Tumgik
#itikaf
ilimheybem · 26 days
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
10 notes · View notes
gatewaytojannah · 25 days
Text
The moon tonight
2 notes · View notes
uma1ra · 1 year
Text
Tumblr media
What is Itikaf - All you need to know about Itikaf
Itikaf means to be in isolation in a Masjid or at home with the intention of solely dedicating your time to the worship of Allah (SWT).
It is Sunnat-al-Muaqidah (Sunnah that is urged to be performed) to sit in Itikaf in the last 10 days of Ramadan. A person may commence Itikaf after sunset of 20th of Ramadan, and end it when the moon for Eid is sighted. The Sunnah stays the same if the month of Ramadan is of 29 or 30 days.
You may sit in Itikaf at any other time of the year for any duration. This kind of Itikaf is Mustahib (optional).
It is compulsory for men to perform Itikaf in a Masjid, where they can offer all five prayers in congregation. Women can also perform in a masjid if they have the privacy and necessary facilities. Otherwise, they can practice it at home, selecting a corner where they won’t be disturbed and can meditate in peace.
Here are some points to remember while
performing Itikaf.
Daily needs
It is normal to eat, drink, sleep or get something that’s urgently needed. It is highly rewarding to provide food and drink for the people who are in Itikaf.
Ibadah
All things that are considered Ibadah (worship) can be done in Itikaf. A few good deeds are mentioned below:
Recite Al Quran
Recite Darood
Read about Islam
Make Dua
Talk/think about the good and righteous things
Do Taubah (repentance)
Doing nothing and considering it Ibadah does not count in Itikaf
Leaving your place of Itikaf
You can get up from your place of meditation if you need to use the restroom or do Ghusl (bath for purification), for the Jummah prayer, to get something of need, or if you’re a Muazzin and have to give Athan.
Things to avoid
Foul talking
Buying or selling things in the Masjid
Having a quarrel or fight with someone
Disturbing other people in Itikaf around you
Bringing in too many items
Things that nullify Itikaf
Going out for some need and staying even after the need is addressed
Leaving your place without any reason
Having unwanted company while you are in Itikaf
Going for Namaz-e-Janazah
Before sitting in Itikaf, if a person made Niyyah (intention) to attend any Funeral Prayer while sitting in Itikaf, he may go. Otherwise, he shall remain in his place.
May Allah help us achieve the best in this world and the hereafter.
2 notes · View notes
catatanbalqis · 18 days
Text
I'tikaf
Sejak kecil, aku dan saudara-saudaraku terbiasa beri'tikaf bersama. Bagiku, ini adalah memori masa kecil yang indah. Berangkat malam-malam dengan segudang perbekalan, sampai di masjid langsung mencari spot untuk menggelar bed cover, berkenalan dengan anak-anak kecil lain, lalu tertidur di tengah gemuruh lantunan ayat suci Al-Qur'an.
Ayah dan Ibu tidak pernah memaksa kami untuk ikut, ataupun untuk beribadah di masjid. Kami cukup ikut saja dan sekadar "pindah tidur". Menonton orang-orang Sholat Qiyamullail hingga berjuz-juz. Bangun pagi buta untuk beribadah. Namun, memori itu terpatri hingga kami tumbuh dewasa sehingga ramadhan tanpa i'tikaf rasanya seperti pecel tanpa bumbu. Ada yang kurang.
Seiring bertambah dewasa, butuh waktu bagiku untuk benar-benar memahami esensi dari i'tikaf. Awalnya, aku sekadar pergi ke masjid, membaca 1-2 juz, lalu tidur dan sahur di sana. Proporsi waktu bersama gadget masih cukup besar. Kenyamanan untuk beristirahat masih jadi target utama. Belakangan, aku baru paham bahwa tujuan i'tikaf adalah menghidupkan malam. Bagaimana agar sisa-sisa malam ramadhan ini dilalui dengan optimal. Poin utamanya adalah beribadah dan berdo'a. Mengejar malam lailatur qadar. Berusaha sesedikit mungkin tidur.
Ternyata pola seperti ini tidak hanya kudapati pada i'tikaf, namun juga ibadah-ibadah lainnya. Ayah dan Ibu membiarkan kami untuk menemukan kenyamanan dalam beribadah terlebih dahulu, lalu mencari sendiri esensinya seiring waktu berjalan. Walaupun pada beberapa kesempatan aku merasa kehilangan momen ibadah di tahun2 SMP/SMA, aku juga sadar apabila dari awal kami langsung dipaksa untuk memahami semua hal, besar kemungkinan kami justru berontak dan kehilangan kenyamanan itu.
0 notes
roisma22 · 24 days
Text
🌙✨شهر رمضان✨🌙
شهر الصيام 🍱🍹
شهر القيام 🕋🕌
شهر قرأءة القرآن 📖
⚠️‼️وأن تكثير هذا الدعاء في خواتم مباركة‼️⚠️
اللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّى
Allahumma innaka 'afuwwun tuhibbul 'afwa fa'fu'anni
"Ya Allah, Engkau Maha Memberikan Maaf dan Engkau suka memberikan maaf-menghapus kesalahan-, karenanya maafkanlah aku-hapuslah dosa-dosaku."
(HR. Tirmidzi no. 3513 dan Ibnu Majah no. 3850.)
خواتم مباركة، أسأل الله أن يتقبل منا ومنكم صالح الآعمال✨
آمين اللهم آمين🤲✨💕
Singkut, 01 April 2024 | 23.23 WIB
1 note · View note
ilyforallahswt · 25 days
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইতিকাফ কী ও কেন
What is Itikaaf and why?
