Tumgik
#পাকস্থলীর ক্যান্সার
the-monsur-blog · 1 year
Text
চুল ও ত্বকের এবং শরীরের যত্নে সুন্নতী জয়তুন তেল। (৩)
১৩,মাথার ত্বককে ময়েশ্চারাইজড করতে ও শুষ্কতা প্রতিরোধ করতে জয়তুন তেল অত্যন্ত কার্যকরী উপাদান। চুলের সমস্ত প্রয়োজনীয় উপাদান জয়তুন তেল দিয়ে তৈরি। চুলের সঠিক পুষ্টি, কন্ডিশনিং করতে সাহায্য করে। চুলকে নরম ও মসৃণ করতে, হাইড্রেট করতে, চুলের গোড়া মজবুত করতে জয়তুন তেলের বিকল্প নেই।
১৪,জয়তুন তেল রয়েছে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য, যা একটি প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। মাথার ত্বকে খুশকি ও শুষ্কতা দূর করতেও সাহায্য করে। জয়তুন তেল থাকা কিছু অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট খুশকির কারণে যে জ্বালাভাব, চুলকানি ও প্রদাহ তৈরি হয়, তা প্রশমন করতে সাহায্য করে।
১৫,জয়তুন তেল ব্যবহারে চুলের প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও আর্দ্রতা বজায় থাকে। তাতে চুল হয় মসৃণ ও ঝলমলে। চুল ঝরে যাওয়ার সমস্যা কমাতে জয়তুন তেল জুড়ি নেই। স্বাস্থ্যকর ও ঝলমলে করে তুলতেও জয়তুন তেল ব্য়বহার করতে পারেন। এতে রয়েছে স্কোয়ালিন ও ওলিক অ্যাসিডের মত উপাদান, যা চুলের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায় ও বিভক্ত হওয়া প্রতিরোধ করে।
১৬, জয়তুনে আছে ভিটামিন ই। এটা শরীরে যেভাবে প্রয়োগ করা হোক না কেন আলট্রাভায়োলেট রেডিয়েশন থেকে চামড়াকে রক্ষা করে। যা স্কিন ক্যান্সার থেকে মানুষকে রক্ষা করে। হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার পর কয়েক ফোঁটা জলপাই তেল মুখে মাখলে দারুণ উপকার পাওয়া যায়। গোসলের আগেও জয়তুন তেল শরীরে মাখলে অনেক ধরনের সমস্যা থেকে চামড়া ভালো থাকে।
১৭, জয়তুন তেল অ্যালার্জি প্রতিরোধে সহায়তা করে। জয়তুনে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি। যা ত্বকের ইনফেকশন ও অন্যান্য ক্ষত সারাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
১৮,ইমাম আস-সুয়ুতি মন্তব্য করেছেন যে মলম হিসাবে জলপাই তেল ব্যবহার করলে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে মজবুত হবে এবং ফলস্বরূপ ব্যথা বেদনা দুর হবে।
১৯,তিনি আরও মন্তব্য করেন যে মাড়ির উপর সাধারণ লবণ দিয়ে জয়তুন তেল মালিশ করা মাড়ি এবং দাঁতের বিভিন্ন রোগের প্রতিকার।
২০,দীর্ঘস্থায়ী আলসার এবং ফোঁড়া, যা নিরাময়ের কঠিন অবস্থা দেখায়, সাধারণত জয়তুন তেল ব্যবহারে সেরে যায়।
২১,মানুষের শরীর সহজেই জলপাই তেল শুষে নেয়।
২২,জলপাইয়ের তেলের স্থানীয় প্রয়োগ বা জলপাইয়ের পাতার গুঁড়ো করা পানি ফোঁড়া, ফুসকুড়ি এবং চুলকানিতে কার্যকর।
খাবারে জয়তুন তেল:
১,‘খাবারে জয়তুনের তেল ব্যবহারের ফলে শরীরের ব্যাড কোলেস্টরেল নিয়ন্ত্রণ হয় এবং গুড কোলেস্টেরল জন্ম হয়। তাছাড়া পাকস্থলীর জন্য এ তেল অনেক উপকারী।
২,যখন মানুষের হৃদপিণ্ডের রক্তনালীতে চর্বি জমে, তখন হার্টএ্যটাক করার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি থাকে। জয়তুনের তেল অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হার্ট ব্লক হতে বাধা দেয়। জয়তুনে রয়েছে মনো-স্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা আমাদের হার্টের জন্য উপকারী।
১০০% বিশুদ্ধ সুন্নতী জয়তুন ফল ,সুন্নতি জয়তুন তেল পাওয়া যাচ্ছে আন্তর্জাতিক সুন্নত প্রচারকেন্দ্রে 01782-255-244
0 notes
donetbd · 2 years
Text
পাকস্থলীর ক্যান্সার কেন হয়, লক্ষণ
পাকস্থলীর ক্যান্সার কেন হয়, লক্ষণ
পাকস্থলীর ক্যান্সার সবচেয়ে জটিল রোগগুলোর মধ্যে একটি। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না নিতে পারলে বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দিতে পারে। অনেক সময় মৃত্যুও হতে পারে। এ রোগটি প্রাথমিক অবস্থায় নির্ণয় করা গেলে এবং অপারেশনের মাধ্যমে ক্যান্সার আক্রান্ত স্থান ফেলে দিলে রোগী সুস্থ হয়ে যেতে পারে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন বৃহদন্ত্র ও পায়ুপথ সার্জারি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. একেএম ফজলুল হক। রোগের প্রাথমিক অবস্থায়…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
hey7awhid · 2 years
Text
রোজা রাখার মাধ্যমে মানুষের নিম্ন লিখিত উপকার গুলো হয়-
১| দেহের সেল পরিস্কার হয়। ২| ক্যান্সার সেল ধ্বংস হয়। ৩| পাকস্থলীর প্রদাহ সেরে যায়। ৪| ব্রেইনের কার্যকরীতা বাড়ে। ৫| শরীর নিজে নিজেই সেরে যায় (Autophazy) ৬| ডায়াবেটিস ভালো হয়। ৭| বার্ধক্য রোধ করা যায়। ৮| স্থূলতা দূর হয়। ৯| দীর্ঘ জীবন লাভ করা যায়।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে রমজান মাসে সবগুলো রোজা রাখার তৌফিক দান করুক!
0 notes
msbangla · 4 years
Link
রক্ত :
রক্ত কি ? প্রশ্নটির উত্তর সাধারণভাবে দিলে বলা যায় শরীরের কোন অংশে কেটে গেলে লাল রঙের যে তরল পদার্থ বের হয়ে আসে তাই রক্ত । ইহা স্বাদে লবণাক্ত, অস্বচ্ছ, ঈষৎ ক্ষারীয় ও আঠালো চটচটে তরল পদার্থ । একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষের দেহে গড়ে ৫ থেকে ৬ লিটার রক্ত থাকে। প্রধানত অস্তিমজ্জায় রক্ত উৎপন্ন হয় । রক্তের উপাদান : রক্ত প্রধানত দুটি উপাদান নিয়ে গঠিত ।যথা :
·         ১। রক্তরস বা প্লাজমা
·         ২। রক্ত কণিকা
ব্লাড গ্রুপ সম্পর্কে বিস্তারিত - Details about blood group 
রক্তরস :
রক্তের হালকা হলুদ বর্ণের তরল অংশকে রক্তরস বা প্লাজমা বলে ।এই রক্তরসে রক্তকণিকা ভাসমান অবস্থায় থাকে ।রক্তরসে পানির পরিমাণ ৯২% । এছাড়াও রক্তরসে গ্লুকোজ, অ্যামাইনো এসিড, ফ্যাটি এসিড, গ্লিসারল, আমিষ (যেমন : অ্যালুবুমিন, ফিব্রিনোজেন), খনিজলবণ, হরমোন, ভিটামিন, ইউরিয়া, এন্টিবডি, অক্সিজেন, কার্বনডাইঅক্সাইড ও অন্যান্য বর্জ্য পদার্থ ।
রক্তের কাজ :
·         ১। রক্ত সারা দেহে পানি ও তাপের সমতা রক্ষা করে ।
·         ২। লোহিত রক্তকণিকা হিমোগ্লোবিনের মাধ্যমে ফুসফুস থেকে কোষে কোষে অক্সিজেন পরিবহণ করে ।
·         ৩। শ্বেত রক্তকণিকা ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায়য় রোগজীবাণু ধ্বংস করে দেহকে সুস্থ রাখে ।
·         ৪। দেহের কোন স্থান কেটে গেলে অনুচক্রিকা সে সস্থানে রক্ত জমাট বাঁধায় । ফলে ক্ষতস্থান থেকে রক্তপাত বন্ধ হয় ।
·         ৫। রক্তরসের মাধ্যমে কার্বন ডাইঅক্সাইড, ইউরিয়া, হজমকৃত খাদ্যবস্তু(যথা : গ্লুকোজ, অ্যামিনো এসিড, ফ্যাটি এসিড, গ্লিসারল), হরমোন ইত্যাদি দেহের বিভিন্ন অংশে পরিবাহিত হয় ।
রক্ত, রক্তের গ্রুপ এবং কে কাকে রক্ত দিতে পারবে
রক্ত এক ধরনের যোজক কলা।রক্ত প্রধানত অস্থি মজ্জায় উৎপন্ন হয়। একজন পুর্ন বয়স্ক সুস্থ মানুষের  দেহে  গড়ে ৫ থেকে ৬ লিটার
রক্ত থাকে। রক্তের প্রধান দুটি উপাদান থাকে –
১) রক্ত রস বা প্লাজমা- রক্তের হাল্কা হলুদ বর্নের তরল পদার্থ কে প্লাজমা বলা হয়।প্লাজমা তে রক্ত কনিকা ভাসমান থাকে রক্ত রস বা প্লাজমাতে শতকরা ৯২ ভাগ পানি থাকে।এছাড়াও থাকে গ্লুকোজ, অ্যামাইনো এসিড, ফ্যাটি এসিড, গ্লিসারল, খনিজ লবন, হরমোন, ভিটামিন, ইউরিয়া, এন্টিবডি, অক্সিজেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড, ও অন্যান্য  বর্জ।
২)রক্ত কণিকা- রক্ত কণিকা রক্ত রসের মধ্যে ছড়ানো থাকে। রক্তে শতকরা ৪৫ ভাগ রক্ত কণিকা থাকে। আমাদের রক্তে তিন ধরনের রক্ত কণিকা রয়েছে- লোহিত রক্ত কণিকা, শ্বেত রক্ত কনিকা ও অণুচক্রিকা। রক্তের কাজ - *রক্ত সারা দেহের পানি ও তাপের সমতা রক্ষা করে।
*লোহিত রক্ত কনিকা হিমোগ্লোবিনের সাহায্যে ফুস ফুস থেকে কোষে অক্সিজেন পরিবহন করে।
*শ্বেত রক্ত কণিকা রোগ জীবাণু ধ্বংস করে আমাদের দেহ কে সুস্থ রাখে।
 * দেহের কোন স্থানে কেটে গেলে অণুচক্রিকা রক্ত জমাট বাধতে সাহায্য করে ফলে ক্ষত স্থান থেকে রক্তপাত বন্ধ হয়।
* রক্ত রসের মাধ্যমে গ্লুকোজ, অ্যামাইনো এসিড,কার্বন ডাইঅক্সাইড,  ইত্যাদি দেহের বিভিন্ন  স্থানে পরিবাহিত হয়।
 রক্তের গ্রুপ-
 আমরা জানি মানুষ ভেদে রক্তের গ্রুপের পার্থক্য হয়। সাধারণত A+, A-, B+, B-, AB+, AB-, O+, O- গ্রুপের রক্ত থাকে । এর  মধ্যে পৃথিবী তে সবচেয়ে O+ গ্রুপের মানুষের সংখ্যা বেশী। নিচে এশিয়ান দের  রক্তের গ্রুপের শতকরা হার দেয়া হল O+ =39% O- =1% A+=27% A- =0.5% B+ =25% B- =0.4% AB+ =7% AB- = 0.1%   কে রক্ত দিতে পারবে- প্রাপ্ত বয়স্ক যেকোন সুস্থ মানুষ অন্যক��� রক্ত দিতে পারে। রক্ত দেয়ার জন্য উপযুক্ত-  মহিলা ও পুরুষ যাদের বয়স ১৮- ৪৫ বছর। পুরুষদের ক্ষেত্রে অবশ্যই  ৪৭ কেজি বা তার উর্ধে হতে হবে এবং মহিলা দের ক্ষেত্রে  ৪৫ কেজি বা তার উর্ধে হতে হবে। যারা রক্ত দিবেন না- যাদের ৩ বছরের মধ্যে  জন্ডিস হয়েছে, যাদের রক্ত বাহিত জটিল রোগ রয়েছে। ৪মাসের মধ্যে যারা রক্ত দিয়েছে। যারা ৬ মাসের মধ্যে বড় কোন অস্ত্রোপাচার করিয়েছেন। মহিলাদের ক্ষেত্রে যারা গর্ভবতী অথবা যাদের মাসিক বা ঋতু স্রাব চলছে।
 রক্ত দানের সাধারন তথ্য –
১) এক ব্যাগ রক্ত দিলে শরীরের কোন ক্ষতি হয় না।
২) রক্ত দানের ৫- ২১ দিনের মধ্যে ঘাটতি পূরণ হয়ে যায়।
৩) রক্ত দিলে হাড়ের বোনম্যারোতে নতুন রক্ত কণিকা তৈরিতে উদ্দীপনা আসে।
৪) রক্ত দানের পর প্রয়োজন মত পানি খেয়ে নিলে জলীয় অংশের ঘাটতি পূরণ হয়।
 রক্ত দানে সাবধানতা-
১) ব্যবহৃত সূচ সিরিঞ্জ জীবাণু মুক্ত কি না জেনে নিন। ২) খালি পেটে রক্ত দিবেন না। ৩) রক্ত দানের পুর্বে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জেনে নিন। ৪) পরিচিত ও বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠানে রক্ত দিন। নিচের সারণী থেকে আমরা সহজেই দেখে নিতে পারি কে কাকে রক্ত দিতে পারে বা কে কার কাছ থেকে  রক্ত নিতে পারে-
রক্তের গ্রুপ
যাদের দিতে পারবে
যাদের কাছ থেকে নিতে পারবে
A+
A+  AB+
A+   A-  O+  O-
A-
A+   A-   AB+  AB-
   A-   O-
AB+
AB+
সকল গ্রুপ
AB-
AB+  AB-
       A-   B-  O-  AB-
B+
B+   AB+
