Tumgik
#'Itikaaf
ilyforallahswt · 2 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
রমজানের প্রভাব মুমিনের জীবনজুড়ে থাকে
The effect of Ramadan lasts throughout the life of a believer
রমজানের প্রভাব মুমিনের জীবনজুড়ে থাকে
‘শবে কদর’ রমজানের অনন্য উপহার। এ মাসে রয়েছে শবে কদর বা এমন একটি রাত, যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। যা লাইলাতুল কদর বা শবে কদর নামে পরিচিত। হাজার মাস মানে সোয়া তিরাশি বছর। অর্থাৎ একটি মানবজীবনের ব্যাপ্তিকালের সমান। সুতরাং রমজানের সুফল জীবনব্যাপী।
‘ইমান’ হলো ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের প্রথম স্তম্ভ। ইমান বা বিশ্বাস ইসলামের প্রাণশক্তি। ইমান মানবজীবনে মূল চালিকা শক্তি। ��মজানের সঙ্গে ইমানের সুদৃঢ় যোগসূত্র বিদ্যমান।
ইমানের ভিত্তি হলো ওহি। ওহি তথা আসমানি কিতাবগুলো অবতীর্ণ হয়েছে রমজান মাসে। কোরআন মাজিদও রমজান মাসে শবে কদরে অবতীর্ণ হয়েছে।
ইমান যেমন মানুষকে কুফর ও শিরক থেকে মুক্ত করে, তেমনি রমজান মানুষকে পাপ-পঙ্কিলতা থেকে পবিত্র করে।
‘সলাত’ বা নামাজ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের দ্বিতীয় স্তম্ভ—ইমানের পরেই হলো নামাজ। রমজান মাস হলো নামাজের মাস। যেমন তারাবিহ বা প্রশান্তির বিশ্রামের নামাজ ও কিয়ামুল্লাইল বা রাত জাগরণের নামাজের পাশাপাশি রমজানে সাহ্‌রির বদৌলতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া সহজ হয়; এশার নামাজ ও ফজরের নামাজ জামাতে পড়ার সুযোগ বৃদ্ধি হয়, যাতে সম্পূর্ণ রাত্রি জাগরণের সওয়াব পাওয়া যায়।
এই মাসে নফল নামাজ পড়ার সুযোগও বেশি পাওয়া যায়।
‘জাকাত’ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের তৃতীয় স্তম্ভ। সাহাবায়ে কিরাম রমজানেই জাকাত প্রদান করতেন। চান্দ্রবর্ষের হিসাব ও তারিখ অনুযায়ী সঠিকভাবে জাকাত দেওয়া রমজান মাসে সহজ হয়। এতে গরিবদেরও সুবিধা হয়।
‘হজ’ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের চতুর্থ স্তম্ভ। রমজানে ওমরাহ পালন করলে নবীজি (সা.)–এর সঙ্গে হজ করার সওয়াব পাওয়া যায়।
‘সওম’ বা রোজা হলো ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের পঞ্চম স্তম্ভ। সিয়াম বা রোজা হলো রমজানের সেরা অনুষঙ্গ। আগুন যেমন সোনাকে জ্বালিয়ে খাদমুক্ত করে দেয়, রোজা তেমন ইমানদারের ষড়্‌রিপুর কামনা–বাসনাকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে রোজাদারকে খাঁটি বান্দায় পরিণত করে। তাই মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিন রোজার জন্য রমজান মাসকেই নির্ধারণ করেছেন।
‘শবে কদর’ রমজানের অনন্য উপহার। এ মাসে রয়েছে শবে কদর বা এমন একটি রাত, যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। যা লাইলাতুল কদর বা শবে কদর নামে পরিচিত। হাজার মাস মানে সোয়া তিরাশি বছর। অর্থাৎ একটি মানবজীবনের ব্যাপ্তিকালের সমান। সুতরাং রমজানের সুফল জীবনব্যাপী।
রোজার ফিদইয়া’ রমজানের একটি শ্রেষ্ঠ মাহাত্ম্য। রোজা একটি শারীরিক ও মানসিক ইবাদত। কিন্তু অক্ষম ও দুর্বল ব্যক্তির জন্য এর কাজার পাশাপাশি অপারগতায় ফিদইয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে; যা আর্থিক ইবাদত। এতে রোজার পরিধির ব্যাপকতা বোঝা যায়।
রোজা শারীরিক ইবাদত হওয়া সত্ত্বেও দুর্বল ব্যক্তি যদি রোজা ভঙ্গ করেন; তার জন্য আল্লাহ তাআলা কাফফারা বিধান দিয়েছেন। যার মাধ্যমগুলো হলো দাসমুক্ত করা বা ৬০ জন গরিবকে দুই বেলা তৃপ্তিসহকারে খাওয়ানো অথবা একাধারে ৬০টি রোজা রাখা। যিনি ৩০ দিবসের মধ্যেই রোজা ভাঙেন, তিনি ৬০ দিবস কীভাবে তা পালন করবেন? মানে আবারও ভাঙলে আবারও ভাঙার জন্য দাস মুক্তি বা ৬০ জন মিসকিন খাওয়ানো। মানে হলো দানখয়রাত–সদাকাত তথা গরিবের সেবা ও সমাজের কল্যাণই রমজানের মুখ্য উদ্দেশ্য।
‘সদকাতুল ফিতর’ রোজার সেরা সৌন্দর্য। রোজা শেষে ঈদুল ফিতরের দিন সকালবেলা ঈদের নামাজে যাওয়ার আগে সদকাতুল ফিতর আদায় করতে হয়। দাতা ও গ্রহীতার সুবিধার্থে রমজানেও প্রদান করা যায়। এই ঈদের সঙ্গে ফিতরার সম্পৃক্ততার কারণে এর নাম ঈদুল ফিতর। সদকাতুল ফিতর বা ‘ফিতরা’ হলো ঈদের আনন্দকে সর্বজনীন করার উপায়। ধনী–গরিব সবাই যেন ঈদের আনন্দে শামিল হতে পারেন, তাই এ ব্যবস্থা। মানুষ সামাজিক জীব, মানুষ অন্যের আনন্দ ও বেদনায় প্রভাবিত হয়। তাই এ আনন্দের দিনে পাড়া–প্রতিব���শী ও আত্মীয়স্বজন যদি আনন্দে শামিল হতে না পারে, তবে আনন্দ পূর্ণতা পাবে না। তাই নিজের আনন্দ সবার মধ্যে বিলিয়ে দিতে ও ছড়িয়ে দিতে এ ব্যবস্থা। ফিতরা বা সদকাতুল ফিতর হলো রমজানে রোজা পালনের শুকরিয়া স্বরূপ। এটি রোজার অপূর্ণতাকে পূর্ণতা দেয়।
‘ইতিকাফ’ রমজানের বিশেষ তুহফা। আল্লাহর সান্নিধ্য মানবজীবনে আরাধ্য। এর অন্যতম মাধ্যম হলো ইতিকাফ।
‘শবে কদর’ রমজানের অনন্য উপহার। এ মাসে রয়েছে শবে কদর বা এমন একটি রাত, যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। যা লাইলাতুল কদর বা শবে কদর নামে পরিচিত। হাজার মাস মানে সোয়া তিরাশি বছর। অর্থাৎ একটি মানবজীবনের ব্যাপ্তিকালের সমান। সুতরাং রমজানের সুফল জীবনব্যাপী।
মুসলমানের জীবনে রমজানের প্রভাব 
youtube
রমজান: রোজা যখন রাখেন, তখন আপনার শরীরে কী ঘটে?
