Tumgik
#ঝুমার
bangladailynews · 10 months
Text
Ghoomer box office collection day 5: Abhishek Bachchan, Saiyami Kher's film collects around ₹30 lakh
ঘূমের বক্স অফিস কালেকশন: অভিষেক বচ্চন এবং আর বাল্কির সাইয়ামি খেরের ফিল্ম সমালোচকদের পাশাপাশি দর্শকদের এবং বেশ কিছু বিখ্যাত ক্রিকেটারদের কাছ থেকে প্রশংসনীয় রিভিউ পাচ্ছে কিন্তু এটি বক্স অফিসের সংখ্যায় অনুবাদ করে বলে মনে হয় না। ফিল্ম একটি আনুমানিক সংগ্রহ ₹মঙ্গলবার 30 লক্ষ, দ্বারা নির্দেশিত হিসাবে Sacnilk.com. এটি প্রায় তার মোট পাঁচ দিনের সংগ্রহ নেয় ₹4.09 কোটি। এছাড়াও পড়ুন: সাইয়ামি খের শচীন…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
nadiakterthings · 1 year
Link
0 notes
sristybarta · 3 years
Text
ফতুল্লায় গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে এবার প্রাণ গেল ঝুমার
ফতুল্লায় গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে এবার প্রাণ গেল ঝুমার
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ফ্ল্যাটে গ্যাসলাইন বিস্ফোরণের ঘটনায় এবার মারা গেলেন দগ্ধ ঝুমা রানী (১৯)। তার শরীরের ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। সোমবার সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থেকে তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে তিন নারীর মৃত্যু হলো। আইসিইউতে ঝুমার মা তুলসী রানী চিকিৎসাধীন। তার শরীরে ২৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তুলসী রানীর ছেলে রুবেল বলেন, গত শুক্রবার ভোরে ফতুল্লার…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
paathok · 3 years
Photo
Tumblr media
New Post has been published on https://paathok.news/138890
কর্নেল শহীদ ও তার স্ত্রীর ১০ বছরের কারাদণ্ড
.
বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় লে. কর্নেল (বরখাস্ত) শহীদ উদ্দিন খান ও তার স্ত্রী ফারজানা আঞ্জুম খানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ সৈয়দা হাফছা ঝুমার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। মামালয় অপর দুই আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন: সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার খোরশেদ আ��ম পাটোয়ারী ও সার্জেন্ট সৈয়দ আকিদুল আলী। আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
উল্লেখ্য, ২৬শে আগস্ট মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু ওই দিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় বিচারক রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে আজকের দিন (১ সেপ্টেম্বর) নির্ধারণ করেন।
২০১৯ সালের ১৫ জানুয়ারি রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় শহীদ উদ্দিন খানের বাসায় অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল, ছয়টি গুলি, দুটি শটগান ও তিন লাখ জাল টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ১৭ জানুয়ারি কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক বিপ্লব কিশোর শীল বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করেন।
0 notes
boishakhi · 3 years
Text
স্ত্রীসহ কর্নেল শহীদের ১০ বছর কারাদণ্ড
স্ত্রীসহ কর্নেল শহীদের ১০ বছর কারাদণ্ড
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় পলাতক অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল শহীদ উদ্দিন খান ও তার স্ত্রী ফারজানা আঞ্জুম খানের ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ সৈয়দা হাফছা ঝুমার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায়…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
banglarchokhbdnews · 3 years
Text
কর্নেল শহীদ ও তার স্ত্রীর ১০ বছর করে কারাদণ্ড
কর্নেল শহীদ ও তার স্ত্রীর ১০ বছর করে কারাদণ্ড