B+  B-  O+  O-
B-
B+  B-   AB+  AB-
B-   O-
O+
A+  B+   AB+  O+
O+  O-
O-
সকল গ্রুপ
O-
কোন ব্লাড গ্রুপে কোন রোগের ঝুঁকি বেশি
রক্তের গ্রুপ পজিটিভ না নেগেটিভ সেই নিয়েই এত দিন বেশি মাথা ঘামাতো মানুষ। বিশেষ করে বিয়ের ক্ষেত্রে রক্তের গ্রুপ ম্যাচিং অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ এর সঠিক ম্যাচিংয়ের ওপরই নির্ভর করে পরবর্তী প্রজন্মের সুস্থতা। 
এছাড়া যদি হয় 'ও' নেগেটিভ। তাহলে তো বড় অসুখ সহজেই হামলা করে বসতে পারে। তাই ‌'ও' নেগেটিভ গ্রুপের মানুষকে আগে থেকেই অতিরিক্ত সচেতন থাকতে হয়। তবে শুধু নেগেটিভ বা পজেটিভ নয়, 'এ', 'বি', 'ও' এবং 'এবি' গ্রুপের ওপরও নির্ভর করে নানা রোগের ধরণ ও প্রবণতা। আসুন জেনে নিই কোন গ্রুপের রক্তবহনকারীকে কোন কোন রোগ থেকে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
১. হৃদরোগ
যাদের রক্তের গ্রুপ এবি বা বি তাদের হার্টের রোগ বা হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি থাকে প্রবল। আর যাদের ও গ্রুপের রক্ত তাদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
২. আলসার
যাদের রক্তের গ্রুপ ও তাদের অন্য আর যে কারুর চেয়ে আলসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। ও গ্রুপের রক্তধারীদের পাকস্থলীর আলসার হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
৩. রক্ত জমাট বাধা
এ ও বি গ্রুপের রক্তের অধিকারীদের ৩০% ঝুঁকি থাকে এই সমস্যা হওয়ার। আর যাদের রক্তের গ্রুপ ও তাদের রক্ত জমাট বাধার ঝুঁকি কম। আর এবি গ্রুপের রক্ত আছে যাদের তাদের রক্ত জমাট বাধার ঝুঁকি ২০%। এ থেকে স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।
৪. গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সার
ও গ্রুপের রক্তধারী লোকদের গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কম। কিন্তু অন্যান্য রক্তের গ্রুপধারীদের এবং বিশেষ করে এ গ্রুপের রক্তধারীদের গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সার ঝুঁকি অনেক বেশি।
৫. অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার
ও গ্রুপের রক্তধারীদের অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কম। কিন্তু এ গ্রুপের রক্তধারীদের অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি ৩২% আর এবি গ্রুপের রক্তধারীদের এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৫১%।
৬. স্মৃতির দুর্বলতা
এবি গ্রুপের রক্তধারীদের শেষ বয়সে গিয়ে স্মৃতির দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। জার্নাল নিউরোলজিতে প্রকাশিত গবেষণা মতে, যাদের রক্তের গ্রুপ এবি তারা জ্ঞানীয় দক্ষতার পারফর্মেন্স টেস্টে কম স্কোর পেয়েছেন। এবি গ্রুপের রক্তের জমাট বাধা এবং রক্তের প্রোটিনজনিত কিছু সমস্যার কারণে স্মৃতির এই সমস্যা হয় বলে জানা গেছে। এর পূর্ণ কোনো ব্যাখ্যা এখনো জানা যায়নি।
৭. মানসিক চাপ
এ গ্রুপের রক্তধারীরা মানসিক চাপ সহজে মোকাবিলা করতে পারেন না। কেননা এ গ্রুপের রক্তধারীদের দেহে কর্টিসোল হরমোনের নিঃসরণ হয় বেশি। আর ও গ্রুপের রক্তধারীদের দেহে কর্টিসোল নিঃসরণ হয় কম। কিন্তু মানসিক চাপের সময় তাদের দেহে অতিরিক্ত অ্যাড্রেনালিন নিঃসরণ ঘটে। যে কারণে তারা তাদের সিস্টেমে থাকা কোনো কর্টিসোল পরিষ্কার করতে পারেন না। ফলে তারাও মাননিসক চাপ মোকাবিলা করতে পারে না সহজে। এজন্য এই ধরনের মানসিক অবসাদের রোগীদেরকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে মনোচিকিৎসা দিতে হয়।
৮. বি গ্রুপের রক্তধারীদের দেহ অসংখ্য ব্যাকটেরিয়ায় পূর্ণ
আপনার রক্তের গ্রুপ যদি হয় বি তাহলে আপনি ভাগ্যবান। কারণ আপনার দেহ অসংখ্য ব্যাকটেরিয়ায় পরিপূর্ণ। তবে ভয়ের কিছু নেই। এগুলো সব উপকারী ব্যাকটেরিয়া। এগুলো হজম প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী রাখতে এবং বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়াদের দূরে রাখতে সহায়ক ভুমিকা পালন করে। বি গ্রুপের রক্তধারীদের দেহে ও বা এ গ্রুপের রক্তধারীদের চেয়ে ৫০ হাজার গুন বেশি ভালো ব্যাকটেরিয়া থাকে। তার মানে বি গ্রুপের রক্তধারীদের হজমশক্তি বেশি হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বেশি শক্তিশালী থাকে।
সন্তান জন্মে রক্তের প্রক্রিয়া
নারী ও পুরুষের রক্তের গ্রুপ একই হলে সন্তান সন্তান জন্মের সমায় অনেক জঠিল সমস্যার পড়তে হয়। নর-ন���রী রক্তের গ্রুপ একই হলে কেমন সন্তান জন্ম হয় তার একটি প্রক্রিয়া তুলে ধরা হল
স্বামী-স্ত্রী রক্তের গ্রুপ একই হলে কি কোনো সমস্যা
স্বামীর রক্তের
 গ্রুপ
স্ত্রীর রক্তের
গ্রুপ
সন্তানের শারিরিক অবস্থা
পজিটিভ (+)
পজিটিভ (+)
সুস্থ সন্তান
নেগেটিভ (-)
পজিটিভ (+)
সুস্থ সন্তান
নেগেটিভ (-)
নেগেটিভ (-)
সুস্থ সন্তান
কিন্তু
স্বামীর রক্তের গ্রুপ
স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ
প্রথম সন্তানের রক্তের গ্রুপ
প্রতিষেধক
প্রয়োজন?
পজিটিভ (+)
নেগেটিভ (-)
প্রথম সন্তান নেগেটিভ গ্রুপ
না
দ্বিতীয় সন্তান পজিটিভ গ্রুপ
ইনঞ্জেকশন দিতে হবে
অর্থ্যাৎ পজিটিভ গ্রুপের সন্তান হলে মাকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে RH ANTI-D ANTIBODY ইনঞ্জেকশন দিতে হবে।
0 notes
Text
গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্তির সহজ উপায় | How to cure stomach ulcer permanently home remedies
নমস্কার দর্শক বন্ধুরা Bangla Health Solution ওয়েবসাইটে আপনাদের সকলকে স্বাগতম। আজ আমি আপনাদেরকে বলবো
গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্তির সহজ  উপায় | How to cure stomach ulcer permanently home remedies|
আলসার Ulcers
 পেটের যে বিভিন্ন রােগ রয়েছে এর মধ্যে আলসার একটি বড় রােগ। আলসার একদিনে হয় না আবার হঠাৎ করে কোনও সমস্যাও দেখা দেয় না। বিভিন্ন কারণে পেটের ভেতরে যদি কোনও সমস্যা থাকে, তবে তা ধীরে ধীরে আলসারের দিকে এগিয়ে যায়। আলসার হলে প্রথম প্রথম বদহজম হয়, বুক জ্বালা করে এবং টক চেঁকুর ওঠে। এ ধরনের উপসর্গ অতি সাধারণ এবং এত
   stomach ulcer
মানুষের মধ্যে এ ধরনের উপসর্গ রয়েছে যে, ব্যাপারটাকে আমরা তেমন গুরুত্ব দেই না। এ ধরনের সমস্যা হলেই আমরা এন্টাসিড় খেয়ে নেই। এভাবে এন্টাসিড খাওয়াটা আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। এরপর আমরা যখন দেখি আমাদের রােগ ভাল হচ্ছে না তখনই আমরা ডাক্তারের কাছে ছুটে যাই।
আলসারের কারণ Causes of ulcers
 আমাদের পাকস্থলী কিংবা স্টমাকে যদি কোনও ভাবে এসিড বেশি উৎপন্ন হয় তাহলেই আলসার দেখা দেয়। অনেক সময় গলব্লাডারে পাথর হওয়ার জন্যও এ রকম হয়ে থকে। প্রতিটি মানুষের পাকস্থলীতে কিছু ব্যাকটেরিয়া থাকে। অনেক সময় এই ব্যাকটেরিয়া থেকে আলসার হয়। আবার খাওয়া দাওয়ার অনিয়ম কিংবা অতিরিক্ত টেনশন থেকেও আলসার হয়ে থাকে।
আলসারের লক্ষণ Symptoms of ulcers
১। গলা, বুক ও পেট জ্বালা করে।
২। ওপরের পেটের মাঝখানে কিংবা সামান্য ডান দিকে ব্যথা হয়।
৩। পেট যখন খালি থাকে তখনই ব্যথা বাড়ে।
৪। কিছু খেলে কিংবা যখন এন্টাসিড খাওয়া হয় তখন জ্বালা কমে যায়।
৫। অনেক সময় রক্ত বমি বা কালাে পায়খানা হতে পারে।
আলসারের প্রকারভেদ Types of ulcers
 আলসার সাধারণত দু'রকমের হয়ে থাকে। পেটের যে কোনও আলসারকেই ডাক্তারি পরিভাষায় পেপটিক আলসার বলা হয়ে থকে। পেপটিক আলসারের দুটো ভাগ রয়েছে।
এর একটি হচ্ছে ডিয়ােডিনাল আলসার। এই আলসার পাকস্থলীতে হয় না এবং এটি অপেক্ষাকৃত কম ক্ষতিকর। এ আলসারের থেকে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা নিরানব্বই ভাগ ক্ষেত্রেই থাকে না।
গ্যাস্ট্রিক আলসার Gastric ulcer
 এই আলসার পাকস্থলীর মধ্যে হয় এবং এই আলসার হলে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা দেখা দেয়। এই আলসার হলে রক্ত বমি হয় এবং শরীরের ওজন কমে যায়। ক্ষুধা কমে যায় এবং ওপরের পেটে ব্যথা থাকে। এভাবে কোনও না কোনও কষ্ট লেগেই থাকে। ঠিক সময়ে যদি এ আলসারের চিকিৎসা না হয় তবে এর থেকে ক্যান্সারও হয়ে যেতে পারে।
আলসার হলে করণীয় Causes of ulcer
১। নিয়মিত ভাবে এবং ঠিক সময়মত খাওয়া দাওয়া করতে হবে।
২। যদি মনে করে থাকেন যে, আলসার হয়েছে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৩। নিয়মিত ও সময়মত ঘুমােতে হবে। দুঃশ্চিন্তা পরিহার করতে হবে।
৪। আস্তে আস্তে চিবিয়ে খাবার গ্রহণ করতে হবে। চিবানাে একটি অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য হজমের কাজের অংশবিশেষ। মুখের লালায় যে এনজাইম আছে তা খাদ্যকে সহজপাচ্য করে এবং পাকস্থলীর হজম শক্তিকে সহায়তা
কি করা উচিত নয়
১। অকারণ টেনশন পরিহার করুন।
৩। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাবেন না।
৪। কোনও অবস্থাতেই মদ্যপান করবেন না।
৫। ধূমপান বন্ধ করুন
৬। অনুসন্ধান করুন কোন্ কোন্ খাদ্য আপনার পাকস্থলীকে অশান্ত করে। এবং যথাসম্ভব তা এড়িয়ে চলুন।
৭। হালকা মশলাযুক্ত খাবার আলসারের রােগী খাবেন। যে সকল খাবার সহজপাচ্য এবং ঝালবিহীন তরল খাবার খাবেন।
৮। অতিরিক্ত ঝাল, টক এবং মশলাযুক্ত খাবার বর্জন করুন।
৯। চটপটি, ফুচকা ইত্যাদি খাবার খেলে আলসার তাে হতেই পারে সেই সাথে জণ্ডিস এবং টাইফয়েডও হতে পারে। 
অন্যান্য কিছু নিয়ম 
জীবনযাত্রাকে নিয়মমাফিক করা উচিত, গ্রামের মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা নিয়মমাফিক বলে তাদের এ ধরনের রােগ কম হয়। পক্ষান্তরে শহরের জীবন টেনশনের এবং প্রয়োজনে অপ্রয়ােজনে ওষুধ সেবনের কারণেও এ ধরনের রােগ হয়ে জীবনকে দুর্বিসহ করে তুলছে।
এজন্য কিভাবে মনােদৈহিক রিলাক্স অনুভব করবেন তা শিখে নিয়ে মানসিক চাপ কমাবেন। নিয়মিত ব্যায়ামের চেষ্টা করুন কিন্তু কোনও কষ্টসাধ্য কাজ করবেন না যা আপনি সহ্য করতে পারেন না। মুধু ব্যায়াম আপনাকে সাহায্য করবে মানসিক ও শারীরিক সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে।
Please Like, Comment, Share and Subscribe THANK YOU!
