তবে প্রকৃত মানুষ সে'ই, যে নিজের ভুলটা কপটতাশূন্যে স্বীকার করে।
পৃথিবীর কোনো মানুষই ভুলের ঊর্ধে নয়। মানুষ মনভোলা বলে সহজে সবাই বলে, ভুলতো মানুষেরই হয়। ভুল করেনি এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। মানুষ নিজের অজান্তেই ভুল করে নাকি ইচ্ছাকৃত ভুল করে সেটাই জানার বিষয়।
সৃষ্টির সময় মহান প্রভূ মানুষকে জ্ঞানের স্বল্পতা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন এ কথা সবার জানা, তবু তিনি ঘোষণাও করে দিয়েছেন। মানুষ ঐ সামান্য জ্ঞান নিয়েই লাফালাফি করে। মানুষ তার জ্ঞানের স্বল্পতার কারণেই ভুল করবে এটাও স্পষ্ট। তাই যেখানে মানুষ আছে সেখানে ভুলও থাকবে।
মানুষের স্বভাব দোষ করা, অনিয়ম করা, ভুলে যাওয়া, অস্বীকার করা। ভুলের বিপরীতে ক্ষমা ও শাস্তি পাওয়া। যারা ক্ষমা পাওয়ার উপযুক্ত তারা ক্ষমায় ভুল সংশোধন করেন যারা শাস্তির উপযুক্ত তারা শাস্তিতে নিস্তার পান। ভুল ও অপরাধ যেখানে ক্ষমা ও শাস্তি সেখানে। মানুষ যখন অতি সভ্য হতে চলেছে তখন মানুষ ইচ্ছাকৃত অতি ভুল করে চলেছে। জগতে সমস্যা হলো ইচ্ছাকৃত ভুল নিয়ে। ইচ্ছাকৃত ভুল মানুষ স্বীকার করে না কিন্তু অনিচ্ছাকৃত ভুল স্বীকার করে ও নিজে স্বস্তি লাভ করে।
ভুল থেকে শিক্ষা নেয়া জরুরি, ভুলই মানুষকে উন্নত করে। ভুলের কারণে মানুষ শেখে, ভুলে সংশোধন হয়। জগতের প্রতিটি মানুষ ভুল করে। তবে এর মধ্যে তারাই উত্তম যারা ভুল স্বীকার করে, ভুলের জন্য ক্ষমা চায় এবং দ্বিতীয়বার ভুল না করার প্রতিশ্রুতি দেয়। যারা ইচ্ছাকৃত ভুল করেন তাদের ব্যাপারে এ বক্তব্য নয়। ভুল স্বীকার করে প্রভুর নিকট ক্ষমা পাওয়া তথা আল্লাহর নৈকট্য লাভে বাহিরের পবিত্রতার চেয়ে নফসের পবিত্রতা জরুরি। যার অন্তরে পবিত্রতা নেই, হাজারো ওযু গোসল করেও তার ভুল স্বীকার করায় কোন কাজ হবে না।
আল্লাহ প্রত্যেকটি মানুষের গোপন ও প্রকাশ্য প্রতিটি পদক্ষেপের খবর রাখেন। কোন কিছুই তার অজানা নয়। হযরত আবু জর গিফারি সূত্রে রাসূল (সা.) এরশাদ করেন, আল্লাহ বলেন- হে আমার বান্দারা! তোমরা সবাই পথভ্রষ্ট, একমাত্র সে ছাড়া, যাকে আমি নিজে পথের সন্ধান দিয়েছি।
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ আর নেই। শনিবার সকালে ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
সাহাবুদ্দীনের জামাতা অধ্যাপক আহাদুজ্জামান মোহাম্মদ আলী সাংবাদিকদের বলেন, শনিবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সাবেক রাষ্ট্রপতি সাহাবু���্দীন আহমদ ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
সাহাবুদ্দীন আহমদের দুই ছেলে গুলশানের বাসায় বাবার সঙ্গেই থাকেন। তার দুই মেয়ে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে রয়েছেন।
নব্বইয়ের আন্দোলনে এইচ এম এরশাদ সরকারের পদত্যাগের পর নাটকীয়তার মধ্যে আকস্মিকভাবে রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্বে আসেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ।
এরশাদ পদত্যাগ করার পর রাষ্ট্রপতির পদে কে আসবে, নির্বাচন পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান কে থাকবেন- সেই প্রশ্নে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ আন্দোলনে অংশ নেওয়া দলগুলো একমত হতে পারছিল না। পরে প্রধান বিচারপতিকে সেই দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়ে সমঝোতা হয়। আবার সুপ্রিম কোর্টে ফেরার শর্ত দিয়ে সাহাবুদ্দীন আহমদ তাতে রাজি হন।
মওদুদ আহমেদ উপ-রাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলে সেই দায়িত্বে আসেন সাহাবুদ্দীন। ৬ ডিসেম্বর এরশাদ ক্ষমতা ছাড়লে সাহাবুদ্দীন হন রাষ্ট্রপতি। পরে তার নেতৃত্বাধীন নির্দলীয় সরকারের অধীনে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়।
নির্বাচনের পর আবার প্রধান বিচারপতির পদে ফেরেন তিনি। তার সেই ফেরার জন্য দেশের সংবিধানেও পরিবর্তন আনতে হয়েছিল। চাকরির মেয়াদ শেষে ওই পদ থেকেই অবসরে যান তিনি।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এই দলের প্রার্থী হিসেবে সংসদীয় সরকার পদ্ধতিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন সাহাবুদ্দীন আহমদ। ২০০১ সালের ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত তিনি সেই দায়িত্বে ছিলেন।
দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগে ২০১৮ সালে ৮০ বছর বয়সে মারা যান সাহাবুদ্দীন আহমদের স্ত্রী আনোয়ারা আহমদ।
তাদের পাঁচ সন্তানের মধ্যে সবার বড় ড. সিতারা পারভীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। ২০০৫ সালের ২৩ জুন যুক্তরাষ্ট্রে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি।
বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমেদ ১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার পেমই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম তালুকদার রিসাত আহমেদ; তিনি একজন সমাজসেবী ও এলাকায় জনহিতৈষী ব্যক্তি হিসাবে পরিচিত ছিলেন। সাহাবুদ্দীন নান্দাইলে তার বোনের বাড়িতে বড় হন।
কিভাবে ৩০০ উইকেট হয়ে গেল, নিজেও বুঝলাম না’ ————————————————————— মাত্র পঞ্চম বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ৩০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন মঙ্গলবার রাতে। ৪ হাজার রান হয়ে গিয়েছিল আগেই। এই দুইয়ের ‘ডাবল’ কীর্তি এতদিন ছিল মাত্র আর এক জন ক্রিকেটারের। অসাধারণ ডাবল অর্জনের পরদিন মুম্বাই থেকে হায়দরাবাদে ফেরার পথে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে কথা বললেন সাকিব আল হাসান। জানালেন তার অর্জনের অনুভূতি; নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে এবারের আইপিএল অভিযান নিয়ে অনেক কিছু। অভিনন্দন, টি-টোয়েন্টিতে ৩০০ উইকেট মানে তো অনেক বড় অর্জন! সাকিব আল হাসান: আমারও কাল থেকে এটিই মনে হচ্ছে। টি-টোয়েন্টিতে উইকেট তো বেশি পাওয়া যায় না। চার ওভার বোলিংয়ের ক্রিকেটে ৩০০ উইকেট মানে অনেক উইকেট। ভালো লাগছে তো বটেই। অবাকও লাগছে। নিজেও বুঝলাম না কিভাবে ৩০০ উইকেট হয়ে গেল! তিনশর কাছে গিয়ে একটি উইকেটের অপেক্ষায় দুই ম্যাচ কেটেছে উইকেটশূন্য। একটু অস্থিরতা কাজ করছিল ভেতরে? সাকিব: নাহ, আমি তো এসব এত ভাবিই না। লোকজনই মনে করিয়ে দিচ্ছিল। অনেকের ম্যাসেজ পাচ্ছিলাম। আমি তো জানতাম, আজ হোক বা কাল, এটি তো হবেই। মজার ব্যাপার হলো, আগের দুই ম্যাচের আগে অনেক ম্যাসেজ পেয়েছি, আগাম অভিনন্দন পেয়েছি। সেই দুই দিন হয়নি। যেদিন ম্যাসেজ পাইনি, সেদিনই ৩০০ হলো। ৩০০ ছোঁয়ার হওয়ার পর ঠিক ওই মুহূর্তের অনুভূতি কেমন ছিল? সাকিব: বোলিংয়ের আগে ৩০০ উইকেটের কথা মাথায় ছিল না। দলের জয়ের জন্য উইকেট দরকার, সেটিই ছিল ভাবনায়। উইকেট পেয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অবশ্য মনে পড়েছে। ভালো না লাগার তো কোনো কারণ নেই। ৩০০ উইকেট খুব বেশি জনের নেই। যেটা বললাম আগে, নিজের কাছেই বারবার মনে হচ্ছে, এতগুলো উইকেট! কিভাবে কিভাবে যেন হয়ে গেল ৩০০। ৩০০তম উইকেটও বেশ বড় শিকার, রোহিত শর্মা… সাকিব: বড় উইকেট, তবে আরও বড় হয়ে উঠেছিল আসলে ম্যাচের পরিস্থিতির কারণে। আমাদের রান কম ছিল, রোহিত সেট হয়ে গেলে ম্যাচ হাতছাড়া হয়ে যেত। আমাকে বোলিংয়ে আনাই হয়েছিল উইকেট নেওয়ার জন্য। দ্রুতই দলকে সেই উইকেট এনে দেওয়া ছিল বেশি তৃপ্তির। ৩০০ উইকেট ও ৪ হাজার রানের ডাবলও পূরণ করেছেন এই ম্যাচে। যদিও সব সময় বলে আসছেন, ব্যক্তিগত অর্জন কখনোই আপনাকে খুব আন্দোলিত করে না। এরপরও এত বড় অর্জনের রোমাঞ্চ কি খানিকটা স্পর্শ করছে না? সাকিব: করছে না বললে ভুল হবে। হয়ত প্রকাশের ধরনে খুব উচ্ছ্বাস নেই। সেটা আমার কখনোই থাকে না। তবে ভালোলাগা তো আছেই। এই ডাবল তো কেবল আর একজনের আছে। আমি জানি এটা অনেক বড় অর্জন। যে দলের হয়ে যেখানে খেলি না কেন, আমি চেয়েছি প্রতিটি ম্যাচেই ভালো করতে। সেই চেষ্টায় একটু একটু করে এগিয়েই এসব অর্জন। এই মাইলফলকগুলো মনে কর
0 notes
Statistics
We looked inside some of the posts by
jamalhayder
and here's what we found interesting.
Average Info
Notes Per Post
4
Likes Per Post
4
Reblog Per Post
0
Reply Per Post
0
Time Between Posts
5 months
Number of Posts By Type
Text
13
Photo
2
Explore Tagged Posts
Fun Fact
70% of Tumblr users say the Dashboard is their favorite place to spend time online.