ইত্তিকাফ হল মুসলিমদের একটি ধর্মীয় চর্চা, যেখানে একজন মুসলিম তার নিজস্ব ইচ্ছানুযায়ী এক বা একাধিক দিন নিকটবর্তী মসজিদে দিনানিপাত করেন| রমজান মাসে এর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে, বিশেষত রমজানের শেষ দশ দিনের জন্য। অনেক মসজিদেই মুসলমানরা রমযান মাসের শেষ দশ দিনে ইতিকাফে থাকে।
ইতিকাফের আভিধানিক অর্থ হলো অবস্থান করা। পারিভাষিক অর্থ হলো, যে ব্যক্তি মসজিদে অবস্থান করে এবং ইবাদতে লিপ্ত হয় তাকে বলা হয় ‘আকিফ’ এবং ‘মুতাকিফ’। অর্থাৎ ইতিকাফকারী। (লিসানুল আরব, খণ্ড ৯, পৃষ্ঠা : ২৫৫)
শরিয়তের পরিভাষায় ইতিকাফ মানে আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে নিজেকে মসজিদে আবদ্ধ করা।
(উমদাতুল কারি, খণ্ড ১১, পৃষ্ঠা : ১৪০)
ইতিকাফ হলো এমন একটি ইবাদত, যা পূর্ববর্তী আম্বিয়ায়ে কিরাম (আ.)-এর সময় থেকে চলে আসছে। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনেও এর কথা উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় খলিল ইবরাহিম (আ.) এবং ইসমাইল (আ.)-কে নির্দেশ দিয়েছিলেন কাবা গৃহ নির্মাণের পর তাওয়াফ করতে এবং ইতিকাফকারী ও নামাজ আদায়কারীদের জন্য তা (আল্লাহর ঘর) পরিষ্কার রাখতে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং আমি ইবরাহিম ও ইসমাঈলকে হুকুম করি, তোমরা আমার ঘরকে সেই সকল লোকের জন্য পবিত্র করো, যারা (এখানে) তাওয়াফ করবে, ইতিকাফ করবে এবং রুকু ও সিজদা আদায় করবে।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১২৫) মূলত রমজান মাস হলো আল্লাহ তাআলার আনুগত্য ও ইবাদতের বসন্তকাল এবং ক্ষমা ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির মৌসুম। যদিও এই মাস গুনাহগার ও নাফরমানদের জন্য ক্ষমা ও মাগফিরাতের সুবর্ণ সুযোগের মাধ্যম, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি নেক ও পরহেজগার ব্যক্তিদের জন্য রহমত, বরকত এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের মূল মাধ্যম। তাই আল্লাহ তাআলা রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফের মতো মহান ইবাদতের বিধান রেখেছেন। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে একটি মহা উপহার।
যা পূর্ববর্তী নবী (আ.) থেকে সাহাবায়ে কিরামরা খুবই গুরুত্বের সঙ্গে আমল করে এসেছেন। শরিয়তে ইতিকাফ হলো সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। (আল ইখতিয়ার লি তালিলিল মুখতার, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা : ১৩৬)
রমজানের শেষ ১০ দিনে ইতিকাফ করা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর একটি স্বতন্ত্র সুন্নত এবং এর চেয়ে উত্তম আর কী হতে পারে যে রাসুলুল্লাহ (সা.) সর্বদা এর প্রতি যত্নবান ছিলেন। ইমাম জুহরি (রহ.) বলেন, অনেক আমল তো নবীজি (সা.) কখ��ো করেছেন আবার কখনো ছেড়েও দিয়েছেন। কিন্তু মদিনায় হিজরত করার পর থেকে ওফাত পর্যন্ত রমজান মাসের শেষ ১০ দিনের ইতিকাফের আমলটি তিনি কখনোই ছেড়ে দেননি।
অথচ বড়ই আশ্চর্য ও আফসোসের বিষয় হলো, এই মর্যাদাপূর্ণ আমলটির ব্যাপারে মানুষ তেমন গুরুত্ব দেয় না। (ফাতহুল বারি, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা : ২৮৫) হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের শেষ দশকে ইতেকাফ করতেন। (বুখারি, হাদিস : ২০২৫)
নবীপত্নীরাও নিজ নিজ ঘরে ইতিকাফ করতেন। উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের শেষ ১০ দিনে ইতিকাফ করতেন। তাঁর ওফাত পর্যন্ত এই নিয়মই ছিল। এরপর তাঁর সহধর্মিণীরাও (সে দিনগুলোতে) ইতিকাফ করতেন। (বুখারি, হাদিস : ২০২৬)
আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের মধ্যম দশকে ইতিকাফ করতেন। (বুখারি, হাদিস : ২০২৭)
ওফাতের বছর মহানবী (সা.) ২০ দিন ইতিকাফ করেছিলেন। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতি রমজানে ১০ দিন ইতিকাফ করতেন, কিন্তু তাঁর ইন্তেকালের বছর তিনি ২০ দিন ইতিকাফ করেছেন। (বুখারি, হাদিস : ২০৪৪)