via Blogger https://ift.tt/2w07OLJ
0 notes
gnews71 · 5 years
Photo
Tumblr media
জেনে নিন, মুখের দুর্গন্ধ দূর করার উপায়? আমাদের শরীরের ভেতরকার বিভিন্ন অসুখের কারণে দেখা দিতে পারে মুখে দুর্গন্ধ। পেপটিক আলসার, কিডনি রোগ, লিভারের রোগ, গলা বা পাকস্থলীর ক্যান্সার, হাইপার টেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, নাক, কান, গলার রোগ ইত্যাদির কারণেও মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। এছাড়া প্রতিবার খাবার গ্রহণে মুখের ভিতরে খাদ্য আবরণ দাঁতের ফাঁকে, মাড়ির ভিতর জমে থেকে ডেন্টাল প্লাক সৃষ্টি এবং তা থেকে মাড়ির প্রদাহ (পেরিওডেন্টাল ডিজিজ) হতে পারে। তাই নিয়মিত দাঁত পরিষ্কার না করলেও হতে পারে মুখে দুর্গন্ধ। চলুন জেনে নেই কী করলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়- দিনে অন্তত ২ বার দাঁত ব্রাশ করা দরকার। এতে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী, ব্যাক্টেরিয়া বা জীবাণু মুখে বাসা বাঁধতে পারে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, মুখের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য গ্রিন টি বা যেকোনো কালো চা (ব্ল্যাক টি) খুবই উপকারী। চা মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাক্টেরিয়া বা জীবাণুগুলোকে জন্মাতেই দেয় না। মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করলে মুখের দুর্গন্ধ কমে যায়। এসেন্সিয়াল অয়েলযুক্ত মাউথ ওয়াশ ব্যবহারে মুখের দুর্গন্ধ কমে যায়। মাউথ ওয়াশে টি ট্রি অয়েল, পিপারমেন্ট অয়েল এবং লেমন অয়েল থাকলে তা খুবই উপকার দেয় মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে। পার্সলে, রোজমেরি জাতীয় হার্বস ভেষজ উপাদান চিবালে মুখের দুর্গন্ধের সমস্যা কমে যায়। গাজর, আপেল জাতীয় ফল নিয়মিত খেলে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী জীবাণু মুখে বাসা বাঁধতে পারে না। জিভ সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে। কোনোকিছুতেই যদি কোনো কাজ না হয় তাহলে অবশ্যই চিকিত্সকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
0 notes
eyenewsbd · 5 years
Text
কী করলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়?
কী করলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়?
আমাদের শরীরের ভেতরকার বিভিন্ন অসুখের কারণে দেখা দিতে পারে মুখে দুর্গন্ধ। পেপটিক আলসার, কিডনি রোগ, লিভারের রোগ, গলা বা পাকস্থলীর ক্যান্সার, হাইপার টেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, নাক, কান, গলার রোগ ইত্যাদির কারণেও মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। এছাড়া প্রতিবার খাবার গ্রহণে মুখের ভিতরে খাদ্য আবরণ দাঁতের ফাঁকে, মাড়ির ভিতর জমে থেকে ডেন্টাল প্লাক সৃষ্টি এবং তা থেকে মাড়ির প্রদাহ (পেরিওডেন্টাল ডিজিজ) হতে…
View On WordPress
0 notes
binodontuberblr · 6 years
Video
youtube
গ্যাস্ট্রিক আলসার হওয়ার ঝুঁকি থেকে বাচুন | Gastric Ulcer Treatment in Bangla সময়মতো পেপটিক আলসারের চিকিৎসা না করলে পাকস্থলী ফুটো, রক্ত বমি, কালো পায়খানা, রক্তশূন্যতা, ক্যান্সার হতে পারে এবং পৌস্টিক নালীর পথ সরুও হয়ে যেতে পারে। এখন থেকেই সাবধান হয়ে যান। তবে আপনি যদি আপনার প্রতিদিনের সাধারণ খাবারের সঙ্গে মধু, রসুন, কলা, বাঁধাকপি, মেথিপাতা, ডাবের পানি, মরিচ, নারকেল তেল ও ভিটামিন-ই যোগ করেন তাহলেই আপনি পাকস্থলীর এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। ----------Please Subscribe My Channel---------- https://www.youtube.com/channel/UCwhmBr5isoXgnkat3P97ITA key words :- # food for gastric ulcer # home remedies # Gastic Ulcer
0 notes
naturalayurvedaltd · 6 years
Text
প্রতিদিন সকালে মাত্র ১ গ্লাস লেবুপানির ৫টি উপকারিতা
ওজন কমাতে এবং ত্বকের যত্নে লেবুর উপকারিতার কথা জানেন অনেকেই। সুস্থ জীবনযাপনের জন্য কেউ কেউ সকালে খালি পেটে এক গ্লাস পাকা লেবুর পানি পান করে থাকেন। কিন্তু তা কি আসলেই উপকারী?
অনেকেই দাবি করেন, লেবুপানি হজমে সহায়তা করে, লিভার ডিটক্সিফাই করে, ত্বকের দাগ কমায়, ডিপ্রেশন এবং অ্যাংজাইটি দূর করে, ক্যান্সার দূরে রাখে। মাত্র একটি পানীয় কী আসলেই এতো উপকার করতে পারে? আসুন জেনে নেওয়া যাক, লেবুপানির কার্যকারি ৫টি উপকারিতা-
১) ত্বক উজ্জ্বল করেঃ- লেবুর রসে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। তা ত্বকে বয়সের ছাপ, কুঞ্চন এবং বলিরেখা ঠেকায়। এ কারণেই অনেক অ্যান্টিএজিং ক্রিম বা সিরামে ভিটামিন সি থাকে। প্রতিদিন লেবুপানি পান করার পর ডিনা দেখেন, ত্বক আগের চেয়ে অনেকটা স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হয়ে এসেছে। ত্বকের কিছু দাগ চলে গেছে এবং ত্বকের বিবর্ণ ভাবটাও কেটে গেছে।
২) পেট ফাঁপা কমায়ঃ- লেবুর পানি হজম প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। তা পাকস্থলীর নিজস্ব এসিডের পাশাপাশি কাজ করে খাবারকে ভেঙে ফেলে। শুধু তাই নয়, লেবুপানিতে বেশ কিছুটা পটাশিয়াম থাকে। এ কারণে তা পেট ফাঁপা কমাতে কার্যকরী।
৩) ঠান্ডা-সর্দি কমায়ঃ- হঠাৎ রোদ- হঠাৎ বৃষ্টির এই আবহাওয়ায় অনেকেরই ঠান্ডা লেগে যায়। লেবুতে অনেকটা ভিটামিন সি থাকে বলে তা ঠান্ডা লাগা প্রতিরোধ করতে পারে বলে দাবি করা হয়। আসলেই তা রোগ প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখে কিনা, সে ব্যাপারে শক্ত কোনো প্রমাণ নেই। তবে ডিনা দেখেন, যে দুই সপ্তাহ তিনি লেবুর পানি পান করেছেন, সে সময়ে তার ঠান্ডা লাগেনি, অন্য কোনো অসুস্থতাও দেখা দেয়নি।
৪) ওজন কমায়ঃ- ২ সপ্তাহ লেবুপানি পান করার পর ডিনা দেখেন, তার ওজন কমেছে এক পাউন্ড বা আধা কেজি। লেবুপানি এই ওজন ঝরাতে পারে। তিনি এটাও মনে করেন, সকাল সকাল লেবুপানি পান করে দিন শুরু করার কারণে তিনি বাকি দিনটাও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা এবং শরীরচর্চায় উৎসাহ পান। এ কারণেও তার ওজন কমতে পারে।
৫) মন ভালো রাখেঃ- শারীরিক উপকারিতার পাশাপাশি লেবুর রস মানসিক স্বাস্থ্যও ভালো রাখে বলে অনেকে দাবি করেন। ডিনা জানান, দুই সপ্তাহ লেবুর পানি পান এবং স্বাস্থ্যকর জীবনচর্চার কারণে আসলেই তার মন অনেকটা ফুরফুরে ছিল।
তবে লেবুর রস পানে শরীর ডিটক্স হয় কিনা, এতে লিভারের উপকার হয় কিনা বা ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায় কিনা, এ ব্যাপারে বলাটা এত সহজ নয়। তবে এতে কোনো ক্ষতি হয়নি, তা নিশ্চিত।
কী করে পান করবেন লেবুর পানি?