বাংলার চোখ নিউজ : বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় লে. কর্নেল (বরখাস্ত) শহীদ উদ্দিন খান ও তার স্ত্রী ফারজানা আঞ্জুম খানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ সৈয়দা হাফছা ঝুমার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। মামালয় অপর দুই আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন, সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার খোরশেদ আলম পাটোয়ারী ও সার্জেন্ট সৈয়দ আকিদুল আলী। আদালতের…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
Photo
Tumblr media
এক গৃহবধুর মৃত্যুতে স্বামী এবং এক মামা শ্বশুর আটক নিজস্ব সংবাদদাতা দুর্গাপুরবার্তা ১৮ অক্টোবর ১৯ মাস পাঁচ আগে ভালোবাসা করে বিয়ে করেছিল লাওদোহার কুচডিহি গ্রামের ঝুমা বাগদি একই থানার নবঘনপুর গ্রামের সুরজীৎ হাজরাকে বিয়ে করে । অভিযোগ সুরজিৎ এবং তার পরিবার টাকার জন্য ঝুমার উপর নানা অত্যাচার করতো । এভাবে প্রায়ই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ঝুমা বাবার বাড়িতে চলে আসতো বলে অভিযোগ । তবে দুর্গাপুজোর সময় মেয়ে – জামাই একসাথে আসে ঝুমার বাবার বাড়ি । আজ সকালে ঝুমার বাড়িতে খবর আসে তাদের মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে । ঝুমার মা শীলা বাগদি অভিযোগ করেন তার মেয়েকে জামাই এবং তার পরিবারের লোকেরা । পুলিশ ঝুমার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে দুইজনকে আটক করেছে ।
0 notes
shachisharma90 · 5 years
Text
বেহালার সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরের পুরোহিতের রহস্যমৃত্যু - S Newz
প্রেমিকার বাড়ি থেকে বেহালার সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দিরের প্রধান পুরোহিতের দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃত পুরোহিত সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য-র স্ত্রী গৌতমী দাবি করেছেন, তার স্বামীকে খুন করা হয়েছে। যদিও প্রেমিকা ঝুমার দাবি, তার ছোট ছেলে সিদ…
from Snewzin's Favorite Links from Diigo https://snewz.in/mysterious-death-of-priest-behala-siddeshwari-temple/6531/
0 notes
banglarawaj · 5 years
Link
আঃ রহিম, পূর্বধলা (নেত্রকোনা): নেত্রকোনার পূর্বধলায় মরহুম হেলাল উদ্দিন স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে জারিয়া ঝানজাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে শুরু হয় হেলাল উদ্দিন স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০১৯।
এলাকার স্থানীয় ৪টি দল নিয়ে এ টুর্নামেন্ট শুরু হয়। দলগুলো হলো- আরামবাগ স্পোটিং ক্লাব, সাইফ স্পোটিং ক্লাব, বসুন্ধরা স্পোটিং ক্লাব ও ছায়াপথ স্পোটিং ক্লাব।
উদ্ধোধনী খেলায় অংশগ্রহন করে আরামবাগ স্পোর্টিং ক্লাব বনাম স্পোর্টিং ক্লাব। খেলা পরিচালনা করেন মোহাম্মদ রুহুল আমিন ও ইয়াহিয়া। খেলার ড্র হয়েছে।
মরহুম হেলাল উদ্দিন
উল্লেখ্য, ৩ মার্চ ২০০৬ সালে মাত্র ২৬ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত মৃত্যুবরণ। জারিয়ার সাবেক ফুটবলার মরহুম হেলাল উদ্দিন স্বরণে প্রতি বছর এলাকাবাসী উনার নামে ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করেন।
পূর্বধলায় মরহুম হেলাল উদ্দিন স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু
পাবনার সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানই সমানভাবে উন্নয়ন করা হবে ; প্রিন্স
ভাঙ্গুড়ায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
অন্তঃসত্ত্বা গার্মেন্টস কর্মী ঝুমার চিকিৎসায় পাশে দাঁড়াল ইকবাল
প্রতিটি মন্দির দৃষ্টিনন্দন করে তৈরি করা হবে হরিপুরে ; সুজন
The post পূর্বধলায় মরহুম হেলাল উদ্দিন স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু appeared first on Banglar Awaj.
0 notes
gnews71 · 5 years
Photo
Tumblr media
