scentofavoyager

[scentofavoyager]

মোদের নিজের ভাষা

------------------------------

বুদ্ধদেব বসু বলেছেন, " মাতৃভাষা আমাদের চিন্তার জননী, আমাদের আত্মিক জীবনের পরিচালিকা।"

সারাদিনের এত ভাবনা, চিন্তা, আনন্দ , বেদনা যা প্রকাশ না করলেই নয়, কিভাবে সম্ভব অনর্গল স্বতস্ফূর্ত বাংলাভাষা ছাড়া? যখন কথা বলছি, সেই বলার মধ্যেও কত দিক। যিনি কাজের জায়গায় ভাষার দিক দিয়ে কেতাদুরস্ত, তিনিই হয়তো বাড়িতে আটপৌরে কথা বলেন। লিখিত ভাষার মধ্যেও কত ভাগ। ‍কবিতার জন্য ভাল ভাল শব্দের জন্য কত প্রয়াস। ‍গল্প- উপন্যাস- প্রবন্ধের জন্য আবার আলাদা। আর একটা খুব চমৎকার লিখিত ভাষা ছিল চিঠি। তাতে যিনি লিখছেন তার মনের অনেকখানি হদিস পাওয়া যেত। তার জন্য ভাষার দখলদারি থাকলে ভাল । আর তা না হলেও ক্ষতি নেই। সাদামাটা , সদ্যঅক্ষর পরিচিত হওয়া বা যতিচিহ্নের উপযুক্ত প্রয়োগ না করা এরকম চিঠির আবেদনও ছিল পূর্ণ। চিঠির প্রসঙ্গে মনে এল, সত্যজিৎ রায়ের "সমাপ্তি" ছবির সেই ছোট্ট চিঠিখানা! " তুমি ফিরে এসো। ইতি পাগলী।" কত কিছু বলা হয়ে গেল মাত্র কতগুলি শব্দ দিয়ে। যদিও চিঠির ভাষা এখন ইতিহাস। অার ডায়েরি। ধাব্যবহারেররাবাহিকভাবে নিজের ভাল খারাপ সবটা নিয়ে নিজেকে মেলে ধরা। নিজের সাথে নিজের ভাষায় কথা বলা।

" ভাষা এমন কথা বলে বোঝেরে সকলে , উঁচানিচা ছোট বড় সমান।" গানের এমন অনেক সম্পদ উপচে পড়ছে বাংলার ভান্ডারে।" মনের গতির সাথে ভাষার যে মেলবন্ধন তার হদিস পাই লোকসঙ্গীতে। প্রথমটা পড়ে বা শুনে হয়তো সাদামাটা লাগে। কিন্তু অন্তর দিয়ে ভাবলে এর দার্শনিক মূল্য অপরিসীম। বাংলার বাউল যখন গানের মাঝখানে হঠাৎ করে গানের একটা অংশ খুব জোর দিয়ে বলেন তখন তার সেই প্রান্তিক গানের ভাষার সাথে চটকদারী ব্যস্তবাগীস বাঙালির জীবনচর্চার ভাষা আবার মেলেনা। কবি রামপ্রসাদ সেন হিসেবের খাতায় একের পর এক গান লিখে যান, তা দেখে জমিদারের মাথা শ্রদ্ধায় নুইয়ে আসে। "এমন মানবজমিন রইল পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা।" এই বাংলা ভাষা পড়ে মনে হয়না, এই একটা জন্মেই জন্মান্তর সম্ভব?

" সৃষ্টিকর্তারূপে বিদ্যাসাগরের যে স্মরনীয়তা আজও বাংলাভাষার মধ্যে সজীব শক্তিতে সঞ্চারিত, তাকে নানা নব নব পরিণতির অন্তরাল অতিক্রম করে সম্মানের অর্ঘ্য নিবেদন করা বাঙালির নিত্যকৃত্যের মধ্যে যেন গণ্য করা হয়।" একথা রবীন্দ্রনাথ বলেছেন। তাঁর রচনায় বাংলাভাষার পাশাপাশি অনেক সংস্কৃত শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। পরবর্তীকালে প্যারিচাঁদ মিত্রের " আলালের ঘরে দুলাল" বাংলাসাহিত্যে নতুন একটা চেহারা নিয়ে এল। চরিত্রের সাথে মানানসই হয় এমন কিছু অমার্জিত শব্দও তিনি বসিয়েছেন, তবে তাতে বাংলাভাষার অমর্যাদা তো হয়ইনি, বরং তৎকালীন বাঙালি যে ভাষা বলে ও বোঝে তিনি সেই চেষ্টাই করেছেন। শিবনাথ শাস্ত্রী যাকে বলেছেন আলালি ভাষা। এই ভাষার আরেক উদাহরণ হুতোমের নক্সা। তিনি আরও বলেন" ভাষা যদি স্হিতিস্হাপকতা অর্জন করে, তবে লেখকের কলমে সে কথা বলে,গান করে, নৃত্যশীল হয়ে পড়ে- ভাষা তখন নমনীয়, কমনীয়, দৃঢ় হয়ে ওঠে প্রয়োজনবোধে।" এরপর আসেন বঙ্কিমচন্দ্র তাঁর সূক্ষ অন্তর্দৃষ্টি নিয়ে।এবার বাংলাভাষার উচ্চ ধ্রুপদী রূপ সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে ফুটে উঠল।‍

বাংলাভাষার বানান আর তার সুললিত প্রকাশ বিশেষ করে রোজকার চলিত বাংলা নিয়ে নিরন্তর চর্চা বোধহয় রবীন্দ্রনাথ ছাড়া আর কেউ করেননি। তাঁর দেখানো আধুনিক পথে এখনও অনেক সাহিত্য তৈরী হচ্ছে। শরৎচন্দ্রের রচনা আমজনতার কাছে কতখানি পৌঁছেছিল, তা বোঝা যায় তাঁর জনপ্রিয়তা দেখে। সহজ সরল অনাড়ম্বর ভাষায় তাঁর সৃষ্ট এক একটি চরিত্র এমন আবেগমথিতভাবে লিখিত যে,মনে দাগ কেটে যায়।