Continue reading প্রতিদিন সকালে মাত্র ১ গ্লাস লেবুপানির ৫টি উপকারিতা at Natural Ayurveda LTD – স্বাস্থ্য সেবায় অঙ্গীকারবদ্ধ.
from প্রতিদিন সকালে মাত্র ১ গ্লাস লেবুপানির ৫টি উপকারিতা
0 notes
the-monsur-blog · 1 year
Text
চুল ও ত্বকের এবং শরীরের যত্নে সুন্নতী জয়তুন তেল। (৩)
১৩,মাথার ত্বককে ময়েশ্চারাইজড করতে ও শুষ্কতা প্রতিরোধ করতে জয়তুন তেল অত্যন্ত কার্যকরী উপাদান। চুলের সমস্ত প্রয়োজনীয় উপাদান জয়তুন তেল দিয়ে তৈরি। চুলের সঠিক পুষ্টি, কন্ডিশনিং করতে সাহায্য করে। চুলকে নরম ও মসৃণ করতে, হাইড্রেট করতে, চুলের গোড়া মজবুত করতে জয়তুন তেলের বিকল্প নেই।
১৪,জয়তুন তেল রয়েছে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য, যা একটি প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। মাথার ত্বকে খুশকি ও শুষ্কতা দূর করতেও সাহায্য করে। জয়তুন তেল থাকা কিছু অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট খুশকির কারণে যে জ্বালাভাব, চুলকানি ও প্রদাহ তৈরি হয়, তা প্রশমন করতে সাহায্য করে।
১৫,জয়তুন তেল ব্যবহারে চুলের প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও আর্দ্রতা বজায় থাকে। তাতে চুল হয় মসৃণ ও ঝলমলে। চুল ঝরে যাওয়ার সমস্যা কমাতে জয়তুন তেল জুড়ি নেই। স্বাস্থ্যকর ও ঝলমলে করে তুলতেও জয়তুন তেল ব্য়বহার করতে পারেন। এতে রয়েছে স্কোয়ালিন ও ওলিক অ্যাসিডের মত উপাদান, যা চুলের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায় ও বিভক্ত হওয়া প্রতিরোধ করে।
১৬, জয়তুনে আছে ভিটামিন ই। এটা শরীরে যেভাবে প্রয়োগ করা হোক না কেন আলট্রাভায়োলেট রেডিয়েশন থেকে চামড়াকে রক্ষা করে। যা স্কিন ক্যান্সার থেকে মানুষকে রক্ষা করে। হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার পর কয়েক ফোঁটা জলপাই তেল মুখে মাখলে দারুণ উপকার পাওয়া যায়। গোসলের আগেও জয়তুন তেল শরীরে মাখলে অনেক ধরনের সমস্যা থেকে চামড়া ভালো থাকে।
১৭, জয়তুন তেল অ্যালার্জি প্রতিরোধে সহায়তা করে। জয়তুনে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি। যা ত্বকের ইনফেকশন ও অন্যান্য ক্ষত সারাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
১৮,ইমাম আস-সুয়ুতি মন্তব্য করেছেন যে মলম হিসাবে জলপাই তেল ব্যবহার করলে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে মজবুত হবে এবং ফলস্বরূপ ব্যথা বেদনা দুর হবে।
১৯,তিনি আরও মন্তব্য করেন যে মাড়ির উপর সাধারণ লবণ দিয়ে জয়তুন তেল মালিশ করা মাড়ি এবং দাঁতের বিভিন্ন রোগের প্রতিকার।
২০,দীর্ঘস্থায়ী আলসার এবং ফোঁড়া, যা নিরাময়ের কঠিন অবস্থা দেখায়, সাধারণত জয়তুন তেল ব্যবহারে সেরে যায়।
২১,মানুষের শরীর সহজেই জলপাই তেল শুষে নেয়।
২২,জলপাইয়ের তেলের স্থানীয় প্রয়োগ বা জলপাইয়ের পাতার গুঁড়ো করা পানি ফোঁড়া, ফুসকুড়ি এবং চুলকানিতে কার্যকর।
খাবারে জয়তুন তেল:
১,‘খাবারে জয়তুনের তেল ব্যবহারের ফলে শরীরের ব্যাড কোলেস্টরেল নিয়ন্ত্রণ হয় এবং গুড কোলেস্টেরল জন্ম হয়। তাছাড়া পাকস্থলীর জন্য এ তেল অনেক উপকারী।
২,যখন মানুষের হৃদপিণ্ডের রক্তনালীতে চর্বি জমে, তখন হার্টএ্যটাক করার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি থাকে। জয়তুনের তেল অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হার্ট ব্লক হতে বাধা দেয়। জয়তুনে রয়েছে মনো-স্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা আমাদের হার্টের জন্য উপকারী।
১০০% বিশুদ্ধ সুন্নতী জয়তুন ফল ,সুন্নতি জয়তুন তেল পাওয়া যাচ্ছে আন্তর্জাতিক সুন্নত প্রচারকেন্দ্রে 01782-255-244
0 notes
banglalifestyletips · 6 years
Video
youtube
রক্তের গ্রুপের কারণে আপনি কোন রোগের ঝুঁকিতে আছেন
রক্তের যে লোহিত কণিকা আছে তার গায়ে আছে নানা ধরনের অ্যান্টিজেন। এই অ্যান্টিজেন প্রতিটি রক্তের গ্রুপকে বিশেষ একটি রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিলেও অন্য কোনো একটি রোগের প্রতি দুর্বল করে তোলে। প্রতিটি রক্তের গ্রুপেরই বিশেষ কোনো রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা থাকে বেশি।
প্রশ্ন হলো যদি তাই হয় তাহলে কি তা বদলানোর বা প্রতিরোধের কোনো সুযোগ আছে? কেননা রক্তের গ্রুপ তো আমরা জন্মসুত্রে পেয়েছি, তা তো আর বদলানো সম্ভব নয়। তাই না? নাহ, সুযোগ আছে। খাদ্যাভ্যাস এবং জীবন যাপনের ধরনে সাবধানতা অবলম্বনের মাধ্যমে আপনি চাইলে আপনার য��� রোগের ঝুঁকি আছে সেটি থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পারবেন।
<b>আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী আপনার কোন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি!</b>
<b>১. হৃদরোগ</b> যাদের রক্তের গ্রুপ এবি বা বি তাদের হার্টের রোগ বা হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি থাকে প্রবল। আর যাদের ও গ্রুপের রক্ত তাদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
<b>২. আলসার</b> যাদের রক্তের গ্রুপ ও তাদের অন্য আর যে কারুর চেয়ে আলসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। ও গ্রুপের রক্তধারীদের পাকস্থলীর আলসার হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। <b> ৩. রক্ত জমাট বাধা</b> এ ও বি গ্রুপের রক্তের অধিকারীদের ৩০% ঝুঁকি থাকে এই সমস্যা হওয়ার। আর যাদের রক্তের গ্রুপ ও তাদের রক্ত জমাট বাধার ঝুঁকি কম। আর এবি গ্রুপের রক্ত আছে যাদের তাদের রক্ত জমাট বাধার ঝুঁকি ২০%। এ থেকে স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।
<b>৪. গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সার</b> ও গ্রুপের রক্তধারী লোকদের গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কম। কিন্তু অন্যান্য রক্তের গ্রুপধারীদের এবং বিশেষ করে এ গ্রুপের রক্তধারীদের গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সার ঝুঁকি অনেক বেশি।
<b>৫. অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার</b> ও গ্রুপের রক্তধারীদের অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কম। কিন্তু এ গ্রুপের রক্তধারীদের অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি ৩২% আর এবি গ্রুপের রক্তধারীদের এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৫১%।
<b>৬. স্মৃতির দুর্বলতা</b> এবি গ্রুপের রক্তধারীদের শেষ বয়সে গিয়ে স্মৃতির দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। জার্নাল নিউরোলজিতে প্রকাশিত গবেষণা মতে, যাদের রক্তের গ্রুপ এবি তারা জ্ঞানীয় দক্ষতার পারফর্মেন্স টেস্টে কম স্কোর পেয়েছেন। এবি গ্রুপের রক্তের জমাট বাধা এবং রক্তের প্রোটিনজনিত কিছু সমস্যার কারণে স্মৃতির এই সমস্যা হয় বলে জানা গেছে। এর পুর্ণ কোনো ব্যাখ্যা এখনো জানা যায়নি।
<b>৭. মানসিক চাপ</b> এ গ্রুপের রক্তধারীরা মানসিক চাপ সহজে মোকাবিলা করতে পারেন না। কেননা এ গ্রুপের রক্তধারীদের দেহে কর্টিসোল হরমোনের নিঃসরণ হয় বেশি। আর ও গ্রুপের রক্তধারীদের দেহে কর্টিসোল নিঃসরণ হয় কম। কিন্তু মানসিক চাপের সময় তাদের দেহে অতিরিক্ত অ্যাড্রেনালিন নিঃসরণ ঘটে। যে কারণে তারা তাদের সিস্টেমে থাকা কোনো কর্টিসোল পরিষ্কার করতে পারেন না। ফলে তারাও মাননিসক চাপ মোকাবিলা করতে পারে না সহজে। এজন্য এই ধরনের মানসিক অবসাদের রোগীদেরকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে মনোচিকিৎসা দিতে হয়।
<b>৮. বি গ্রুপের রক্তধারীদের দেহ অসংখ্য ব্যাকটেরিয়ায় পূর্ণ</b> আপনার রক্তের গ্রুপ যদি হয় বি তাহলে আপনি ভাগ্যবান। কারণ আপনার দেহ অসংখ্য ব্যাকটেরিয়ায় পরিপূর্ণ। তবে ভয়ের কিছু নেই। এগুলো সব উপকারী ব্যাকটেরিয়া। এগুলো হজম প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী রাখতে এবং বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়াদের দূরে রাখতে সহায়ক ভুমিকা পালন করে। বি গ্রুপের রক্তধারীদের দেহে ও বা এ গ্রুপের  রক্তধারীদের চেয়ে ৫০ হাজার গুন বেশি ভালো ব্যাকটেরিয়া থাকে। তার মানে বি গ্রুপের রক্তধারীদের হজমশক্তি বেশি হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বেশি শক্তিশালী থাকে।</span>
0 notes
paathok · 6 years
Photo
Tumblr media
New Post has been published on https://paathok.news/41209
প্রতিদিন তিনটি খেজুর খেলে কী হয়?