জীবনসঙ্গীর স্বপ্ন পূরণে সোহেল খেলতে চান জাতীয় দলে ফুটবলার সোহেল রানা সড়ক দুর্ঘটনায় হারিয়েছেন স্ত্রী ও একমাত্র ছেলেকে। ভয়াবহ এই ঘটনা থেকে সোহেলকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করেছে স্ত্রীর প্রতি তাঁর ভালোবাসা। জীবনসঙ্গীর স্বপ্ন পূরণে সোহেল খেলতে চান জাতীয় দলে ‘বাবা ভু. . বাবা ভুহহহ...’ বাবার কোলে চড়ে এভাবেই কল্পিত গাড়ি চালায় দুই বছরের আবদুল্লাহ আফরান। আর মোটরসাইকেল দেখলে চড়ে বসার বায়না তো আছেই। একমাত্র ছেলের মনের কথা খুব সহজেই বুঝতে পারেন সোহেল রানা। ছেলের ‘ভু. . ভু...’ ডাকের মায়ায় ভুলে একদিন কিনেই ফেললেন মোটরসাইকেল। উঠোনে নতুন ‘ভু. . ’ দেখে খুশিতে আত্মহারা আফরানের হাসিমুখ দেখে ভীষণ তৃপ্তি পেয়েছিলেন ফুটবলার সোহেল। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস, এক বছরের ব্যবধানে সেই মোটরসাইকেলই হলো আফরানের যমদূত! আফরানের সঙ্গে পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন তার মা তাসলিমা আফরিন ঝুমাও। আর সোহেল এ দুজনকে হারিয়ে নিঃস্ব, নিজমুখেই শোনালেন সেই বিষাদের গল্প। গত ২৪ নভেম্বর সোহেলের জীবনের কালো দিন। ফেডারেশন কাপের ছুটি শেষ করে স্ত্রী ও তিন বছরের ছেলেকে নিয়ে মোটরসাইকেল চেপে মানিকগঞ্জ থেকে ঢাকার বসুন্ধরার বাসায় ফিরছিলেন শেখ রাসেলের এই মিডফিল্ডার। পথিমধ্যে সাভার নবীনগরের নয়ারহাটে রাস্তায় ঘটল ভয়ানক দুর্ঘটনা। ট্রাককে জায়গা দিতে গিয়ে ব্রেক কষেছিলেন, তাতে কাত হয়ে মোটরসাইকেল থেকে পরে যান ছেলে। ছেলেকে ধরতে গিয়ে বুঝি পড়ে যান মা ঝুমাও! চিৎকার কানে আসতেই সোহেল পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখতে পান, ট্রাকের চাকার তলে প্রিয়তম স্ত্রী ও বুকের ধন ছেলেটা। সোহেলের শুধু মনে পড়ে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যাওয়ার সময় ‘আফরানের বাবা’ বলে জীবনসঙ্গীর সেই চিৎকার, ‘আমি খুব ধীরে ধীরেই বাইক চালাচ্ছিলাম। ছেলেকে বাইকে উঠে ঘুমালে আমার সঙ্গে হেলান দিয়ে থাকে। কিন্তু সেদিন দেয়নি। হঠাৎ “আফরানের বাবা” বলে চিৎকার কানে আসল। পেছনে তাকাতেই দেখি ওরা ট্রাকের চাকার নিচে। চোখের পলকে সব শেষ হয়ে গেল। আমার জীবনে প্রথম অ্যাকসিডেন্টে দুজন মানুষ চলে যাবে ভাবা যায় না।’ পারিবারিক আয়োজনে সোহেল ও ঝুমার প্রেমের বিয়ে ২০১৪ সালের পয়লা মে। পরের বছর ১৫ই ডিসেম্বর তাঁদের কোলজুড়ে আসে আফরান। খেলার সুবাদে সোহেলকে ক্লাবেই থাকতে হতো বেশি। আর তাই মানিকগঞ্জ থেকে পরিবারকে নিয়ে এসেছিলেন ঢাকায়। একসঙ্গে তাঁদের নতুন সংসার টিকেছে প্রায় দুই মাসের মতো। কিন্তু সুখ সইল না, ‘আমাদের উচ্চ বিলাসী কোনো স্বপ্ন ছিল না। একটু সুখে থাকতে চেয়েছিলাম, পেয়েছিলামও। কিন্তু সইল না। নিজের হাতে বাসাটা গোছানোর পরই ও চলে গেল।’ এই কথাগুলো বলার সময় সোহেল নিজেকে আর সংবরণ করতে পারেননি। শেখ রাসেল ক্লাবে পাঁচতলা ভবনে কামরার দেয়াল আটকে দিয়েছে তাঁর অঝোর কান্নার শব্দ। বিয়ের বয়স পাঁচ বছরও হয়নি। সামনে ছিল অনাবিল সম্ভাবনা। কিন্তু এখন মাঝরাতে কখনো কখনো ‘আফরানের মা’ বলে চিৎকার দিয়ে ঘুম ভাঙে সোহেলের, ‘প্রায় সাড়ে চার বছর আমাদের বিয়ের বয়স। ওর কোনো চাওয়া ছিল না। আমার ভালোই ছিল ওর সুখ। আমাকে শুধু খেলায় মনোযোগ দিতে বলত। আর বলত, আফরানের বাবা তুমি জাতীয় দলে খেলবা না!’ বেঁচে থাকলে আফরান এত দিনে তিন বছর পেরিয়ে যেত। নতুন বছরে ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করানোর ইচ্ছে ছিল সোহেলের। এসব ইচ্ছের অপমৃত্যু ঘটায় সোহেলের এখন মনে হয় ‘বুকের ওপর দিয়ে রেলগাড়ি যায়। পৃথিবীটা যে এত কষ্টের, বুঝিনি। এইভাবে বেঁচে থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো।’ কিন্তু এরপরও মানুষ বেঁচে থাকে। সোহেলও আছে, গড়তে হবে প্রিয়তমা স্ত্রীর স্বপ্ন। ঝুমা যে তাঁকে বলতেন, আফরানের বাবা, তুমি জাতীয় দলে খেলবা না! দুই চোখের মণিকে হারিয়ে গায়ে শোকের চাদর থাকলেও সোহেল এখন স্ত্রীর স্বপ্নপূরণে মরিয়া। জীবনসঙ্গীর প্রতি এই ভালোবাসাটুকই তাঁকে নতুন করে সবকিছু শুরু করতে সাহায্য করেছে। চার বছর আগে অনূর্ধ্ব-২২ দলের প্রতিনিধিত্ব করা সোহেল এই ধ্বংসস্তূপ থেকেই গড়তে চান স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসার সৌধ—সেটি অবশ্যই জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার মাধ্যমে। মোটরসাইকেল চালকদের প্রতি সোহেলের বার্তা: আপনারা যারা মোটরসাইকেল চালান, সবাইকে অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে। পারতপক্ষে মোটরসাইকেল ব্যবহার না করলেই ভালো। আর যাদের মোটরসাইকেল চালানো ছাড়া উপায় নেই, তাঁরা অবশ্যই হাইওয়ে বাদ দিয়ে চালাবেন। আমরা ভাগ্যকে দোষারোপ করি ঠিক আছে। তবে মোটরসাইকেলও দুর্ভাগ্য ডেকে আনে। আগে আমি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ভয়াবহতার কথা শুনেছি, দেখেছি। এবার নিজেই শিকার হলাম। আমি চাই না আমার মতো কেউ নিঃস্ব হয়ে যাক কিংবা আপনাকে (মোটরসাইকেল চালক বা আরোহী) হারিয়ে কেউ নিঃস্ব হয়ে পড়ুক।
0 notes
grambanglanews · 6 years
Text
শ্রীপুরে যৌতুকেই কাল হলো গৃহকর্মী ঝুমার
শ্রীপুরে যৌতুকেই কাল হলো গৃহকর্মী ঝুমার
রাতুল মন্ডল শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ মাত্র আট মাস পূর্বে ১ লাখ টাকা যৌতুক ধার্য করে বিয়ে হয়েছিল ঝুমা আক্তারের। কথা মতো বিয়ের পর যৌতুকের ৫০হাজার টাকা পরিশোধও করেছিল ঝুমার বাবা। কিন্তু পরবর্তী ধাপে যৌতুকের ৫০হাজার টাকা যোগাড় করতে দেরি হচ্ছিল ঝুমার পরিবারের। এ দেরি সইছিল না তার শ্বশুড়বাড়ীর লোভী লোকজনদের। এতে ঝুমাকে সইতে হয়েছে অকথ্য গালিগালাজ, পারিবারিক ও মানষিক নির্যাতন। আর তা সইতে না পেরে গলায়…
View On WordPress
0 notes
thebangladeshtoday · 6 years
Text
এবার লেগুনা থেকে পড়ে প্রাণ গেল ইডেন কলেজ ছাত্রীর
এবার লেগুনা থেকে পড়ে প্রাণ গেল ইডেন কলেজ ছাত্রীর
রাজধানীর শনিরআখড়ায় লেগুনা থেকে পড়ে নুসরাত জাহান ঝুমা (১৯) নামে এক ইডেন কলেজছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে দনিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুত্বর অাহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দেড়টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ঝুমার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদ নগরে। বাবার নাম মৃত আবুল হোসেন। দনিয়ার নূরপুর এলাকায় থাকতেন তিনি।
নিহতের…
View On WordPress
0 notes
ajkersamachar-blog · 6 years
Photo
Tumblr media
রাজধানীতে লেগুনা থেকে পড়ে ইডেন ছাত্রী নিহত রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার শনির আখড়ায় লেগুনা থেকে পড়ে নুসরাত জাহান ঝুমা (১৯) নামে ইডেন কলেজের এক ছাত্রী নিহত হয়েছেন। সোমবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসলে বেলা দেড়টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঝুমাকে মৃত ঘোষণা করেন।’ ঝুমা কুমিল্লার মুরাদ নগর উপজেলার মৃত আবুল হোসেনের মেয়ে। যাত্রাবাড়ী দনিয়ার নূরপুর এলাকায় থাকতেন বলে জানা গেছে। নিহতের বড় বোন জেবুন্নেসা জানান, ঝুমা ইডেন কলেজে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে পড়তেন। সোমবার দুপুরে ক্লাস শেষে লেগুনায় করে বাসায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে দনিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় লেগুনা থেকে ছিটকে নিচে পড়ে গেলে মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পান। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে নিয়ে আসা হয় ঢামেক হাসপাতালে। কিন্তু হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ ক্যাম্পের ইনর্চাজ এসআই বাচ্চু মিয়া জানান, ঝুমার মরদেহ এ মুহূর্তে হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
0 notes
paathok · 4 years
Photo
Tumblr media
New Post has been published on https://paathok.news/100342
হাটহাজারীতে শিশু ঝুমা হত্যা: মামলা তুলে নিতে বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি
.