জনগণের সাথে সহজে যোগাযোগ এবং তাদের সচেতন করার কাজটিতে বিবেকানন্দ চলিত কথ্যভাষা বেছে নিয়েছিলেন। তাঁর পরিব্রাজক , প্রাচ্য পাশ্চাত্য ছাড়াও পত্রাবলীও এর উদাহরণ।

মুজতবা আলীর কথা একটু বলি। তাঁর পান্ডিত্য এবং অসম্ভব রসিকতাবোধ সমৃদ্ধ ভাষা অত্যন্তই জনপ্রিয় বাঙালির কাছে।" তার রচনাশৈলীর একটি স্বকীয় বৈশিষ্ট্য আছে। সে তার মনের ভাব বাচনভঙ্গীর ওপর এঁকে দিতে সমর্থ হয়েছে। তার কলমের গুণে তার ব্যবহৃত নতুন শব্দ আঞ্চলিকতাকে অতিক্রম করে গিয়েছে। তার ভাষায় ফরাসী গদ্যসাহিত্যের প্রাঞ্জলতা স্বচ্ছতা ও বুদ্ধিদীপ্ত তীক্ষ্মতা দেখতে পাওয়া যায়।" একথা বলেছেন তাঁরই অগ্রজ ভাই " সৈয়দ মূর্তাজা আলী।

স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ তাঁকে উপাধি দিয়েছিলেন ভাষাচার্য। তাঁর লেখা (ওডিবিএল) দি ওরিজিন এন্ড ডেভেলপমেন্ট অফ বেঙ্গলি ল্যাংগুয়েজ নামক বইটি যাঁকে দেশবিদেশের খ্যাতি এনে দিল তিনি সুনীতি চট্টোপাধ্যায়। বাংলাভাষা জগতে তাঁর অবদান চিরকাল উজ্জ্বল হয়ে থাকবে।

সুকুমার সেন ভাষাতত্ত্বের আর এক দিকপাল, সুনীতি চট্টোপাধ্যায়ের উত্তরসূরী এবং সুযোগ্য শিষ্য,তিনিও রয়ে যাবেন শিক্ষিত বাঙালির মন ও মননে।

আমার জানার অতি ক্ষুদ্র পরিসরে কিছুজনের নামই বললাম শুধু। বাংলাভাষার কথা বলতে আরও কত প্রণম্য বাঙালির কথা মনে হয়। সবার কথা আর বলতে পারলাম কই?

এত সুন্দর , মিষ্টি , জীবন্ত , বহুমুখী ভাষাকে না ভালবেসে, না আপন করে পারা যায়না। মাতৃভাষা যদি মা হন, তবে তাঁর সাথে সব অনুভূতি ভাগ করে নেওয়া যায়। শুধু অবজ্ঞা করা যায়না বোধহয়।

আর সবশেষে ,

"এই দেখ পেনসিল, নোটবুক এ হাতে,

এই দেখ ভরা সব কিলবিল লেখাতে।

ভাল কথা শুনি যেই চট পট লিখি তায়-

ফড়িঙের কটা ঠ্যাং, আরশুলা কি কি খায়।"

( সুকুমার রায়)

এইসব আজব ও নির্ভেজাল মজাদার প্রশ্ন এবং উত্তরের জন্য বাংলাভাষা ছাড়া আর কি কোন গতি আছে?

[scentofavoyager]

মিও আমোরে

---------------------

ত্বমসি মম ভূষণং ত্বমসি মম

জীবনং ত্বমসি মম ভবজলধিরত্নম।"

(তুমিই অামার বিভূষণ, তুমিই আমার প্রাণ, তুমিই আমার রত্ন।)

দ্বাদশ শতাব্দীতে কবি জয়দেব লিখেছেন কত আকুতি নিয়ে! বৈষ্ণব পদাবলীর রস এখনও পর্যন্ত যারা গ্রহণ করতে পেরেছেন তারা জানেন পদাবলীর কবিদের প্রেমের প্রতি কি অপ্রতিরোধ্য টান, মাধুর্য , মুগ্ধতা, যেন রোমান্টিসিজমের শেষ কথা।

প্রেমে শ্রদ্ধা , বিশ্বাস , আনুগত্যর পাশাপাশি ঈর্ষা, ইগো, অধিকারবোধও একেবারে জায়গা করে নিয়েছে। পৃথিবীতে আর কোন সম্পর্কে এত সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম স্তর আর আছে কি?

যদি বিরহ প্রেমের একটা প্রধান অংশ হয়, তবে সেই বেদনাবিধুর আখ্যানের আমার চোখে শ্রেষ্ঠ আইকন রাধাকৃষ্ণ। আমরা কখন যেন কৃষ্ণ মথুরাবাসী হয়ে যাবার পর একাকী রাধার যন্ত্রনার শরীক হয়ে যাই।

ব্রিটিশ কবি Keats যখন তাঁর প্রেমিকা Fanny Browne কে চিঠিতে লেখেন,

" Love is my religion. I could die for it." সেই প্রেমে শ্রদ্ধার জায়গা সবথেকে

ওপরে। কতটুকুই বা ছিল তাঁর পার্থিব জীবন? তবু সেই বৃহত্তম যাপনে প্রেমই ছিল তাঁর প্রধান দর্শন। নিজের ব্যক্তিগত জীবনে ছিল না পাওয়া ভালবাসা। যাকে বলে unreqited love.

" রৈয়া রৈয়া চাতক ডাকে বর্ষে জলধর

না মিলে আকুল তৃষা পিয়াসে কাতর।"

প্রতীক্ষার এই কথা আমরা পাই ময়মনসিংহের গীতিকায়। এদিকে চিরজীবন স্ত্রীর প্রতীক্ষায় থেকে অতুলপ্রসাদ সেন লিখেছেন, " আমারও যে সাধ বরষার রাত কাটাই নাথের সাথে।" স্ত্রী থাকেননি ওনার সাথে।

যে প্যাশন নিয়ে প্রেমের এত গর্ব, সেই প্যাশন যতটা রোমান্টিক ততটাই ধ্বংসাত্মক তা আমরা পাই "Wuthering heights" এ ( author - Emily Bronte)

Catherine আর Heathcliff এর কথায়।

"If all else perished, and he remained, I should still continue to be; And if all else remained, and he were annihilated, the universe would turn to a mighty stranger; I should not seem a part of it."