রমজান মাস বাদ দিলে আমাদের দেশে খেজুর খাওয়া একটু কমই হয়ে থাকে। রোজা রাখার সঙ্গে খেজুরের একটি সম্পর্ক রয়েছে বলে বছরের অন্যান্য সময়ে আমরা অনেকেই খেজুর খাই না।
কিন্তু অসাধারণ পুষ্টিগুণে ভরপুর এই খেজুর আমাদের শারীরিক নানা সমস্যা দূর করতে বিশেষভাবে কার্যকরী। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় তিনটি খেজুর রাখলে শরীরের কিছু পরিবর্তন ঘটে। স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট ডেভিডউলফ ডটকম তুলে ধরেছে সেই পরিবর্তনগুলো।
হজমশক্তি ভালো হয়
খেজুরে দ্রবণীয় তন্তু রয়েছে, যা হজমশক্তির উন্নতি ঘটিয়ে স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় খেজুর। এতে পটাশিয়াম থাকায় তা বদহজম এবং ডায়রিয়া থেকেও রক্ষা করে। আসলে খেজুর আমাদের পাকস্থলীর মধ্যকার ভালো ব্যাকটেরিয়াগুলোকে শক্তির জোগান দেয় বলেই এমনটি হয়ে থাকে।
রক্তস্বল্পতা রোধ
বেশিরভাগ মানুষই রক্তস্বল্পতায় ভোগেন। এর চিকিৎসায় আয়রনের একটি চমৎকার উৎস হতে পারে খেজুর। ক্লান্তি দূর করতেও ভূমিকা রাখে খেজুর।
হাড়, রক্ত এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
খেজুরে ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ এবং সেলেনিয়াম রয়েছে। এদের মধ্যে সেলেনিয়াম ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। অন্য উপাদানগুলো হাড়কে মজবুত এবং রক্ত ভালো রাখতে সাহায্য করে।
শক্তি বাড়ায়
খেজুরে প্রাকৃতিক চিনি বিশেষ করে গ্লুকোজ, সুক্রোজ, ফ্রুক্টোজ বিদ্যমান রয়েছে। এই উপাদানগুলো শক্তি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কাজেই শক্তি বাড়াতে বিকেলের নাস্তায় খেজুর খেতেই পারেন।
হার্ট ভালো রাখে
কোলেস্টরল হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়াতে সাহায্য করে। খেজুরে পটাশিয়াম বিদ্যমান থাকায় তা খারাপ কোলেস্টরলের পরিমাণ কমিয়ে আনে। এর ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও কমে যায়। কাজেই স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রতিদিনের ডায়েটে তিনটি খেজুর রাখতেই পারেন।
0 notes
banglalog · 6 years
Video
youtube
আদার গুণাগুণ ও উপকারিতা - আদার ঔষধি উপকারিতা খাবারের স্বাদ বাড়ানো ছাড়াও প্রাচীনকাল থেকেই আদা ব্যবহৃত হচ্ছে চিকিৎসার কাজেও। আদায় রয়েছে এমন সব উপাদান, যা আমাদের দেহের জন্য খুবই উপকারী। আদার কিছু গুণ তুলে ধরা হলো আজকের ভিডিওতে
ঠাণ্ডা সমস্যা এই সমস্যা দূর করতে আদা মোটামুটি ‘ওস্তাদ’। ঠাণ্ডা বা জ্বর সারিয়ে তুলতে আদার জুড়ি নেই। সর্দি-কাশি ও ঠাণ্ডা লাগলে আদা খুবই কার্যকরভাবে তা নিরাময়ে সহায়তা করে। এ ছাড়া শ্বাসজনিত কোনো সংক্রমণ হলেও আদা তা সারিয়ে তোলে।
ডায়াবেটিস ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে আদা অত্যন্ত কার্যকর। আদার উপাদান ইনসুলিন ও বিপাক ক্রিয়া স্বাভাবিক রাখে। ফলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি অনেক কমে যায়।
পিরিয়ডের কষ্ট কমায় নারীদের পিরিয়ডের কষ্ট কমাতে কার্যকর আদা। বিশেষত এ সময়ের মাথা ব্যথা কমাতে এটি কার্যকর। এ জন্য অবশ্য অন্যান্য ওষুধের সঙ্গে নয়, বরং অন্যান্য ওষুধ বাদ দিয়ে আদা সেবন করতে হবে।
সংক্রমণ প্রতিরোধক আদায় রয়েছে সংক্রমণ প্রতিরোধক উপাদান। এসব উপাদান দেহের কোষকে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের শারীরিক যন্ত্রণা বা জ্বালাপোড়া রোধ করতেও আদা খুব ভালো কাজ করে।
পেটের সমস্যায় আদা সেবনে পেট খারাপের উপশম হতে পারে। এ ছাড়া পাকস্থলীর অন্যান্য সমস্যা বা ব্যথা রোধ করতে, বদহজম ও হজমে গণ্ডগোল রোধ করতে এটি কার্যকর। এটি দেহে পুষ্টি শোষণের প্রক্রিয়াও উন্নত করে।
বমিভাব কোথাও ভ্রমণের সময় বমিভাব রোধ করে আদা। এ ছাড়া গর্ভকালে সকালের অসুস্থতা রোধ করতে আদা খুব উপকারী।
হৃদরোগ প্রতিরোধ আদা দেহের স্বাভাবিক রক্ত সঞ্চালন বজায় রাখতে সহায়তা করে। এতে হৃদরোগ ও অন্যান্য ক্রনিক রোগ প্রতিরোধ সহজ হয়। এ ছাড়া দেহের অন্যান্য বহু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায় আদা। ক্যান্সার প্রতিরোধ বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধে আদা কার্যকর। কোলন ক্যান্সার রোধ করতে আদা যথেষ্ট কার্যকর। এ ছাড়া নারীদের জরায়ু ক্যান্সার রোধেও আদার বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
0 notes
Video
youtube
আদার গুণাগুণ ও উপকারিতা - আদার ঔষধি উপকারিতা খাবারের স্বাদ বাড়ানো ছাড়াও প্রাচীনকাল থেকেই আদা ব্যবহৃত হচ্ছে চিকিৎসার কাজেও। আদায় রয়েছে এমন সব উপাদান, যা আমাদের দেহের জন্য খুবই উপকারী। আদার কিছু গুণ তুলে ধরা হলো আজকের ভিডিওতে
ঠাণ্ডা সমস্যা এই সমস্যা দূর করতে আদা মোটামুটি ‘ওস্তাদ’। ঠাণ্ডা বা জ্বর সারিয়ে তুলতে আদার জুড়ি নেই। সর্দি-কাশি ও ঠাণ্ডা লাগলে আদা খুবই কার্যকরভাবে তা নিরাময়ে সহায়তা করে। এ ছাড়া শ্বাসজনিত কোনো সংক্রমণ হলেও আদা তা সারিয়ে তোলে।
ডায়াবেটিস ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে আদা অত্যন্ত কার্যকর। আদার উপাদান ইনসুলিন ও বিপাক ক্রিয়া স্বাভাবিক রাখে। ফলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি অনেক কমে যায়।
পিরিয়ডের কষ্ট কমায় নারীদের পিরিয়ডের কষ্ট কমাতে কার্যকর আদা। বিশেষত এ সময়ের মাথা ব্যথা কমাতে এটি কার্যকর। এ জন্য অবশ্য অন্যান্য ওষুধের সঙ্গে নয়, বরং অন্যান্য ওষুধ বাদ দিয়ে আদা সেবন করতে হবে।
সংক্রমণ প্রতিরোধক আদায় রয়েছে সংক্রমণ প্রতিরোধক উপাদান। এসব উপাদান দেহের কোষকে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা কর��। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের শারীরিক যন্ত্রণা বা জ্বালাপোড়া রোধ করতেও আদা খুব ভালো কাজ করে।
পেটের সমস্যায় আদা সেবনে পেট খারাপের উপশম হতে পারে। এ ছাড়া পাকস্থলীর অন্যান্য সমস্যা বা ব্যথা রোধ করতে, বদহজম ও হজমে গণ্ডগোল রোধ করতে এটি কার্যকর। এটি দেহে পুষ্টি শোষণের প্রক্রিয়াও উন্নত করে।
বমিভাব কোথাও ভ্রমণের সময় বমিভাব রোধ করে আদা। এ ছাড়া গর্ভকালে সকালের অসুস্থতা রোধ করতে আদা খুব উপকারী।
হৃদরোগ প্রতিরোধ আদা দেহের স্বাভাবিক রক্ত সঞ্চালন বজায় রাখতে সহায়তা করে। এতে হৃদরোগ ও অন্যান্য ক্রনিক রোগ প্রতিরোধ সহজ হয়। এ ছাড়া দেহের অন্যান্য বহু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায় আদা। ক্যান্সার প্রতিরোধ বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধে আদা কার্যকর। কোলন ক্যান্সার রোধ করতে আদা যথেষ্ট কার্যকর। এ ছাড়া নারীদের জরায়ু ক্যান্সার রোধেও আদার বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
0 notes
gnews71 · 6 years
Photo
Tumblr media
“দূরে থাক মুখের দুর্গন্ধ” বিব্রতকর হলেও সত্য যে, অনেকের মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। মুখে দুর্গন্ধ হলে নিজের কাছে যেমন এক ধরনের অস্বস্তি বোধ হয়, তেমনি চারপাশের মানুষের কাছে খুবই বাজে লাগে। অথচ খুব ছোট ছোট ভুলের জন্য বা অসচেতনতার জন্য মুখে দুর্গন্ধ হয়। এর অন্যতম কারণ নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করার পরও দাঁতের ফাঁকে ফাঁকে খাদ্যকণা জমে থাকা, মুখের ভেতর ঘা বা ক্ষত হলে, জিহ্বা অপরিষ্কার থাকলে, গর্ভাবস্থা, ডায়বেটিস, কিডনি জটিলতা, মানসিক রোগ, নাক, কান ও গলায় যে কোনো অসুখ। একটু সচেতন হলে ও নিজের প্রতি যত্ন নিলে মুখের দুর্গন্ধ নিমিষেই দূর হয়ে যাবে। তবে শুরু হয়ে যাক, প্রাণবন্ত হাসির ছটা ছড়িয়ে সুন্দর কথা বলার মধ্য দিয়ে অন্যকে জয় করা। যে সব কারণে মুখে দুর্গন্ধ হয় : প্রতিবার খাবার গ্রহণে মুখের ভিতরে খাদ্য আবরণ দাঁতের ফাঁকে, মাড়ির ভিতর জমে থেকে ডেন্টাল প্লাক সৃষ্টি এবং তা থেকে মাড়ির প্রদাহ (পেরিওডেন্টাল ডিজিজ); মুখের যে কোনো ধরনের ঘা বা ক্ষত; আঁকাবাঁকা দাঁত থাকার কারণে খাদ্যকণা ও জীবাণুর অবস্থান; দেহে সাধারণ রোগের কারণে মুখের ভিতরে ছত্রাক ও ফাঙ্গাস জাতীয় ঘা (ক্যানডিয়াসিস); মুখের ক্যান্সার; ডেন্টাল সিস্ট বা টিউমার; দুর্ঘটনার কারণে ফ্রেকচার ও ক্ষত এবং অপরিষ্কার জিহ্বা। দেহের অন্যান্য রোগের কারণেও মুখের দুর্গন্ধ হতে পারে, যেমন- পেপটিক আলসার বা পরিপাক্বতন্ত্রের রোগ; লিভারের রোগ; গর্ভাবস্থা; কিডনি রোগ; রিউমেটিক বা বাতজনিত রোগ; ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র; হাইপার টেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ; গলা বা পাকস্থলীর ক্যান্সার; এইডস রোগ; হৃদরোগ; মানসিক রোগ ও নাক, কান, গলার রোগ। প্রাথমিক পর্যায়ে মুখের স্থানীয় রোগগুলোকে চিকিৎসা করান প্রয়োজন। মুখের স্থানীয়ভাবে কারণগুলো দূর করার পরও যদি দুর্গন্ধ থেকে যায় তবে দেহের অন্যান্য সাধারণ রোগের উপস্থিতির পরীক্ষাগুলো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া ভালো। মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে প্রতিদিনের কিছু টিপস: – একটি পরিষ্কার উন্নত মানের দাঁতের ব্রাশ ও পেস্ট দিয়ে দাঁতের সবগুলো অংশ ভিতরে-বাইরে পরিষ্কার করুন (তিন বেলা খাবারের পর)। – জিহ্বা পরিষ্কারের জন্য জিবছলা ব্যবহার করুন। বাজারে স্টেনলেস স্টিল অথবা প্লাস্টিকের জীবছুলা পাওয়া যায়। – যে কোনো ধরনের মাউথওয়াশ (ক্লোরহেক্সিডিন জাতীয়) ২ চামচ মুখে ভিতরে ৩০ সেকেন্ড রেখে ফেলে দিয়ে আবার অল্প গরম লবণ পানিতে কুলকুচি করুন প্রতিদিন অন্তত দু’বার সকালে ও রাতে আহারের পর। – প্রতিবার খাবারের পর ভালোভাবে কুলকুচি করতে হবে। – ঘন ঘন প্রচুর পরিমাণে পানি বা অন্য কোনো তরল পানীয় পান করুন। – লালা মুখের দুর্গন্ধ দূর করে, লালা তৈরি করতে লবঙ্গ বা আদা খেতে পারেন। – ধূমপান ও মদ্যপান এগুলো থেকে দূরে থাকুন। – মুখের গন্ধ দূর করতে চা অত্যন্ত কার্যকর, এক কাপ চায়ে কিছু পুদিনার পাতা বা লবণ দিয়ে কুলকুচি করে নিন। মুখের দুর্গন্ধ নিমিষেই দূর হয়ে যাবে। – লেবু শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, দূর করে মুখের দুর্গন্ধ। খাবারে নিয়মিত লেবু খেলে মুখের দুর্গন্ধের সঙ্গে দূর হবে শরীরের বাড়তি মেদও। – সুস্থতার জন্য নিয়মিত মুখ ও দাঁতের চেকআপ করতে হবে। মুখে দুর্গন্ধমুক্ত সজীব নিঃশ্বাসে বন্ধু মহলে, অফিসে সহকর্মীদের সঙ্গে অথবা প্রিয়জনের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় হয়ে উঠুন আত্মবিশ্বাসী। প্রাণোচ্ছল কথায় আর সুন্দর হাসিতে আপনিই হতে পারেন আড্ডার মধ্যমণি।