youtube
কিশোর ও যুবকদের নৈতিক জীবন গঠনে রমজানের ভূমিকা
youtube
রমজানের প্রভাব মুমিনের জীবনজুড়ে থাকে
The effect of Ramadan lasts throughout the life of a believer
Ramadan has an effect throughout the life of a believer
0 notes
myreligionislam · 2 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
রমজানের প্রভাব মুমিনের জীবনজুড়ে থাকে
The effect of Ramadan lasts throughout the life of a believer
রমজানের প্রভাব মুমিনের জীবনজুড়ে থাকে
‘শবে কদর’ রমজানের অনন্য উপহার। এ মাসে রয়েছে শবে কদর বা এমন একটি রাত, যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। যা লাইলাতুল কদর বা শবে কদর নামে পরিচিত। হাজার মাস মানে সোয়া তিরাশি বছর। অর্থাৎ একটি মানবজীবনের ব্যাপ্তিকালের সমান। সুতরাং রমজানের সুফল জীবনব্যাপী।
‘ইমান’ হলো ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের প্রথম স্তম্ভ। ইমান বা বিশ্বাস ইসলামের প্রাণশক্তি। ইমান মানবজীবনে মূল চালিকা শক্তি। রমজানের সঙ্গে ইমানের সুদৃঢ় যোগসূত্র বিদ্যমান।
ইমানের ভিত্তি হলো ওহি। ওহি তথা আসমানি কিতাবগুলো অবতীর্ণ হয়েছে রমজান মাসে। কোরআন মাজিদও রমজান মাসে শবে কদরে অবতীর্ণ হয়েছে।
ইমান যেমন মানুষকে কুফর ও শিরক থেকে মুক্ত করে, তেমনি রমজান মানুষকে পাপ-পঙ্কিলতা থেকে পবিত্র করে।
‘সলাত’ বা নামাজ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের দ্বিতীয় স্তম্ভ—ইমানের পরেই হলো নামাজ। রমজান মাস হলো নামাজের মাস। যেমন তারাবিহ বা প্রশান্তির বিশ্রামের নামাজ ও কিয়ামুল্লাইল বা রাত জাগরণের নামাজের পাশাপাশি রমজানে সাহ্‌রির বদৌলতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া সহজ হয়; এশার নামাজ ও ফজরের নামাজ জামাতে পড়ার সুযোগ বৃদ্ধি হয়, যাতে সম্পূর্ণ রাত্রি জাগরণের সওয়াব পাওয়া যায়।
এই মাসে নফল নামাজ পড়ার সুযোগও বেশি পাওয়া যায়।
‘জাকাত’ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের তৃতীয় স্তম্ভ। সাহাবায়ে কিরাম রমজানেই জাকাত প্রদান করতেন। চান্দ্রবর্ষের হিসাব ও তারিখ অনুযায়ী সঠিকভাবে জাকাত দেওয়া রমজান মাসে সহজ হয়। এতে গরিবদেরও সুবিধা হয়।
‘হজ’ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের চতুর্থ স্তম্ভ। রমজানে ওমরাহ পালন করলে নবীজি (সা.)–এর সঙ্গে হজ করার সওয়াব পাওয়া যায়।
‘সওম’ বা রোজা হলো ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের পঞ্চম স্তম্ভ। সিয়াম বা রোজা হলো রমজানের সেরা অনুষঙ্গ। আগুন যেমন সোনাকে জ্বালিয়ে খাদমুক্ত করে দেয়, রোজা তেমন ইমানদারের ষড়্‌রিপুর কামনা–বাসনাকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে রোজাদারকে খাঁটি বান্দায় পরিণত করে। তাই মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিন রোজার জন্য রমজান মাসকেই নির্ধারণ করেছেন।
‘শবে কদর’ রমজানের অনন্য উপহার। এ মাসে রয়েছে শবে কদর বা এমন একটি রাত, যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। যা লাইলাতুল কদর বা শবে কদর নামে পরিচিত। হাজার মাস মানে সোয়া তিরাশি বছর। অর্থাৎ একটি মানবজীবনের ব্যাপ্তিকালের সমান। সুতরাং রমজানের সুফল জীবনব্যাপী।
রোজার ফিদইয়া’ রমজানের একটি শ্রেষ্ঠ মাহাত্ম্য। রোজা একটি শারীরিক ও মানসিক ইবাদত। কিন্তু অক্ষম ও দুর্বল ব্যক্তির জন্য এর কাজার পাশাপাশি অপারগতায় ফিদইয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে; যা আর্থিক ইবাদত। এতে রোজার পরিধির ব্যাপকতা বোঝা যায়।
রোজা শারীরিক ইবাদত হওয়া সত্ত্বেও দুর্বল ব্যক্তি যদি রোজা ভঙ্গ করেন; তার জন্য আল্লাহ তাআলা কাফফারা বিধান দিয়েছেন। যার মাধ্যমগুলো হলো দাসমুক্ত করা বা ৬০ জন গরিবকে দুই বেলা তৃপ্তিসহকারে খাওয়ানো অথবা একাধারে ৬০টি রোজা রাখা। যিনি ৩০ দিবসের মধ্যেই রোজা ভাঙেন, তিনি ৬০ দিবস কীভাবে তা পালন করবেন? মানে আবারও ভাঙলে আবারও ভাঙার জন্য দাস মুক্তি বা ৬০ জন মিসকিন খাওয়ানো। মানে হলো দানখয়রাত–সদাকাত তথা গরিবের সেবা ও সমাজের কল্যাণই রমজানের মুখ্য উদ্দেশ্য।
‘সদকাতুল ফিতর’ রোজার সেরা সৌন্দর্য। রোজা শেষে ঈদুল ফিতরের দিন সকালবেলা ঈদের নামাজে যাওয়ার আগে সদকাতুল ফিতর আদায় করতে হয়। দাতা ও গ্রহীতার সুবিধার্থে রমজানেও প্রদান করা যায়। এই ঈদের সঙ্গে ফিতরার সম্পৃক্ততার কারণে এর নাম ঈদুল ফিতর। সদকাতুল ফিতর বা ‘ফিতরা’ হলো ঈদের আনন্দকে সর্বজনীন করার উপায়। ধনী–গরিব সবাই যেন ঈদের আনন্দে শামিল হতে পারেন, তাই এ ব্যবস্থা। মানুষ সামাজিক জীব, মানুষ অন্যের আনন্দ ও বেদনায় প্রভাবিত হয়। তাই এ আনন্দের দিনে পাড়া–প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজন যদি আনন্দে শামিল হতে না পারে, তবে আনন্দ পূর্ণতা পাবে না। তাই নিজের আনন্দ সবার মধ্যে বিলিয়ে দিতে ও ছড়িয়ে দিতে এ ব্যবস্থা। ফিতরা বা সদকাতুল ফিতর হলো রমজানে রোজা পালনের শুকরিয়া স্বরূপ। এটি রোজার অপূর্ণতাকে পূর্ণতা দেয়।
‘ইতিকাফ’ রমজানের বিশেষ তুহফা। আল্লাহর সান্নিধ্য মানবজীবনে আরাধ্য। এর অন্যতম মাধ্যম হলো ইতিকাফ।
‘শবে কদর’ রমজানের অনন্য উপহার। এ মাসে রয়েছে শবে কদর বা এমন একটি রাত, যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। যা লাইলাতুল কদর বা শবে কদর নামে পরিচিত। হাজার মাস মানে সোয়া তিরাশি বছর। অর্থাৎ একটি মানবজীবনের ব্যাপ্তিকালের সমান। সুতরাং রমজানের সুফল জীবনব্যাপী।
মুসলমানের জীবনে রমজানের প্রভাব 
youtube
রমজান: রোজা যখন রাখেন, তখন আপনার শরীরে কী ঘটে?
youtube
কিশোর ও যুবকদের নৈতিক জীবন গঠনে রমজানের ভূমিকা
youtube
রমজানের প্রভাব মুমিনের জীবনজুড়ে থাকে
The effect of Ramadan lasts throughout the life of a believer
Ramadan has an effect throughout the life of a believer
The effect of Ramadan lasts throughout the life of a believer
0 notes
allahisourrabb · 2 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
রমজানের প্রভাব মুমিনের জীবনজুড়ে থাকে
The effect of Ramadan lasts throughout the life of a believer
রমজানের প্রভাব মুমিনের জীবনজুড়ে থাকে
‘শবে কদর’ রমজানের অনন্য উপহার। এ মাসে রয়েছে শবে কদর বা এমন একটি রাত, যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। যা লাইলাতুল কদর বা শবে কদর নামে পরিচিত। হাজার মাস মানে সোয়া তিরাশি বছর। অর্থাৎ একটি মানবজীবনের ব্যাপ্তিকালের সমান। সুতরাং রমজানের সুফল জীবনব্যাপী।
‘ইমান’ হলো ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের প্রথম স্তম্ভ। ইমান বা বিশ্বাস ইসলামের প্রাণশক্তি। ইমান মানবজীবনে মূল চালিকা শক্তি। রমজানের সঙ্গে ইমানের সুদৃঢ় যোগসূত্র বিদ্যমান।
ইমানের ভিত্তি হলো ওহি। ওহি তথা আসমানি কিতাবগুলো অবতীর্ণ হয়েছে রমজান মাসে। কোরআন মাজিদও রমজান মাসে শবে কদরে অবতীর্ণ হয়েছে।
ইমান যেমন মানুষকে কুফর ও শিরক থেকে মুক্ত করে, তেমনি রমজান মানুষকে পাপ-পঙ্কিলতা থেকে পবিত্র করে।
‘সলাত’ বা নামাজ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের দ্বিতীয় স্তম্ভ—ইমানের পরেই হলো নামাজ। রমজান মাস হলো নামাজের মাস। যেমন তারাবিহ বা প্রশান্তির বিশ্রামের নামাজ ও কিয়ামুল্লাইল বা রাত জাগরণের নামাজের পাশাপাশি রমজানে সাহ্‌রির বদৌলতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া সহজ হয়; এশার নামাজ ও ফজরের নামাজ জামাতে পড়ার সুযোগ বৃদ্ধি হয়, যাতে সম্পূর্ণ রাত্রি জাগরণের সওয়াব পাওয়া যায়।
এই মাসে নফল নামাজ পড়ার সুযোগও বেশি পাওয়া যায়।
‘জাকাত’ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের তৃতীয় স্তম্ভ। সাহাবায়ে কিরাম রমজানেই জাকাত প্রদান করতেন। চান্দ্রবর্ষের হিসাব ও তারিখ অনুযায়ী সঠিকভাবে জাকাত দেওয়া রমজান মাসে সহজ হয়। এতে গরিবদেরও সুবিধা হয়।
‘হজ’ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের চতুর্থ স্তম্ভ। রমজানে ওমরাহ পালন করলে নবীজি (সা.)–এর সঙ্গে হজ করার সওয়াব পাওয়া যায়।
‘সওম’ বা রোজা হলো ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের পঞ্চম স্তম্ভ। সিয়াম বা রোজা হলো রমজানের সেরা অনুষঙ্গ। আগুন যেমন সোনাকে জ্বালিয়ে খাদমুক্ত করে দেয়, রোজা তেমন ইমানদারের ষড়্‌রিপুর কামনা–বাসনাকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে রোজাদারকে খাঁটি বান্দায় পরিণত করে। তাই মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিন রোজার জন্য রমজান মাসকেই নির্ধারণ করেছেন।
