে সব শেষ করার জন্য বুঝ দিচ্ছিলেন যে, আমি নাকি আপনার সাথে জীবনে পেরে উঠবো না, চলতে পারবো না। এক সময় মেসেজে অনেক কথা জানতে চাইতেন, আমার খোঁজ নিতেন, নিজের কথা বলতেন, আমার মন খারাপের কথা জিজ্ঞেস করতেন। এরপর হঠাৎ ধীরে ধীরে বদলে গেলেন। আর মেসেজ দেন না, আমি মেসেজ দিলেও ঠিকমত রিপ্লাই দেন না। এইসব কিছু আমাকে খুব কষ্ট দিছে। প্রত্যেকদিন আপনার আর কৃমির ডাক্তারের সুন্দর সুন্দর স্মৃতির কথা মনে মনে ভাবি আর কষ্ট পাই। অনেক খারাপ লাগে। আমি মনে হয় সারাজীবন আপনাদের দুইজনের কথা ভেবে যাবো। ওর ভালবাসার অভাব কাটাতে, ওর কথা মনে পড়ে দেখে আমি শুধুমাত্র একটা টাইম পাস আর ভুল ছিলাম আপনার জীবনে, তাই না? এখন আমার এই ট্রমা আজীবন বয়ে বেড়ানো লাগবে।
আমি আপনাকে হারাতে চাই নাই। কিন্তু কি আর করার, যে আমাকে মন থেকে ভালোই বাসে না, তাকে ধরে রেখে কি ই বা হবে! আপনি তো আমাকে কোনদিন ভালোই বাসেন নাই, আর বাসবেন ও না! তবুও মনের মধ্যে মিথ্যে আশা নিয়ে রোজ বসে থাকতাম যে একদিন আপনি আমারই হবেন। কিন্তু আল্টিমেটলি তো হবেন না। আমি এটাচমেন্ট খুব ভয় পাই। এটা ভালো জিনিস না। আপনার প্রতি এটা দিন দিন বাড়ছে আর আমি উইক হয়ে গেছি। এখন আমি ই সাফার করতেছি, যেমন আপনি কৃমির ডাক্তারের জন্য সাফার করেন এখন।
আপনার প্রতি আমার আর কোন রাগ-অভিমান কিছুই নাই। সব শেষ। শুধু চিন্তা করি, আপনি কেন এত মায়া বাড়াইলেন, যখন ছেড়েই যাবেন একদিন! এটা পাপ কাজ না?
আর তাই আপনি আজ থেকে মুক্ত। একদম ঝামেলামুক্ত করে দিলাম। কষ্ট করে আর আমার খোঁজ নিতে হবে না, কল দিতে হবে না। সন্ধ্যায় আমার জন্য আর আসতে হবে না, ঘুটঘুটে অন্ধকারে বসে থাকতে হবে না। আমার আবোল-তাবোল কথা, অদ্ভুত প্রশ্ন কিছুই শুনতে হবে না। আমার বোকামিগুলো দেখতে হবে না। আমার লম্বা মেসেজও পড়তে হবে না। আর কোন চিঠি, চিরকুটের রচনাও পড়তে হবে না। এটা ভেবে খুশি হন যে আপদ নিজে থেকেই বিদায় হইতেছে। আমাদের যোগাযোগ এভাবেই সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাওয়া দরকার। আর কথা বলা, দেখা করার দরকার নাই। একটু ভেবে দেখেন আসলে আমরা কিন্তু দুইজনই দুইজনকে কষ্ট দিতেছি।
আমি আর আপনার মুখোমুখি হবো না। তবে ক্যাম্পাস টা ছোট, মাঝে-মধ্যে আপনি সামনে পড়ে যেতেই পারেন, তবুও আপনি আমাকে চিনবেন না। কারণ দিনের আলোতে আপনি আমাকে কখনো ভালো করে দেখেন ই নাই।
আপনি যে আমার কারণে মানসিক অশান্তিতে আছেন সেটা বুঝতে পারছি। আবেগের বশে মানুষ ভুল করেই। আপনিও না হয় আমার সাথে কয়েকটা ভুল করেই ফেললেন। আমি আপনাকে আর ভুল করতে দিব না। আপনার এক মন একজনকেই দিবেন, যাকে ভবিষ্যতে বউ বানাবেন। আপনার ন্যায্য আর সত্যিকারের আবেগ-ভালোবাসাটা আপনার জীবনসঙ্গীর জন্যই না হয় জমা রাখেন। আমার মত দুই-চারটা ভুলের পিছনে এসব খরচ করে উল্টা গুনাহ হচ্ছে না আপনার? যুক্তি দিয়ে ভেবে দেখেন তো ভালোমতন।
আর নিজেকে দুইটা প্রশ্ন কইরেন, আপনি কি কখনো রাফাকে মন থেকে ভালোবাসছিলেন? যদি বাসেন, তাহলে এটা কি সারাজীবন ধরে রাখতে পারবেন? যদি সত্যিই ভালোবেসে থাকেন, তাহলে সবই পারবেন। সত্যি না হলে থাক, আর আগানোর দরকার নাই। কমিটমেন্ট আর ফিউচার দিতে না পারলে থাক।
হ্যাঁ, আমার এসব লিখতে খুব খারাপ লাগতেছে, কষ্ট হইতেছে, কান্নাও আসতেছে, খুব মানসিক অশান্তিতে আছি। তবুও আপনি ভালো থাকেন, ভুল কম করেন, এগুলোই আমার চাওয়া। আমার জন্য আর কষ্ট করতে হবে না। আমিও আপনাকে আর কষ্ট দিব না। সরি।
আপনাকে শেষবারের মতো খুব শক্ত করে জড়ায়ে ধরবো আর কপালে একটা চুমু খাবো, দিতে দিবেন তো?
নিজের যত্ন নিয়েন আর সত্যিই যাকে ভালোবাসছেন তার জন্যই সব আবেগ-ভালোবাসা শেষ পর্যন্ত ধরে রাইখেন। তাকে বিয়ে কইরেন।
আমার জন্য দোয়া কইরেন যাতে জীবনে অন্তত ঠিকঠাক চলার মতন একটু বুদ্ধি-সুদ্ধি হয়।
ভালো থাইকেন, আল্লাহ হাফেজ।
ইতি,
বলদ, গাধী, ভোম্বল রাফা।
1 note · View note
notyourbarney · 1 year
Text
ফতওয়াবাজি
Barney Redowan | Apr 01, '23
১.