চট্টগ্রামের হাটাজারি জঙ্গল দক্ষিণ পাহাড়তলী হামজা কলোনি এলাকায় দরিদ্র স্কুল শিক্ষার্থী ঝুমা আক্তারকে (১২) খুনের দায়ে অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
গত ৮ জানুয়ারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২-এর বিচারক তিন আসামী আল আমিন, ফরিদা ইয়াসমিন ও মো. এনাম এর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলেও উল্টো নিহত শিশুর মা সহ পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকী দিচ্ছে আসামী ও তাদের লোকজন।
মামলার বাদী ও নিহত শিশুর মা বিলকিস বেগম সাংবাদিকদের জানান, ২০১৭ সালের ২৬ এপ্রিল যথারীতি আমি এবং আমার স্বামী পেশাগত কাজে বেরিয়ে পড়ি। আমার তিন মেয়ের মধ্যে ঝুমা ও সুমা স্কুলে পরিক্ষা দিতে যায় এবং আরেক মেয়ে পুর্নিমা ছোট ছেলে আবদুল্লাহকে নিয়ে বাড়িতে খেলতে থাকে। কিন্তু ঐ দিন ঝুমার পরিক্ষা না হওয়াতে ঝুমা বাসায় চলে আসে এবং ছোট ভাই-বোনদের সাথে খেলতে থাকে। দুপুর প্রায় ০২ টার দিকে আমার বড় মেয়ে স্কুল থেকে বাসায় আসে। সুমা,পুর্নিমা ও ছোট ছেলে আব্দুল্লাহকে নিয়ে এলাকার মাইক কোম্পানির কুয়ায় গোসল করতে যায়। গোসল শেষে এলাকাবাসীর চিৎকার শুনে বাসায় এসে ঝুমাকে ঘরের চালের সাথে ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পায়। এসময় আসামীরা ঘরেই ছিল। আসামীরা এটিকে আত্নহত্যা বলে চালালেও, ঝুমার লাশের পা দুটি মাটিতে এমন ভাবে লাগানো ছিল যে, দেখেই মনে হচ্ছিল গলায় ওড়না পেঁচিয়ে দাড়িয়ে রয়েছে। সুমা ৩ নং আসামি এনামের মোবাইল ফোন হতে ঘটনা আমার স্বামীকে জানায় এবং আমরা ঘরে এসে দেখি ঝুমার লাশ মেঝেতে শোয়ানো, চোখ মুখ বন্ধ, গলায় কোন দাগও ছিলনা। তখন প্রায় সন্ধা ৬ টা। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। ঘটনার পর ঝুমার আত্মহত্যার কথা প্রচার করতে থাকে আসামিরা। মামলার পর ২ নং আসামি আমাকে বলেন, ১ টা মেয়েকে তো হারিয়েছিস অন্য মেয়েকে কি জেলের ভাত খাওয়াবো। তাই ভয়ে এ নিয়ে উচ্চবাচ্য করার সাহস পাইনি আমরা।
তবে এরই মধ্যে গত ১৬ মার্চ এ মামলার সাক্ষী প্রতিবেশী মোহাম্মদ দেলওয়ার হোসেনের কাছ থেকে দুইটি ছবি পাওয়া যায়। ছবি দুইটিতে ঝুমার লাশ ঝুলে থাকতে দেখা গেলেও পা দু’টি ছিল মাটির সাথে লাগানো। ছবি দেখলেই স্পষ্ট বুঝা যায়, এটা অাত্মহত্যা হতে পারে না। আসামিগণ যোগশাজশে, ঐক্যবদ্ধভাবে প্রশাসনের কাছে আমার মেয়েকে পাগল সাজিয়ে রিপোর্ট তৈরী পূর্বক অপমৃত্যুর মামলা করে চ.ম.ক হাসপাতাল থেকে ভূয়া রিপোর্ট তৈরী করে নেয়। এবং ২ নং আসামি নিজের টাকা খরচ করে লাশ দ্রুত দাফন করে আলামত নষ্ট করে, সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিজেদের কাছে রেখে দেয়। ঘটনার পর আসামি ফরিদা ইয়াছমিন আবাসস্থল ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়া আরো নানান আচরণ পর্যালোচনা করে বুঝতে পারলাম ওরাই আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। তাই আমি গত ২০ মে প্রধান আসামি আল আমিন সহ তিন জনের নাম উল্লেখ করে চট্টগ্রাম আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে-২ এ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করি।
আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের আদেশ দেন। তদন্ত শেষে পিবিআই গত ২২ সেপ্টেম্বর কোন মহল দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পোস্টমর্টেম অনুযায়ী আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়। আমি এই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি আবেদন করলে শুনানি শেষে আদালত নারাজি গ্রহণ করে তিন আসামির বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। তারপর থেকে প্রতিনিয়ত বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শণ করছে। তাদের কথামত মামলা তুলে না নিলে আমাদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছে। ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে এলাকা ছাড়া করবে এবং আমার মেয়েদের অপহরণ করে নিয়ে যাবে।
এমতাবস্থায় আমার মেয়েদের গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েও আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এক মেয়েকে হারিয়েছি আবার কোন সন্তানকে হারিয়ে ফেলি প্রতিনিয়ত আতংকে কাটছে দিন। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় এখনো ধরাছোঁয়ার বাহিরে রয়ে গেছে। প্রশাসন যদি আসামিদের গ্রেফতার করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন তাহলে এই হত্যা কান্ডের মূল রহস্য উঠে আসবে। আসামিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি। বাদিকে আইনি সহায়তা দেন আইনজীবী তুতুল বাহার। তিনি বলেন, আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় এই ঘটনাকে ধামাচাপা দিয়ে রাখেন। এবং সব কিছু ম্যানেজ করে প্রকাশ্যে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। আদালত নারাজি গ্রহণ করে তিন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতার পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।
0 notes
bunonweb-blog · 6 years
Text
সেদিন তুমি এসেছিলে - ফারিয়া নাদির ঝুমার
ফারিয়া নাদির ঝুমার - এর লেখা #কবিতা "সেদিন তুমি এসেছিলে" বুননে প্রকাশিত হয়েছে। লেখাটি পড়ুন, মতামত জানান, শেয়ার করুন...