‘শবে কদর’ রমজানের অনন্য উপহার। এ মাসে রয়েছে শবে কদর বা এমন একটি রাত, যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। যা লাইলাতুল কদর বা শবে কদর নামে পরিচিত। হাজার মাস মানে সোয়া তিরাশি বছর। অর্থাৎ একটি মানবজীবনের ব্যাপ্তিকালের সমান। সুতরাং রমজানের সুফল জীবনব্যাপী।
রোজার ফিদইয়া’ রমজানের একটি শ্রেষ্ঠ মাহাত্ম্য। রোজা একটি শারীরিক ও মানসিক ইবাদত। কিন্তু অক্ষম ও দুর্বল ব্যক্তির জন্য এর কাজার পাশাপাশি অপারগতায় ফিদইয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে; যা আর্থিক ইবাদত। এতে রোজার পরিধির ব্যাপকতা বোঝা যায়।
��োজা শারীরিক ইবাদত হওয়া সত্ত্বেও দুর্বল ব্যক্তি যদি রোজা ভঙ্গ করেন; তার জন্য আল্লাহ তাআলা কাফফারা বিধান দিয়েছেন। যার মাধ্যমগুলো হলো দাসমুক্ত করা বা ৬০ জন গরিবকে দুই বেলা তৃপ্তিসহকারে খাওয়ানো অথবা একাধারে ৬০টি রোজা রাখা। যিনি ৩০ দিবসের মধ্যেই রোজা ভাঙেন, তিনি ৬০ দিবস কীভাবে তা পালন করবেন? মানে আবারও ভাঙলে আবারও ভাঙার জন্য দাস মুক্তি বা ৬০ জন মিসকিন খাওয়ানো। মানে হলো দানখয়রাত–সদাকাত তথা গরিবের সেবা ও সমাজের কল্যাণই রমজানের মুখ্য উদ্দেশ্য।
‘সদকাতুল ফিতর’ রোজার সেরা সৌন্দর্য। রোজা শেষে ঈদুল ফিতরের দিন সকালবেলা ঈদের নামাজে যাওয়ার আগে সদকাতুল ফিতর আদায় করতে হয়। দাতা ও গ্রহীতার সুবিধার্থে রমজানেও প্রদান করা যায়। এই ঈদের সঙ্গে ফিতরার সম্পৃক্ততার কারণে এর নাম ঈদুল ফিতর। সদকাতুল ফিতর বা ‘ফিতরা’ হলো ঈদের আনন্দকে সর্বজনীন করার উপায়। ধনী–গরিব সবাই যেন ঈদের আনন্দে শামিল হতে পারেন, তাই এ ব্যবস্থা। মানুষ সামাজিক জীব, মানুষ অন্যের আনন্দ ও বেদনায় প্রভাবিত হয়। তাই এ আনন্দের দিনে পাড়া–প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজন যদি আনন্দে শামিল হতে না পারে, তবে আনন্দ পূর্ণতা পাবে না। তাই নিজের আনন্দ সবার মধ্যে বিলিয়ে দিতে ও ছড়িয়ে দিতে এ ব্যবস্থা। ফিতরা বা সদকাতুল ফিতর হলো রমজানে রোজা পালনের শুকরিয়া স্বরূপ। এটি রোজার অপূর্ণতাকে পূর্ণতা দেয়।
‘ইতিকাফ’ রমজানের বিশেষ তুহফা। আল্লাহর সান্নিধ্য মানবজীবনে আরাধ্য। এর অন্যতম মাধ্যম হলো ইতিকাফ।
‘শবে কদর’ রমজানের অনন্য উপহার। এ মাসে রয়েছে শবে কদর বা এমন একটি রাত, যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। যা লাইলাতুল কদর বা শবে কদর নামে পরিচিত। হাজার মাস মানে সোয়া তিরাশি বছর। অর্থাৎ একটি মানবজীবনের ব্যাপ্তিকালের সমান। সুতরাং রমজানের সুফল জীবনব্যাপী।
মুসলমানের জীবনে রমজানের প্রভাব 
youtube
রমজান: রোজা যখন রাখেন, তখন আপনার শরীরে কী ঘটে?
youtube
কিশোর ও যুবকদের নৈতিক জীবন গঠনে রমজানের ভূমিকা
youtube
রমজানের প্রভাব মুমিনের জীবনজুড়ে থাকে
The effect of Ramadan lasts throughout the life of a believer
Ramadan has an effect throughout the life of a believer
The effect of Ramadan lasts throughout the life of a believer
0 notes
mylordisallah · 2 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
রমজানের প্রভাব মুমিনের জীবনজুড়ে থাকে
The effect of Ramadan lasts throughout the life of a believer
রমজানের প্রভাব মুমিনের জীবনজুড়ে থাকে
‘শবে কদর’ রমজানের অনন্য উপহার। এ মাসে রয়েছে শবে কদর বা এমন একটি রাত, যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। যা লাইলাতুল কদর বা শবে কদর নামে পরিচিত। হাজার মাস মানে সোয়া তিরাশি বছর। অর্থাৎ একটি মানবজীবনের ব্যাপ্তিকালের সমান। সুতরাং রমজানের সুফল জীবনব্যাপী।
‘ইমান’ হলো ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের প্রথম স্তম্ভ। ইমান বা বিশ্বাস ইসলামের প্রাণশক্তি। ইমান মানবজীবনে মূল চালিকা শক্তি। রমজানের সঙ্গে ইমানের সুদৃঢ় যোগসূত্র বিদ্যমান।
ইমানের ভিত্তি হলো ওহি। ওহি তথা আসমানি কিতাবগুলো অবতীর্ণ হয়েছে রমজান মাসে। কোরআন মাজিদও রমজান মাসে শবে কদরে অবতীর্ণ হয়েছে।
ইমান যেমন মানুষকে কুফর ও শিরক থেকে মুক্ত করে, তেমনি রমজান মানুষকে পাপ-পঙ্কিলতা থেকে পবিত্র করে।
‘সলাত’ বা নামাজ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের দ্বিতীয় স্তম্ভ—ইমানের পরেই হলো নামাজ। রমজান মাস হলো নামাজের মাস। যেমন তারাবিহ বা প্রশান্তির বিশ্রামের নামাজ ও কিয়ামুল্লাইল বা রাত জাগরণের নামাজের পাশাপাশি রমজানে সাহ্‌রির বদৌলতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া সহজ হয়; এশার নামাজ ও ফজরের নামাজ জামাতে পড়ার সুযোগ বৃদ্ধি হয়, যাতে সম্পূর্ণ রাত্রি জাগরণের সওয়াব পাওয়া যায়।
এই মাসে নফল নামাজ পড়ার সুযোগও বেশি পাওয়া যায়।
‘জাকাত’ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের তৃতীয় স্তম্ভ। সাহাবায়ে কিরাম রমজানেই জাকাত প্রদান করতেন। চান্দ্রবর্ষের হিসাব ও তারিখ অনুযায়ী সঠিকভাবে জাকাত দেওয়া রমজান মাসে সহজ হয়। এতে গরিবদেরও সুবিধা হয়।
‘হজ’ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের চতুর্থ স্তম্ভ। রমজানে ওমরাহ পালন করলে নবীজি (সা.)–এর সঙ্গে হজ করার সওয়াব পাওয়া যায়।
‘সওম’ বা রোজা হলো ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের পঞ্চম স্তম্ভ। সিয়াম বা রোজা হলো রমজানের সেরা অনুষঙ্গ। আগুন যেমন সোনাকে জ্বালিয়ে খাদমুক্ত করে দেয়, রোজা তেমন ইমানদারের ষড়্‌রিপুর কামনা–বাসনাকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে রোজাদারকে খাঁটি বান্দায় পরিণত করে। তাই মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিন রোজার জন্য রমজান মাসকেই নির্ধারণ করেছেন।
‘শবে কদর’ রমজানের অনন্য উপহার। এ মাসে রয়েছে শবে কদর বা এমন একটি রাত, যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। যা লাইলাতুল কদর বা শবে কদর নামে পরিচিত। হাজার মাস মানে সোয়া তিরাশি বছর। অর্থাৎ একটি মানবজীবনের ব্যাপ্তিকালের সমান। সুতরাং রমজানের সুফল জীবনব্যাপী।
রোজার ফিদইয়া’ রমজানের একটি শ্রেষ্ঠ মাহাত্ম্য। রোজা একটি শারীরিক ও মানসিক ইবাদত। কিন্তু অক্ষম ও দুর্বল ব্যক্তির জন্য এর কাজার পাশাপাশি অপারগতায় ফিদইয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে; যা আর্থিক ইবাদত। এতে রোজার পরিধির ব্যাপকতা বোঝা যায়।
রোজা শারীরিক ইবাদত হওয়া সত্ত্বেও দুর্বল ব্যক্তি যদি রোজা ভঙ্গ করেন; তার জন্য আল্লাহ তাআলা কাফফারা বিধান দিয়েছেন। যার মাধ্যমগুলো হলো দাসমুক্ত করা বা ৬০ জন গরিবকে দুই বেলা তৃপ্তিসহকারে খাওয়ানো অথবা একাধারে ৬০টি রোজা রাখা। যিনি ৩০ দিবসের মধ্যেই রোজা ভাঙেন, তিনি ৬০ দিবস কীভাবে তা পালন করবেন? মানে আবারও ভাঙলে আবারও ভাঙার জন্য দাস মুক্তি বা ৬০ জন মিসকিন খাওয়ানো। মানে হলো দানখয়রাত–সদাকাত তথা গরিবের সেবা ও সমাজের কল্যাণই রমজানের মুখ্য উদ্দেশ্য।
‘সদকাতুল ফিতর’ রোজার সেরা সৌন্দর্য। রোজা শেষে ঈদুল ফিতরের দিন সকালবেলা ঈদের নামাজে যাওয়ার আগে সদকাতুল ফিতর আদায় করতে হয়। দাতা ও গ্রহীতার সুবিধার্থে রমজানেও প্রদান করা যায়। এই ঈদের সঙ্গে ফিতরার সম্পৃক্ততার কারণে এর নাম ঈদুল ফিতর। সদকাতুল ফিতর বা ‘ফিতরা’ হলো ঈদের আনন্দকে সর্বজনীন করার উপায়। ধনী–গরিব সবাই যেন ঈদের আনন্দে শামিল হতে পারেন, তাই এ ব্যবস্থা। মানুষ সামাজিক জীব, মানুষ অন্যের আনন্দ ও বেদনায় প্রভাবিত হয়। তাই এ আনন্দের দিনে পাড়া–প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজন যদি আনন্দে শামিল হতে না পারে, তবে আনন্দ পূর্ণতা পাবে না। তাই নিজের আনন্দ সবার মধ্যে বিলিয়ে দিতে ও ছড়িয়ে দিতে এ ব্যবস্থা। ফিতরা বা সদকাতুল ফিতর হলো রমজানে রোজা পালনের শুকরিয়া স্বরূপ। এটি রোজার অপূর্ণতাকে পূর্ণতা দেয়।
‘ইতিকাফ’ রমজানের বিশেষ তুহফা। আল্লাহর সান্নিধ্য মানবজীবনে আরাধ্য। এর অন্যতম মাধ্যম হলো ইতিকাফ।
‘শবে কদর’ রমজানের অনন্য উপহার। এ মাসে রয়েছে শবে কদর বা এমন একটি রাত, যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। যা লাইলাতুল কদর বা শবে কদর নামে পরিচিত। হাজার মাস মানে সোয়া তিরাশি বছর। অর্থাৎ একটি মানবজীবনের ব্যাপ্তিকালের সমান। সুতরাং রমজানের সুফল জীবনব্যাপী।
মুসলমানের জীবনে রমজানের প্রভাব 
youtube
রমজান: রোজা যখন রাখেন, তখন আপনার শরীরে কী ঘটে?