মাওলানা হাবিবুর কাদেরী চেয়ার টা ঠিক করে নিয়ে বসলেন নড়ে চড়ে। নাহ আজকের এই চেয়ার এর উপরে দাঁড়ায়ে জিকির করা যাবে নাহ। এমনিতেও তার নিয়তে আজকে ছিলও নাহ জিকির করার। মসজিদ কমিটি অনেক দামাদামি করে হাতে পায়ে ধরে দশ হাজার টাকা কম দিয়েছে, তার নির্ধারিত রেট এ তাকে আনতে পারেনাই। তিনি আজকে শুধু কোনোমতে ওয়াজ করেই চলে যাবেন। কিন্তু এই উৎসুক মুসল্লি জনতা দেখে তিনি নিশ্চিত হতে পারছেননা, জিকির না করাটা কি ঠিক হবে নাকি। কিন্তু সেটা নিয়ে তার আপাতত মাথাব্যাথা নেই। তাদের পেশার এই একটা ভাল দিক, অনেক বড় বড় জনসমাগম আর ভিড় সামলাতে পারা। এতগুলা মানুষ তার বক্তব্যের জন্য অধীরে বসে থাকে, তার প্রতি টা ফতওয়া মন দিয়ে শুনে, তার প্রতিটা আমল শেষে জোরে চিৎকার দিয়ে সম্মতি জানায়। ভালই লাগে এই ধরনের পরিবেশ।
হুজুর সাব ওয়াজ শুরু করলেন মহান আল্লাহ তায়ালার করুন কৃপার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে, এই আরেকটি রমজান মাস পরিপূর্ণ সুস্থতা আর সামর্থ্য এর সাথে পালন করার তৌফিক দেওয়ায় কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ওয়াজ করতে থাকলেন। আজকের মানুষের ভিড় ও ভালই ঠেকছে তার কাছে। কি সুন্দর একটু পর পর “ঠিক ঠিক” বলে সম্মতি জানায়, তাদের একেকটা গর্জন যেন আল্লাহর অসীম রহমতের নেয়ামৎ। একেকটা সুবহানআল্লাহ যেন তার আয়ু বাড়িয়ে দিচ্ছে এক এক বছর করে। তিনি তার বক্তব্য জারি রাখলেন। তিনি এইসব বক্তব্য পেশ, এইসব ধর্মের সঠিক দাওয়াত কে তার একমাত্র কর্তব্য বলে ভাবেন। এটা একটা বিশাল বড় দায়িত্ব, এতগুলা মানুষকে ধর্মের সঠিক পথে আনা এবং পরিচালনা করা অনেক বড় কিছুই বটে। আজকের এই গ্রামের এই হাজার খানেক জনতা কে তার জানাতে হবে সঠিক হাদিস, আনতে হবে সঠিক পথে, সকল বিদআত থেকে মুক্ত করে ইনশাআল্লাহ। তিনি সকলকে দাওয়াত দিলেন ইসলামের সকল দিক অনুসরণ করা আমাদের উপর ফরয। কিন্তু ইসলাম এর বিভিন্ন হাদিস, ফতওয়া, মতবাদ বিভিন্নভাবে কালের সাথে রুপান্তর হয়েছে বিভিন্ন ভুল ব্যাখ্যায়। তিনি আজ জানাবেন হুজুরে করীম মহানবি (স) এর বাণীর সঠিক ব্যাখ্যা, যা বহুকাল ধরে ভুল পালন করে আসছে এই বাঙালি জাতি। তাদের কি দোষ, খোদা তাদের সৃষ্টি করেছেন জ্ঞানের অপরিপূর্ণতা দিয়ে। যাতে তারা এই ত্রিভুবন থেকে জ্ঞান অন্বেষন করে নিতে পারে সঠিক ভাবে।
তিনি বক্তব্য পেশ করেন, আবু হুরায়রা হতে বর্ণিত আছে ��ে, প্রিয়নবী (স) বলেছেন, “লা ওয়ান আশুক্কা ‘আলা উম্মাতি, লা আমার তুহুম মিসসিওয়াকি ‘ঈন দা কুল্লি সালাহ” অর্থাৎ, “যদি আমার উম্মতের জন্য কষ্ট মনে না করতাম তাহলে আমি প্রত্যেক সালাতের সময় তাদের মিসওয়াক করতে নির্দেশ দিতাম।“ সবাই সজোরে বলে উঠলো সুবহানআল্লাহ। কিন্তু উৎসুক জনতা আসলে বুঝতে পারলো না এই বানীর গুরুত্ব। তাই কাদেরী হুজুর বলতে থাকলেন, “হুজুরে পাক (স) ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী। তিনি সব জেনে বুঝেই বলেছিলেন করেছিলেন, যা আমরা এখন অনুসরণ করছি। তার পথেই চলার সচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আমরা প্রতিনিয়ত।“
২.
তানভীর সাহেব রোজা রাখেন, আবার পর্দাও করেন। পর্দা করেন বলতে, পর্দা দিয়ে ঢাকা চায়ের দোকানে গিয়ে বসেন। কিন্তু সব দোকানে না, হারুণ মিয়ার দোকানেই শুধু বসেন। কারণ চায়ের দোকান গুলো শুধু চা বিড়ি পানখোর দের আড্ডাশালা হলেও, হারুণ মিয়ার দোকান আলাদা। তিনি তার দোকানে রাজনৈতিক আলাপ এর সুযোগ রাখেন নাহ। কেউ এসে আড্ডা দিতে বসলে সসম্মানে তাড়িয়ে দেন। এর ফলে যে তার দোকানে কাস্টমার কম আসে, তা না। মানুষ তাও আসে তার দোকানের চা-পান খেতে। আবার এখন কাস্টমার আরো আগের থেকেও বেশি আসে। তার কারণ, তিনি তার দোকানে একটা টিভি লাগাইসেন। যদিও তানভীর সাহেব এই সিদ্ধান্তে প্রথম প্রথম তেমন খুশি ছিলেন না। কিন্তু পরে গিয়ে দেখলেন এই টিভিতে ইউটিউব চালানো যায়, আর হারুণ মিয়া পরিষ্কার ভাবে যখন তার এই ইউটিউব ওয়ালা স্মার্ট টিভি লাগানোর উদ্দেশ্য ব্যক্ত করলো, তখন মনে হয় তানভীর সাহেবের থেকে খুশি আর কেউ হয়নাই।