https://cdn.bunon.org/2017/12/photomania-afa1204811ef1dce1e02fec23613b09d.jpg
সেদিন পড়ন্ত বিকেলের আনমনা মেয়েটি তুমি অথবা গোধূলির অাভায় নিজেকে খুঁজে পাওয়া মেয়েটিও তুমি। তোমায় সেদিন দেখেছিলাম নগ্ন পায়ে কুয়াশার ঘাসে সেদিন তুমি এসেছিেল বৃষ্টি ভেজা সন্ধ্যা রাতে তোমায় সেদিন খুঁজে পেয়েছিলাম কাঠগোলাপের ছোঁয়ায় অথবা কোন রাজপথে পড়ে থাকা প্রতিটি ধুলোয় তুমি সেদিন এসেছিলে। জী...
বাকি লেখাটি পড়তে
https://www.bunon.org/poetry/3272
0 notes
cinecaptain-blog · 7 years
Photo
Tumblr media
‘স্বাধীনতা মানে কী, মাম্মা?’ গল্প হলেও ঘোর বাস্তব——————— সকাল থেকেই আজ মন ভাল তনুশ্রীর | অফিসে আসার সময় গাড়িটা অন্তত দুবার জ্যামে ফাঁসল | তবু বিরক্তি লাগেনি | ইচ্ছে করেনি স্টিয়ারিং ছেড়ে লাফ দিয়ে নেমে ট্রাফিক পুলিশটাকে গালাগালি করতে | অফিস আসার পর কাজগুলো যেন কেমন গড়গড়িয়ে হয়ে যাচ্ছে বসের সঙ্গে নতুন প্রজেক্ট নিয়ে মিটিংটাও মোটামুটি ভালই হল | এমনিতে তার বস‚ মানে শ্রীমান শুভ্রদীপ বোসের যেরকম চ্যাটাং চ্যাটাং কথা‚ তাতে যে কোনও মিটিংয়ের পরই মুখটা কেমন যেন তিতকুটে লাগে তনুশ্রীর | আজ কিন্তু তেমন কিছুই হল না | নিজের কিউবিকলে ফিরে কফির কাপে চুমুক দিতে মিষ্টিই লাগল | আসলে তনুশ্রীর যে আজ মন ভাল | অবশ্য মন ভাল হওয়ার কারণও আছে | তনুশ্রী আজ অফিস ফেরতা নাটক দেখতে যাবে | নাটক দেখতে তনুশ্রী ভারী ভালবাসে | করতেও ভালবাসত | বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোনর পরও নাটক করেছে নিয়মিত | কিন্তু তারপর বিয়ে-থা‚ চাকরি‚ পাঁচ বছরের তিন্নি সব মিলে নাটক করায় ইতি পড়েছে | কিন্তু ভালবাসাটা মরে যায়নি এখনও | নাটক দেখার নামেই তার মন ভাল হয়ে যায় | আর আজ‚ সে নিজে যে দলে নাটক করত সেই ‘অর্বাচীন’ -এর নতুন নাটকের ফার্স্ট শো | তনুশ্রীকে তো যেতেই হবে | অবশ্য ইচ্ছে হলেই যে চলে যাওয়া যায় সেরকম ঠিক ব্যাপারটা নয় | প্রথমত অফিস থেকে তাড়াতাড়ি বেরোতে হবে | তবে সেটা তেমন কিছু কঠিন ব্যাপার নয় | সিনসিয়ার বলে অফিসে তনুশ্রীর নামডাক আছে | শুভ্রদীপের মত খুঁতখুঁতে লোকও সহজে ভুল বার করতে পারে না | কাজে ফাঁকি দেওয়াটা তার স্বভাবও নয় | ফলে সব কিছুই আপ-টু-ডেট থাকে | এহেন তনুশ্রী যদি একদিন একঘণ্টা আগে অফিস থেকে বেরোতে চায়‚ তাহলে যে কারওর আপত্তি হবে না তাতে কোনও সন্দেহ নেই | তাই ও নিয়ে চিন্তা ছিল না তনুশ্রীর | আসল সমস্যা হল বাড়ির কাজের লোক এবং অবশ্যই তিন্নি | রান্নার লোক বেলামাসিকে কাল রাতেই সবকিছু গুছিয়ে বলে রেখেছে | এমনকী নীলাদ্রির জন্য কটা রুটি হবে‚ সেগুলোকে কীভাবে পাতলা কাপড়ে মুড়ে ক্যাসারোলে রাখতে হবে,তাও | কিন্তু তিন্নিকে রাখার তো একটা ব্যবস্থা করতে হবে | তার আয়ামাসি কাজ সেরে চলে যায় রাত আটটায় | নাটক দেখে ফিরতে তনুশ্রীর খুব কম করেও সাড়ে নটা | একটু কিন্তু কিন্তু করেই নীলাদ্রিকে আটটার মধ্যে ফিরতে বলেছিল তনুশ্রী | নীলাদ্রি নাটক দেখতে ভালবাসে না | তাই তার যাওয়ার কোনও আগ্রহ নেই | তবে তনুশ্রীর নাটক দেখা নিয়ে আপত্তিও নেই কোনও | তনুশ্রী যদি বন্ধুদের