এ ছাড়া ইতিকাফ হলো, আল্লাহ তাআলার ঘর মসজিদে অবস্থান করার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জন, দুনিয়াবিমুখতা এবং আল্লাহর রহমতে সিক্ত হওয়া ও ক্ষমা চাওয়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ মাধ্যম। আর ইতিকাফকারী ব্যক্তির উদাহরণ দিতে গিয়ে আতা (রহ.) বলেন যে কোনো ব্যক্তি এসে কারো দরজায় কড়া নাড়ল এই বলে যে যতক্ষণ পর্যন্ত তাকে কিছু না দেওয়া হবে, ততক্ষণ সে এখান থেকে এগোবে না। অনুরূপভাবে ইতিকাফকারী ব্যক্তিও আল্লাহ তাআলার দরজায় কড়া নাড়তে থাকে, যতক্ষণ পর্যন্ত না আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং ক্ষমা অর্জিত না হয়, ততক্ষণ সে আল্লাহর রহমত থেকে নৈরাশ হয়ে ফিরে আসে না। (মারাকিল ফালাহ, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা : ২৬৯)
ইতিকাফের মাহাত্ম্য ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শাহ ওয়ালি উল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভি (রহ.) বলেন, মসজিদে ইতিকাফ হচ্ছে হৃদয়ের প্রশান্তি, আত্মার পবিত্রতা ও চিত্তের নিষ্কলুষতা; চিন্তার পরিচ্ছন্নতা ও বিশুদ্ধতা। ফেরেশতাদের গুণাবলি অর্জন এবং লাইলাতুল কদরের সৌভাগ্য ও কল্যাণ লাভসহ সব ধরনের ইবাদতের সুযোগ লাভের সর্বোত্তম উপায়। এ জন্য রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ইতিকাফ পালন করেছেন এবং তাঁর পূতঃপবিত্র বিবিগণসহ সাহাবায়ে কিরামের অনেকেই এই সুন্নতের ওপর আমৃত্যু আমল করেছেন। (হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগা, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা : ৪২)
সওয়াবের দিক থেকে ইতিকাফের জন্য সর্বোত্তম স্থান হলো মসজিদুল হারাম। এরপর মসজিদে নববী। তারপর মসজিদুল আকসা। এরপর যেকোনো জামে মসজিদ। তারপর যেকোনো পাঞ্জেগানা মসজিদ।
তবে নারীদের জন্য ইতিকাফের স্থান হলো ঘরের নির্দিষ্ট কোনো পবিত্র স্থান। এ ক্ষেত্রে স্বামীর অনুমতি প্রযোজ্য। নারীদের মসজিদে ইতিকাফ করা মাকরুহে তাহরিমি। কারণ বর্তমান যুগ ফিতনা-ফ্যাসাদের যুগ। মসজিদে পুরুষদের সঙ্গে মেলামেশার প্রবল আশঙ্কা এবং অনৈতিকতা, অশ্লীলতারও আশঙ্কা আছে। তাই বর্তমান যুগে নারীদের মসজিদে ইতিকাফ করা মাকরুহে তাহরিমি। (আল মাবসুত লিল সারাখসি, খণ্ড ৩, পৃষ্ঠা ১১৫)
ইতিকাফ
youtube
youtube
youtube
ইতেকাফ অবস্থায় কি কি করনীয় ও কি কি নিষেধ ! 
ইতিকাফের সঠিক নিয়ম 
youtube
ইতিকাফ কী ও কেন
What is Itikaaf and why?
0 notes
myreligionislam · 25 days
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইতিকাফ কী ও কেন
What is Itikaaf and why?
ইত্তিকাফ হল মুসলিমদের একটি ধর্মীয় চর্চা, যেখানে একজন মুসলিম তার নিজস্ব ইচ্ছানুযায়ী এক বা একাধিক দিন নিকটবর্তী মসজিদে দিনানিপাত করেন| রমজান মাসে এর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে, বিশেষত রমজানের শেষ দশ দিনের জন্য। অনেক মসজিদেই মুসলমানরা রমযান মাসের শেষ দশ দিনে ইতিকাফে থাকে।
ইতিকাফের আভিধানিক অর্থ হলো অবস্থান করা। পারিভাষিক অর্থ হলো, যে ব্যক্তি মসজিদে অবস্থান করে এবং ইবাদতে লিপ্ত হয় তাকে বলা হয় ‘আকিফ’ এবং ‘মুতাকিফ’। অর্থাৎ ইতিকাফকারী। (লিসানুল আরব, খণ্ড ৯, পৃষ্ঠা : ২৫৫)
শরিয়তের পরিভাষায় ইতিকাফ মানে আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে নিজেকে মসজিদে আবদ্ধ করা।
(উমদাতুল কারি, খণ্ড ১১, পৃষ্ঠা : ১৪০)
ইতিকাফ হলো এমন একটি ইবাদত, যা পূর্ববর্তী আম্বিয়ায়ে কিরাম (আ.)-এর সময় থেকে চলে আসছে। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনেও এর কথা উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় খলিল ইবরাহিম (আ.) এবং ইসমাইল (আ.)-কে নির্দেশ দিয়েছিলেন কাবা গৃহ নির্মাণের পর তাওয়াফ করতে এবং ইতিকাফকারী ও নামাজ আদায়কারীদের জন্য তা (আল্লাহর ঘর) পরিষ্কার রাখতে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং আমি ইবরাহিম ও ইসমাঈলকে হুকুম করি, তোমরা আমার ঘরকে সেই সকল লোকের জন্য পবিত্র করো, যারা (এখানে) তাওয়াফ করবে, ইতিকাফ করবে এবং রুকু ও সিজদা আদায় করবে।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১২৫) মূলত রমজান মাস হলো আল্লাহ তাআলার আনুগত্য ও ইবাদতের বসন্তকাল এবং ক্ষমা ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির মৌসুম। যদিও এই মাস গুনাহগার ও নাফরমানদের জন্য ক্ষমা ও মাগফিরাতের সুবর্ণ সুযোগের মাধ্যম, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি নেক ও পরহেজগার ব্যক্তিদের জন্য রহমত, বরকত এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের মূল মাধ্যম। তাই আল্লাহ তাআলা রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফের মতো মহান ইবাদতের বিধান রেখেছেন। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে একটি মহা উপহার।