প্রেমে এদের একাত্মতা যতটা ঠিক, আবার দুজনের জন্য ততটাই ক্ষতিকারক।

নাগরিক কবি সমর সেন যখন বলেন,

" বিষাক্ত সাপের মত আমার রক্তে তোমাকে পাবার বাসনা।" কামনার হিসহিস শোনা যায়। প্যাশনের কোন তীব্র রঙ তাতে?

প্রেমের কোন বয়স নেই ঠিকই। শুধু বয়েসের সাথে সাথে পাল্টে যায় তার চাওয়াপাওযার ধরণ। তাতে একে অপরের প্রতি দৃষ্টির ব্যঞ্জনার সাথে সাথে তা অনেক শান্ত, সংযত আর compromised .মেরিল স্ট্রিপ আর ক্লিনট ইস্টউডের সেই ছবির কথা মনে পড়ে "The bridges of Madison County" কি সুনিপুণ ছবি আঁকা হয় "Roseman bridge ঘিরে যখন

ঘর ভাঙতে না চাওয়া Francesca তার ছেলেমেয়েদের অনুরোধ করেন তার মৃত্যুর পরে তার ভস্ম Roseman bridge থেকে নদীতে ছড়িয়ে দিতে যেখানে তার প্রেমিক Robert এর ভস্ম আছে,আর তার সন্তানরা বুঝতে পারেনা তারা তাদের মায়ের কথা রাখবে, না তাদের বাবা এবং পরিবারের সবাই যেখানে শায়িত সেখানেই মাকে রাখবে, তখন মনে হয়না ছবিটা আমাদের মনে করায় প্রেমে ধৈর্য্য একটা অন্যতম শর্ত? তাই বোধহয় Robert আর Francesca আমাদের কাছ থেকে সম্মান আর সহানুভূতি দুটোই আদায় করে নেন। দর্শকের মনে গেঁথে থাকে তাদের দুজনের আত্মত্যাগ।

পদাবলীর প্রেমের সাথে মিশে অাছে দেহজ কামনা আর রাধা যদি হন চিরবিরহের নায়িকা, তবে মীরার প্রেম প্��েটোনিক। তিনি কৃষ্ণপ্রেমে যোগিনী। শান্ত, স্নিগ্ধ সেই প্রেমে মীরা সর্বস্ব ছাড়তে পারেন তাঁর আরাধ্যের জন্য ।

"Ei ri Main To Prem- Diwani Mero Dard Na Jane Koy."

Simone de beauvoin আর Jean Paul Sartre দুজন ইন্টেলেকচুয়াল ক্রিয়েটিভ দম্পতি 1929 থেকে 1980 এই দীর্ঘ সময় বিয়ে না করে শুধুমাত্র জীবনের পার্টনার হয়ে থেকেছেন। পড়াশোনা এবং ক্রিয়েটিভিটিকে প্রেমের বন্ধন করে জীবন কাটিয়ে গেলেন এই দুই বিদগ্ধ, সংস্কৃতিমান মানুষ।

এবারে একটু সেই গাঁয়ের বধূর কথা বলি। কে বলে দাম্পত্য একঘেয়ে , ম্যাড়ম্যাড়ে? মনটুকু ছিল বলেই না সেই কৃষাণী তার কৃষাণ স্বামীকে খেতে দেবার সময় উজাড় করে দিতে পারত! দাম্পত্যের এই যে নিত্যদিনের পারস্পরিক আঁচ , একি রোমান্টিক নয়? ও সে যতই ঝগড়ায় শুকনোলঙ্কার ঝাঁঝ থাক বা তুই বেড়াল না মুই বেড়াল মনোভাব। তবুও

দুজনে অনেকটা পথ চলতে চলতে ভালবাসার যে সুতোটা তৈরি হয়, তা বড় আরামের, নির্ভরতার। একে অপরকে "টেকেন ফর গ্র্যান্টেড" না করে তুললে ইন্টারেস্টিংও বটে। আর সেই সুতোর মাঞ্জার প্রেমের সল্যুশনে প্রধান উপকরণ বোধহয় বিশ্বাস। অনেকটা Leonard Cohen এর গানের কথা ( Suzanne)

"And you want to travel with her, and you want to travel blind

And you know that she will trust you

For you've touched her perfect body with your mind."

‌সবশেষে বলি, অনেককিছুই তো বদলে গেছে। যুগের যা নিয়ম। কোথাও বদলে গেছে প্রেমে গিভ অ্যান্ড টেকের সংজ্ঞা । তবে প্রেম নামক পরশপাথরটি যে পায় তার কাছে একঘেয়ে বদ্ধ জীবনে দখিন হাওয়া বয়।

‌আজও সেখানে বিশ্বাস ভঙ্গ হলে বুকের পাঁজর ভাঙার শব্দ হয়।

প্রেম শ্বাশ্বত, প্রেম আবহমান।

‌স্হান,কাল,সমাজ,বয়স,জাতপাত সবকিছুর উর্দ্ধে, বলে- কয়ে না আসা তিরতিরে এক মধুর অনুভব।

"তোমারেই যেন ভালবাসিয়াছি

শত রূপে শত বার

জনমে জনমে, যুগে যুগে অনিবার।" ( রবীন্দ্রনাথের অনন্ত প্রেম থেকে)



[scentofavoyager]

পথিক সত্যিই পথ হারিয়েছে।

_________________________

একফালি উঠোনে রোদ্দুরে বসে নবকুমার একগাদা বাসি রুটি একটুখানি গুড় দিয়ে খাচ্ছিল। এমন সময় দিলীপ, স্বপন, যতীন সব পাড়াতুতো বন্ধুরা হাজির হল নবকুমারের কাছে। সবাই মিলে শীতে রাজগীর বেড়াতে যাবার কথা আলোচনা করতে। এমনিতে কোথাও বেড়াতে যাওয়া হয়না নবকুমারের। এ সুযোগ সে ছাড়তে চাইলেনা। ভিড়ে গেল সেই দলে। সেখানে সবাই মিলে একটা ধর্মশালায় উঠলো। সেখানে সিঁড়ি বাইরে দিয়ে। ভালই ঘোরা হল সেবার। মাঝরাতে নবকুমারের বড় বাইরে পেল। সেসব সেরে দোতলায় ঘরে আসার সময় সিঁড়িতে দেখলো একটা গাধা দাঁড়িয়ে আছে। সমস্যা হল যতবার সে হ্যাটহ্যাট করে তাড়াবার চেষ্টা করে,গাধাটা সাথে সাথে "ঘেঁচু ঘেঁচু" করে। এতো মহা মুশকিল! শেষমেষ গাধার চেঁচানিতেই হোক বা তার বন্ধুদের ঘুম ভাঙলো।