আজকেও তানভীর সাহেব টিভিটা ছাড়লেন, শুক্রবার, মাত্র জুমা পড়ে এসেছেন। মসজিদের হুজুরের বাংলা খুতবা তার পছন্দ নাহ। তাই নামাজ শেষ করেই হারুন মিয়ার দোকানে এসে বসে ইউটিউবে ওয়াজ ছাড়লেন। কিন্তু এত এত বক্তার মধ্যে কার ওয়াজ শুনবেন তা নিয়ে তার মধ্যে কোন সন্দেহ ছিলও নাহ। তিনি সার্চ দিলেন মুখ দিয়ে বলে, লিখতে জানেন না তোহ। সার্চ দিতেই অসংখ্য ভিডিও হাজির তার প্রিয় বক্তা মুফতি আলামিন বগী হুজুরের। তার সর্বশেষ নতুন ভিডিও টা ছেড়ে একদম মনোযোগ এর সাথে শুনতে থাকলেন সেই অমুল্য বক্তব্য। মাঝখানে একটা তরুণ আসলো, সিগারেট কিনে নিয়ে ধরালো তার পাশেই। তিনি বিরক্ত হলেন কিন্তু কিছু বলতে পারলেন নাহ। সে তো পর্দার আড়ালেই খাচ্ছে, এটা তো অনুমিত। কিন্তু এই অনুমতি সাপেক্ষেও তার মন কিছুতেই শান্ত হতে পারলো না। তিনি ভাবতে লাগলেন, এই তরুণ কে তিনি রাস্তায় এভাবে ধূমপানরত অবস্থায় দেখলে কি অবস্থা সৃষ্টি করতে পারতেন, ভেবেই মনে আনন্দ এসে পড়লো। তার একটি ডাকে এই ভরদুপুরেও মানুষ জড়ো হতে সময় লাগতো না।
এসব ভাবনাচিন্তার মাঝে হুজুরের বয়ানের একটি অংশ তার মনোযোগ কেড়ে নিতে বাধ্য করলো। হুজুর আজ বেশিই উত্তেজিত, কিন্তু এটাই বগীহুজুরের বিশেষত্ব। তিনি সত্য বলতে পিছপা হন নাহ। সত্যের দাওয়াত দিতে সর্বদাই তিনি সচ্চোর। যত বেশি উত্তেজনা তিনি আনেন তার বক্তব্যে ততই যেন সত্যের প্রতি আকৃষ্ট হয় জনতা, ততই ভুল পথ থেকে সরে আসে তারা আল্লাহর অশেষ রহমত আর কৃপার আরশে। আজ বগীসাব একইভাবে একটা বড় ফেতনার হাত থেকে আমাদের মুক্ত করার চেষ্টায় আছেন। তিনি বলছেন কিভাবে কতিপয় হুজুর মাওলানা তাদের বানানো ফতওয়া দিয়ে আমাদের ভুল পথে ধাবিত করছে। তিনি নাম বলতেও কখনো সংকোচ বোধ করেন না। তানভীর সাহেব মনোযোগ দিয়ে ওয়াজ শুনতে লাগলেন, দেখলেন তার পাশে দাঁড়ানো যুবকও সিগারেট খাওয়া শেষে ওয়াজ শোনা তে ব্যস্ত। বগী হুজুর তার বয়ান দিতে লাগলেন, “হুজুরে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সকল যুগের সকল মানুষের নবী। তিনি তার হাদিসে যা বলেন, তা সঠিক ভাবে অনুসরণ করা এবং সেই অনুযায়ী আমল করা আমাদের ফরয দায়িত্ব ও কর্তব্য। বর্তমানে কাদেরী হুজুরের মত বেশ কিছু বক্তা তাদের মতবাদ এই ইসলামের প্রকৃত আমলের মধ্যে মিশিয়ে দিতে দ্বিধাবোধ করে না।“ এরপরে তিনি বলতে লাগলেন কাদেরী হুজুরের মিসওয়াক নিয়ে করা ওয়াজ এ কতো ভুল ছিল এবং তিনি নতুন ফতোয়া দিতে লাগলেন যে মিসওয়াক এর গুরুত্ব কত বেশি এবং আমাদের উপরে কতটা ফরজ দিনে ছয় ওয়াক্ত মিসওয়াক করা।
৩.
আজান দিতে আজ বড্ড বেশিই দেরী হচ্ছে যেন। তানভীর সাহেবের যেন তর সইছে নাহ, প্রচুর পিয়াস পেয়েছে তার। পাওয়ার ই কথা, আজ যেরকম পরিশ্রম হলো কত ঘাম আর রক্ত বইতে হলো। যদিও তার কোন ঘাম আর রক্ত খরচ যায় নাই। কিন্তু তিনি যা করেছেন তাতে তিনি গর্বিত। ইসলাম কে ভুল ব্যাখ্যার মন্দ দোষ থেকে রক্ষা করেছেন তিনি, বগী হুজুরের বয়ান থেকেই জেনেছেন তিনি জিহাদের গুরুত্ব। প্রতিদিন তার সাথে মসজিদের উঠানে যারা ইফতার করতে বসে, তার থেকে আজ ২-৩জন কম। কিন্তু মানুষ কম হলেও, অই মুনাফিক ফতোয়াবাজ ভন্ড কাদেরীর দাঁত ভেঙ্গে দিতে পেরে মনে শান্তি ই লাগছে। আরও কিছু মানুষ কম হতো, কিন্তু বাকি যারা এসেছেন, তারা কি তানভীর ভাইয়ের সান্নিধ্য ছাড়া ইফতার করতে পারে? নাহ এ হতে দেওয়া যায় না। নিজেকে যিনি এভাবে সঁপে দিয়েছেন ইসলাম এর রক্ষার্থে প্রতিনিয়ত, তার সাথে এভাবে ইফতার করতে পারা টাও সৌভাগ্যের ব্যাপার।
ইফতার এর সময় হলো। সবাই খেজুর দিয়ে ইফতার শুরু করলেও, তানভীর সাহেব খেজুর দিয়ে শুরু করলেন না। এটা প্রতিদিন সবাই খেয়াল করলেও কেউ জিজ্ঞেস করেনা, আজ সৈয়দ জিজ্ঞেস করেই নিল। তানভীর সাহেব প্রশ্ন টা শুনে এত সুন্দর একটা হাসি দিয়ে দেখালেন যে তার উপরের পাটির দাঁত গুলো নেই, তিনি প্রস্থেটিক দাঁত ব্যবহার করেন। তাহলে মিসওয়াক এর আমল? তানভীর সাহেব মুখ গম্ভীর করে বললেন, "সবার জন্য হাদীস এক হয় না।"
0 notes
sarsongket · 1 year
Text
ইউ মাস্ট ডু বিজনেস
সৌদি আরবে আমার এক বিলিয়নিয়ার বন্ধু আছে। বয়স মাত্র ৪৬ বছর। সম্পদের পরিমাণ তার ১৭ বিলিয়ন সৌদি রিয়াল! একবার সে কিছু সম্পত্তি কেনার পরে এক লোক এসে তাকে জানায়, ‘আরে ভাই, এটা তো আপনার নিজের সম্পত্তি, নিজেই টের পান নাই? মানে, নিজেই নিজের সম্পত্তি কিনেছে। হা হা। ভারি মজার মানুষ। রিয়াদে তার অনেক সম্পদ। একবার তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‘তুমি এত টাকার মালিক হলে কী করে বন্ধু!' সে উত্তর দিয়েছিল, ‘আমার কৌশলটা আসলে সবার চেয়ে একটু ভিন্ন। অন্য সবাই সম্পত্তি কিনে ১০-১৫% লাভের আশায় এক বা দুই বছর ফেলে রাখে। আমি ভাই এসবে নাই। আমার ৫% লাভ হলেই হলো। যেহেতু কম লাভের আশা করি, তাই বিক্রিবাটাও আমার দ্রুত হয়ে যায়। এবার আসো, তোমাকে একটা মজার হিসেব দেখাই। ৫% লাভে