youtube
কিশোর ও যুবকদের নৈতিক জীবন গঠনে রমজানের ভূমিকা
youtube
রমজানের প্রভাব মুমিনের জীবনজুড়ে থাকে
The effect of Ramadan lasts throughout the life of a believer
Ramadan has an effect throughout the life of a believer
The effect of Ramadan lasts throughout the life of a believer
0 notes
noblemarriage · 2 months
Text
Tumblr media
Did you know that the Prophet (ﷺ) always performed ‘itikaaf during the last 10 days of Ramadan, and the year he passed away, he did this for 20 days?
1 note · View note
atifadhilah · 1 year
Text
Iri.
Kadang begitu iri sama orang-orang yang punya pekerjaan umum yang konsisten dan teratur, alias non shifting. Di ramadan kayak gini, jadwal ibadah mereka harusnya ga terganggu, menurutku. Bukan aku gapunya waktu luang buat beribadah dgn pekerjaan shifting ini, tapi lebih ke ga punya tenaga terutama kalau abis dinas sore dan malam.
Jadwal teraweh jadi mundur, ga sempet, atau acak acakan, bahkan saur juga sekenanya. Pernah disuatu saat cuma sempet saur sekotak susu 2 menit sebelum adzan, alhamdulillaah.
Kadang kek sedih aja gt, while orang-orang berlomba beribadah sampe itikaaf sekeluarga, aku masih harus standby jaga dinas 24 jam. Bahkan perlu di kocok kek undian untuk dapat kesempatan libur di hari lebaran. Ada temanku yang 4 tahun ga pernah idul fitri sama keluarga krn pekerjaan ini, sad.
Gapapa gapapa, insya Allaah tetep berpahala yaa asal pekerjaannya niat Lillahi ta'ala.
20 notes · View notes
m3rikahani · 2 months
Text
sat april 06
7:09am
to-do list
ap world — e22 notes
ap world — 9.1 to 9.3 notes
goals
❒ write using a prompt (@/me-writes-prompts) + post here ❒ read quran ❒ use itikaaf time wisely
3 notes · View notes
nayfeeeen · 1 year
Text
I spent every past Ramadan discrediting every little good deed i did for as long as it did not fit a certain criteria, I did not stop to ask myself who set the criteria? Who was I worshiping? My self made goals or Allah? When I was not praying my nawafils ,competing to do multiple khitmahs on the quran , itikaaf, then I wasn't doing anything. I wasn't doing ibadah. As a result ,I grew frustrated and overwhelmed. We fast to achieve intimate God consciousness and I did not stop to think that most times this looks like reinventing our intentions and doing everything for the sake of Allah in our day to day . Ramadan is supposed to sharpen us and better us for the rest of the months of the year. Ibadah even during Ramadan might look alot more like shortening your recitation of the quran because you have a new born that wouldn't leave you alone . Giving a foot massage to your hababa is still ibadah. Taking over the kitchen duties to dissolve your mother from it this year is still ibadah . Working to provide for your family while only managing a few minutes off to read quran is still ibadah. Praying tahajud with sleepy eyes because you were up all night finishing an assignment ,helping a student , lending a hand to your sister in law who has just had a baby is still ibadah. Checking up on your loved ones is still ibadah. It's helping your grandmother with her tajweed during the time it would have taken you to complete your hizb for the day ,it's lending a hand to those in need in whatever way you can. Ways of worshiping Allah are neither exhaustive nor fixed for as long as you reinvent your intentions. I'm afraid this is something i had to learn alittle bit later in life. So while you're in the kitchen, changing diapers, navigating traffic jams ,working extra shifts remember to mumble your adhkars and recite from what you have memorised from the quran. And when it gets too overwhelming remember there's a lord greater and mightier than everything you're experiencing. A Lord more merciful to you than your own mother. A Lord who wants ease and not hardship for you.
2 notes · View notes
i-asifeq · 1 year
Text
Shamsuddeen Muhammad Bin Abee Bakr Ibn Qayyim al-Jawziyyah [D.751 A.H.] [رحمه الله] said:
❝The guidance of the Messenger of Allaah [ﷺ] concerning fasting is the most complete of guidance, and fasting is the greatest way of achieving the purpose of this guidance, and the guidance of the Prophet [ﷺ] is the easiest upon the souls. Since weaning the souls away from their devotion and their desires is from the most difficult of matters, the most arduous of them – the obligatory Siyaam was delayed until the middle of Islaam after the Hijrah, when the souls had taken root upon Tawheed and the prayer and when the people had become acquainted with the orders of the Qur’aan, which had been conveyed gradually.
Fasting was made obligatory in the second year of the Hijrah. The Messenger of Allaah [ﷺ] fasted for nine Ramadans by the time he passed away. When Siyaam was initially made obligatory, the person could either choose to fast or feed a needy person daily. Later on, it was transferred from the two options to one sole option of the obligatory fast. Once this was done, feeding a needy person was only permissible for an elderly person and a woman who could not fast.
They would then have to feed a needy person for everyday they did not fast. There was also a concession for the sick and the traveller from not fasting, with the obligation of making up the fast later. Likewise it was the same for the pregnant woman and the suckling woman if they feared for themselves, or if they feared for their offspring. However, along with making up the fast they had to feed a needy person everyday.
In the early days of Islaam if the pregnant woman and the suckling woman did not fast but it was not due to fear of sickness and their health was fine, then here they had to feed a needy person just like a healthy person who did not fast in the early days of Islaam. Fasting originally had three grades:
1 – Obligatory with the option between fasting or feeding.
2 – The necessity of fasting, however if the fasting person slept before he fed someone than it would be haram for him to eat and drink until the following night, but this was abrogated by:
3 – The third level, was [the obligation to fast] which is what the Sharia’ became settled upon until the Day of Judgment.
From the Prophet’s [ﷺ] guidance in Ramadan was to increase in different types of worship, Jibra’eel -alayhi as-Salam- used to meet the Prophet [ﷺ] he found that the Prophet [ﷺ] was more generous with goodness than a blowing wind, and that the Prophet [ﷺ] was the most generous from the people, and he would be the most generous in Ramadan. He would increase in giving Sadaqah and kindness, he would recite the Qur’aan, pray a lot and remember Allaah and perform al-Itikaaf. He [ﷺ] would single out Ramadan with worship, something which he would not single out for any other month.❞
[Jamia al-Fiqh Ibn Qayyim al-Jawziyyah, (3/88-89) | Translated By Abbas Abu Yahya Miraath al-Anbiyya]
5 notes · View notes
sadmeyong · 24 days
Text
My Master's Journey #3
Udah part 3, gue udah test substansi!
Tumblr media
Qodarullah gua dapet jadwal hari pertama dari seluruh timeline panjang substansi itu. Ini tes substansi percobaan pertamakali gue, dengan persiapan dari beberapakali mockup interview yang tak terhitung jari. Kalau ditanya siap atau engga, ya sebenernya belum siap, gue masih butuh banyak waktu untuk mempersiapkan, tapi ya sebenernya mau sampe kapan buat menyatakan diri kalau sudah siap.
Dari beberapa mockup interview, gue merasa banyak insight dan membuat peningkatan progress yang lumayan berasa, dari yang tadinya have no clue mau ngomong apa sampe jadi lebih sedikit percaya diri.