যা পূর্ববর্তী নবী (আ.) থেকে সাহাবায়ে কিরামরা খুবই গুরুত্বের সঙ্গে আমল করে এসেছেন। শরিয়তে ইতিকাফ হলো সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। (আল ইখতিয়ার লি তালিলিল মুখতার, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা : ১৩৬)
রমজানের শেষ ১০ দিনে ইতিকাফ করা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর একটি স্বতন্ত্র সুন্নত এবং এর চেয়ে উত্তম আর কী হতে পারে যে রাসুলুল্লাহ (সা.) সর্বদা এর প্রতি যত্নবান ছিলেন। ইমাম জুহরি (রহ.) বলেন, অনেক আমল তো নবীজি (সা.) কখনো করেছেন আবার কখনো ছেড়েও দিয়েছেন। কিন্তু মদিনায় হিজরত করার পর থেকে ওফাত পর্যন্ত রমজান মাসের শেষ ১০ দিনের ইতিকাফের আমলটি তিনি কখনোই ছেড়ে দেননি।
অথচ বড়ই আশ্চর্য ও আফসোসের বিষয় হলো, এই মর্যাদাপূর্ণ আমলটির ব্যাপারে মানুষ তেমন গুরুত্ব দেয় না। (ফাতহুল বারি, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা : ২৮৫) হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের শেষ দশকে ইতেকাফ করতেন। (বুখারি, হাদিস : ২০২৫)
নবীপত্নীরাও নিজ নিজ ঘরে ইতিকাফ করতেন। উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের শেষ ১০ ��িনে ইতিকাফ করতেন। তাঁর ওফাত পর্যন্ত এই নিয়মই ছিল। এরপর তাঁর সহধর্মিণীরাও (সে দিনগুলোতে) ইতিকাফ করতেন। (বুখারি, হাদিস : ২০২৬)
আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের মধ্যম দশকে ইতিকাফ করতেন। (বুখারি, হাদিস : ২০২৭)
ওফাতের বছর মহানবী (সা.) ২০ দিন ইতিকাফ করেছিলেন। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতি রমজানে ১০ দিন ইতিকাফ করতেন, কিন্তু তাঁর ইন্তেকালের বছর তিনি ২০ দিন ইতিকাফ করেছেন। (বুখারি, হাদিস : ২০৪৪)
এ ছাড়া ইতিকাফ হলো, আল্লাহ তাআলার ঘর মসজিদে অবস্থান করার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জন, দুনিয়াবিমুখতা এবং আল্লাহর রহমতে সিক্ত হওয়া ও ক্ষমা চাওয়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ মাধ্যম। আর ইতিকাফকারী ব্যক্তির উদাহরণ দিতে গিয়ে আতা (রহ.) বলেন যে কোনো ব্যক্তি এসে কারো দরজায় কড়া নাড়ল এই বলে যে যতক্ষণ পর্যন্ত তাকে কিছু না দেওয়া হবে, ততক্ষণ সে এখান থেকে এগোবে না। অনুরূপভাবে ইতিকাফকারী ব্যক্তিও আল্লাহ তাআলার দরজায় কড়া নাড়তে থাকে, যতক্ষণ পর্যন্ত না আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং ক্ষমা অর্জিত না হয়, ততক্ষণ সে আল্লাহর রহমত থেকে নৈরাশ হয়ে ফিরে আসে না। (মারাকিল ফালাহ, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা : ২৬৯)
ইতিকাফের মাহাত্ম্য ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শাহ ওয়ালি উল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভি (রহ.) বলেন, মসজিদে ইতিকাফ হচ্ছে হৃদয়ের প্রশান্তি, আত্মার পবিত্রতা ও চিত্তের নিষ্কলুষতা; চিন্তার পরিচ্ছন্নতা ও বিশুদ্ধতা। ফেরেশতাদের গুণাবলি অর্জন এবং লাইলাতুল কদরের সৌভাগ্য ও কল্যাণ লাভসহ সব ধরনের ইবাদতের সুযোগ লাভের সর্বোত্তম উপায়। এ জন্য রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ইতিকাফ পালন করেছেন এবং তাঁর পূতঃপবিত্র বিবিগণসহ সাহাবায়ে কিরামের অনেকেই এই সুন্নতের ওপর আমৃত্যু আমল করেছেন। (হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগা, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা : ৪২)
সওয়াবের দিক থেকে ইতিকাফের জন্য সর্বোত্তম স্থান হলো মসজিদুল হারাম। এরপর মসজিদে নববী। তারপর মসজিদুল আকসা। এরপর যেকোনো জামে মসজিদ। তারপর যেকোনো পাঞ্জেগানা মসজিদ।
তবে নারীদের জন্য ইতিকাফের স্থান হলো ঘরের নির্দিষ্ট কোনো পবিত্র স্থান। এ ক্ষেত্রে স্বামীর অনুমতি প্রযোজ্য। নারীদের মসজিদে ইতিকাফ করা মাকরুহে তাহরিমি। কারণ বর্তমান যুগ ফিতনা-ফ্যাসাদের যুগ। মসজিদে পুরুষদের সঙ্গে মেলামেশার প্রবল আশঙ্কা এবং অনৈতিকতা, অশ্লীলতারও আশঙ্কা আছে। তাই বর্তমান যুগে নারীদের মসজিদে ইতিকাফ করা মাকরুহে তাহরিমি। (আল মাবসুত লিল সারাখসি, খণ্ড ৩, পৃষ্ঠা ১১৫)
ইতিকাফ
youtube
youtube
youtube
ইতেকাফ অবস্থায় কি কি করনীয় ও কি কি নিষেধ ! 