করলে তার বছরে আমি ছয়টি জমি বিক্রি করতে পারি, অথচ অন্য ব্যবসায়ীরা ১৫% লাভে বছরে জমি বিক্রি করে মাত্র একটা। এবার তুমিই বলো, লাভ কে বেশি করছে?' পাশাপাশি একটা বাড়তি সুবিধার কথাও সে বলেছিল, অন্যরা যেটা ঠিক বুঝে উঠতে ও ধরতে পারেনি, ৫% লাভ রেখে পরিমাণে বেশি বিক্রি করায় সব রিয়েল এস্টেট এজেন্টের কাছে খবর হয়ে গিয়েছিল, সম্পত্তি বিক্রি করতে চাইলে বা টাকার দরকার পড়লে তাদের মুহাম্মাদের কাছেই দৌঁড়াতে হবে। কারণ, সে সবসময় সম্পত্তি কেনা-বেচার মধ্যেই থাকে। এভাবেই দিনে দিনে আমি সবার কাছে একজন দরকারি ও কাজের মানুষ হয়ে উঠলাম, আর সবচেয়ে সেরা ডিলগুলো ধীরে ধীরে আমার কাছেই আসতে শুরু করল। খুবই সামান্য লাভে বেশি বেশি বিক্রি করায় আমি আজ বিলিয়ন রিয়াল কামাতে পেরেছি।' ইউ মাস্ট ডু বিজনেস, ড. তৌফিক চৌধুরী
0 notes
crimerepot · 1 year
Text
মৃত্যুর ৩০ সেকেন্ড আগে মানুষের শরীরে কি ঘটে ?
আর তার ফলেই সে ব্যক্তির মৃত্যু হয় । কিন্তু ইলেক্ট্রো এনকোসেফালোগ্রাফি সংক্ষেপে – ইইজি যন্ত্র দেখাচ্ছে যে , তার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার অন্তত ৩০ সেকেন্ড পর পর্যন্ত তার মস্তিষ্ক সচল ছিল । অর্থাৎ দেহের মৃত্যু হলেও মস্তিষ্কের মৃত্যু হয় তার ৩০ সেকেন্ড পরে ।পরবর্তীতে রেকর্ডিং পর্যালোচনা করে আরও চমৎকার তথ্য পাওয়া যায় ।বিজ্ঞানীরা দেখতে পান যে , এই সময়ের ধরা পড়া মস্তিষ্কের তরঙ্গ সংকেত গুলো অবিকল তার অতীত জীবনের স্বপ্ন দেখা স্মৃতিচারণ করার সাথে মিলে যায় ।
অর্থাৎ কোনো মানুষ যখন তার পুরো জীবনের স্মৃতিচারণ করে তখন যেমনটা হয় ঠিক তেমনি ঘটনা ঘটে এসময় আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআনের সূরা আল কিয়ামাহ – তে বলেন , তোমরা মৃত্যুপথযাত্রী সেই ব্যক্তিকে দেখতে পাবে যে তখন আমি তার এই দুনিয়ার শেষ পা এবং পরকালের জীবনের প্রথম পা একসাথে মিলিয়ে দেবো । বিজ্ঞানের ভাষায় এটাকে ট্রানস্ফার টাইম বলা হয় – কুরআন বলছে যে , এই দুনিয়া থেকে পরকালের দুনিয়ায় গমনের মধ্যবর্তী সময়টাতেই এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হয় যে , মানুষ তার ইহকালের জীবনের শেষ অংশটা এবং পরের জীবনের প্রথম অংশ দুটোই একসাথে কিছু সময়ের জন্য দেখতে পায় ।
অর্থাৎ পরকাল এবং বর্তমান জীবন দুটোকেই কয়েক সেকেন্ডের জন্য মানুষ অনুভব করতে পারে । আমরা এটাকে ট্রানস্ফার টাইম বলতে পারে । পবিত্র কুরআন সূরা আল কিয়ামাহ তে যেমন , টা বলা হয়েছে – এই ট্রানস্ফারড টাইম মানুষ মূলত পুরো জীবনের স্মৃতিচারণ করে থাকে । আর পড়ে জীবন যেটা তার কাছে একেবারেই নতুন , সেই জীবন সম্পর্কে পরিচিত হয় ।
যেমন টা কুরআন ও বলছে যে আসলে মূলত মৃত্যুর এই মধ্যবর্তী সময়ে একটা ব্রিজ তৈরি হয়ে যায় । এই জীবনের শেষ পা পরের জীবনের প্রথম পায়ের সাথে মিলিয়ে যাওয়ার এই যে আয়াত রয়েছে , সেই আয়াতটি বৈজ্ঞানিক গবেষণার সাথে যথেষ্ট সামঞ্জস্য রয়েছে । গবেষকরা বলে মস্তিষ্কের শেষ সময়ে যে ৩০ সেকেন্ড যখন বডিতে আসলেই প্রান থাকে না । কিন্তু মস্তিষ্কের সিগ্লেল ঠিকিই থাকে ।
দর্শক আমরা যদি কুরআনের আয়াতের দিকে তাকাই তাহলে আমরা বুঝতে পারব যে মৃত্যুর সময় কেন মানুষের পুরো জীবনের পুরো স্মৃতি একসাথে মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই রিভিউ বা মনে পড়ে । এর কারণ হচ্ছে পুরো জীবনব্যাপী সে যা করেছে তার ফলাফল নিয়ে যায় যেন সে প্রস্তুত হতে পারে । এর কারণ হচ্ছে পুরো জীবনব্যাপী যেমন আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআনের সূরা যুমার ৭-৮ নম্বর আয়াতে বলেনঃ হে নবী আপনি তাদেরকে বলুন যে মৃত্যু থেকে তোমরা পালাতে চাচ্ছো  ।
তাদেরকে সেই মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হবে শেষ পর্যন্ত তোমাদেরকে হাজির করা হবে – দৃশ্য ও অদৃশ্য মালিক আল্লাহর কাছে জীবন দশায় যা করেছ তোমরা তখন পুরোপুরি জানতেও উপলদ্ধি করতে পারবে এছাড়া মানুষের আত্মা নিয়ে পবিত্র কোরআনের সূরা আয-যুমার ৪২ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তা’আলা বলেন আল্লাহর মৃত্যুর সময় এলে অথবা ঘুমের সময় মানুষের আত্মাকে তুলে নে তারপর যার মৃত্যু অবধারিত তার আত্মা রেখে দেন আর অন্যদের হাতে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ফিরিয়ে দেন জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শন রয়েছে ।
0 notes
ruebel12 · 1 year
Text
নওরোজ ও মেহেরজান কি জানেন?