Gue merasa bersyukur banget bisa mendapatkan mentor dan panel mockup interview yang sangat sangat baik, sampe gue terharu, sampe gue merasa kaya am i deserve this? terimakasih buat kakak kakak awardee atas waktunya, doa baik menyertai kalian semuaa
Kebetulan banget selama persiapan substansi dan hari H substansi itu di bulan ramadhan! gue bisa sepuasnya berdoa, berharap di 1/3 malem dan di 10 hari terakhir. Sebuah moment kesempatan yang menurut gue sangat bagus banget untuk meminta kelancaran dari proses seleksi ini.
H-1 gue udh gamau latihan apa-apa lagi, gue bener bener mencari coping stress gue, nonton film, gambar, dengerin lagu, perbanyak ibadah dan doa.
Hari H jeng jeng! gue udh masuk zoom dari 2 jam sebelum, dan bener aje gue masuk 1 jam lebih awal dari jadwal tertera, dapet 3 panel 1 moderator dari lpdp, 1 org akademisi perempuan, 1 org akademisi laki-laki, yang bener-bener tidak memperkenalkan diri, jadi asumsi gue mereka semua dosen. First impression gue ke mereka adalah orang yang baik, asumsi ini membuat gue lebih enjoy buat wawancara. So far pertanyaannya sangat ada dibayangan gue, alhamdulillah bisa menjawab lancar, tidak ada pertanyaan menyudutkan. Proses berjalan 35-40 menit, wawancara ditutup tanpa meminta gue closing statement, padahal gue ngincer bagian ini buat lebih "menjual" diri gue. Tapi yaudahlah, mau gimana lagi:(
Kalau ditanya puas apa engga, ya pasti orang ga pernah merasa puas kalau abis wawancara, pasti ada part dimana merasa kurang, merasa salah jawab atau overthingking lainnya. tapi...
Gue bisa mengejar doa di 10 malam terakhir. Gue sempet 1x itikaaf sebelum akhirnya ngedrop hahahaha.
Pengumuman LPDP tanggal 10 juni, lumayan lama digantunginnya, tapi semoga ini sebuah penantian yang berujung bahagia ya.
Ya allah, jika memang lolos LPDP memang yang terbaik untukku, sangat mudah untuk Engkau mengabulkan doa-doa ku. Karena allah sesuai dengan prasangka hambanya bukan?
Gue selalu percaya allah is the best planner. Jadi ya let it go aja deh, even gue gatau abis ini mau gimana lagi huhu.
Bismillah semoga gue lolos (nada penuh optimis)
0 notes
ilyforallahswt · 2 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইতিকাফ কী ও কেন
What is Itikaaf and why?
ইত্তিকাফ হল মুসলিমদের একটি ধর্মীয় চর্চা, যেখানে একজন মুসলিম তার নিজস্ব ইচ্ছানুযায়ী এক বা একাধিক দিন নিকটবর্তী মসজিদে দিনানিপাত করেন| রমজান মাসে এর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে, বিশেষত রমজানের শেষ দশ দিনের জন্য। অনেক মসজিদেই মুসলমানরা রমযান মাসের শেষ দশ দিনে ইতিকাফে থাকে।
ইতিকাফের আভিধানিক অর্থ হলো অবস্থান করা। পারিভাষিক অর্থ হলো, যে ব্যক্তি মসজিদে অবস্থান করে এবং ইবাদতে লিপ্ত হয় তাকে বলা হয় ‘আকিফ’ এবং ‘মুতাকিফ’। অর্থাৎ ইতিকাফকারী। (লিসানুল আরব, খণ্ড ৯, পৃষ্ঠা : ২৫৫)
শরিয়তের পরিভাষায় ইতিকাফ মানে আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে নিজেকে মসজিদে আবদ্ধ করা।
(উমদাতুল কারি, খণ্ড ১১, পৃষ্ঠা : ১৪০)
ইতিকাফ হলো এমন একটি ইবাদত, যা পূর্ববর্তী আম্বিয়ায়ে কিরাম (আ.)-এর সময় থেকে চলে আসছে। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনেও এর কথা উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় খলিল ইবরাহিম (আ.) এবং ইসমাইল (আ.)-কে নির্দেশ দিয়েছিলেন কাবা গৃহ নির্মাণের পর তাওয়াফ করতে এবং ইতিকাফকারী ও নামাজ আদায়কারীদের জন্য তা (আল্লাহর ঘর) পরিষ্কার রাখতে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং আমি ইবরাহিম ও ইসমাঈলকে হুকুম করি, তোমরা আমার ঘরকে সেই সকল লোকের জন্য পবিত্র করো, যারা (এখানে) তাওয়াফ করবে, ইতিকাফ করবে এবং রুকু ও সিজদা আদায় করবে।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ��২৫) মূলত রমজান মাস হলো আল্লাহ তাআলার আনুগত্য ও ইবাদতের বসন্তকাল এবং ক্ষমা ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির মৌসুম। যদিও এই মাস গুনাহগার ও নাফরমানদের জন্য ক্ষমা ও মাগফিরাতের সুবর্ণ সুযোগের মাধ্যম, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি নেক ও পরহেজগার ব্যক্তিদের জন্য রহমত, বরকত এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের মূল মাধ্যম। তাই আল্লাহ তাআলা রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফের মতো মহান ইবাদতের বিধান রেখেছেন। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে একটি মহা উপহার।
যা পূর্ববর্তী নবী (আ.) থেকে সাহাবায়ে কিরামরা খুবই গুরুত্বের সঙ্গে আমল করে এসেছেন। শরিয়তে ইতিকাফ হলো সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। (আল ইখতিয়ার লি তালিলিল মুখতার, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা : ১৩৬)
রমজানের শেষ ১০ দিনে ইতিকাফ করা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর একটি স্বতন্ত্র সুন্নত এবং এর চেয়ে উত্তম আর কী হতে পারে যে রাসুলুল্লাহ (সা.) সর্বদা এর প্রতি যত্নবান ছিলেন। ইমাম জুহরি (রহ.) বলেন, অনেক আমল তো নবীজি (সা.) কখনো করেছেন আবার কখনো ছেড়েও দিয়েছেন। কিন্তু মদিনায় হিজরত করার পর থেকে ওফাত পর্যন্ত রমজান মাসের শেষ ১০ দিনের ইতিকাফের আমলটি তিনি কখনোই ছেড়ে দেননি।
অথচ বড়ই আশ্চর্য ও আফসোসের বিষয় হলো, এই মর্যাদাপূর্ণ আমলটির ব্যাপারে মানুষ তেমন গুরুত্ব দেয় না। (ফাতহুল বারি, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা : ২৮৫) হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের শেষ দশকে ইতেকাফ করতেন। (বুখারি, হাদিস : ২০২৫)
নবীপত্নীরাও নিজ নিজ ঘরে ইতিকাফ করতেন। উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের শেষ ১০ দিনে ইতিকাফ করতেন। তাঁর ওফাত পর্যন্ত এই নিয়মই ছিল। এরপর তাঁর সহধর্মিণীরাও (সে দিনগুলোতে) ইতিকাফ করতেন। (বুখারি, হাদিস : ২০২৬)
আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের মধ্যম দশকে ইতিকাফ করতেন। (বুখারি, হাদিস : ২০২৭)
ওফাতের বছর মহানবী (সা.) ২০ দিন ইতিকাফ করেছিলেন। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতি রমজানে ১০ দিন ইতিকাফ করতেন, কিন্তু তাঁর ইন্তেকালের বছর তিনি ২০ দিন ইতিকাফ করেছেন। (বুখারি, হাদিস : ২০৪৪)
এ ছাড়া ইতিকাফ হলো, আল্লাহ তাআলার ঘর মসজিদে অবস্থান করার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জন, দুনিয়াবিমুখতা এবং আল্লাহর রহমতে সিক্ত হওয়া ও ক্ষমা চাওয়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ মাধ্যম। আর ইতিকাফকারী ব্যক্তির উদাহরণ দিতে গিয়ে আতা (রহ.) বলেন যে কোনো ব্যক্তি এসে কারো দরজায় কড়া নাড়ল এই বলে যে যতক্ষণ পর্যন্ত তাকে কিছু না দেওয়া হবে, ততক্ষণ সে এখান থেকে এগোবে না। অনুরূপভাবে ইতিকাফকারী ব্যক্তিও আল্লাহ তাআলার দরজায় কড়া নাড়তে থাকে, যতক্ষণ পর্যন্ত না আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং ক্ষমা অর্জিত না হয়, ততক্ষণ সে আল্লাহর রহমত থেকে নৈরাশ হয়ে ফিরে আসে না। (মারাকিল ফালাহ, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা : ২৬৯)
ইতিকাফের মাহাত্ম্য ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শাহ ওয়ালি উল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভি (রহ.) বলেন, মসজিদে ইতিকাফ হচ্ছে হৃদয়ের প্রশান্তি, আত্মার পবিত্রতা ও চিত্তের নিষ্কলুষতা; চিন্তার পরিচ্ছন্নতা ও বিশুদ্ধতা। ফেরেশতাদের গুণাবলি অর্জন এবং লাইলাতুল কদরের সৌভাগ্য ও কল্যাণ লাভসহ সব ধরনের ইবাদতের সুযোগ লাভের সর্বোত্তম উপায়। এ জন্য রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ইতিকাফ পালন করেছেন এবং তাঁর পূতঃপবিত্র বিবিগণসহ সাহাবায়ে কিরামের অনেকেই এই সুন্নতের ওপর আমৃত্যু আমল করেছেন। (হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগা, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা : ৪২)
সওয়াবের দিক থেকে ইতিকাফের জন্য সর্বোত্তম স্থান হলো মসজিদুল হারাম। এরপর মসজিদে নববী। তারপর মসজিদুল আকসা। এরপর যেকোনো জামে মসজিদ। তারপর যেকোনো পাঞ্জেগানা মসজিদ।
তবে নারীদের জন্য ইতিকাফের স্থান হলো ঘরের নির্দিষ্ট কোনো পবিত্র স্থান। এ ক্ষেত্রে স্বামীর অনুমতি প্রযোজ্য। নারীদের মসজিদে ইতিকাফ করা মাকরুহে তাহরিমি। কারণ বর্তমান যুগ ফিতনা-ফ্যাসাদের যুগ। মসজিদে পুরুষদের সঙ্গে মেলামেশার প্রবল আশঙ্কা এবং অনৈতিকতা, অশ্লীলতারও আশঙ্কা আছে। তাই বর্তমান যুগে নারীদের মসজিদে ইতিকাফ করা মাকরুহে তাহরিমি। (আল মাবসুত লিল সারাখসি, খণ্ড ৩, পৃষ্ঠা ১১৫)
ইতিকাফ
youtube
youtube
youtube
ইতেকাফ অবস্থায় কি কি করনীয় ও কি কি নিষেধ ! 