ইতিকাফের সঠিক নিয়ম 
youtube
ইতিকাফ কী ও কেন
What is Itikaaf and why?
0 notes
allahisourrabb · 25 days
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইতিকাফ কী ও কেন
What is Itikaaf and why?
ইত্তিকাফ হল মুসলিমদের একটি ধর্মীয় চর্চা, যেখানে একজন মুসলিম তার নিজস্ব ইচ্ছানুযায়ী এক বা একাধিক দিন নিকটবর্তী মসজিদে দিনানিপাত করেন| রমজান মাসে এর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে, বিশেষত রমজানের শেষ দশ দিনের জন্য। অনেক মসজিদেই মুসলমানরা রমযান মাসের শেষ দশ দিনে ইতিকাফে থাকে।
ইতিকাফের আভিধানিক অর্থ হলো অবস্থান করা। পারিভাষিক অর্থ হলো, যে ব্যক্তি মসজিদে অবস্থান করে এবং ইবাদতে লিপ্ত হয় তাকে বলা হয় ‘আকিফ’ এবং ‘মুতাকিফ’। অর্থাৎ ইতিকাফকারী। (লিসানুল আরব, খণ্ড ৯, পৃষ্ঠা : ২৫৫)
শরিয়তের পরিভাষায় ইতিকাফ মানে আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে নিজেকে মসজিদে আবদ্ধ করা।
(উমদাতুল কারি, খণ্ড ১১, পৃষ্ঠা : ১৪০)
ইতিকাফ হলো এমন একটি ইবাদত, যা পূর্ববর্তী আম্বিয়ায়ে কিরাম (আ.)-এর সময় থেকে চলে আসছে। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনেও এর কথা উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় খলিল ইবরাহিম (আ.) এবং ইসমাইল (আ.)-কে নির্দেশ দিয়েছিলেন কাবা গৃহ নির্মাণের পর তাওয়াফ করতে এবং ইতিকাফকারী ও নামাজ আদায়কারীদের জন্য তা (আল্লাহর ঘর) পরিষ্কার রাখতে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং আমি ইবরাহিম ও ইসমাঈলকে হুকুম করি, তোমরা আমার ঘরকে সেই সকল লোকের জন্য পবিত্র করো, যারা (এখানে) তাওয়াফ করবে, ইতিকাফ করবে এবং রুকু ও সিজদা আদায় করবে।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১২৫) মূলত রমজান মাস হলো আল্লাহ তাআলার আনুগত্য ও ইবাদতের বসন্তকাল এবং ক্ষমা ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির মৌসুম। যদিও এই মাস গুনাহগার ও নাফরমানদের জন্য ক্ষমা ও মাগফিরাতের সুবর্ণ সুযোগের মাধ্যম, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি নেক ও পরহেজগার ব্যক্তিদের জন্য রহমত, বরকত এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের মূল মাধ্যম। তাই আল্লাহ তাআলা রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফের মতো মহান ইবাদতের বিধান রেখেছেন। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে একটি মহা উপহার।
যা পূর্ববর্তী নবী (আ.) থেকে সাহাবায়ে কিরামরা খুবই গুরুত্বের সঙ্গে আমল করে এসেছেন। শরিয়তে ইতিকাফ হলো সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। (আল ইখতিয়ার লি তালিলিল মুখতার, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা : ১৩৬)
রমজানের শেষ ১০ দিনে ইতিকাফ করা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর একটি স্বতন্ত্র সুন্নত এবং এর চেয়ে উত্তম আর কী হতে পারে যে রাসুলুল্লাহ (সা.) সর্বদা এর প্রতি যত্নবান ছিলেন। ইমাম জুহরি (রহ.) বলেন, অনেক আমল তো নবীজি (সা.) কখনো করেছেন আবার কখনো ছেড়েও দিয়েছেন। কিন্তু মদিনায় হিজরত করার পর থেকে ওফাত পর্যন্ত রমজান মাসের শেষ ১০ দিনের ইতিকাফের আমলটি তিনি কখনোই ছেড়ে দেননি।
অথচ বড়ই আশ্চর্য ও আফসোসের বিষয় হলো, এই মর্যাদাপূর্ণ আমলটির ব্যাপারে মানুষ তেমন গুরুত্ব দেয় না। (ফাতহুল বারি, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা : ২৮৫) হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের শেষ দশকে ইতেকাফ করতেন। (বুখারি, হাদিস : ২০২৫)
নবীপত্নীরাও নিজ নিজ ঘরে ইতিকাফ করতেন। উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের শেষ ১০ দিনে ইতিকাফ করতেন। তাঁর ওফাত পর্যন্ত এই নিয়মই ছিল। এরপর তাঁর সহধর্মিণীরাও (সে দিনগুলোতে) ইতিকাফ করতেন। (বুখারি, হাদিস : ২০২৬)
আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের মধ্যম দশকে ইতিকাফ করতেন। (বুখারি, হাদিস : ২০২৭)
ওফাতের বছর মহানবী (সা.) ২০ দিন ইতিকাফ করেছিলেন। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতি রমজানে ১০ দিন ইতিকাফ করতেন, কিন্তু তাঁর ইন্তেকালের বছর তিনি ২০ দিন ইতিকাফ করেছেন। (বুখারি, হাদিস : ২০৪৪)