0 notes
Text
মীর মোশাররেফ হোসেন পাকবীর : গত কয়েক যুগ ধরে ঢাকা শহরের নাগরিকেরা খাদ্যজনিত বিভিন্ন অসুখের ঝুঁকিতে রয়েছে। তারা বাইরের খাবারের প্রতি বেশ কিছুটা নির্ভরশীল এবং যেগুলোর পরিষ্কার-পরিছন্নতাও বিশুদ্ধতা মারাত্মকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ। নগরায়নের সাথে সাথে অধিক সংখ্যক লোক এখন বিভিন্ন দপ্তরে কাজ করে এবং তারা বাইরের খাবার খেতে বাধ্য।
প্রচুর খোলা খাবারের দোকানের পাশাপাশি ঢাকা শহরে হাজারও হোটেল এবং রেস্ট‍ুরেন্ট রয়েছে। ঢাকার পরিবেশে প্রচুর ধূলাবালি ও জীবানুর পাশাপাশি বিশুদ্ধ খাবার পানির অপ্রতুলতার দরুন খাবার থেকে উদ্ভ‍ূত রোগ দিন দিন বেড়েই চলেছে। আজকে আমাদের অন্যতম প্রধান খরচ হলো ঔষধের খরচ এবং এটা  বলা ভুল হবে না যে, আমরা আজকে অপরিছন্ন খাবার-দাবারের কারণেই এতো অসুখ-বিসুখে ভুগছি।
সুস্থ শরীর বজায় রাখা আজকে একটি বড় চ্যালেঞ্জ, এমনকি তাদের জন্যও যারা অত্যন্ত স্বাস্থ্য সচেতন। খাদ্য, যা আমাদের বেচেঁ থাকার জন্য জরুরি, তা আজকে আমাদের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিজে উৎপন্ন করা না হলে প্রায় কোন খাদ্যই বিশুদ্ধ নয়। খাদ্যে ভেজাল ও ভোক্তাদের খাদ্য বিপত্তির সম্ভাবনা ঢাকার খাদ্য নিরাপত্তা এবং ভোক্তাদের স্বাস্থ্যের উপর বিশাল প্রভাব ফেলছে। অত্যধিক কীটনাশক ও অন্যান্য রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার, রাস্তায় বিধি বহির্ভূতভাবে খাদ্য  বিক্রি এবং খাদ্য নিরাপত্তার ব্যাপারে স্বল্প সচেতনতা ঢাকা  নগরবাসীদেরকে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলতে পারে।
তেমন কোন আইন কানুন ছাড়াই ঢাকা শহরে হাজার হাজার হোটেল ও রেস্ট‍ুরেন্ট সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে  আছে। এ সংক্রান্ত  কিছু আইন অবশ্য আছে, যেমন- নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩। কিন্তু যারা এই হোটেল রেস্ট‍ুরেন্টগুলো পরিচালনা করছে, তারা এই আইনগুলো সম্পর্কে অবগত নয় বা বুঝতে পারে না।
তারা খাদ্য প্রস্তুতকরণ, সংরক্ষণ ও পরিবেশন সংক্রান্ত আইনগুলো সমন্ধে ওয়াকিবহাল নয়। সাধারণত এই হোটেল- রেস্ট‍ুরেন্টে স্বল্প বেতনে কর্মচারী নিয়োগ  দেওয়া  হয় যারা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা সমন্ধে খুব একটা সচেতন নয়। তাদের কর্মস্থলের পরিবেশও তাদেরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার সুযোগ দেয়না। এই রেস্ট‍ুরেন্ট মালিক ও কর্মচারীদের কারোরই বিশুদ্ধতার সাথে খাদ্য তৈরি এবং সংরক্ষণের কোন প্রশিক্ষণ নেই।
ঢাকা শহরে একটি রেস্ট‍ুরেন্ট চালু করতে একটি ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া আর তেমন কিছুরই দরকার পড়ে না। সিটি কর্পোরেশন ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার সময় তেমন কিছুই পরীক্ষা করে না যদিও আইন অনুযায়ী তাদের বহু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যাচাই করার কথা। কিন্তু এগুলো যদি যাচাই করাও হতো খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তা যথেষ্ট হতো না। আমরা মাঝে মাঝেই শুনতে পাই অনিরাপদভাবে খাদ্য প্রস্তুত করা এবং অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের কারণে মোবাইল কোর্ট হোটেল- রেস্ট‍ুরেন্ট গুলোকে জরিমানা করছে। কিন্তু এটি এই সমস্যার কোন স্থায়ী সমাধান নয়।
ঢাকা শহরজুড়ে অনিরাপদ কর্মচর্চার প্রেক্ষিতে অল্প কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে জারিমানা করা হলে তার তেমন কোন প্রভাব তৈরি হবে না। তার উপরে, কেন আমরা এদেরকে জরিমানা করছি? আমরা তাদেরকে কোন ধরণের প্রশিক্ষণ দিইনি অথবা তাদেরকে খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতনও করিনি।
সরকারের তরফ থেকে খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি প্রচারে কোন প্রচেষ্টা না থাকার কারণে আমরা রেস্ট‍ুরেন্ট মালিকদেরকে অনিরাপদ কার্যবিধির কারণে জরিমানা দিতে বাধ্য করতে পারিনা। জরিমানা দেওয়ার পরেও তারা আসলে পরিষ্কার ও ভেজালমুক্ত খাদ্য নিশ্চিত করতে পারে না। কারণ বাস্তবে এই বিষয়ে তাদের জ্ঞানের ঘাটতি রয়েছে। আর এসবের মধ্য দিয়ে আমরা ঢাকাবাসীরা মারাত্মক দুর্ভোগ সহ্য করছি।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক “মিনেসোটা ইউনিভার্সিটির” পশু স্বাস্থ্য এবং খাদ্য নিরাপত্তা কেন্দ্রের ২০০৬ সালের একটি প্রতিবেদনে বলা হয় বাংলাদেশের পাঁচ বছরের নিচে শিশুরা অনিরাপদ খাদ্য গ্রহণের কারণে সবচেয়ে বেশী ঝুঁকিতে রয়েছে। এর ফলে ঐ বয়সশ্রেণীতে ১৮ শতাংশ মৃত্যু হয়ে থাকে। পরিণত বয়সের মানুষদের ১০ শতাংশের মৃত্যু অনিরাপদ খাদ্যের ফলে হয়।
এই সমস্যাটি সাধারণত তিনটি কারণে হয়ঃ খাদ্যে ভেজাল, কীটনাশকের ব্যবহার এবং খাদ্য দূষণ। ২০০৬ থেকে আজ পর্যন্ত এই পরিস্থিতি আরও অনেক খারাপ হয়েছে এবং ঢাকা শহরে এমন কোন পরিবার নেই যারা কখনো কোন ধরণের খাদ্য বিপত্তির সম্মুখীন হয়নি। মাঝে মাঝেই আমরা পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া, পাকস্থলীর ব্যথা ইত্যাদিতে আক্রান্ত হই। কিন্তু এটি আরও বড় ক্ষতি, এমনকি নানা ধরণের ক্যান্সারের কারণ পর্যন্ত হতে পারে। যদি আমরা দূষিত ও ভেজাল খাদ্য দিনের পর দিন গ্রহণ করতে থাকি তাহলে অদূর ভবিষ্যতে নিশ্চিতভাবে ভয়ানক বড় রোগে আক্রান্ত হব।
বাংলাদেশের রাস্তাঘাটের যে সব খাদ্য ব্যবসায়ীরা আছেন, খাদ্য দূষণের সবচেয়ে বড় উদাহরণ তারা। ২০১৫ সালের আইসিডিডিআরবি-এর একটি গবেষণা অনুযায়ী এই সব খাদ্য বিক্রেতাদের ৮৮ শতাংশের মত জীবানু ভর্তি থাকে এবং দুই-তৃতীয়াংশ খাদ্য বিক্রেতা খাদ্য প্রস্তুতকালে হাতে ব্যাক্টেরিয়া ধারণ করে।
এর পাশাপাশি যে পানি তারা ব্যবহার করে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেটি ময়লা অথবা দূষিত। তারা খাদ্যে ক্ষতিকর রাসায়নিক সংরক্ষক, রাসায়নিক দ্রব্য, রং ও উপকরণ ব্যবহার করে। স্বাস্থ্য নিয়ে তারা মোটেও চিন্তিত নয় আর মানুষও যেনো অপরিচ্ছন্ন হলেও সস্তায় খাদ্য কিনতে চায়। দূষিত বায়ুতে থাকা ধূলাবালি এই রাস্তার খাবারগুলোকে আরও দূষিত করে তোলে এবং বিভিন্ন রোগের প্রধান উৎসে পরিণত করে।
খাদ্যে ভেজাল নিয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছে। ফরমালিন এবং বেশকিছু ক্ষতিকর কীটনাশকের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু তা তেমন কোনো প্রভাব তৈরি করতে পারেনি। এখনো আমরা  শুধুমাত্র বাজারেই নয়, বড় বড় চেইন শপেও দূষিত এবং বিপজ্জনক খাদ্যদ্রব্য খুঁজে পাই।
This slideshow requires JavaScript.
এগুলো প্রত্যক্ষভাবে ক্যান্সার এবং আরও অনেক মারাত্মক ব্যধি তৈরি করতে পারে। এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার কোন পথ দেখা যাচ্ছে না। আমরা এখনও যেসব খাদ্য গ্রহণ করছি তা বিষে��� সমতুল্য।
বিভিন্ন কোম্পানী, এমনকি বড় বড় কোম্পানীগুলোরও স্ন্যাকস্, বেকারী আইটেম, খাদ্য উপকরণ, জুস এবং কোমল পানীয় বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই অনিরাপদ। আমরা চিন্তাও করতে পারবো না কি দিয়ে এগুলো তৈরি করা হয়। মাঝে মাঝেই আমরা গুজব শুনি যে, পচা পেপে থেকে আমের জুস তৈরি হচ্ছে অথবা ইটের গুঁড়া থেকে মরিচের গুঁড়া তৈরি হচ্ছে ইত্যাদি। এগুলো হয়তো সত্যি নয় কিন্তু এটা সত্য যে, এগুলো যথার্থ উপকরণ দিয়ে তৈরি নয় এবং এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। কিন্তু তারপরেও কোন বিকল্প না থাকায় ঢাকা শহরে আমাদের এগুলোই খেতে হচ্ছে।
ঢাকায় হাসপাতাল, ক্লিনিক, প্যাথলজি সেন্টার ও ফার্মেসীর সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে এবং এর কারণ হলো রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়া। প্রতি বছরেই আমরা বেশী থেকে আরও বেশী অর্থ চিকিৎসা ও ওষুধের পেছনে খরচ করছি আর এর মূল কারণ হচ্ছে দূষিত ও ভেজাল খাদ্য।
যেকোনো উন্নত রাষ্ট্রে খাদ্য নিরাপত্তাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়া হয়। কিন্তু আমরা এর উপর খুব একটা গুরুত্ব আরোপ করি না। ঢাকার নাগরিকদেরকে একটি সম্পূর্ণ অসুস্থ ও ক্ষতিকর জীবনযাপনের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে আমাদের এখনই কিছু শক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে।
সরকারকে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করতে হবে যেখানে যদি কেউ রেস্ট‍ুরেন্ট চালু করতে যায় তাহলে তাকে খাদ্যের মান নিশ্চিতকরণ ও পরিচ্ছন্ন রান্নাঘর ব্যবস্থাপনার উপরে অবশ্যই ৪-৬ সপ্তাহের প্রশিক্ষণ নিতে হবে। এই প্রশিক্ষণ শেষ হবার পর তাদেরকে একটি সার্টিফিকেট প্রদান করতে হবে।