ইতিকাফের সঠিক নিয়ম 
youtube
ইতিকাফ কী ও কেন
What is Itikaaf and why?
0 notes
myreligionislam · 2 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইতিকাফ কী ও কেন
What is Itikaaf and why?
ইত্তিকাফ হল মুসলিমদের একটি ধর্মীয় চর্চা, যেখানে একজন মুসলিম তার নিজস্ব ইচ্ছানুযায়ী এক বা একাধিক দিন নিকটবর্তী মসজিদে দিনানিপাত করেন| রমজান মাসে এর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে, বিশেষত রমজানের শেষ দশ দিনের জন্য। অনেক মসজিদেই মুসলমানরা রমযান মাসের শেষ দশ দিনে ইতিকাফে থাকে।
ইতিকাফের আভিধানিক অর্থ হলো অবস্থান করা। পারিভাষিক অর্থ হলো, যে ব্যক্তি মসজিদে অবস্থান করে এবং ইবাদতে লিপ্ত হয় তাকে বলা হয় ‘আকিফ’ এবং ‘মুতাকিফ’। অর্থাৎ ইতিকাফকারী। (লিসানুল আরব, খণ্ড ৯, পৃষ্ঠা : ২৫৫)
শরিয়তের পরিভাষায় ইতিকাফ মানে আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে নিজেকে মসজিদে আবদ্ধ করা।
(উমদাতুল কারি, খণ্ড ১১, পৃষ্ঠা : ১৪০)
ইতিকাফ হলো এমন একটি ইবাদত, যা পূর্ববর্তী আম্বিয়ায়ে কিরাম (আ.)-এর সময় থেকে চলে আসছে। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনেও এর কথা উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় খলিল ইবরাহিম (আ.) এবং ইসমাইল (আ.)-কে নির্দেশ দিয়েছিলেন কাবা গৃহ নির্মাণের পর তাওয়াফ করতে এবং ইতিকাফকারী ও নামাজ আদায়কারীদের জন্য তা (আল্লাহর ঘর) পরিষ্কার রাখতে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং আমি ইবরাহিম ও ইসমাঈলকে হুকুম করি, তোমরা আমার ঘরকে সেই সকল লোকের জন্য পবিত্র করো, যারা (এখানে) তাওয়াফ করবে, ইতিকাফ করবে এবং রুকু ও সিজদা আদায় করবে।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১২৫) মূলত রমজান মাস হলো আল্লাহ তাআলার আনুগত্য ও ইবাদতের বসন্তকাল এবং ক্ষমা ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির মৌসুম। যদিও এই মাস গুনাহগার ও নাফরমানদের জন্য ক্ষমা ও মাগফিরাতের সুবর্ণ সুযোগের মাধ্যম, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি নেক ও পরহেজগার ব্যক্তিদের জন্য রহমত, বরকত এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের মূল মাধ্যম। তাই আল্লাহ তাআলা রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফের মতো মহান ইবাদতের বিধান রেখেছেন। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে একটি মহা উপহার।
যা পূর্ববর্তী নবী (আ.) থেকে সাহাবায়ে কিরামরা খুবই গুরুত্বের সঙ্গে আমল করে এসেছেন। শরিয়ত��� ইতিকাফ হলো সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। (আল ইখতিয়ার লি তালিলিল মুখতার, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা : ১৩৬)
রমজানের শেষ ১০ দিনে ইতিকাফ করা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর একটি স্বতন্ত্র সুন্নত এবং এর চেয়ে উত্তম আর কী হতে পারে যে রাসুলুল্লাহ (সা.) সর্বদা এর প্রতি যত্নবান ছিলেন। ইমাম জুহরি (রহ.) বলেন, অনেক আমল তো নবীজি (সা.) কখনো করেছেন আবার কখনো ছেড়েও দিয়েছেন। কিন্তু মদিনায় হিজরত করার পর থেকে ওফাত পর্যন্ত রমজান মাসের শেষ ১০ দিনের ইতিকাফের আমলটি তিনি কখনোই ছেড়ে দেননি।
অথচ বড়ই আশ্চর্য ও আফসোসের বিষয় হলো, এই মর্যাদাপূর্ণ আমলটির ব্যাপারে মানুষ তেমন গুরুত্ব দেয় না। (ফাতহুল বারি, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা : ২৮৫) হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের শেষ দশকে ইতেকাফ করতেন। (বুখারি, হাদিস : ২০২৫)
নবীপত্নীরাও নিজ নিজ ঘরে ইতিকাফ করতেন। উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের শেষ ১০ দিনে ইতিকাফ করতেন। তাঁর ওফাত পর্যন্ত এই নিয়মই ছিল। এরপর তাঁর সহধর্মিণীরাও (সে দিনগুলোতে) ইতিকাফ করতেন। (বুখারি, হাদিস : ২০২৬)
আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের মধ্যম দশকে ইতিকাফ করতেন। (বুখারি, হাদিস : ২০২৭)
ওফাতের বছর মহানবী (সা.) ২০ দিন ইতিকাফ করেছিলেন। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতি রমজানে ১০ দিন ইতিকাফ করতেন, কিন্তু তাঁর ইন্তেকালের বছর তিনি ২০ দিন ইতিকাফ করেছেন। (বুখারি, হাদিস : ২০৪৪)
এ ছাড়া ইতিকাফ হলো, আল্লাহ তাআলার ঘর মসজিদে অবস্থান করার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জন, দুনিয়াবিমুখতা এবং আল্লাহর রহমতে সিক্ত হওয়া ও ক্ষমা চাওয়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ মাধ্যম। আর ইতিকাফকারী ব্যক্তির উদাহরণ দিতে গিয়ে আতা (রহ.) বলেন যে কোনো ব্যক্তি এসে কারো দরজায় কড়া নাড়ল এই বলে যে যতক্ষণ পর্যন্ত তাকে কিছু না দেওয়া হবে, ততক্ষণ সে এখান থেকে এগোবে না। অনুরূপভাবে ইতিকাফকারী ব্যক্তিও আল্লাহ তাআলার দরজায় কড়া নাড়তে থাকে, যতক্ষণ পর্যন্ত না আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং ক্ষমা অর্জিত না হয়, ততক্ষণ সে আল্লাহর রহমত থেকে নৈরাশ হয়ে ফিরে আসে না। (মারাকিল ফালাহ, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা : ২৬৯)
ইতিকাফের মাহাত্ম্য ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শাহ ওয়ালি উল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভি (রহ.) বলেন, মসজিদে ইতিকাফ হচ্ছে হৃদয়ের প্রশান্তি, আত্মার পবিত্রতা ও চিত্তের নিষ্কলুষতা; চিন্তার পরিচ্ছন্নতা ও বিশুদ্ধতা। ফেরেশতাদের গুণাবলি অর্জন এবং লাইলাতুল কদরের সৌভাগ্য ও কল্যাণ লাভসহ সব ধরনের ইবাদতের সুযোগ লাভের সর্বোত্তম উপায়। এ জন্য রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ইতিকাফ পালন করেছেন এবং তাঁর পূতঃপবিত্র বিবিগণসহ সাহাবায়ে কিরামের অনেকেই এই সুন্নতের ওপর আমৃত্যু আমল করেছেন। (হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগা, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা : ৪২)
সওয়াবের দিক থেকে ইতিকাফের জন্য সর্বোত্তম স্থান হলো মসজিদুল হারাম। এরপর মসজিদে নববী। তারপর মসজিদুল আকসা। এরপর যেকোনো জামে মসজিদ। তারপর যেকোনো পাঞ্জেগানা মসজিদ।
তবে নারীদের জন্য ইতিকাফের স্থান হলো ঘরের নির্দিষ্ট কোনো পবিত্র স্থান। এ ক্ষেত্রে স্বামীর অনুমতি প্রযোজ্য। নারীদের মসজিদে ইতিকাফ করা মাকরুহে তাহরিমি। কারণ বর্তমান যুগ ফিতনা-ফ্যাসাদের যুগ। মসজিদে পুরুষদের সঙ্গে মেলামেশার প্রবল আশঙ্কা এবং অনৈতিকতা, অশ্লীলতারও আশঙ্কা আছে। তাই বর্তমান যুগে নারীদের মসজিদে ইতিকাফ করা মাকরুহে তাহরিমি। (আল মাবসুত লিল সারাখসি, খণ্ড ৩, পৃষ্ঠা ১১৫)
ইতিকাফ
youtube
youtube
youtube
ইতেকাফ অবস্থায় কি কি করনীয় ও কি কি নিষেধ ! 