মুসলমানদের ঈদ সংস্কৃতির আগে মদিনায় ‘নওরোজ’ ও ‘মেহেরজান’ নামে দুটি উৎসব পালিত হতো। দুটি উৎসবই ছিল পারস্য সংস্কৃতি ও সভ্যতার দর্পণ। বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে নাইরোজ এবং বসন্ত উৎসবকে উপলক্ষ করে মেহেরজান নামে দুটি বিনোদনমূলক উৎসব পালন করা হতো।
পাশ্চাত্য সংস্কৃতিতে এখনো বিধর্মীরা নওরোজ বা নববর্ষ পালন করে। শুধু নাম পাল্টে ফেলেছে। ইংরেজী নববর্ষের নাম দিয়েছে ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’। বাঙালিরা তাদের অনুসরণে বাংলা বর্ষবরণের নাম দিয়েছে ‘পহেলা বৈশাখ’। তাই এই দুই উৎসব পালন করা বা উদযাপন করা মুসলমানদের জন্য হারাম ও কুফরি।
মনে রাখবেন, নাম পাল্টে ফেললে হারাম কখনো হালাল হয় না। যেমনঃ সুদের নাম ইন্টারেস্ট বা মুনাফা দিয়ে সুদ খেলে যেমন জায়েজ হবে না। মদের নাম ড্রিংকস দিয়ে মদ পান করলে যেমন মদ হালাল হবে না। তেমনি পহেলা বৈশাখ, নববর্ষ, থার্টি ফার্স্ট নাইট পালন করাও জায়েজ হবে না।
অপরিশুদ্ধ মানব মননে আবিষ্কৃৎত উৎসব নওরোজ ও মেহেরজান যেমন বেহায়াপনা-বেলেল্লাপনা ও অশ্লীলতার কালো নিকৃষ্ট আঁধারে নিমজ্জিত ছিল। তেমনি থার্টি ফার্স্ট নাইট এবং নববর্ষ অশ্লীলতার কালো নিকৃষ্ট আঁধারে নিমজ্জিত। তাই তাদের ভিত্তিহীন সংস্কৃতির মূলোৎপাটন করে শুদ্ধ সংস্কৃতি উদযাপনের ঘোষণা দিয়েছেন মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
তিনি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে ইরশাদ করেছেন, “প্রতিটি জাতির আনন্দ-উৎসব আছে। আর আমাদের আনন্দ-উৎসব হলো দুই ঈদ।” (সহীহ বুখারী ৯৫২)
এছাড়াও আল্লাহর রসূল, আল্লাহর হাবীব, আমাদের প্রাণপ্রিয় নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে অনারব দেশ বিচরণ করে, অতঃপর তাদের নওরোজ ও মেহেরজান উৎযান করে, তাদের সাথে তাকে উঠানো হবে।” (সুনানে বায়হাকী, ২য় খণ্ড, ৩২৫ পৃষ্ঠা)
এই বিষয়ে পূর্ববর্তী ইমাম হযরত হাফস কবীর রহমতুল্লাহি বলেছেন, “নওরোজ বা বছরের প্রথম দিন উপলক্ষে যদি কেউ একটা ডিমও দান করে, তবে তার ৫০ বৎসরের আমল থাকলেও তা বরবাদ হয়ে যাবে এবং যে ব্যক্তি নওরোজের দিন এমন কিছু খরিদ করলো যা সে পূর্বে খরিদ করত না, এর মাধ্যমে সে যদি ঐ দিনকে সম্মান করতে চায় তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে।”
সুতরাং কাল কিয়ামতের দিনে যদি নিজের আমল বরবাদ করে কাফিরে পরিণত হয়ে তাদের সাথেই উঠতে চান তবে আপনার যা ইচ্ছা করুন। তাতে কোন বাঁধা নেই।
#90 days mahfil
Sunnat.info
Sm40.com
Tumblr media
1 note · View note
shongjogyou · 1 year
Text
স্টার্টআপ লোনের খুঁটিনাটি বিষয়সমূহ কি কি?
আভিধানিক অর্থে স্টার্টআপ হল নতুন ব্যবসায়িক উদ্যোগ কিংবা বানিজ্যিক প্রকল্প। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের তরুনদের মধ্যে একটি জনপ্রিয় শব্দ হচ্ছে স্টার্ট আপ। এটি এমন একটি উদ্যোগ যেখানে নতুন আইডিয়ার সাথে প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে বিদ্যমান কোন সমস্যার অভিনব সমাধান করে একসঙ্গে অনেক মানুষকে পণ্য বা সেবা দেওয়ার। সাধারনত বেশিরভাগ স্টার্টআপে অর্থের যোগান বা বিনিয়োগ হয় উদ্যোক্তা বা প্রতিষ্ঠাতারা নিজেই। স্টার্টআপ ও ছোটব্যবসায়ের মধ্যে মূল পার্থক্য হল স্টার্টআপ বৃদ্ধির সম্ভবনা থাকে যেখানে ছোটব্যবসার ক্ষেত্রে নাও হতে পারে। যদিও সম্পদ, বিনিয়োগ ইত্যাদির কারনে স্টার্টআপের সূচনা করতে হয় ক্ষুদ্র পরিসর থেকে। এক্ষেত্রে স্টার্টআপ লোন অনেক উদ্যোগতাদের সাহায্য করতে পারে। 
Startup Loan কি?