" সরানা গাধাটাকে , কিছুতেই রাস্তা ছাড়ছেনা।" নবকুমার বলল স্বপন , যতীন দের । তারাই বা কি করে। গাধাকে সরানোর কৌশল তাদের জানা নেই।

" তুই নিজেই দেখনা কি করতে পারিস। কোনরকমে পাশ কাটিয়ে চলে আয়।" স্বপন বলল।

" ক্ষেপেছিস নাকি? যদি কামড়ে দেয়। রাতদুপুরে এই অজানা অচেনা জায়গায় গাধার কামড় খেয়ে মরি আর কি!" খুব রেগে বলল নবকুমার। শেষপর্যন্ত ধর্মশালার লোকেরা এসে গাধাটাকে সরায়।

এ এক মহা সমস্যা নবকুমারের। সই করার সময় নবকু এর পরে বাকি কোন অক্ষর বোঝা যায়না। বছরের এই একটা সময়েই সই করার সুযোগ আসে তার। মফঃস্বলের এক স্বল্পপরিচিত কো অপারেটিভে কবে তার বাপ তার নামে কটা টাকা রেখে গেছিল । সেই থেকে সে সদস্য সেখানকার। বছরের এই দিনটাতে সব সদস্যদের নিয়ে একটা জেনারেল মিটিং হয়। এই দিন সে নিজেকে বেশ কেউকেটা ভাবে। নিজের কিছু সঞ্চয় নেই।তার বাপ পুরুতগিরি করত। সেই সময়কার কিছু চেনা যজমানদের বাড়ি নিত্যপুজোর ভার নবকুমারের। এছাড়া পাড়ায় লক্ষ্মীপুজো, সরস্বতী পুজোয় ডাক পড়ে তার। সব জায়গাতেই তো কমপিটিশন। যাইহোক এইভাবেই চলে যায় কোনমতে। আত্মীয়পরিজন কেউ নেই তিনকুলে। বিয়েথাও করেনি। ওই যা আছে বন্ধুরা। তারাও পেছনে লাগে খুব নবকুমারের। অবশ্য তাতে তার হেলদোল নেই। খুব ডোন্ট কেয়ার ভাব । পুজো সেরে এসে চাল , ডাল চড়িয়ে দেয় চারটি। রাতের খাবার রুটি আর একটা তরকারিও তখনই করে নেয়। রুটিটা বেশি করে করে। তারই খানকতক পরের দিন সকালে খায়। খেতে পারে খুব। তবে কোয়ালিটি নিয়ে মাথাব্যথা নেই, কোয়ান্টিটি বেশি হলেই হল। ওর বাপও খেতে পারত অমন। লোকে মজা করে বলে নিমন্ত্রন বাড়িতে একসাথে বেশি খাবার যাতে খেতে পারে, সেই ভেবে তার বাপ সামনের দুটো দাঁত ভেঙে দিয়েছিল তার।

আবার বেড়ানোর সুযোগ এল তার। এবার সুন্দরবন। সব বন্ধুই তাদের পরিবারের সাথে যাবে। নবকুমার কি আর করে! একাই গেল দলের সাথে। লজে তাকে নিচে এক নম্বর ঘর দিল থাকার জন্য। সিঙ্গল রুম। বাকিরা দোতলায় তাদের পরিবারের সাথে আলাদা আলাদা ঘরে । এবার বেঁকে বসল নবকুমার। কিছুতেই সে একা নিচের ঘরে থাকবেনা। সবাই কারণ জিজ্ঞাসা করাতে তার যুক্তি,

" রাতে যদি বাঘ আসে আর এক নম্বর ঘর দিয়ে তার শিকার শুরু করে।"

লোকমুখে জানা যায়,তার একথা শুনে লজের ম্যানেজারের পরদিন জ্ঞান ফিরেছিল।

একবার সাপে কাটলো নবকুমারকে। গরমকাল। দুপুরে রান্নাবান্না সেরে মেঝেতে শুয়ে ছিল খানিক। বেজায় গরম সেদিন। ভাবছিল এবার খেতে বসবে। ঠিক তখনই। স্পষ্ট সরীসৃপটা এঁকেবেঁকে চলে গেল। তেমন কিছু অস্বস্তি হোলনা। প্রতিদিনের মত খাওয়াদাওয়া করলো। হঠাৎ মনে হোল একবার কি ডাক্তার দেখানো উচিত তার! কি জানি কি জাতের সাপ ছিল? অনেক ভেবে রাতের খাবারও খেয়ে নিল। পাছে নষ্ট হয়। তারপর বাসনটাসন মেজে গেল কমদামি একটা নার্সিং হোমে। একথা কাউকে জানালোনা শুধু পাশের বাড়ির নাকু ছাড়া। কিছু পরীক্ষার জন্য ভর্তি হতে হোল তাকে। সেই রাতটা কাটলো। নাকুর মনে হোল নবকুমারের বন্ধুদের জানানো উচিত। যদি ভালমন্দ কিছু একটা হয়ে যায়! বন্ধুরা খবর পেয়ে হন্তদন্ত হয়ে সকালে নার্সিং হোমে পৌঁছে দেখে, ও হরি! এইতো নবকুমার! নার্সিংহোমের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কচুরি খাচ্ছে । এর তো বেডে শুয়ে থাকার কথা। ওদের দেখে নবকুমার একগাল হেসে বলল, "গরম গরম ভাজছে দেখে লোভ সামলাতে পারলাম না বুঝলি।"

শীলা

---------

[scentofavoyager]

Shantiniketan - every Bengali's comfort zone

Prominent moonlight shining on the Shal forest in Sonajhuri jungle as the sound of madol played by the tribals far away wafted through the night air. The experience of the Sonajhuri forest was truly unworldly.