ইতিকাফের সঠিক নিয়ম 
youtube
ইতিকাফ কী ও কেন
What is Itikaaf and why?
0 notes
allahisourrabb · 2 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইতিকাফ কী ও কেন
What is Itikaaf and why?
ইত্তিকাফ হল মুসলিমদের একটি ধর্মীয় চর্চা, যেখানে একজন মুসলিম তার নিজস্ব ইচ্ছানুযায়ী এক বা একাধিক দিন নিকটবর্তী মসজিদে দিনানিপাত করেন| রমজান মাসে এর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে, বিশেষত রমজানের শেষ দশ দিনের জন্য। অনেক মসজিদেই মুসলমানরা রমযান মাসের শেষ দশ দিনে ইতিকাফে থাকে।
ইতিকাফের আভিধানিক অর্থ হলো অবস্থান করা। পারিভাষিক অর্থ হলো, যে ব্যক্তি মসজিদে অবস্থান করে এবং ইবাদতে লিপ্ত হয় তাকে বলা হয় ‘আকিফ’ এবং ‘মুতাকিফ’। অর্থাৎ ইতিকাফকারী। (লিসানুল আরব, খণ্ড ৯, পৃষ্ঠা : ২৫৫)
শরিয়তের পরিভাষায় ইতিকাফ মানে আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে নিজেকে মসজিদে আবদ্ধ করা।
(উমদাতুল কারি, খণ্ড ১১, পৃষ্ঠা : ১৪০)
ইতিকাফ হলো এমন একটি ইবাদত, যা পূর্ববর্তী আম্বিয়ায়ে কিরাম (আ.)-এর সময় থেকে চলে আসছে। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনেও এর কথা উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় খলিল ইবরাহিম (আ.) এবং ইসমাইল (আ.)-কে নির্দেশ দিয়েছিলেন কাবা গৃহ নির্মাণের পর তাওয়াফ করতে এবং ইতিকাফকারী ও নামাজ আদায়কারীদের জন্য তা (আল্লাহর ঘর) পরিষ্কার রাখতে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং আমি ইবরাহিম ও ইসমাঈলকে হুকুম করি, তোমরা আমার ঘরকে সেই সকল লোকের জন্য পবিত্র করো, যারা (এখানে) তাওয়াফ করবে, ইতিকাফ করবে এবং রুকু ও সিজদা আদায় করবে।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১২৫) মূলত রমজান মাস হলো আল্লাহ তাআলার আনুগত্য ও ইবাদতের বসন্তকাল এবং ক্ষমা ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির মৌসুম। যদিও এই মাস গুনাহগার ও নাফরমানদের জন্য ক্ষমা ও মাগফিরাতের সুবর্ণ সুযোগের মাধ্যম, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি নেক ও পরহেজগার ব্যক্তিদের জন্য রহমত, বরকত এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের মূল মাধ্যম। তাই আল্লাহ তাআলা রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফের মতো মহান ইবাদতের বিধান রেখেছেন। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে একটি মহা উপহার।
যা পূর্ববর্তী নবী (আ.) থেকে সাহাবায়ে কিরামরা খুবই গুরুত্বের সঙ্গে আমল করে এসেছেন। শরিয়তে ইতিকাফ হলো সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। (আল ইখতিয়ার লি তালিলিল মুখতার, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা : ১৩৬)
রমজানের শেষ ১০ দিনে ইতিকাফ করা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর একটি স্বতন্ত্র সুন্নত এবং এর চেয়ে উত্তম আর কী হতে পারে যে রাসুলুল্লাহ (সা.) সর্বদা এর প্রতি যত্নবান ছিলেন। ইমাম জুহরি (রহ.) বলেন, অনেক আমল তো নবীজি (সা.) কখনো করেছেন আবার কখনো ছেড়েও দিয়েছেন। কিন্তু মদিনায় হিজরত করার পর থেকে ওফাত পর্যন্ত রমজান মাসের শেষ ১০ দিনের ইতিকাফের আমলটি তিনি কখনোই ছেড়ে দেননি।
অথচ বড়ই আশ্চর্য ও আফসোসের বিষয় হলো, এই মর্যাদাপূর্ণ আমলট��র ব্যাপারে মানুষ তেমন গুরুত্ব দেয় না। (ফাতহুল বারি, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা : ২৮৫) হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের শেষ দশকে ইতেকাফ করতেন। (বুখারি, হাদিস : ২০২৫)
নবীপত্নীরাও নিজ নিজ ঘরে ইতিকাফ করতেন। উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের শেষ ১০ দিনে ইতিকাফ করতেন। তাঁর ওফাত পর্যন্ত এই নিয়মই ছিল। এরপর তাঁর সহধর্মিণীরাও (সে দিনগুলোতে) ইতিকাফ করতেন। (বুখারি, হাদিস : ২০২৬)
আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের মধ্যম দশকে ইতিকাফ করতেন। (বুখারি, হাদিস : ২০২৭)
ওফাতের বছর মহানবী (সা.) ২০ দিন ইতিকাফ করেছিলেন। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতি রমজানে ১০ দিন ইতিকাফ করতেন, কিন্তু তাঁর ইন্তেকালের বছর তিনি ২০ দিন ইতিকাফ করেছেন। (বুখারি, হাদিস : ২০৪৪)
এ ছাড়া ইতিকাফ হলো, আল্লাহ তাআলার ঘর মসজিদে অবস্থান করার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জন, দুনিয়াবিমুখতা এবং আল্লাহর রহমতে সিক্ত হওয়া ও ক্ষমা চাওয়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ মাধ্যম। আর ইতিকাফকারী ব্যক্তির উদাহরণ দিতে গিয়ে আতা (রহ.) বলেন যে কোনো ব্যক্তি এসে কারো দরজায় কড়া নাড়ল এই বলে যে যতক্ষণ পর্যন্ত তাকে কিছু না দেওয়া হবে, ততক্ষণ সে এখান থেকে এগোবে না। অনুরূপভাবে ইতিকাফকারী ব্যক্তিও আল্লাহ তাআলার দরজায় কড়া নাড়তে থাকে, যতক্ষণ পর্যন্ত না আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং ক্ষমা অর্জিত না হয়, ততক্ষণ সে আল্লাহর রহমত থেকে নৈরাশ হয়ে ফিরে আসে না। (মারাকিল ফালাহ, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা : ২৬৯)
ইতিকাফের মাহাত্ম্য ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শাহ ওয়ালি উল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভি (রহ.) বলেন, মসজিদে ইতিকাফ হচ্ছে হৃদয়ের প্রশান্তি, আত্মার পবিত্রতা ও চিত্তের নিষ্কলুষতা; চিন্তার পরিচ্ছন্নতা ও বিশুদ্ধতা। ফেরেশতাদের গুণাবলি অর্জন এবং লাইলাতুল কদরের সৌভাগ্য ও কল্যাণ লাভসহ সব ধরনের ইবাদতের সুযোগ লাভের সর্বোত্তম উপায়। এ জন্য রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ইতিকাফ পালন করেছেন এবং তাঁর পূতঃপবিত্র বিবিগণসহ সাহাবায়ে কিরামের অনেকেই এই সুন্নতের ওপর আমৃত্যু আমল করেছেন। (হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগা, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা : ৪২)
সওয়াবের দিক থেকে ইতিকাফের জন্য সর্বোত্তম স্থান হলো মসজিদুল হারাম। এরপর মসজিদে নববী। তারপর মসজিদুল আকসা। এরপর যেকোনো জামে মসজিদ। তারপর যেকোনো পাঞ্জেগানা মসজিদ।
তবে নারীদের জন্য ইতিকাফের স্থান হলো ঘরের নির্দিষ্ট কোনো পবিত্র স্থান। এ ক্ষেত্রে স্বামীর অনুমতি প্রযোজ্য। নারীদের মসজিদে ইতিকাফ করা মাকরুহে তাহরিমি। কারণ বর্তমান যুগ ফিতনা-ফ্যাসাদের যুগ। মসজিদে পুরুষদের সঙ্গে মেলামেশার প্রবল আশঙ্কা এবং অনৈতিকতা, অশ্লীলতারও আশঙ্কা আছে। তাই বর্তমান যুগে নারীদের মসজিদে ইতিকাফ করা মাকরুহে তাহরিমি। (আল মাবসুত লিল সারাখসি, খণ্ড ৩, পৃষ্ঠা ১১৫)
ইতিকাফ
youtube
youtube
youtube
ইতেকাফ অবস্থায় কি কি করনীয় ও কি কি নিষেধ ! 
ইতিকাফের সঠিক নিয়ম 
youtube
ইতিকাফ কী ও কেন
What is Itikaaf and why?