সিটি কর্পোরেশন, খাদ্য মহাসচিবের দপ্তর, খাদ্য মন্ত্রণালয়, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যলয়ের খাদ্য ও পুষ্টি বিভাগ এবং এনজিওগুলো এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের আয়োজন করতে পারে। একই সাথে তারা বিভিন্ন সচেতনতামূলক প্রচারণাও চালাতে পারে। রেস্ট‍ুরেন্ট মালিকেরা তাদের দোকানের কিছু কর্মীকেও এই প্রশিক্ষণে অবশ্যই অন্তর্ভূক্ত করবে এবং তারা অন্যদেরও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বিষয়গুলো শেখাবে।
যদি মালিক ও ৩০ শতাংশ কর্মচারীর এই প্রশিক্ষণ না থাকে তাহলে রেস্ট‍ুরেন্ট খোলার জন্য তাদের কোনো ট্রেড লাইসেন্স দেয়া যাবে না। বিভিন্ন দেশে এই বন্দোবস্ত অনেক আগে থেকেই চালু রয়েছে এবং তারা সফলভাবে তাদের ভোক্তাদের জন্য খাদ্যের মান নিশ্চিত করছে।
রাস্তাঘাটে খাদ্য বিক্রেতাদেরকেও তাদের খাদ্যের গাড়ী অথবা ভ্যান পরিচালনার জন্য অবশ্যই একটি লাইসেন্স নিতে হবে। সরকার তাদেরকে খাদ্যের বিশুদ্ধতা নিশ্চিতে সহায়ক আধুনিক ও যথার্থ একটি ভ্যানও দিতে পারে যা থেকে তারা খাদ্য বিক্রয় করবে। এদেরকেও ছোট ছোট দলে স্বাস্থ্যকর খাদ্য প্রস্তুতকরণ, বিশুদ্ধতা নিশ্চিতকরণ ও পরিষ্কারভাবে খাদ্য সংরক্ষণের উপর প্রশিক্ষণ নিতে হবে। এদেরকেও কোনো না কোনোভাবে নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনার আওতায় আনতে হবে কারণ সমাজের খাদ্য ব্যবস্থায় এই রাস্তাঘাটের খাদ্য বিক্রেতাদের ভূমিকা কখনোই ছোট করে দেখা যাবে না।
কৃষকদের রাসায়নিক কীটনাশক বিশেষত যেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতির সম্ভাবনা সৃষ্টি  করে সেগুলোর ব্যাপারে শিক্ষা প্রদানে গুরুত্ব আরোপ করতে হবে। থানা ও ইউনিয়নের কৃষি কর্মকর্তাদেরকে অবশ্যই এ বিষয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে। তাদেরকে ফরমালিন ব্যবহারের বিরুদ্ধে একটি শক্ত সচেতনতাও বিস্তার করতে হবে। স্বাস্থ্যের উপর ফরমালিনের ক্ষতিকর প্রভাব তুলে ধরাটাই হবে এই প্রচারণার উদ্দেশ্য। এইসব নিয়মকানুনগুলো ভঙ্গ করলে কি শাস্তি হতে পারে সেটাও অবশ্যই প্রচার করা দরকার।
খাদ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রথমত বিবেকবোধের উপর প্রশিক্ষণ দিতে হবে আর তারপরে তাদের উৎপাদন প্রক্রিয়ায় নিয়মনীতি মেনে চলার উপরে গুরুত্ব দিতে হবে। খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুতকালে কোনো ভুল বা ক্ষতিকর উপকরণ ব্যবহার করলে কি হতে পারে সেটাও তাদেরকে জানাতে হবে। তাদেরকে খাদ্যে সংরক্ষক বা রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করলে কি ধরণের স্বাস্থ্য বিপত্তির সৃষ্টি হতে পারে, সেটাও জানাতে হবে।
সরকারকে এই প্রশিক্ষণগুলো ও সচেতনতামূলক প্রচরণা চালাবার ব্যাপারে প্রাথমিক উদ্যোগ নিতে হবে। সবচেয়ে জরুরি ব্যাপার হলো যে, খাদ্য বিষয়ক সকল প্রক্রিয়া ও অনুমতিগুলো দুর্নীতিমুক্ত হতে হবে। এই বিষয়ে সকলকে বিবেকবোধের ব্যবহার করতে হবে কারণ এটি একটি জাতির স্বাস্থ্যের প্রশ্ন।
ঢাকার নাগরিকদেরও জানতে হবে যে তারা কি খাচ্ছে। সংরক্ষক দ্রব্যযুক্ত খাদ্য গ্রহণকে এড়াতে তাদেরকে সজাগ থাকতে হবে। দৈনিক আমরা যেই খাবার খাই, তার ১০ শতাংশের বেশী সংরক্ষকযুক্ত হওয়া উচিৎ নয়। আমাদের প্রাথমিক শিক্ষাতেও খাদ্য ও পুষ্টিকে ‍গুরুত্বের সাথে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য আমাদের নিজেদেরই সচেষ্ট হওয়া প্রয়োজন।
বাংলাদেশে খাদ্য বিষয়ক অনেক আইন রয়েছে যেমন, ‘বাংলাদেশ পিওর ফুড অর্ডিন্যান্স (১৯৫৯)’, ‘ মৎস ও মৎসজাত দ্রব্য বিধিমালা (১৯৯৭)’,  ‘রেডিয়েশন প্রটেকশন অ্যাক্ট (১৯৮৭)’ ইত্যাদি। যদি খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুতকারকেরা, কৃষকেরা, রেস্ট‍ুরেন্ট মালিকেরা এবং রাস্তাঘাটে খাদ্য বিক্রেতারা খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক আইন ও সমস্যাগুলো সমন্ধে ভালোভাবে অবগত থাকে, তাহলে সরকারের এই আইনগুলো ভালোভাবে কাজ করবে।
খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য এবং বাংলাদেশীদের, বিশেষত ঢাকাবাসীদের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে সকল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদেরকে প্রথমে এই বিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত করতে হবে। আর তারপরে আমাদেরকে পর্যবেক্ষণ ও শাস্তির বন্দোবস্ত করতে হবে। যদি একটি সমন্বিত ও দুর্নীতিমুক্ত পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হয় তবে আমরা আশা করতে পারি যে,  ঢাকা থেকে খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক স্বাস্থ্য বিপত্তিগুলো কমাতে এমনকী সম্পূর্ণরূপে দূর করতেও আমরা সফল হবো।
সারা বাংলাদেশ থেকে নানা কারণে ঢাকায় প্রচুর লোকজন আসে। আমরা যদি ঢাকাকে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের আদর্শে পরিনত করতে পারি, তাহলে তা সারা বাংলাদেশেও নিশ্চিত করা সম্ভব। তাই আমাদেরকে ঢাকা থেকে খাদ্য বিপত্তি দূর করতে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে। আর তাহলেই আমাদের নাগরিকদের আমরা অসুস্থতা ও অসুখ-বিসুখের হাত থেকে অনেকাংশেই রক্ষা করতে পারবো।
লেখক : প্রধান সম্পাদক, মোহাম্মদী নিউজ এজেন্সী (এমএনএ)।
ঢাকা শহরে খাদ্য বিপত্তি : নাগরিক স্বাস্থ্যের প্রতি হুমকি মীর মোশাররেফ হোসেন পাকবীর : গত কয়েক যুগ ধরে ঢাকা শহরের নাগরিকেরা খাদ্যজনিত বিভিন্ন অসুখের ঝুঁকিতে রয়েছে। তারা বাইরের খাবারের প্রতি বেশ কিছুটা নির্ভরশীল এবং যেগুলোর পরিষ্কার-পরিছন্নতাও বিশুদ্ধতা মারাত্মকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ। নগরায়নের সাথে সাথে অধিক সংখ্যক লোক এখন বিভিন্ন দপ্তরে কাজ করে এবং তারা বাইরের খাবার খেতে বাধ্য। প্রচুর খোলা খাবারের দোকানের পাশাপাশি ঢাকা শহরে হাজারও হোটেল এবং রেস্ট‍ুরেন্ট রয়েছে। ঢাকার পরিবেশে প্রচুর ধূলাবালি ও জীবানুর পাশাপাশি বিশুদ্ধ খাবার পানির অপ্রতুলতার দরুন খাবার থেকে উদ্ভ‍ূত রোগ দিন দিন বেড়েই চলেছে। আজকে আমাদের অন্যতম প্রধান খরচ হলো ঔষধের খরচ এবং এটা  বলা ভুল হবে না যে, আমরা আজকে অপরিছন্ন খাবার-দাবারের কারণেই এতো অসুখ-বিসুখে ভুগছি। সুস্থ শরীর বজায় রাখা আজকে একটি বড় চ্যালেঞ্জ, এমনকি তাদের জন্যও যারা অত্যন্ত স্বাস্থ্য সচেতন। খাদ্য, যা আমাদের বেচেঁ থাকার জন্য জরুরি, তা আজকে আমাদের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিজে উৎপন্ন করা না হলে প্রায় কোন খাদ্যই বিশুদ্ধ নয়। খাদ্যে ভেজাল ও ভোক্তাদের খাদ্��� বিপত্তির সম্ভাবনা ঢাকার খাদ্য নিরাপত্তা এবং ভোক্তাদের স্বাস্থ্যের উপর বিশাল প্রভাব ফেলছে। অত্যধিক কীটনাশক ও অন্যান্য রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার, রাস্তায় বিধি বহির্ভূতভাবে খাদ্য  বিক্রি এবং খাদ্য নিরাপত্তার ব্যাপারে স্বল্প সচেতনতা ঢাকা  নগরবাসীদেরকে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলতে পারে। তেমন কোন আইন কানুন ছাড়াই ঢাকা শহরে হাজার হাজার হোটেল ও রেস্ট‍ুরেন্ট সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে  আছে। এ সংক্রান্ত  কিছু আইন অবশ্য আছে, যেমন- নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩। কিন্তু যারা এই হোটেল রেস্ট‍ুরেন্টগুলো পরিচালনা করছে, তারা এই আইনগুলো সম্পর্কে অবগত নয় বা বুঝতে পারে না। তারা খাদ্য প্রস্তুতকরণ, সংরক্ষণ ও পরিবেশন সংক্রান্ত আইনগুলো সমন্ধে ওয়াকিবহাল নয়। সাধারণত এই হোটেল- রেস্ট‍ুরেন্টে স্বল্প বেতনে কর্মচারী নিয়োগ  দেওয়া  হয় যারা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা সমন্ধে খুব একটা সচেতন নয়। তাদের কর্মস্থলের পরিবেশও তাদেরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার সুযোগ দেয়না। এই রেস্ট‍ুরেন্ট মালিক ও কর্মচারীদের কারোরই বিশুদ্ধতার সাথে খাদ্য তৈরি এবং সংরক্ষণের কোন প্রশিক্ষণ নেই। ঢাকা শহরে একটি রেস্ট‍ুরেন্ট চালু করতে একটি ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া আর তেমন কিছুরই দরকার পড়ে না। সিটি কর্পোরেশন ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার সময় তেমন কিছুই পরীক্ষা করে না যদিও আইন অনুযায়ী তাদের বহু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যাচাই করার কথা। কিন্তু এগুলো যদি যাচাই করাও হতো খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তা যথেষ্ট হতো না। আমরা মাঝে মাঝেই শুনতে পাই অনিরাপদভাবে খাদ্য প্রস্তুত করা এবং অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের কারণে মোবাইল কোর্ট হোটেল- রেস্ট‍ুরেন্ট গুলোকে জরিমানা করছে। কিন্তু এটি এই সমস্যার কোন স্থায়ী সমাধান নয়। ঢাকা শহরজুড়ে অনিরাপদ কর্মচর্চার প্রেক্ষিতে অল্প কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে জারিমানা করা হলে তার তেমন কোন প্রভাব তৈরি হবে না। তার উপরে, কেন আমরা এদেরকে জরিমানা করছি? আমরা তাদেরকে কোন ধরণের প্রশিক্ষণ দিইনি অথবা তাদেরকে খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতনও করিনি। সরকারের তরফ থেকে খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি প্রচারে কোন প্রচেষ্টা না থাকার কারণে আমরা রেস্ট‍ুরেন্ট মালিকদেরকে অনিরাপদ কার্যবিধির কারণে জরিমানা দিতে বাধ্য করতে পারিনা। জরিমানা দেওয়ার পরেও তারা আসলে পরিষ্কার ও ভেজালমুক্ত খাদ্য নিশ্চিত করতে পারে না। কারণ বাস্তবে এই বিষয়ে তাদের জ্ঞানের ঘাটতি রয়েছে। আর এসবের মধ্য দিয়ে আমরা ঢাকাবাসীরা মারাত্মক দুর্ভোগ সহ্য করছি। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক “মিনেসোটা ইউনিভার্সিটির” পশু স্বাস্থ্য এবং খাদ্য নিরাপত্তা কেন্দ্রের ২০০৬ সালের একটি প্রতিবেদনে বলা হয় বাংলাদেশের পাঁচ বছরের নিচে শিশুরা অনিরাপদ খাদ্য গ্রহণের কারণে সবচেয়ে বেশী ঝুঁকিতে রয়েছে। এর ফলে ঐ বয়সশ্রেণীতে ১৮ শতাংশ মৃত্যু হয়ে থাকে। পরিণত বয়সের মানুষদের ১০ শতাংশের মৃত্যু অনিরাপদ খাদ্যের ফলে হয়। এই সমস্যাটি সাধারণত তিনটি কারণে হয়ঃ খাদ্যে ভেজাল, কীটনাশকের ব্যবহার এবং খাদ্য দূষণ। ২০০৬ থেকে আজ পর্যন্ত এই পরিস্থিতি আরও অনেক খারাপ হয়েছে এবং ঢাকা শহরে এমন কোন পরিবার নেই যারা কখনো কোন ধরণের খাদ্য বিপত্তির সম্মুখীন হয়নি। মাঝে মাঝেই আমরা পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া, পাকস্থলীর ব্যথা ইত্যাদিতে আক্রান্ত হই। কিন্তু এটি আরও বড় ক্ষতি, এমনকি নানা ধরণের ক্যান্সারের কারণ পর্যন্ত হতে পারে। যদি আমরা দূষিত ও ভেজাল খাদ্য দিনের পর দিন গ্রহণ করতে থাকি তাহলে অদূর ভবিষ্যতে নিশ্চিতভাবে ভয়ানক বড় রোগে আক্রান্ত হব। বাংলাদেশের রাস্তাঘাটের যে সব খাদ্য ব্যবসায়ীরা আছেন, খাদ্য দূষণের সবচেয়ে বড় উদাহরণ তারা। ২০১৫ সালের আইসিডিডিআরবি-এর একটি গবেষণা অনুযায়ী এই সব খাদ্য বিক্রেতাদের ৮৮ শতাংশের মত জীবানু ভর্তি থাকে এবং দুই-তৃতীয়াংশ খাদ্য বিক্রেতা খাদ্য প্রস্তুতকালে হাতে ব্যাক্টেরিয়া ধারণ করে। এর পাশাপাশি যে পানি তারা ব্যবহার করে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেটি ময়লা অথবা দূষিত। তারা খাদ্যে ক্ষতিকর রাসায়নিক সংরক্ষক, রাসায়নিক দ্রব্য, রং ও উপকরণ ব্যবহার করে। স্বাস্থ্য নিয়ে তারা মোটেও চিন্তিত নয় আর মানুষও যেনো অপরিচ্ছন্ন হলেও সস্তায় খাদ্য কিনতে চায়। দূষিত বায়ুতে থাকা ধূলাবালি এই রাস্তার খাবারগুলোকে আরও দূষিত করে তোলে এবং বিভিন্ন রোগের প্রধান উৎসে পরিণত করে। খাদ্যে ভেজাল নিয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছে। ফরমালিন এবং বেশকিছু ক্ষতিকর কীটনাশকের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু তা তেমন কোনো প্রভাব তৈরি করতে পারেনি। এখনো আমরা  শুধুমাত্র বাজারেই নয়, বড় বড় চেইন শপেও দূষিত এবং বিপজ্জনক খাদ্যদ্রব্য খুঁজে পাই। এগুলো প্রত্যক্ষভাবে ক্যান্সার এবং আরও অনেক মারাত্মক ব্যধি তৈরি করতে পারে। এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার কোন পথ দেখা যাচ্ছে না। আমরা এখনও যেসব খাদ্য গ্রহণ করছি তা বিষের সমতুল্য। বিভিন্ন কোম্পানী, এমনকি বড় বড় কোম্পানীগুলোরও স্ন্যাকস্, বেকারী আইটেম, খাদ্য উপকরণ, জুস এবং কোমল পানীয় বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই অনিরাপদ। আমরা চিন্তাও করতে পারবো না কি দিয়ে এগুলো তৈরি করা হয়। মাঝে মাঝেই আমরা গুজব শুনি যে, পচা পেপে থেকে আমের জুস তৈরি হচ্ছে অথবা ইটের গুঁড়া থেকে মরিচের গুঁড়া তৈরি হচ্ছে ইত্যাদি। এগুলো হয়তো সত্যি নয় কিন্তু এটা সত্য যে, এগুলো যথার্থ উপকরণ দিয়ে তৈরি নয় এবং এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। কিন্তু তারপরেও কোন বিকল্প না থাকায় ঢাকা শহরে আমাদের এগুলোই খেতে হচ্ছে। ঢাকায় হাসপাতাল, ক্লিনিক, প্যাথলজি সেন্টার ও ফার্মেসীর সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে এবং এর কারণ হলো রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়া। প্রতি বছরেই আমরা বেশী থেকে আরও বেশী অর্থ চিকিৎসা ও ওষুধের পেছনে খরচ করছি আর এর মূল কারণ হচ্ছে দূষিত ও ভেজাল খাদ্য। যেকোনো উন্নত রাষ্ট্রে খাদ্য নিরাপত্তাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়া হয়। কিন্তু আমরা এর উপর খুব একটা গুরুত্ব আরোপ করি না। ঢাকার নাগরিকদেরকে একটি সম্পূর্ণ অসুস্থ ও ক্ষতিকর জীবনযাপনের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে আমাদের এখনই কিছু শক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। সরকারকে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করতে হবে যেখানে যদি কেউ রেস্ট‍ুরেন্ট চালু করতে যায় তাহলে তাকে খাদ্যের মান নিশ্চিতকরণ ও পরিচ্ছন্ন রান্নাঘর ব্যবস্থাপনার উপরে অবশ্যই ৪-৬ সপ্তাহের প্রশিক্ষণ নিতে হবে। এই প্রশিক্ষণ শেষ হবার পর তাদেরকে একটি সার্টিফিকেট প্রদান করতে হবে। সিটি কর্পোরেশন, খাদ্য মহাসচিবের দপ্তর, খাদ্য মন্ত্রণালয়, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যলয়ের খাদ্য ও পুষ্টি বিভাগ এবং এনজিওগুলো এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের আয়োজন করতে পারে। একই সাথে তারা বিভিন্ন সচেতনতামূলক প্রচারণাও চালাতে পারে। রেস্ট‍ুরেন্ট মালিকেরা তাদের দোকানের কিছু কর্মীকেও এই প্রশিক্ষণে অবশ্যই অন্তর্ভূক্ত করবে এবং তারা অন্যদেরও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বিষয়গুলো শেখাবে। যদি মালিক ও ৩০ শতাংশ কর্মচারীর এই প্রশিক্ষণ না থাকে তাহলে রেস্ট‍ুরেন্ট খোলার জন্য তাদের কোনো ট্রেড লাইসেন্স দেয়া যাবে না। বিভিন্ন দেশে এই বন্দোবস্ত অনেক আগে থেকেই চালু রয়েছে এবং তারা সফলভাবে তাদের ভোক্তাদের জন্য খাদ্যের মান নিশ্চিত করছে। রাস্তাঘাটে খাদ্য বিক্রেতাদেরকেও তাদের খাদ্যের গাড়ী অথবা ভ্যান পরিচালনার জন্য অবশ্যই একটি লাইসেন্স নিতে হবে। সরকার তাদেরকে খাদ্যের বিশুদ্ধতা নিশ্চিতে সহায়ক আধুনিক ও যথার্থ একটি ভ্যানও দিতে পারে যা থেকে তারা খাদ্য বিক্রয় করবে। এদেরকেও ছোট ছোট দলে স্বাস্থ্যকর খাদ্য প্রস্তুতকরণ, বিশুদ্ধতা নিশ্চিতকরণ ও পরিষ্কারভাবে খাদ্য সংরক্ষণের উপর প্রশিক্ষণ নিতে হবে। এদেরকেও কোনো না কোনোভাবে নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনার আওতায় আন��ে হবে কারণ সমাজের খাদ্য ব্যবস্থায় এই রাস্তাঘাটের খাদ্য বিক্রেতাদের ভূমিকা কখনোই ছোট করে দেখা যাবে না। কৃষকদের রাসায়নিক কীটনাশক বিশেষত যেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতির সম্ভাবনা সৃষ্টি  করে সেগুলোর ব্যাপারে শিক্ষা প্রদানে গুরুত্ব আরোপ করতে হবে। থানা ও ইউনিয়নের কৃষি কর্মকর্তাদেরকে অবশ্যই এ বিষয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে। তাদেরকে ফরমালিন ব্যবহারের বিরুদ্ধে একটি শক্ত সচেতনতাও বিস্তার করতে হবে। স্বাস্থ্যের উপর ফরমালিনের ক্ষতিকর প্রভাব তুলে ধরাটাই হবে এই প্রচারণার উদ্দেশ্য। এইসব নিয়মকানুনগুলো ভঙ্গ করলে কি শাস্তি হতে পারে সেটাও অবশ্যই প্রচার করা দরকার। খাদ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রথমত বিবেকবোধের উপর প্রশিক্ষণ দিতে হবে আর তারপরে তাদের উৎপাদন প্রক্রিয়ায় নিয়মনীতি মেনে চলার উপরে গুরুত্ব দিতে হবে। খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুতকালে কোনো ভুল বা ক্ষতিকর উপকরণ ব্যবহার করলে কি হতে পারে সেটাও তাদেরকে জানাতে হবে। তাদেরকে খাদ্যে সংরক্ষক বা রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করলে কি ধরণের স্বাস্থ্য বিপত্তির সৃষ্টি হতে পারে, সেটাও জানাতে হবে। সরকারকে এই প্রশিক্ষণগুলো ও সচেতনতামূলক প্রচরণা চালাবার ব্যাপারে প্রাথমিক উদ্যোগ নিতে হবে। সবচেয়ে জরুরি ব্যাপার হলো যে, খাদ্য বিষয়ক সকল প্রক্রিয়া ও অনুমতিগুলো দুর্নীতিমুক্ত হতে হবে। এই বিষয়ে সকলকে বিবেকবোধের ব্যবহার করতে হবে কারণ এটি একটি জাতির স্বাস্থ্যের প্রশ্ন। ঢাকার নাগরিকদেরও জানতে হবে যে তারা কি খাচ্ছে। সংরক্ষক দ্রব্যযুক্ত খাদ্য গ্রহণকে এড়াতে তাদেরকে সজাগ থাকতে হবে। দৈনিক আমরা যেই খাবার খাই, তার ১০ শতাংশের বেশী সংরক্ষকযুক্ত হওয়া উচিৎ নয়। আমাদের প্রাথমিক শিক্ষাতেও খাদ্য ও পুষ্টিকে ‍গুরুত্বের সাথে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য আমাদের নিজেদেরই সচেষ্ট হওয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশে খাদ্য বিষয়ক অনেক আইন রয়েছে যেমন, ‘বাংলাদেশ পিওর ফুড অর্ডিন্যান্স (১৯৫৯)’, ‘ মৎস ও মৎসজাত দ্রব্য বিধিমালা (১৯৯৭)’,  ‘রেডিয়েশন প্রটেকশন অ্যাক্ট (১৯৮৭)’ ইত্যাদি। যদি খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুতকারকেরা, কৃষকেরা, রেস্ট‍ুরেন্ট মালিকেরা এবং রাস্তাঘাটে খাদ্য বিক্রেতারা খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক আইন ও সমস্যাগুলো সমন্ধে ভালোভাবে অবগত থাকে, তাহলে সরকারের এই আইনগুলো ভালোভাবে কাজ করবে। খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য এবং বাংলাদেশীদের, বিশেষত ঢাকাবাসীদের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে সকল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদেরকে প্রথমে এই বিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত করতে হবে। আর তারপরে আমাদেরকে পর্যবেক্ষণ ও শাস্তির বন্দোবস্ত করতে হবে। যদি একটি সমন্বিত ও দুর্নীতিমুক্ত পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হয় তবে আমরা আশা করতে পারি যে,  ঢাকা থেকে খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক স্বাস্থ্য বিপত্তিগুলো কমাতে এমনকী সম্পূর্ণরূপে দূর করতেও আমরা সফল হবো। সারা বাংলাদেশ থেকে নানা কারণে ঢাকায় প্রচুর লোকজন আসে। আমরা যদি ঢাকাকে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের আদর্শে পরিনত করতে পারি, তাহলে তা সারা বাংলাদেশেও নিশ্চিত করা সম্ভব। তাই আমাদেরকে ঢাকা থেকে খাদ্য বিপত্তি দূর করতে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে। আর তাহলেই আমাদের নাগরিকদের আমরা অসুস্থতা ও অসুখ-বিসুখের হাত থেকে অনেকাংশেই রক্ষা করতে পারবো। লেখক : প্রধান সম্পাদক, মোহাম্মদী নিউজ এজেন্সী (এমএনএ)।
0 notes