"All bright and glittering in the smokeless air" - Wordsworth

It has been a long time since we experienced dawn, since we walked barefooted on the dew covered grass of aghran month. It's been a long time since we sat in a garden enveloped by trees and shrubs, with a steaming cup of tea in our hands.

"The beauty of the morning, silent; bare" - Wordsworth

Garden Bunglow, where we put up, consisted of an expansive 1.5 acre land, having three houses and the rest covered in lush green gardens. There were two lotus ponds, a metal statue of goddess Durga to name a few other attractions apart from the flora of the gardens. We felt like spending all our time sitting amongst the beautiful scenery.

The sun kissed abode of peace.

"In the universe, there are things that are known, and things that are unknown, and in between, there are doors."- William Blake (Artistic door in the Bunglow)

Where we stayed, Garden Bunglow

Statue of goddess Durga made of iron

"Ne'er saw I, never felt, a calm so deep! The river glideth at his own sweet will" - Wordsworth (Banks of the river Kopai)

When our car left Bolpur behind, shal and piyal trees accompanied us on both sides of the road.

Another surprise was waiting for us. The narrow village road was surrounded by forests. By sunset, we reached the banks of river Ajoy. A completely serene and exotic sunset awaited us. We observed the mesmerizing sunset through the pale kash.

Sunset by Ajoy river through the pale kashbon

The time had come to return home with a heavy heart because Biswabharati was closed due to Covid pandemic. We missed out on visiting the calm and cultural premises as well as the houses where Rabindranath used to sit on the veranda and observe trifling things and taught us to see beauty in every creation of nature.

"A thing of beauty is a joy forever" - John Keats

[scentofavoyager]

Slumber

-----------------

Faint moonlight crept through the giant neem tree outside. The full moon of the night was augmented by the long power cut.

My 12 years old self.

Opposite my house, my aunt was singing "Biti na bitai rayna" from the window. Back then, I did not know about the lyricist

But mesmerised with the smell of neem flowers, moonlight and the ambience of the night.

As a classic movie scene.

Looking back now I wonder if it really happened, or was I dreaming?

Why is it that we have to link time with some activity to prove its reality?

When I finished my train of thoughts, an hour had passed. But it didn't feel like an hour wasted.

It was such a long time back, but it felt like yesterday.

Is time still?

Is time a construct of our mind?

Just like Rip Van winkle, who slept for 20 years and woke up to find everything had changed around him.

Is our life but a slumber?

[scentofavoyager]

Street

The street by my house stretches long and winding, Has been, is and will be trodden on by innumerous people Happiness, tiredness, sorrow, arguments, it has seen it all. The aged plodding along amidst cruelty, hopelessness Sometimes with a bright face, The yellow lampposts of the night, pin drop silence, the world of spirits and ghosts, broken occasionally by barking dogs.

The years have put so many layers on the street, whispers that true happiness lies at dawn, Sounds of nature, of sweeping streets, birds pecking and chirping. The street awaits the collage of solitude and serenity.

[scentofavoyager]

Garden of remembrance

------------------

Lights and shadows creeping through the trees,

A continuous breeze,

Rustling of leaves,

It didn't smell of death or decay,

Rather a quiet pleasant place for a silent retreat.

There I met a few of my close ones,

Whom I had thought about a lot,

Removed from the earthly bonds, in this beautiful heaven,

Were busy with their respective work.

They turned towards me, waved their hands and gave a gentle smile.

Autumn leaves, scattered all around,

Awaiting the cold winter,

They asked us to visit again.

[scentofavoyager]

My Mother's Death

Monsoon rain

Against the glass window

creating, an obscure image of a teenage girl.

curly hair, covering the eyes not covering the tears.

It rained the whole night

then the morning came but light didn't.

The darkness stayed.

Followed by the sound of  things breaking

the roof, the walls, the lights falling apart

The breakfast table was covered in ruins.

[scentofavoyager]

Varanasi - Keep on rolling

In the month of December my husband and I visited Varanasi  with our friends. We left from Patna by train and reached Mughalsarai station at night. We had to wait there almost all the night for the Taxi. It was a memorable experience for us to witness the sleepless  busy junction throughout  the night. We put up in a guest house near Godowlia  where our friends from Kolkata  who had reached  early waiting  for us. It was dawn by the time we reached.

The steps

The train crossing the bridge towards Varanasi along the Ganga, a Sannyasi feeding the pigeons, sights of people bathing, an old lady meditating under an umbrella (chhatri), Harihar stepping upstairs after a dip in the Ganga and taking the religious mark (tilak) on his forehead, these collages of scenes from Aparajito ( The second  part of Apu Trilogy,  directed by Satyajit Ray) introduced me to ghats of Varanasi.

On the day we reached Varanasi, we started our journey with one of the oldest ghats, Dasaswamedh ghat. According  to hindu mythology, 10 horses were sacrificed by Lord Bramha during the Dasa - Aswamedha yajna upon which the ghat came into being. It is one of the most popular bathing ghats. There was constant flow of devotees, some were worshipping the Sun God (Suryapranam) and others taking body massages. In the morning a spectacular sight of Dasaswamedh enthralled us. Our next destination was Dwarbhanga Ghat, which had a royal look, was of architectural importance and was a ritual place for pilgrims. We took a stroll along the ghat.

Dwarbhanga Ghat was shown in Satyajit Ray's iconic movie, Joy Baba Felunath, where Feluda in disguise caught the antagonist of the movie, Machhlibaba.

Both of these ghats were in our bucket list, and we spent quality time there, watching the scenes around us with the endless river flowing through it all.

Oaring under the stars

In the evening, we  experienced a boat ride through Dasaswamedh ghat. Our aim was to visit as many ghats as possible and the boatman showed us around different ghats. The visual elements of the ghats were strikingly different, some bustling with the diverse activities of life, and in Manikarnika engulfed in fire and smoke emanating from the cremations of dead bodies. Here, death is accepted with candor and contiguity, It is a belief that through cremation in Manikarnika Ghat, human souls find Salvation or Moksha.     The portrait of the rhythm of life and death was painted in the same canvas, depicting the philosophy of life. It reminded me of a dohe of Sant Kabir who grew up in Varanasi .