সঙ্গে কিংবা একলাও নাটক দেখতে যায়‚ তাহলে নীলাদ্রি কখনই তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে না | তবে সাধারণত এরকম ক্ষেত্রে মেয়েকে নিজের মায়ের কাছেই রেখে যায় তনুশ্রী | এবারও সেরকমই প্ল্যান ছিল | কিন্তু দুদিন আগে মায়ের হঠাৎ ভাইরাল ফিভার হয়ে যাওয়ায় সে আশায় ছাই | বাধ্য হয়েই গতকাল রাতে বরকে কথাটা বলতে হল তনুশ্রীকে | এহেন প্রস্তাবে প্রথমে বেশ খানিকটা হকচকিয়ে গেলেও শেষপর্যন্ত রাজি হয়ে গেল নীলাদ্রি | আর তারপর থেকেই তনুশ্রীর মনের জানলায় ফুরফুরে দখিনা বাতাস | ঘড়ির কাঁটায় তখন প্রায় চারটে | আর এক ঘণ্টার মধ্যেই বেরোতে হবে | তনুশ্রী তাই দ্রুত হাতের কাজগুলো গুছিয়ে নিচ্ছিল | মোবাইলের স্ক্রিনে নীলাদ্রির নম্বরটা দেখে তাড়াতাড়ি ধরল‚ ‘ শোনো আজ আমি তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে পারছি না | বস বলছে একজন ক্লায়েন্ট আসবে | আমিও থাকলে ভাল হয় | তুমি আজ একটু ম্যানেজ করে নিও প্লিজ |’ আচমকা কথাগুলো শুনে কয়েক সেকেন্ড স্তম্ভিতের মতো চুপ করে থাকে তনুশ্রী | মাথার ভিতর সব কেমন যেন গণ্ডগোল পাকিয়ে যায় | তার দিক থেকে কোনও সাড়া না পেয়ে, মৌনতাকে সম্মতির লক্ষ্মণ ধরে নিয়ে নীলাদ্রি বলে, ‘ঠিক আছে, রাখছি তাহলে | আমার ফিরতে সাড়ে নটা হবে |’ কোনওরকমে নিজেকে সামলে ঠান্ডা গলায় প্রশ্ন করে তনুশ্রী,’বসকে তুমি বলোনি, যে তোমার আজকে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফেরার কথা?’ ‘কী আশ্চর্য, এমন আনপ্রোফেশনালের মতো কথা বল তুমি! বস বলছেন আমি থাকলে ভাল হয়, আর আমি বলবে যে আমার বউ আজ নাটক দেখতে যাবে তার জন্য আমাকে তাড়াতাড়ি ফিরতে হবে? এরকম আজগুবি কথা কখনও বলা যায়!’ ‘নীলাদ্রি, তোমার বোন যখন আমেরিকা থেকে এসেছিল, তখন তার সঙ্গে শপিং করার জন্য আমাকে একদিন ছুটি নিতে হয়েছিল | তুমিই বলেছিলে নিতে | তখন কিন্তু তোমার প্রস্তাবটা মোটেই আজগুবি মনে হয়নি |’ ‘কী মুশকিল! তুমি তো শপিং করতে ভালবাস!’ ‘শপিং করতে ভালবাসা আর তোমার বোনের শপিং-এর জন্য ছুটি নেওয়া নিশ্চয়ই এক ব্যাপার নয় | বিশেষ করে তখন আমার অফিসে কাজের চাপ চলছিল | ছুটিটা নিতে আমার যথেষ্ট অসুবিধে হয়েছিল |’ ‘তুমি একটা সামান্য ব্যাপার নিয়ে কিন্তু ঝামেলা করছ তনু | নাটকটার তো আরও শো হবে | পরে কোনও একদিন দেখে আসবে | আর ঝুমার সঙ্গে বেরোনোর জন্য তোমার অত অসুবিধে হয়েছিল সেটা বললেই পারতে | তাহলে বলতাম না ছুটি নিতে |’ ‘বলিনি, তার কারণ আমার মনে হয়েছিল যে আমি ছুটিটা নিলে তুমি খুশি হবে | আর নাটকের যে আরও শো হবে সেটা আমি জানি | কিন্তু আমার আজ নটকটা দেখতে যাওয়ার ইচ���ছে হয়েছে | আমি সকাল থেকে তার জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত হয়েছি | সেটা নিয়ে তুমি কনসার্ন নও দেখে খারাপ লাগছে | ঠিক আছে | আমার এ ব্যাপারে কিছু বলার নেই | তুমি তোমার সময়েই বাড়ি ফিরো |’ ফোনটা কেটে দেয় তনুশ্রী | কান-মাথা সব ঝাঁ ঝাঁ করছে | বোতল থেকে খানিকটা জল খায় | তারপর ল্যাপটপটার সামনে চোখ বন্ধ করে বসে | বন্ধ চোখের পাতায় ভেসে উঠছে একের পর এক দৃশ্য | ক্লাস