যখন কোন একটি প্রতিষ্ঠান বাজারে নতুন কোন সেবা কিংবা নতুন কোন পণ্য নিয়ে ব্যবসা শুরু করার জন্য যে ঋণ নিয়ে থাকে তা স্টার্টআপ ঋণ( Startup Loan) নামে পরিচিত। নতুন ব্যবসা বা উদ্যোগের জন্য বাণ���জ্যিক ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া কঠিন। নতুন ব্যবসায় একটি ব্যাংক বা ঋণদাতা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ঋণ এর সম্মুখীন হতে পারে। যেহেতু নতুন ব্যবসাগুলোর ক্ষেত্রে তাদের নিজস্ব ক্রেডিট থাকে না, তাই ব্যাংক তাদের ব্যবসার ক্রেডিট বিবেচনা করে। ব্যাংকগুলি প্রায়ই স্টার্টআপ লোন অনুরোধ অস্বীকার করে কারণ ঋণগ্রহীতার ব্যক্তিগত ঋণ সমস্যা থাকতে পারে। শুধু আইডিয়া থাকলেই কেউ আপনার স্টার্টআপে বিনিয়োগ করতে চাইবেন না। নিজে কিছু একটা করে নিয়ে গেলে বরং মূলধন পাওয়া সহজ হয়।
Startup Loan কারা প্রদান করছে?
বাংলাদেশের চলমান সংস্কৃতিতে ব্যবসার ঋণের জন্য উদ্যোক্তাদের প্রথম আকর্ষণের মাধ্যম ব্যাংক। প্রতিষ্ঠিত কিংবা নতুন উভয় ধরনের ব্যবসার জন্যই বাংলাদেশের প্রায় সব ব্যাংকে ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা আছে। এসএমই ফাউন্ডেশন বর্তমানে ৩টি ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ সহায়তা দিচ্ছে। তা ছাড়া অন্যান্য ব্যাংক নিজেদের নিয়মকানুনের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মনীতিকে বিবেচনায় রেখে বিভিন্ন খাতের জন্য ঋণের ব্যবস্থা করেছে। আপনার উদ্যোগটি যে খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত সেটির জন্য কোন ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করা উচিত প্রথমে একজন উদ্যোক্তাকে এ ব্যাপারে অবগত থাকা উচিত। এক্ষেত্রে কিছু ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কিছু সুবিধা সমূহ হলোঃ 
আইডিএলসি স্টার্টআপ লোন:  স্টার্টআপ লোন ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে, ঋণ পরিশোধের সময় হচ্ছে: ৫ বছর।
বিনা জামানতে কর্মসংস্থান ব্যাংকের ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে। টাকার পরিমাণ আরও বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গৃহীত হচ্ছে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ‘স্মল বিজনেস লোন সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত স্টার্টআপ লোন পাওয়া সম্ভব। এর মধ্যে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত কোনো জামানতের  প্রয়োজন হয় না। ঋণ পরিশোধের সময়সীমা ৫ বছর, তবে ব্যবসাটির সময়কাল কমপক্ষে ১ বছর  হতে হবে এই ঋণ পাওয়ার জন্য ।
আইএফআইসি প্রান্ত নারী (উইমেন এন্ট্রাপ্রেনিউর লোন): মুলত নারী উদ্যোগতাগন যারা ক্ষুদ্র এবং কুটিরশিল্পের সাথে জড়িত তাদের জন্য এই ঋণ দেয়া হয়। জামদানি, নকশি কাঁথা, বুটিক, বিভিন্ন হ্যান্ডিক্রাফট, বিউটি পার্লার, ক্যাটারিং সার্ভিস ইত্যাদি কাজের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত এবং ব্যাংকের অন্য কোনো আর্থিক সুবিধা যারা পাচ্ছেন না, তাদের জন্য এই বিশেষ ঋণের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। একজন নারী উদ্যোক্তাকে কমপক্ষে ২ বছর সেই ব্যবসাটির সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে এই ঋণসুবিধা পাওয়ার জন্য। এটি হচ্ছে মূলত একটি টার্ম লোন। ইকুইটি  অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ফান্ড, বাংলাদেশ ব্যাংক: সফটওয়্যার, ফুড প্রসেসিং, অ্যাগ্রো-বেসড ইন্ডাস্ট্রির জন্য।
আইডিএলসি উদ্ভাবন লোন: সর্বনিম্ন ৫ লাখ, আনসিকিউরড লোন ২৫ লাখ, আংশিক সিকিউরড লোন সর্বোচ্চ ১ কোটি। সর্বনিম্ন ১৩ মাস থেকে সর্বোচ্চ ৬০ মাস পর্যন্ত এই ঋণের মেয়াদ। যাঁরা বেসিসের সদস্য, তাঁরা এই ঋণ প্রাপ্তিতে বিশেষ সুবিধা পান এবং অগ্রাধিকার ও পান সবচেয়ে বেশি। তা ছাড়া ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা থাকতে হবে ২ বছরের তবে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ১ বছরের অভিজ্ঞতাই যথেষ্ট। উদ্যোক্তার বয়স হতে হবে ২০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে।
এছাড়াও ব্যাংকের পাশাপাশি কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং সরকারী প্রকল্প রয়েছে। 
ক্ষুদ্রঋণ:
বাংলাদেশের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত এনজিও, যেমন গ্রামীণ ব্যাংক, ব্র্যাক, আশা বাংলাদেশ ইত্যাদি ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পের জন্য ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পের আওতায় ঋণ প্রদান করে থাকছে। তারা মূলত তৃণমূল পর্যায়ে এমন উদ্যোক্তাদের খুঁজে বের করে, যাঁদের জন্য ক্ষুদ্রঋণই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
স্টার্টআপের জন্য সরকারি প্রকল্প:
বিভিন্ন সময় সরকার বিভিন্ন প্রকল্প বা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে চলমান সমস্যা সমাধানের উপায় খোঁজে। তা ছাড়া বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্টার্টআপের জন্য মূলধন দেওয়ার সুযোগও পাওয়া যায়। সে ক্ষেত্রে একজন উদ্যোক্তা তাঁর আইডিয়াটি জমা দেন, তারপর কমিটি সেটি বিচার–বিশ্লেষণের পর গ্রহণ করলে তহবিল পাওয়া যায়। স্টার্টআপের অর্থায়নের জন্যে এ ধরনের সরকারি প্রকল্পগুলো বেশ কার্যকর। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় প্রায়ই এ ধরনের প্রকল্প হাতে নেয়। এছাড়া অন্য যে কোন উপায় অবলম্বন করে অর্থ সংগ্রহ করা সম্ভব।
Startup Loan কারা নিয়ে থাকছে?