" Kal jeev ko grasai, bahut kahyo samujhaye Kahain Kabir main kya karun Koi nahi patiyaye."

( Death devours the living, have told this many times Kabir says what can I do if nobody believes  me.)

 The sky was moonless and the stars were infinite. We came back to Dasaswamedh ghat.

Darshana

Tejomayam Sagunna- Nirgunnam- Advitiiyam_ Aananda- Kandam- Aparaajitam- Aprameyam Naaga-Atmakam Sakala- Nisskalam- Aatmaruupam Vaaraannasii- Pura- Patim Bhaja Vishvanaatham॥6॥

6.1: ( Salutations to Sri Vishwanatha)  who is filled with Spiritual Splendour ( Tejomaya), Who can assume a form with Gunas ( Qualities or Attributes) as well as abide us the Non- dual expanse beyond all Gunas ( qualities  or Attributes). 6.2:: Whose essential nature overflows with Bliss which is Unsurpassed by anything and is beyond all Measures, 6.3: Whose body is adorned with Serpents, and whose essential nature is merged in Atman,Complete and Undivided ( expanse of Chidakasha), 6.4: Worship that Vishwanatha, Who is the Lord of the City of Kashi.

( From Vishwanathashtakam Strotram, composed by Adi Shankaracharya)

Kashi Vishwanath temple is one of the twelve Jyotirlingas of temples dedicated to Lord Shiva. On the second day of our stay in Varanasi,  in the morning, we presented ourselves in front of the mighty deity of Varanasi  with folding arms and bowed heads. One of the priests sitting around the Lord threw a small garland from a distance which landed with precision on my neck. I felt startled and blessed at this sudden experience.

Near Bhiswanath temple, within walking distance, we visited Maa Annapurna (Goddess of food) Temple. The enormous supply of food ensures that no one leaves the temple hungry. Beside the physical hunger, devotees also pray to the divine mother for their spiritual nourishment.

  "Annapuurnne sadaa- puurnne shangkara- praana- Vallabhe। Jnyaana- Vairaagya- siddy- Artham Bhikssaam Dehi Ca Paarvati॥"

( Salutations to mother Annapoorna) O Mother Annapoorna, You who are always  full with the Food and Blessings, You who are the beloved of Shankara,... O Mother Parvati, Please grant me the Alms of Your Grace, to awaken within me spiritual  Knowledge and Freedom from all Worldly Desires. ( From the Annapurna Stotram, composed by Adi Shankaracharya)

Adi Shankarachariya composed his " Manisha Pancham" in Varanasi.

Timeless feel

Whenever we could, we walked down the narrow bylanes. Vehicles, bulls, stalls blocked the passage of narrow streets, leaving little space for passing. But this enhanced the never-ending charm and oldest flavours of Varanasi .   We felt lost amidst the innumerous lanes.

Viswanath gali is a strange sight, a narrow lane filled with the cacophony of noises coming from  numerous stalls from puja offerings, sarees,  jewellery,  wooden toys, stone idol etc and people shouting in different dialects.

The morning raga

In the morning of our third day, before sunrise, we hired a boat from Dasaswamedh Ghat, and started our journey. We were crossing different ghats. The famous  two freinds Trailanga Swami and Shyama Charan Lahiri were often sat on these ghats and shared their spiritual thoughts. The palace, adjacent boats along with the river, the glamourous royal look of the Dwarbhanga ghat enhanced by the first ray of sunshine was our first destination. The infiniteness of nature was like Maestro Bismillah Khan's shehenai playing the raga, Bhairav. Next, we visited Vyas Kashi temple in Ramnagar which was located on the opposite bank of the Ganga. This temple was dedicated to Veda Vyasa, the author of Mahabharata.

Serenity

On that day, after boating, we decided to visit Sarnath which was 10 km away from Varanasi. We were roaming amongst the enormous ruins,  and Dhamek Stupa  built in Maura dynasty caught our attention. Dhamek Stupa was that exact spot of Lord Buddha's first sermon after enlightenment to his five disciples. We explored the ruins for a long time amidst tranquility and bliss. Then we headed for Mulagandhakuti Vihara, a Budhhist monastery with splendid architecture and reverberating with Buddhist chants. A large statue of Lord Buddha at the Thai Buddha Vihara was our last destination in Sarnath.

Dhamek Stupa.  PC Anjan Banerjee

Culture of artistry

India has been one of the greatest global manufacturers of textile and in the present days, the ancient Benarasi silk saree is such example.

The brocade, the traditional art of handloom that provides an extra weft. There were many outlets for selling Benarasi and we purchased ours.

Picturesque

My personal opinion is that Varanasi is perfect for photography. Early morning vibes around the Ganga and the ghats, bursting with activity throughout the day, and the hypnotic ambience of floating lanterns in the evening have attracted photographers year after year. The interplay of natural and artificial lights, and the ever changing landscape create the perfect setting for photographers. The temples, Viswanath Gali and the numerous narrow and busy streets are other  attractive subjects. Every nook and corner of the colourful and vibrant city can be the aim of the camera lens. Every click captures a unique story which can't be expressed through words, even a window, a door, a slab of stone or a dilapidated house has a story of its own.

Retrospection

In the early morning, we were scheduled to return home. On our way back  we heard enchanting sounds by the sages around us.

Why do the people come here? For religion, creative activities, or just tourism?  Great directors like Satyajit Ray and others have used Varanasi as the focal point of their movies. Works of literature have also been centred around here. It is possible to find complete solitude amongst the chaotic ambience of Varanasi. Spiritual inquisitiveness and its practice from the ancient age till the present time have made the city significant for those who are looking for spiritual illumination.

Varuna and Assi -- Varanasi  magnetism that still attracts.

#Travel Benaras IncredibleIndia Tourism Blog

[scentofavoyager]

A tour of Europe - Austria, Italy and France.

“Every block of stone has a statue inside it and it is the task of a sculpture to discover it” – Michelangelo. 

And we are just standing in front of the world’s masterpiece of renaissance era ‘David’ in Florence (Italy) asking myself is it real or am I dreaming as I felt the presence of the protagonist of the book “Agony and Ecstasy” in Gallaria del Accademia.