0 notes
mylordisallah · 2 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
রমজানের প্রভাব মুমিনের জীবনজুড়ে থাকে
The effect of Ramadan lasts throughout the life of a believer
রমজানের প্রভাব মুমিনের জীবনজুড়ে থাকে
‘শবে কদর’ রমজানের অনন্য উপহার। এ মাসে রয়েছে শবে কদর বা এমন একটি রাত, যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। যা লাইলাতুল কদর বা শবে কদর নামে পরিচিত। হাজার মাস মানে সোয়া তিরাশি বছর। অর্থাৎ একটি মানবজীবনের ব্যাপ্তিকালের সমান। সুতরাং রমজানের সুফল জীবনব্যাপী।
‘ইমান’ হলো ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের প্রথম স্তম্ভ। ইমান বা বিশ্বাস ইসলামের প্রাণশক্তি। ইমান মানবজীবনে মূল চালিকা শক্তি। রমজানের সঙ্গে ইমানের সুদৃঢ় যোগসূত্র বিদ্যমান।
ইমানের ভিত্তি হলো ওহি। ওহি তথা আসমানি কিতাবগুলো অবতীর্ণ হয়েছে রমজান মাসে। কোরআন মাজিদও রমজান মাসে শবে কদরে অবতীর্ণ হয়েছে।
ইমান যেমন মানুষকে কুফর ও শিরক থেকে মুক্ত করে, তেমনি রমজান মানুষকে পাপ-পঙ্কিলতা থেকে পবিত্র করে।
‘সলাত’ বা নামাজ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের দ্বিতীয় স্তম্ভ—ইমানের পরেই হলো নামাজ। রমজান মাস হলো নামাজের মাস। যেমন তারাবিহ বা প্রশান্তির বিশ্রামের নামাজ ও কিয়ামুল্লাইল বা রাত জাগরণের নামাজের পাশাপাশি রমজানে সাহ্‌রির বদৌলতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া সহজ হয়; এশার নামাজ ও ফজরের নামাজ জামাতে পড়ার সুযোগ বৃদ্ধি হয়, যাতে সম্পূর্ণ রাত্রি জাগরণের সওয়াব পাওয়া যায়।
এই মাসে নফল নামাজ পড়ার সুযোগও বেশি পাওয়া যায়।
‘জাকাত’ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের তৃতীয় স্তম্ভ। সাহাবায়ে কিরাম রমজানেই জাকাত প্রদান করতেন। চান্দ্রবর্ষের হিসাব ও তারিখ অনুযায়ী সঠিকভাবে জাকাত দেওয়া রমজান মাসে সহজ হয়। এতে গরিবদেরও সুবিধা হয়।
‘হজ’ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের চতুর্থ স্তম্ভ। রমজানে ওমরাহ পালন করলে নবীজি (সা.)–এর সঙ্গে হজ করার সওয়াব পাওয়া যায়।
‘সওম’ বা রোজা হলো ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের পঞ্চম স্তম্ভ। সিয়াম বা রোজা হলো রমজানের সেরা অনুষঙ্গ। আগুন যেমন সোনাকে জ্বালিয়ে খাদমুক্ত করে দেয়, রোজা তেমন ইমানদারের ষড়্‌রিপুর কামনা–বাসনাকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে রোজাদারকে খাঁটি বান্দায় পরিণত করে। তাই মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিন রোজার জন্য রমজান মাসকেই নির্ধারণ করেছেন।
‘শবে কদর’ রমজানের অনন্য উপহার। এ মাসে রয়েছে শবে কদর বা এমন একটি রাত, যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। যা লাইলাতুল কদর বা শবে কদর নামে পরিচিত। হাজার মাস মানে সোয়া তিরাশি বছর। অর্থাৎ একটি মানবজীবনের ব্যাপ্তিকালের সমান। সুতরাং রমজানের সুফল জীবনব্যাপী।
রোজার ফিদইয়া’ রমজানের একটি শ্রেষ্ঠ মাহাত্ম্য। রোজা একটি শারীরিক ও মানসিক ইবাদত। কিন্তু অক্ষম ও দুর্বল ব্যক্তির জন্য এর কাজার পাশাপাশি অপারগতায় ফিদইয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে; যা আর্থিক ইবাদত। এতে রোজার পরিধির ব্যাপকতা বোঝা যায়।
রোজা শারীরিক ইবাদত হওয়া সত্ত্বেও দুর্বল ব্যক্তি যদি রোজা ভঙ্গ করেন; তার জন্য আল্লাহ তাআলা কাফফারা বিধান দিয়েছেন। যার মাধ্যমগুলো হলো দাসমুক্ত করা বা ৬০ জন গরিবকে দুই বেলা তৃপ্তিসহকারে খাওয়ানো অথবা একাধারে ৬০টি রোজা রাখা। যিনি ৩০ দিবসের মধ্যেই রোজা ভাঙেন, তিনি ৬০ দিবস কীভাবে তা পালন করবেন? মানে আবারও ভাঙলে আবারও ভাঙার জন্য দাস মুক্তি বা ৬০ জন মিসকিন খাওয়ানো। মানে হলো দানখয়রাত–সদাকাত তথা গরিবের সেবা ও সমাজের কল্যাণই রমজানের মুখ্য উদ্দেশ্য।
‘সদকাতুল ফিতর’ রোজার সেরা সৌন্দর্য। রোজা শেষে ঈদুল ফিতরের দিন সকালবেলা ঈদের নামাজে যাওয়ার আগে সদকাতুল ফিতর আদায় করতে হয়। দাতা ও গ্রহীতার সুবিধার্থে রমজানেও প্রদান করা যায়। এই ঈদের সঙ্গে ফিতরার সম্পৃক্ততার কারণে এর নাম ঈদুল ফিতর। সদকাতুল ফিতর বা ‘ফিতরা’ হলো ঈদের আনন্দকে সর্বজনীন করার উপায়। ধনী–গরিব সবাই যেন ঈদের আনন্দে শামিল হতে পারেন, তাই এ ব্যবস্থা। মানুষ সামাজিক জীব, মানুষ অন্যের আনন্দ ও বেদনায় প্রভাবিত হয়। তাই এ আনন্দের দিনে পাড়া–প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজন যদি আনন্দে শামিল হতে না পারে, তবে আনন্দ পূর্ণতা পাবে না। তাই নিজের আনন্দ সবার মধ্যে বিলিয়ে দিতে ও ছড়িয়ে দিতে এ ব্যবস্থা। ফিতরা বা সদকাতুল ফিতর হলো রমজানে রোজা পালনের শুকরিয়া স্বরূপ। এটি রোজার অপূর্ণতাকে পূর্ণতা দেয়।
‘ইতিকাফ’ রমজানের বিশেষ তুহফা। আল্লাহর সান্নিধ্য মানবজীবনে আরাধ্য। এর অন্যতম মাধ্যম হলো ইতিকাফ।
‘শবে কদর’ রমজানের অনন্য উপহার। এ মাসে রয়েছে শবে কদর বা এমন একটি রাত, যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। যা লাইলাতুল কদর বা শবে কদর নামে পরিচিত। হাজার মাস মানে সোয়া তিরাশি বছর। অর্থাৎ একটি মানবজীবনের ব্যাপ্তিকালের সমান। সুতরাং রমজানের সুফল জীবনব্যাপী।
মুসলমানের জীবনে রমজানের প্রভাব 
youtube
রমজান: রোজা যখন রাখেন, তখন আপনার শরীরে কী ঘটে?
youtube
কিশোর ও যুবকদের নৈতিক জীবন গঠনে রমজানের ভূমিকা
youtube
রমজানের প্রভাব মুমিনের জীবনজুড়ে থাকে
The effect of Ramadan lasts throughout the life of a believer
0 notes
imranjalna · 3 months
Text
एतिकाफ का फायदा :एतिकाफ क्या है ? एतिकाफ के मसाइल. Benefits of Itikaaf: What is Itikaaf?
एतिकाफ के मसाइल अल्लाह तआला ने मुसलमानों को बहुत से इबादत के तरीके बताये है जिसमे कुछ फ़र्ज़ है तो कुछ वाजिब और उनमें कुछ तरीके बेहद खास और कुछ उम्दा शान रखते है जिसमे से एक है एतिकाफ : एतिकाफ रमज़ान की तमाम इबादतों में एक बेहद ख़ास इबादत है | एतिकाफ करने वाले को बहुत से सवाब देने का वादा किया गया है और एतिकाफ सबसे ज्यादा ख़ास इसलिये भी है की ये एक ऐसी सुन्नत है जिसे हमारे आक़ा हज़रत मोहम्मद…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
diseasecure · 1 year
Text
Holy shob-a-Qadr.(2)
On the authority of hazrat Zir Ibn Hubaish (RA), I said to Ubayy Ibn Ka'b (RA), your brother 'Abdullah Ibn Mas'ud (RA) said, "He who spends the whole year in worship during the night will attain the holy Night of Qadr." . Ubai (RA) said, May almighty Allah forgive Abu Abdur Rahman. Surely he knows that the night of Qadr is in the last ten days of Ramadan and it is in the seventh night of Ramadan. Yet his reason for saying this is that people should not sit in dependence on (the twenty-seventh date). Then without making any exception, hazrat Ubai (RA) swore and said, "The night of the twenty-seventh is the night of the holy Qadr." The narrator said, I said, O Abul Munzeer, what are you talking about? He said, In view of the signs which the Prophet (PBUH) informed us. That is, the sun rises that morning in such a way that there are no bright rays in it. (Tirmidhi Sharif Hadith No. 3351)
The prestige of Lailatul Qadr is so high that Rasulullah Sallallahu Alaihi Wasallam performed I'tikaf for a lifetime in the last decade to get this night.
The Prophet (PBUH) said for the Ummah Muhammadi, "I performed I'tikaf for the first 10 days (of Ramadan) in search of the Night of Qadr." After that, I did I'tikaf for the intervening 10 days. Then revelation was revealed to me that it is in the last 10 days. So whoever you like I'tikaaf, let him do I'tikaf. Then the people (Sahabaye Keram) join him in Itikaaf.' (Muslim Sharif)
Gradually...
0 notes