সাধারণত নতুন উদ্যোক্তা ‍স্টার্টআপ ঋণের জন্য আবেদন করে থাকে। যদি উপযুক্ত ব্যবসার ধারনা এবং আশানুরূপ আয়ের সম্ভবনা থাকলে ব্যাংক লোন দিতে স্বীকৃতি জানাবে। এছাড়া যথাযথ জামানত ও জামিনদার থাকতে হবে। তবে ব্যবসায়ের প্রথম পর্যায়ে  উদ্যোক্তা সীমিত আকারে ঋণ পেয়ে থাকেন। এসএমই খাতে কতিপয় ব্যাংক কোলেটারেল ফ্রি (জামানতবিহীন) লোন চালু করেছে। এক্ষেত্রে আগ্রহী ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তা এবং নারী উদ্যোক্তাদের  অগ্রাধিকার বেশি দেওয়া হয়, তাই সম্পদ ব্যবসার জন্য অত্যাবশ্যকীয় হলেও মূখ্য বিষয় নয়। সঠিক দিকনির্দেশনা অনুযায়ী অগ্রসর না হলে তাতে বিনিয়োগের অনেক ক্ষতি হতে পারে। 
Startup Loanনেয়ার জন্য Eligibility/উপযোগিতাঃ  
বাংলাদেশের একজন নাগরিক হতে হবে।
আবেদনকারী ও গ্যারেন্টার উভয়েরই জাতীয় পরিচয়পত্র থাকনে হবে।
আবেদনকারী ও গ্যারেন্টার উভয়েরই সদ্য তোলা রঙিন ফটোগ্রাফ থাকতে হবে।
ব্যাংকের নিজস্ব ফরম সংগ্রহকরন এবং তা যথাযথভাবে পূরন করতে হবে।
আপডেট ট্রেড লাইসেন্স এর ফটোকপি থাকতে হবে।
ব্যবসায়ের টিন নম্বর থাকতে হবে।
ইউটিলিটি বিল যেমন-গ্যাস বিল, ইলেকট্রিক বিল, টেলিফোন বিল ইত্যাদির ফটোকপি থাকতে হবে। 
ফ্যাক্টরী স্থাপনার রেজিষ্ট্রেশন থাকতে হবে। (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
ট্যাক্স ও ভ্যাট, কোয়ালিটি সার্টিফিকেশন থাকতে হবে।
ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস রেজিষ্ট্রেশন থাকতে হবে।
আবেদনকারীর সম্পত্তির ভ্যালুয়েশন  (যেখানে শিল্পটি প্রতিষ্ঠা করা হবে) ও সম্পত্তি নেয়া হলে তার বৈধ চুক্তিনামা থাকতে হবে।
ব্যাংকের হিসাব নাম্বার এবং জামানত স্থিতি থাকতে হবে।
পৌরসভার বাসিন্দা হলে কমিশনারের সনদ। স্থানীয় পর্যায়ের হলে চেয়ারম্যান অথবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সনদ থাকতে হবে।.
লিমিটেড কোম্পানি হলে মেমেরেন্ডাম এবং আর্টিক্যাল অব এসোসিয়েশনের কপি এবং অংশীদারী প্রতিষ্ঠান হলে অংশীদারী চুক্তিপত্রের সত্যায়িত কপি থাকতে হবে।
প্রতিষ্ঠান চালু থাকা অবস্থায় ঋণ গ্রহনে ইচ্ছুক হলে ব্যবসার ১ বছরের লাভ ক্ষতির হিসাব বিবরনী দেখাতে হবে।
প্রতি ব্যাংকের ফর্মে উল্লেখযোগ্য একটি দিক রয়েছে যাকে লেটার অব গেরান্টি বলা হয়। এক্ষেত্রে আপনাকে  দুইজন যোগ্য গেরান্টারের সনদ প্রদানের ব্যবস্থা রাখতে হয়।
প্রতিষ্ঠান পরিচালনার পূর্বে কোন ব্যাংক থেকে ঋণ করে থাকলে তার হিসাবের একটি হালনাগাদ ও যথাযথ বিবরন থাকতে হবে।
উপরের শর্তগুলো এবং তথ্য-উপাত্ত ব্যাংকে প্রদানের মাধ্যমে স্টার্ট-আপ ঋণের জন্য আবেদন করা সম্ভব। ব্যাংক এ সকল তথ্য উপাত্ত বিবেচনার মাধ্যমে আপনাকে ঋণ প্রদান করার সিদ্ধান্ত নিবে। যেকোন লোন সম্পর্কিত সকল বিস্তারিত তথ্য পেতে ভিজিট করুন: shongjogyou.com এবং রেজিস্ট্রেশন করুন।
Tumblr media
0 notes
omarkhattabsblog · 2 years
Photo
Tumblr media
ফুটবল বিশ্বকাপের সময় টিভির সামনে হুমড়ি খেয়ে পড়ে মানুষ। মন্ত্রমুগ্ধের মতো তাকিয়ে থাকে পর্দার দিকে। এক মাস কিংবা তারও বেশি সময় ধরে মানুষের রুটিন আবর্তিত হতে থাকে বিশ্বকাপকে ঘিরে। পত্রিকাগুলো খুব ঘটা করে এই কর্মকাণ্ডকে পরিচয় করিয়ে দেয় ‘বিশ্বকাপ উন্মাদনা’ বলে। আসলেই এ এক উন্মাদনা। . আমি কাউকে দোষারোপ করব না। কারও সমালোচনা করব না। বিশ্বকাপের লাভক্ষতি বিশ্লেষণও আমার উদ্দেশ্য না। আমি কেবল ভবিষ্যতের জন্যে ছোট্ট একটা বার্তা দিতে চাই। . আমার ভাইয়েরা, বলুন তো, আমাদের কি নিষ্ক্রিয় দর্শকের সারি থেকে উঠে সক্রিয় হবার সময় আসেনি? আমাদের কি সময় আসেনি অনুসারী হবার বদলে কর্মী হবার? টিভি-পর্দার সামনে বসে থাকা দর্শক যাই করুক না কেন, খেলার মোড় তাতে বদলায় না। দর্শক খেলার ফলাফলকে প্রভাবিত করতে অক্ষম। তার কাজ শুধুই দেখে যাওয়া আর নিজের আবেগ খরচ করা। . আপনি যতদিন দর্শকের সিটে থাকবেন ততদিন আপনি নিষ্ক্রিয়, অক্ষম। কিন্তু যারা আল্লাহর ওপর ভরসা করে তাঁর সৈনিকে পরিণত হয়ে যায়, তারা অক্ষম না। তারা ঘুড়িয়ে দিতে পারে ময়দানের খেলার মোড়। বদলে দিতে পারেন ইতিহাস। . হাফপ্যান্ট পরা কোনো এক পূর্ণবয়স্ক পুরুষ ট্রফি উঁচিয়ে ধরলে আজ আমরা বসে বসে হাততালি দিই।  কিন্তু আমাদের কি এমন কিছু করা উচিত না, যাতে করে কিয়ামতের দিন আমরা গর্বভরে আমাদের আমলনামা তুলে ধরতে পারি? বলতে পারি, . ‘...নাও! আমার আমলনামা পড়ে দেখো! আমার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে, আমি আমার হিসাবের সম্মুখীন হব।’ [তরজমা, সূরা আল-হাক্বা, ১৯-২০] এবং সেইদিন পুরস্কৃত হতে পারি? . ‘সুতরাং, সে সন্তোষজনক জীবনে থাকবে। সুউচ্চ জান্নাতে, তাঁর ফলসমূহ নিকটবর্তী থাকবে। তাঁকে বলা হবে, বিগত দিনসমূহে তোমরা যা সামনে পাঠিয়েছ, তাঁর বিনিময়ে তোমরা তৃপ্তি-সহকারে খাও ও পান করো!’ [তরজমা, সূরা আল-হাক্বা, ২১-২৪] . আল্লাহর নামে বলছি, ওপরের আয়াতগুলো আরেকবার পড়ুন। ‘আর্জেন্টিনা জিতেছে’, ‘ব্রাজিল জিতেছে’, ‘ফ্রান্স জিতেছে’, ‘আমার দল জিতেছে’, এসব কথার সাথে ওপরের আয়াতের বক্তব্যের একটু তুলনা করার চেষ্টা করুন তো।  আদৌ কি কোনো তুলনা হয়? . কী ফেলে রেখে কিসের পেছনে ছুটছি আমরা? . আচ্ছা আপনার টিম জিতেছে, বুঝলাম। তাতে কী হয়েছে? তাতে কার কী আসে- যায়? এরপরের ধাপ কী? আপনার টিম জেতার পর কী হবে? সত্যি বলতে কি, আমি নিজে খেলাধুলা পছন্দ করি। ফুটবল আমার পছন্দের খেলা। যদিও খুব একটা ভালো খেলতে পারি না তবু নিয়মিত খেলার চেষ্টা করি। । আমি খেলি ব্যায়ামের জন্য। আর আমার বাকি সময় কাজে লাগানোর চেষ্টা করি। চেষ্টা করি উপকারী কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে। . ফুটবলের প্রতি বিশেষ কোনো ঘৃণা বা বিদ্বেষ নিয়ে আমি কথা বলছি না। আমি https://www.instagram.com/p/Ck3XeMCSKAe/?igshid=NGJjMDIxMWI=
0 notes
apnaderbarta · 2 years
Text
বনের হরিণীও হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আজ্ঞাবহ- পর্ব-৬
একবার এক ইহুদী একটা হরিণীকে শিকারের পর গাছের সাথে আটকে রাখলো। সেই হরিণীর ছোট ছোট বাচ্চা ছিল। একে তো বন্দি হওয়ার দুর্বিষহ যন্ত্রণা, তদুপরি ছোট বাচ্চাদের মমতায় ওই হরিণী উদ্বেলিত হয়ে উঠছিল। ক্ষুধার্ত ছোট বাচ্চাদেরকে দুধ পান করাতে হবে। তাই সে মুক্তি চায়। কিন্তু মুক্তির উপায় কি? হরিণীর চোখে পানি। অঝোর ধারায় সে কাঁদছে। ওই পথ দিয়েই যাচ্ছিলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তিনি তো সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত কিছুই জানেন । তবুও কায়িনাতবাসীর ইবরত-নছীহতের লক্ষ্যে হরিণীকে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, 'কী হয়েছে তোমার?' হরিণীর বিনীত নিবেদন, ‘ইয়া রহমাতুল্লিল আলামীন, রউফুর রহীম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এক ইহুদী আমাকে আটকে রেখেছে। আমার ছোট বাচ্চারা ক্ষুধার্ত। ওদেরকে দুধ পান করাতে হবে। দয়া করে যদি আপনি কিছু সময়ের জন্য আমার বাঁধন খুলে দিতেন, তাহলে বাচ্চাদেরকে দুধ পান করিয়েই আমি আবার এখানে চলে আসবো।'
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ওই হরিণীকে মুক্ত করে দেন। হরিণী অতি দ্রুত বাচ্চাদের কাছে গিয়ে বলে, *আজ এক মুবারক ঘটনার অবতারণা হয়েছে। এক ইহুদী আমাকে আটকে রেখেছিল। আমার খোশ নসীব। ইতোমধ্যে আমি রহমাতুল্লিল আলামীন, রউফুর রহীম, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক সাক্ষাৎ লাভ করি। তোমাদেরকে দুধ পান করানোর লক্ষ্যে সাময়িক মুক্তির জন্য আমি উনার ক্বদম মুবারকে সবিনয়ে প্রার্থনা জানাই। তিনি অল্প সময়ের জন্য আমাকে বন্দীদশা থেকে মুক্ত করে দিয়েছেন। তখন ইহুদী সেখানে উপস্থিত ছিল না। দ্রুত ফিরে যাবো বলে আমি উনাকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছি। প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে হবে। তোমরা অতিসত্বর দুধপান করে আমাকে যেতে দাও।' বাচ্চারা শুনে বলে, ‘মাগো! আমাদের দুধপান করার প্রয়োজন নেই। এতে বিলম্ব হবে। বিলম্ব হলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সঙ্গে চরম বেয়াদবি হবে। আমরা দুধ পান করবো না। চলো আমরা একসঙ্গে এখনই উনার মুবারক খিদমতে গিয়ে হাযির হই।'
ইতোমধ্যে ইহুদীটি ঘটনাস্থলে ফিরে এসে দেখতে পায়, তার আটককৃত হরিণী যথাস্থানে নেই। সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন খতামুন নাবিয়্যীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইহুদীকে বলেন, 'বাচ্চাকে দুধ পান করানোর জন্য হরিণীকে আমি অল্প সময়ের জন্য ছেড়ে দিয়েছি। সে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, কিছুক্ষণের মধ্যেই ফিরে আসবে।' বিষয়টি ইহুদীর বিশ্বাস হয়নি। ক্ষুব্ধ ইহুদী মনে মনে ভাবে, ‘হরিণী কি মানুষ? সে কিভাবে প্রতিশ্রুতি দিবে? কিভাবে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে? আর কেনই বা সে ফিরে আসবে?' আসলে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে ওই হরিণীরও রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং হরিণী যে উনার একান্ত আজ্ঞাবহ, তা অজ্ঞ ইহুদী বুঝবে কি করে?
কিন্তু দেখা গেলো, ইহুদীর ক্ষোভ মিশ্রিত দুর্ভাবনা শেষ না হতেই হরিণী তার বাচ্চাসহ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক খিদমতে ফিরে আসলো! এ অভাবিত ঘটনা দেখে ইহুদী মুসলমান হয়ে গেলো। সুবহানাল্লাহ!
http://khawajarazi.blogspot.com/2022/10/blog-post_70.html?m=1
#7RobiulAwalShareef
#12RobiulAwalShareef
#90DaysMahfil
#RajarbagDorberShareef
sunnat.info
Sm40.com
Tumblr media
0 notes