Vienna, Austria

Our (myself, my husband Pijush and our son Shamik) first destination was Vienna (Austria). From Bengalore airport via Paris we reached Vienna at 3.30p.m. From airport we took the Vienna pass for travelling and sightseeing. From airport we availed the City metro which was well connected from airport to Vienna City. It took almost twenty minutes to reach Praterstern. It was again fifteen minutes walk to reach our apartment booked through Airbnb from the metro station. My first step in Europe was beyond all words. We were very warmly welcomed by Nico and his wife, the owner of the apartment.

Wien, is simply the local word for Vienna in German language. The city was too beautiful and clean by every inch. We were so amazed to locate ourselves in the city of Mozart, Beethoven and Sigmund Freud. Our Airbnb apartment had a well-equipped kitchen. But as we were on the go we decided to have our first meal in Vienna at a local restaurant and enjoyed the local food. The first day we decided to just roam around the city by foot. The narrow streets, old cathedrals, small restaurants and coffee shops had a unique appeal. We also visited Naschmarkt, Vienna’s most popular market, where we did some shopping.

We took a stroll along Danube, the river which we had seen only in geography maps was right in front of us. We were sitting on the bank of this river amidst greenery and tranquility. The surface of Danube appeared like shining steel.

Naschmarkt, Vienna

Our next destination was Schönbrunn Palace which was surrounded by French style statues. The garden of the palace was spectacularly decorated with flowers. From the top of the palace garden the view of the Vienna city was one of the most attractive things we had ever seen. After that we visited Belvedere Palace, the opera house, the Ruth House square one by one. The house of Beethoven and Freud were nearby to each other. We also took a tour of St Stephen’s cathedral, one of the most important Gothic structures in Vienna. We were tired after sight seeing the whole day and decided to take the turn from the metro station to our homestay. The next morning we had the bus from Vienna to Salzburg. In spite of language barrier, we enjoyed the hospitality of the amiable Austrian family.

Salzburg, Austria

The journey from Vienna to Salzburg via St Michael’s Station was memorable. The landscape outside the bus was something like a fairytale story. We reached St. Michael, a solitary rail station with scenic views of mountains around it. Here we were waiting for our bus towards Salzburg. We reached Salzburg at dusk. From the bus stop we took a city bus for moosstraße to our Airbnb homestay at Salzburg, hosted by Cony. A warm and cozy room was allotted for us. We found chocolates and greeting card in the bed. It added a personal touch. At night we dined out in a nearby restaurant where we had a Salzburg special meal of schnitzels. Next morning, we prepared our own breakfast and availed a city bus and reached the main land marks of the city.

Nature, Salzburg

As soon as we stepped down from the bus a wonderful feeling came over me. The same streets had been walked upon by one the greatest musician Amadeus Wolfgang Mozart. The house in which Mozart was born is preserved as a museum, displaying his personal belongings. A variety of Mozart’s possession, from the strands of his hair to the violin, piano he played, his tobacco box, notations of music scribed in his own hand were preserved with his brilliant compositions playing in the background. Photography was prohibited there. They were only displayed for human eye. 

Love locked bridge on the Salzach River

Another fabulous experience in Salzburg was the Salzach river cruise. Our captain was a young lady. The sights were historical importance and the commentary was being played as the cruise moved along the river. Another surprise was waiting for us at the end of the cruise. The captain suddenly rotated the boat to the music of Mozart playing in the back ground.

The next morning, we reached Unterberg which was located in the outskirt of Salzburg by local bus. The journey to Unterberg was laden with greenery which was a great sight for sore eyes. When we reached the bus stop, we had to take a cable car to the top of a mountain. We got great views of the valley from the top. When we reached the top of the mountain a heavy cloud around us which ultimately disappeared to give us the great view of the valley.

view from Hohensalzburg, Austria

Our next destination was castle Hohensalzburg, which was 900 years old. It was one of the oldest castles in Europe. It was evening by the time we finished exploring the castle and we headed back home. Thanks to the kitchen facility available in our homestay we could cook traditional Bengali dishes with ingredients brought from the local supermarket.

Berchtesgaden, Germany

Next day we availed a bus from Salzburg to Berchtesgaden. It was an unscheduled trip. Throughout the journey, the river flowed along with us. Soothing green patches with small cottages were scenic and beautiful. First, we stepped down to the bus in Berchtesgaden bus stop. Dense foggy weather covered the area. The trees with its yellow coloured leaves were prominently visible through the fog. From here we had another bus to Kehlesteinhaus. The eagle's nest on Obersalzberg mountain in Berchtesgaden was located at the height of 1834 meters above sea level. From the bus parking area, a 124 meter. tunnel through the solid mountain rock took us to a lift. The interior of which were filled with mirror and polished brasses. The lift took us to the eagle’s nest. It was used exclusively by a number of Nazi party for government and social meetings.

Foggy Bus Stop, Berchtesgaden

Tunnel leading to Eagle’s Nest, Berchtesgaden

It was snowing when we reached to the top. The architecturally unique building now features a mountain top restaurant offering an outstanding panoramic view  of the area and we had hot coffee while taking in the sights. It was evening when we came back to Salzburg. Now there was a preparation to leave Salzburg and go to Venice by train next morning. The train left the station with the memories of the romantic, musical place, the city of Julie Andrews’ sound of music. 

Venice, Italy

One side the gloominess of the mind on leaving Austria and on the other side an excitement to see another romantic place overwhelmed me. Also, the train journey was tremendous. The Alps accompanied us for the most of our journey. In the afternoon, we reached the station, Venezia Mestre and collected the transportation passes. It took us 14 minutes to reach out Airbnb, which was very well decorated with our essential needs. We took some rest and embarked upon our destination. From our Airbnb to Venice, there was very frequent bus service. The canals, the gondolas, the ancient houses constructed under water, amazed us.

Dusk at Venice, Italy

First day in Venice, we travelled by foot and gondolas. The more we travelled, the more we got immersed with the charm of Venice which was preserved like it was 500 years ago. The bridges, the narrow streets, the coffee shops, many small stalls all were very enjoyable. After a dinner with spaghetti and red wine we started walking back to the bus stop. Venice was sparkling like a jewel with lights shining brightly reflecting on the canals like an intoxication haze.