এ ছাড়া ইতিকাফ হলো, আল্লাহ তাআলার ঘর মসজিদে অবস্থান করার মাধ্যমে ���ল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জন, দুনিয়াবিমুখতা এবং আল্লাহর রহমতে সিক্ত হওয়া ও ক্ষমা চাওয়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ মাধ্যম। আর ইতিকাফকারী ব্যক্তির উদাহরণ দিতে গিয়ে আতা (রহ.) বলেন যে কোনো ব্যক্তি এসে কারো দরজায় কড়া নাড়ল এই বলে যে যতক্ষণ পর্যন্ত তাকে কিছু না দেওয়া হবে, ততক্ষণ সে এখান থেকে এগোবে না। অনুরূপভাবে ইতিকাফকারী ব্যক্তিও আল্লাহ তাআলার দরজায় কড়া নাড়তে থাকে, যতক্ষণ পর্যন্ত না আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং ক্ষমা অর্জিত না হয়, ততক্ষণ সে আল্লাহর রহমত থেকে নৈরাশ হয়ে ফিরে আসে না। (মারাকিল ফালাহ, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা : ২৬৯)
ইতিকাফের মাহাত্ম্য ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শাহ ওয়ালি উল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভি (রহ.) বলেন, মসজিদে ইতিকাফ হচ্ছে হৃদয়ের প্রশান্তি, আত্মার পবিত্রতা ও চিত্তের নিষ্কলুষতা; চিন্তার পরিচ্ছন্নতা ও বিশুদ্ধতা। ফেরেশতাদের গুণাবলি অর্জন এবং লাইলাতুল কদরের সৌভাগ্য ও কল্যাণ লাভসহ সব ধরনের ইবাদতের সুযোগ লাভের সর্বোত্তম উপায়। এ জন্য রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ইতিকাফ পালন করেছেন এবং তাঁর পূতঃপবিত্র বিবিগণসহ সাহাবায়ে কিরামের অনেকেই এই সুন্নতের ওপর আমৃত্যু আমল করেছেন। (হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগা, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা : ৪২)
সওয়াবের দিক থেকে ইতিকাফের জন্য সর্বোত্তম স্থান হলো মসজিদুল হারাম। এরপর মসজিদে নববী। তারপর মসজিদুল আকসা। এরপর যেকোনো জামে মসজিদ। তারপর যেকোনো পাঞ্জেগানা মসজিদ।
তবে নারীদের জন্য ইতিকাফের স্থান হলো ঘরের নির্দিষ্ট কোনো পবিত্র স্থান। এ ক্ষেত্রে স্বামীর অনুমতি প্রযোজ্য। নারীদের মসজিদে ইতিকাফ করা মাকরুহে তাহরিমি। কারণ বর্তমান যুগ ফিতনা-ফ্যাসাদের যুগ। মসজিদে পুরুষদের সঙ্গে মেলামেশার প্রবল আশঙ্কা এবং অনৈতিকতা, অশ্লীলতারও আশঙ্কা আছে। তাই বর্তমান যুগে নারীদের মসজিদে ইতিকাফ করা মাকরুহে তাহরিমি। (আল মাবসুত লিল সারাখসি, খণ্ড ৩, পৃষ্ঠা ১১৫)
ইতিকাফ
youtube
youtube
youtube
ইতেকাফ অবস্থায় কি কি করনীয় ও কি কি নিষেধ ! 
ইতিকাফের সঠিক নিয়ম 
youtube
ইতিকাফ কী ও কেন
What is Itikaaf and why?
0 notes
mylordisallah · 25 days
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইতিকাফ কী ও কেন
What is Itikaaf and why?
ইত্তিকাফ হল মুসলিমদের একটি ধর্মীয় চর্চা, যেখানে একজন মুসলিম তার নিজস্ব ইচ্ছানুযায়ী এক বা একাধিক দিন নিকটবর্তী মসজিদে দিনানিপাত করেন| রমজান মাসে এর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে, বিশেষত রমজানের শেষ দশ দিনের জন্য। অনেক মসজিদেই মুসলমানরা রমযান মাসের শেষ দশ দিনে ইতিকাফে থাকে।
ইতিকাফের আভিধানিক অর্থ হলো অবস্থান করা। পারিভাষিক অর্থ হলো, যে ব্যক্তি মসজিদে অবস্থান করে এবং ইবাদতে লিপ্ত হয় তাকে বলা হয় ‘আকিফ’ এবং ‘মুতাকিফ’। অর্থাৎ ইতিকাফকারী। (লিসানুল আরব, খণ্ড ৯, পৃষ্ঠা : ২৫৫)
শরিয়তের পরিভাষায় ইতিকাফ মানে আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে নিজেকে মসজিদে আবদ্ধ করা।
(উমদাতুল কারি, খণ্ড ১১, পৃষ্ঠা : ১৪০)
ইতিকাফ হলো এমন একটি ইবাদত, যা পূর্ববর্তী আম্বিয়ায়ে কিরাম (আ.)-এর সময় থেকে চলে আসছে। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনেও এর কথা উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় খলিল ইবরাহিম (আ.) এবং ইসমাইল (আ.)-কে নির্দেশ দিয়েছিলেন কাবা গৃহ নির্মাণের পর তাওয়াফ করতে এবং ইতিকাফকারী ও নামাজ আদায়কারীদের জন্য তা (আল্লাহর ঘর) পরিষ্কার রাখতে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং আমি ইবরাহিম ও ইসমাঈলকে হুকুম করি, তোমরা আমার ঘরকে সেই সকল লোকের জন্য পবিত্র করো, যারা (এখানে) তাওয়াফ করবে, ইতিকাফ করবে এবং রুকু ও সিজদা আদায় করবে।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১২৫) মূলত রমজান মাস হলো আল্লাহ তাআলার আনুগত্য ও ইবাদতের বসন্তকাল এবং ক্ষমা ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির মৌসুম। যদিও এই মাস গুনাহগার ও নাফরমানদের জন্য ক্ষমা ও মাগফিরাতের সুবর্ণ সুযোগের মাধ্যম, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি নেক ও পরহেজগার ব্যক্তিদের জন্য রহমত, বরকত এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের মূল মাধ্যম। তাই আল্লাহ তাআলা রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফের মতো মহান ইবাদতের বিধান রেখেছেন। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে একটি মহা উপহার।