সেভেনে পরীক্ষার ফল খারাপ হয়েছে | রেজাল্ট হাতে নিয়ে একটুখানি চুপ করে থেকে মা বলল,‘ভাল করে পড় তনু | ভাল রেজাল্ট না করলে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবি না | আমার মতো চিরকাল হাঁড়ি ঠেলতে হবে | দেখছিস কীরকম তোর বাবার হাত তোলা হয়ে থাকতে হয় | নিজে রোজগার করলে নিজের মতো স্বাধীনভাবে থাকতে পারবি |’ চাকরি পেয়েছে তনুশ্রী | মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে ভাল চাকরি | বাড়িতে আনন্দের হাওয়া | বাবা বলছে‚’ আর আমাদের কী চিন্তা‚ আমাদের স্বাধীন‚ রোজগেরে মেয়ে | এবার আমরা পায়ের ওপর পা তুলে পেনশনের টাকায় আরাম করে থাকব |’ কোম্পানি থেকে বিদেশ যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে | ছ’মাসের ট্রেনিং | ফিরে এলেই প্রোমোশন | যেতে পারল না তনুশ্রী | শাশুড়ি হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেন | মুম্বইয়ে নতুন চাকরির অফার | নেওয়া গেল না | তিন্নি বড্ড ছোট | নীলাদ্রি যাবে না | অত ছোট বাচ্চা নিয়ে তো আর একা থাকা যায় না |  মোবাইলটা বাজছে | চটকা ভেঙে ধরল ফোনটা | রেকর্ডেড মেসেজে | স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে সবাইকে শান্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর | ঘড়ির দিকে একবার তাকাল তনুশ্রী | এখনও যথেষ্ট সময় আছে | দ্রুত ব্যাগ গুছিয়ে নেমে গেল নিচে | গাড়িটা বার করে সোজা বাড়ি | রাস্তা থেকেই ফোন করে বলে দিয়েছিল তিন্নিকে রেডি করে রাখতে | মেয়েকে সামনের সিটে বসিয়ে সিট বেল্ট আটকে ফোন করল অনসূয়াদিকে‚‘আমি কিন্তু আজ মেয়েকে নিয়েই নাটক দেখতে যাচ্ছি | ধারের দিকে দুটো সিট রেখ প্লিজ |’ ঘড়িতে প্রায় নটা চল্লিশ | নাটক শেষ হওয়ার পর সবার সঙ্গে একটু কথাবার্তা বলে সবে গাড়িতে স্টার্ট দিতে যাচ্ছে তনুশ্রী‚ ফোনটা বাজল | ধরতেই নীলাদ্রির উত্তেজিত গলা‚’কী ব্যাপার, তখন থেকে বেল বাজাচ্ছি‚ দরজা খুলছ না কেন?’ ‘বাড়িতে কেউ নেই তো কে দরজা খুলবে ?’ তনুশ্রীর গলায় ঠাট্টার আভাস | ‘তার মানে ?’ ‘মানে, আয়াকে ছুটি দিয়ে দিয়েছি আর আমি নাটক দেখতে এসেছি |’ ‘তুমি নাটক দেখতে গেছ ! আর তিন্নি ?’ ‘তিন্নি আমার সঙ্গে আছে |’ নীলাদ্রি কয়েক সেকেন্ড চুপ | তারপর বেশ ধারাল গলায় বলে,’বুঝেছি | কিন্তু আমি তাহলে এখন বাড়ি ঢুকব কী করে ?’ ‘ঢুকবে না | অপেক্ষা কর | আমার ফিরতে মিনিট কুড়ি লাগবে | কাল তো ১৫ আগস্ট | ছুটি আছে | একটু দেরি করে শুলে অসুবিধা হবে না |’ ফোনটা রেখে দেয় তনুশ্রী | তিন্নি জিজ্ঞাসা করে‚ ‘কাল তোমারও ছুটি মাম্মা ?’ ‘হ্যাঁ | কাল তো স্বাধীনতা দিবস | তাই আমারও ছুটি|’ ‘স্বাধীনতা মানে কী, মাম্মা ?’ গাড়িতে স্টার্ট দেয় তনুশ্রী | তারপর পাঁচ বছরের মেয়ের দিকে তাকিয়ে বলে‚ ‘স্বাধীনতা মানে‚ ইচ্ছে মত বাঁচা |’ তনুশ্রীরা এরকমই | আধুনিকা | রোজগেরে | কিন্তু অর্থনৈতিক স্বাধীনতা থাকলেও তারা জীবনে সবসময় ‘স্ব’-এর অধীন থাকতে পারে কই ? তবু এভাবেই তারা চেষ্টা করে পরবর্তী প্রজন্মের মনের কোণে নিজের ইচ্ছেমতো বাঁচার বীজ বুনে দিতে | (পুনর্মুদ্রিত ) loading...
0 notes