Burano, Italy

Second day our first destination was Saint Mark's square, views of St. Mark’s basilica and Doges Palace, numerous pigeons, a live music created an interesting ambience. From here we caught the vaporetto (public water bus) towards Murano island. We travelled through the sea green coloured Adriatic Sea. It was completely different, less crowded island with great architecture and obviously the world-famous glass shops. Murano is well renowned for its glass factories.

Murano, Italy

Next day our plan was for Burano, another island. It took almost one hour to reach. The Island was picture perfect, very calm and quiet. The multitudes of coloured houses created a kaleidoscopic effect. While we were roaming, we saw the native women knitting the lace work, which was very famous in Burano.

Florence, Italy

Next morning, we took a bus from Venice's Tronchetto bus stop towards Florence. Our booking was in the hotel named Camping Firenze, consisting of many cottages from which we were allotted one. We roamed around the hotel's huge premises on that evening. The luxurious arrangement of our cottage dispelled our fatigue. Next morning, our hotel arranged a minibus for the guests of the hotel to the main sights of Florence. The city Florence, the capital of Tuscany, my dreamland was just front of me. Florence was the cradle of renaissance which eventually spread to the rest of Europe. Thinkers, writers, philosophers, painters, sculptures, scientists, architects, political figures who led the birth of renaissance were all born in and around Florence. Some prominent figures were Leonardo da Vinci, Michelangelo, Masaccio, Donatello, Ghiberti, Brunelleschi, Verocchio, Botticelli, Ghirlandaio, to name a few. The city resonated with the spirits of these great Florentines.

View from Piazzale Michaelangelo, Florence

We started our visit with Uffizi gallery, the famous art museum. A marvelous collection of ancient and modern sculptors and paintings. It housed the works of Leonardo da Vinci, Michaelangelo, Botticelli and many more. After that we came over the Piazza Della Signoria, one of the most famous squares in Florence. The square was surrounded by some of the most famous buildings in the city. There was a long queue in the front of Galleria del Academia, where we stood with awaited breath in the queue for the masterpiece "David" about which I mentioned to you in the starting. Santa Croce church was another attractive spot for us. Beside the frescos, we had we had another inquisitiveness to see the burial place of greatly honoured Florentines like Galileo Galilei, Leonardo Da Vinci, Dante, and so on.

Another View from Piazzale Michaelangelo, Florence

The landmarks which we wanted to see in our short time were at walking distance within each other. After lunch we treated ourselves with the world-famous Gelato of Florence. From the square, we arrived at Ponte Veccio which was the oldest bridge in Florence in Arno river. From there we walked up to the top of Piazzale Michelangelo to observe the moment of mesmerizing sunset of Florence. The panoramic view of the whole city, the bridge Ponte Veccio all were very photographic. Apart from the photographs the scenes got imprinted in our mind forever. From here we boarded the same bus and returned to our hotel. The stay in Italy was augmented by the Italian cuisine of delicious pizzas, spaghetti and lasagnas.

Next day in the very early morning our cab took us for the airport towards Paris. We left the city which seemed a page from a history book to us. Studying the history of Florence made it convenient for us to relate to the city.

Paris, France

As our Europe tour was during autumn, the colour of trees were vibrant , the crispy leaves were lying on the beautiful streets and parks which made our staying in Paris very special .Our Airbnb was in Bagnolet. Our landlord was an artist. The buses and metro were our main conveyance in Paris. The metro was very well connected all over the city. From our Airbnb we headed towards the most iconic Eiffel Tower. From there we walked along with the river Seine during sunset. The book shops on the bank of the river reminded us of College street boiparha of Kolkata .The dazzling city of Paris looked surreal in the reflection of the city on Siene at night.

Seine at night, Paris 

Pere Lachaise cemetery, probably most visited cemetery in the world was our first visit of the next morning. The final resting place of Oscar Wilde, Jim Morrison, Federic Chopen and many famous personalities. From here our destination was Montmartre. We reached the top walking through the steep streets of Montmartre. It was reverberating with the voices of innumerous tourists. I had a wish to make a portrait of myself by a professional artist which was ultimately fulfilled. The Grape harvest festival in Montmartre in October was another attraction to us. Sacre-Coeur, a Roman catholic church was our next visit. We enjoyed an outstanding view of Paris from here. On our way back, we did some shopping from the streets.

Montmartre, Paris

We kept aside the next day for one of the largest art museums in Europe, Musée d'Orsay. It had the largest collection of impressionist and post-impressionist masterpieces in the world by painters including Vincent Van Gogh, Paul Gauguin, Claude Monet, Edgar Degas, Edouard Manet, Paul Cezanne, Auguste Renoir, Alfred Sisley... the list goes on. After spending a lot of time there, we visited Tuileries Garden, a pleasant place for walking and relaxation. It is located between Louvre and Place-de-la Concorde. Champs Elysees, is probably the most beautiful avenue in the world, connecting Arc de Triomphe to the Place-de-la Concorde. We had a great experience walking on such an iconic street in Paris.

Arc de Triomphe, one of the famous monuments in Paris with its immense historical and architectural significance was our next visit.  A thunderstorm appeared from nowhere and drenched us. We ran for shelter under the giant arches, where we sat for a long time. Place-de-la Concorde is the largest square in Paris. It is historically significant for having notable public executions including that of king Louis XVI, during the French Revolution. We wanted to visit Notre Dame cathedral but unfortunately it was closed for renovation.

We reserved the final day in Paris for the tour of Paris Saint German stadium which is one of the most famous stadiums in Europe. Our next visit was to Luxembourg Garden, which is owned by the French Senate, with its offices adjacent to the magnificent garden. It consisted of fountains, rows of statues, multicoloured flowerbeds and ponds with ducks swimming in it. It was a perfect place to enjoy the autumn, a place that inspired creativity. We kept the last evening in Paris for aimlessly roaming around the romantic streets enjoying with crepes and hot chocolates. Early next morning, our cab took us to the Charles de Gaulle Airport where we prepared to return home.

Europe has many layers to it, from the advancements in technology, to the unpolluted nature and the historical landmarks, preserved just like it was centuries years ago. This makes us want to visit Europe again and again.

- Shila Mukhopadhyay