যা পূর্ববর্তী নবী (আ.) থেকে সাহাবায়ে কিরামরা খুবই গুরুত্বের সঙ্গে আমল করে এসেছেন। শরিয়তে ইতিকাফ হলো সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। (আল ইখতিয়ার লি তালিলিল মুখতার, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা : ১৩৬)
রমজানের শেষ ১০ দিনে ইতিকাফ করা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর একটি স্বতন্ত্র সুন্নত এবং এর চেয়ে উত্তম আর কী হতে পারে যে রাসুলুল্লাহ (সা.) সর্বদা এর প্রতি যত্নবান ছিলেন। ইমাম জুহরি (রহ.) বলেন, অনেক আমল তো নবীজি (সা.) কখনো করেছেন আবার কখনো ছেড়েও দিয়েছেন। কিন্তু মদিনায় হিজরত করার পর থেকে ওফাত পর্যন্ত রমজান মাসের শেষ ১০ দিনের ইতিকাফের আমলটি তিনি কখনোই ছেড়ে দেননি।
অথচ বড়ই আশ্চর্য ও আফসোসের বিষয় হলো, এই মর্যাদাপূর্ণ আমলটির ব্যাপারে মানুষ তেমন গুরুত্ব দেয় না। (ফাতহুল বারি, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা : ২৮৫) হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের শেষ দশকে ইতেকাফ করতেন। (বুখারি, হাদিস : ২০২৫)
নবীপত্নীরাও নিজ নিজ ঘরে ইতিকাফ করতেন। উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের শেষ ১০ দিনে ইতিকাফ করতেন। তাঁর ওফাত পর্যন্ত এই নিয়মই ছিল। এরপর তাঁর সহধর্মিণীরাও (সে দিনগুলোতে) ইতিকাফ করতেন। (বুখারি, হাদিস : ২০২৬)
আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের মধ্যম দশকে ইতিকাফ করতেন। (বুখারি, হাদিস : ২০২৭)
ওফাতের বছর মহানবী (সা.) ২০ দিন ইতিকাফ করেছিলেন। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতি রমজানে ১০ দিন ইতিকাফ করতেন, কিন্তু তাঁর ইন্তেকালের বছর তিনি ২০ দিন ইতিকাফ করেছেন। (বুখারি, হাদিস : ২০৪৪)
এ ছাড়া ইতিকাফ হলো, আল্লাহ তাআলার ঘর মসজিদে অবস্থান করার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জন, দুনিয়াবিমুখতা এবং আল্লাহর রহমতে সিক্ত হওয়া ও ক্ষমা চাওয়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ মাধ্যম। আর ইতিকাফকারী ব্যক্তির উদাহরণ দিতে গিয়ে আতা (রহ.) বলেন যে কোনো ব্যক্তি এসে কারো দরজায় কড়া নাড়ল এই বলে যে যতক���ষণ পর্যন্ত তাকে কিছু না ��েওয়া হবে, ততক্ষণ সে এখান থেকে এগোবে না। অনুরূপভাবে ইতিকাফকারী ব্যক্তিও আল্লাহ তাআলার দরজায় কড়া নাড়তে থাকে, যতক্ষণ পর্যন্ত না আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং ক্ষমা অর্জিত না হয়, ততক্ষণ সে আল্লাহর রহমত থেকে নৈরাশ হয়ে ফিরে আসে না। (মারাকিল ফালাহ, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা : ২৬৯)
ইতিকাফের মাহাত্ম্য ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শাহ ওয়ালি উল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভি (রহ.) বলেন, মসজিদে ইতিকাফ হচ্ছে হৃদয়ের প্রশান্তি, আত্মার পবিত্রতা ও চিত্তের নিষ্কলুষতা; চিন্তার পরিচ্ছন্নতা ও বিশুদ্ধতা। ফেরেশতাদের গুণাবলি অর্জন এবং লাইলাতুল কদরের সৌভাগ্য ও কল্যাণ লাভসহ সব ধরনের ইবাদতের সুযোগ লাভের সর্বোত্তম উপায়। এ জন্য রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ইতিকাফ পালন করেছেন এবং তাঁর পূতঃপবিত্র বিবিগণসহ সাহাবায়ে কিরামের অনেকেই এই সুন্নতের ওপর আমৃত্যু আমল করেছেন। (হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগা, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা : ৪২)
সওয়াবের দিক থেকে ইতিকাফের জন্য সর্বোত্তম স্থান হলো মসজিদুল হারাম। এরপর মসজিদে নববী। তারপর মসজিদুল আকসা। এরপর যেকোনো জামে মসজিদ। তারপর যেকোনো পাঞ্জেগানা মসজিদ।
তবে নারীদের জন্য ইতিকাফের স্থান হলো ঘরের নির্দিষ্ট কোনো পবিত্র স্থান। এ ক্ষেত্রে স্বামীর অনুমতি প্রযোজ্য। নারীদের মসজিদে ইতিকাফ করা মাকরুহে তাহরিমি। কারণ বর্তমান যুগ ফিতনা-ফ্যাসাদের যুগ। মসজিদে পুরুষদের সঙ্গে মেলামেশার প্রবল আশঙ্কা এবং অনৈতিকতা, অশ্লীলতারও আশঙ্কা আছে। তাই বর্তমান যুগে নারীদের মসজিদে ইতিকাফ করা মাকরুহে তাহরিমি। (আল মাবসুত লিল সারাখসি, খণ্ড ৩, পৃষ্ঠা ১১৫)
ইতিকাফ
youtube
youtube
youtube
ইতেকাফ অবস্থায় কি কি করনীয় ও কি কি নিষেধ ! 
ইতিকাফের সঠিক নিয়ম 
youtube
ইতিকাফ কী ও কেন
What is Itikaaf and why?
0 notes
abc-deen · 1 year
Text
"The Prophet (peace be upon him) used to practice I'tikaf in the last ten days of Ramadan until he passed away. After him, his wives continued the practice." (Sahih Bukhari, Book 32, Hadith 238)
0 notes
ilimheybem · 22 days
Text
Tumblr media Tumblr media
Hazret-i Âişe (r.a.) "Dedim ki, 'Yâ Resulallah, Kadir Gecesine rastlarsam nasıl dua edeyim?' Resulullah Aleyhissalâtü Vesselam;
"Allah'ım, sen affedicisin, affetmeyi seversin, beni de affeyle) dersin" buyurdu."
10 notes · View notes
baitulmalik · 1 year
Text
Kalender Suluk/Itikaf  Baitul Malik 2024
Tumblr media
Jadwal Suluk/Itikaf Baitul Malik, selama satu tahun kalender 2024  atau 1445-1446 Hijriah. Pendaftaran peserta suluk sudah bisa dibuka untuk semua jamaah dan mohon disebarluaskan.
Jadwal Suluk/Itikaf Baitul Malik 2024
Tumblr media
No. ITIKAF / SULUK HARI / TANGGAL 1. ISRA’ MI'RAJ (RAJAB) Kamis, 01 Februaris/d Minggu, 11 Februari 2024 2. RAMADHAN Kamis, 21 Maret s/d Minggu, 31 Maret 2024 3. HARI GURU & IDUL ADHA Jum'at, 07 Juni s/d Jum'at, 17 Juni 2024 4. MUHARRAM 1446 H Kamis, 25 Juli s/d Minggu, 04 Agustus 2024 5. MAULUD NABI Kamis, 03 Oktober s/d Minggu, 04 Agustus 2024 6. SULUK RUTIN Kamis, 12 Desember s/d Minggu, 22 Desember 2024
Untuk keperluan cetak, silahkan download file pdf Kalender Suluk dan Kegiatan dengan link dibawah ini.
Download PDF
Jadwal Kegiatan Baitul Malik 2024
Tumblr media
Jadwal Kegiatan Baitul Malik untuk kalender tahun 2024 / 1445-1446 Hijriah, silahkan disebarkan kepada jamaah lain yang belum mengetahui jadwal berikut:
Tumblr media
No. JADWAL KEGIATAN 1. Sabtu, 13 Januari 2024 (Ziarah) Selasa, 16 Januari 2024 (Tahlil) Milad Alkah Baitul Malik 2. Sabtu, 02 Maret 2024 Ziarah Ramadhan 3. Rabu/Kamis, 10/11 April 2024 Hari Raya Idul Fitri *) 4. Rabu, 24 April 2024 Tahlil Haul YM. Buya Iskandar Zulkarnain 5. Kamis, 09 Mei 2024 Tahlil Haul YM. Ayahanda Guru 6. Sabtu, 01 Juni 2024 Ziarah Hari Guru YM. Ayahanda Guru 7. Senin, 17 Juni 2024 Hari Raya Idul Adha *) 8. Kamis, 20 Juni 2024 Tahlil Hari Guru 9. Rabu, 10 Juli 2024 Tahlil Haul Hj, Siti Maryam 10. Jum'at, 15 November 2024 Tahlil Haul YM. Abu H. Abdul Khalik Fadjuani
*)Menunggu jadwal dan pengumuman resmi dari pemerintah RI
Untuk keperluan cetak, silahkan download file pdf Kalender Suluk dan Kegiatan dengan link dibawah ini.
Download
0 notes
islamidinisohbet · 2 years
Text
itikaf Şiiri | www.muslumanlar.net
Ramazan ayının son 10 gununu en şekilde değerlendirmek için peygamberimizin unutulmaya yüz tutmuş itikaf sünnetini en iyi şekilde anlatan şiiri mutlaka dinleyiniz.
1 note · View note
ronisumiarsa · 2 years
Photo
Tumblr media
Menanti sholat Isya di Masjid Al Nabawi... Sambil cek wa, ig dan info grup lainnya... Kegiatan rutin... #masjid #masjidnabawi #muslim #itikaf #humaninterest #photohunt #instapic #instagram #instamood #instago (at Medina, Saudi Arabia) https://www.instagram.com/p/CgpRHSmJ_lh/?igshid=NGJjMDIxMWI=
0 notes
hecedarussuffah · 2 years
Text
Tumblr media
Dünyada bir garip gibi ol!
Bir yoldan gelip geçermiş gibi..
89 - Gençlerle Söyleşi: İntizar - Varlığımız Farkındalığımız dersinden alıntıdır.
Dersin tamamına aşağıdaki linkten ulaşabilirsiniz.
👇👇👇
https://youtu.be/yZHnuXhWwVI
0 notes
zarif-tebessum · 17 days
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
"Gönül birlikteliğimizin hakiki vuslatla taçlanması duası ile..." 🪄🤍
11 notes · View notes